খুদে বক্সারদের চোখে স্বপ্ন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এসেছে সোলেমান, আশরাফুল, আইয়ুব হাসান। যশোর থেকে শফিক, আবেদ, সোহান। মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামে কাল শুরু হওয়া জাতীয় জুনিয়র (অনূর্ধ্ব-১৬) ও ইন্টারমিডিয়েট (অনূর্ধ্ব-১৮) বক্সিংয়ে অংশ নিতে এসেছে ঢাকায়। খেলা হবে ১০টি ওজন শ্রেণীতে। ফাইনাল ৫ মার্চ। টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষকতা করছে সাউথইস্ট ব্যাংক।
নতুন স্টেডিয়ামের নতুন বক্সিং রিং। গ্যালারিতে লাইন ধরে বসে থাকা কিশোরদের কলকাকলিতে মুখরিত পুরো স্টেডিয়াম। মাইকে বাজছে মৌসুমী ভৌমিকের গান—‘আমি শুনেছি সেদিন তুমি....স্বপ্ন দেখব বলে।’ গানের মতোই, সারা দেশের ৬৪টি ক্লাব, সার্ভিসেস সংস্থা, জেলা ক্রীড়া সংস্থার ২০৫ জন খেলোয়াড়ের চোখে-মুখে বক্সার হওয়ার স্বপ্ন। গত মাসে দক্ষিণ এশীয় গেমসে সোনা জেতা আবদুর রহিম ও জুয়েল আহমেদই যে স্বপ্নে আরও রং চড়িয়েছেন।
সোলেমান এসএ গেমসের সুবাদে এদের নাম শুনেছে আগেই। বক্সিংয়ে সোনা জিতলে অনেক টাকা পাওয়া যায়, এই আশাতেই পৌরসভা স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র সোলেমানের বক্সিংয়ে আগ্রহ। কাল এক ফাঁকে জানাল, ‘আমার বাবা রফিকুল ইসলাম সাইকেলের মেকানিক। আমি বক্সিংয়ে সোনা জিতে বাবাকে বড় দোকান করে দেব।’ বাড়ির পাশের ‘রাজু ওস্তাদ’ই তাকে বুঝিয়েছেন, বক্সিং খেললে টাকাও পাওয়া যায়।
যশোর থেকে আসা খেলোয়াড়দেরও বেশির ভাগই মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের। এবারের এসএ গেমসে সোনাজয়ী আবদুর রহিমই তাদের সামনে বড় আদর্শ। রহিমের বক্সিংয়ের হাতেখড়ি হয়েছিল মোমিননগর প্রীতি পরিষদ ক্লাব থেকেই। স্বাধীনতার পরপরই প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটি নিয়ে বেশ আক্ষেপ কোচ বিল্লাল হোসেনের, ‘দেখুন যে ক্লাব থেকে খেলা শিখেছে সোনাজয়ী বক্সার রহিম ভাই, খুবই জরাজীর্ণ সেই ক্লাবের অবস্থা। টিন খসে পড়ছে ক্লাবের। কোনো অনুদান নেই।’ এই ক্লাবের ছেলেদের নিয়েই তাঁর উচ্চাশা, ‘দেখবেন, একদিন এদের মধ্য থেকেই কেউ না কেউ রহিম ভাইয়ের মতো সোনা জিতবে।’
নতুন স্টেডিয়ামের নতুন বক্সিং রিং। গ্যালারিতে লাইন ধরে বসে থাকা কিশোরদের কলকাকলিতে মুখরিত পুরো স্টেডিয়াম। মাইকে বাজছে মৌসুমী ভৌমিকের গান—‘আমি শুনেছি সেদিন তুমি....স্বপ্ন দেখব বলে।’ গানের মতোই, সারা দেশের ৬৪টি ক্লাব, সার্ভিসেস সংস্থা, জেলা ক্রীড়া সংস্থার ২০৫ জন খেলোয়াড়ের চোখে-মুখে বক্সার হওয়ার স্বপ্ন। গত মাসে দক্ষিণ এশীয় গেমসে সোনা জেতা আবদুর রহিম ও জুয়েল আহমেদই যে স্বপ্নে আরও রং চড়িয়েছেন।
সোলেমান এসএ গেমসের সুবাদে এদের নাম শুনেছে আগেই। বক্সিংয়ে সোনা জিতলে অনেক টাকা পাওয়া যায়, এই আশাতেই পৌরসভা স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র সোলেমানের বক্সিংয়ে আগ্রহ। কাল এক ফাঁকে জানাল, ‘আমার বাবা রফিকুল ইসলাম সাইকেলের মেকানিক। আমি বক্সিংয়ে সোনা জিতে বাবাকে বড় দোকান করে দেব।’ বাড়ির পাশের ‘রাজু ওস্তাদ’ই তাকে বুঝিয়েছেন, বক্সিং খেললে টাকাও পাওয়া যায়।
যশোর থেকে আসা খেলোয়াড়দেরও বেশির ভাগই মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের। এবারের এসএ গেমসে সোনাজয়ী আবদুর রহিমই তাদের সামনে বড় আদর্শ। রহিমের বক্সিংয়ের হাতেখড়ি হয়েছিল মোমিননগর প্রীতি পরিষদ ক্লাব থেকেই। স্বাধীনতার পরপরই প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটি নিয়ে বেশ আক্ষেপ কোচ বিল্লাল হোসেনের, ‘দেখুন যে ক্লাব থেকে খেলা শিখেছে সোনাজয়ী বক্সার রহিম ভাই, খুবই জরাজীর্ণ সেই ক্লাবের অবস্থা। টিন খসে পড়ছে ক্লাবের। কোনো অনুদান নেই।’ এই ক্লাবের ছেলেদের নিয়েই তাঁর উচ্চাশা, ‘দেখবেন, একদিন এদের মধ্য থেকেই কেউ না কেউ রহিম ভাইয়ের মতো সোনা জিতবে।’
No comments