ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রের চার নম্বর কূপ খননের উদ্যোগ নেই
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে অবস্থিত ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রের চার নম্বর কূপ খননে সরকার কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।
এই কূপে গ্যাস মজুদের সম্ভাব্যতা যাচাই করে এটি খনন করার উদ্যোগ নিতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স) থেকে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব গত বছর পাঠানো হয়েছিল। এখন পর্যন্ত সে প্রস্তাবের কোনো জবাব মেলেনি বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছে, কূপটি খনন করা হলে অতিরিক্ত ১৫ থেকে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হতো। এ ছাড়া এই গ্যাসক্ষেত্রে প্রতিদিন ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা রয়েছে।
দেশীয় গ্যাস উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রটি ১৯৮৫ সালে আবিষ্কৃত হয়। পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম লিমিটেড (পিপিএল) এই গ্যাসক্ষেত্রের এক নম্বর কূপ খননের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি।
পরে দীর্ঘ কয়েক বছর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বাপেক্স ২০০৪ সালে দুই নম্বর এবং পরের বছর (২০০৫) তিন নম্বর কূপ খনন করে তা থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করে।
সূত্র জানায়, ২০০৭ সালের মাঝামাঝিতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উভয় কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৮ সালে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে বাপেক্স আবারও দুই নম্বর কূপ খনন করে। পরে ওই কূপ থেকে আবার গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রে কর্মরত বাপেক্সের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, ‘গ্যাসক্ষেত্রের চার নম্বর কূপে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস মজুদ রয়েছে।’
তিনি আরও জানান, বর্তমানে গ্যাসক্ষেত্রের দুই নম্বর কূপ থেকে প্রায় সাত মিলিয়ন এবং তিন নম্বর কূপ থেকে উত্তোলিত প্রায় ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, গ্যাসক্ষেত্রে ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা রয়েছে। অথচ প্রতিদিন মাত্র ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রক্রিয়াজাতকরণ করা যাচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিদিন উত্তোলিত গ্যাসের সঙ্গে প্রায় ৪৫ ব্যারেল কনডেনসড (অপরিশোধিত জ্বালানি) পাওয়া যাচ্ছে। এসব অপরিশোধিত জ্বালানি চট্টগ্রামে পরিশোধনাগারে পাঠানো হয়। সেটা থেকে পেট্রল, অকটেন, কেরোসিনসহ বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি তেল উত্পন্ন হচ্ছে।
যোগাযোগ করা হলে বাপেক্সের ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. মহিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রের চার নম্বর কূপে প্রচুর গ্যাস মজুদ রয়েছে। খননের উদ্যোগ নেওয়া হলে এটা থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫-২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যেত। আর ওই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ সম্ভব হতো।’
এই কূপে গ্যাস মজুদের সম্ভাব্যতা যাচাই করে এটি খনন করার উদ্যোগ নিতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স) থেকে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব গত বছর পাঠানো হয়েছিল। এখন পর্যন্ত সে প্রস্তাবের কোনো জবাব মেলেনি বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছে, কূপটি খনন করা হলে অতিরিক্ত ১৫ থেকে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হতো। এ ছাড়া এই গ্যাসক্ষেত্রে প্রতিদিন ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা রয়েছে।
দেশীয় গ্যাস উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রটি ১৯৮৫ সালে আবিষ্কৃত হয়। পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম লিমিটেড (পিপিএল) এই গ্যাসক্ষেত্রের এক নম্বর কূপ খননের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি।
পরে দীর্ঘ কয়েক বছর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বাপেক্স ২০০৪ সালে দুই নম্বর এবং পরের বছর (২০০৫) তিন নম্বর কূপ খনন করে তা থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করে।
সূত্র জানায়, ২০০৭ সালের মাঝামাঝিতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উভয় কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৮ সালে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে বাপেক্স আবারও দুই নম্বর কূপ খনন করে। পরে ওই কূপ থেকে আবার গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রে কর্মরত বাপেক্সের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, ‘গ্যাসক্ষেত্রের চার নম্বর কূপে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস মজুদ রয়েছে।’
তিনি আরও জানান, বর্তমানে গ্যাসক্ষেত্রের দুই নম্বর কূপ থেকে প্রায় সাত মিলিয়ন এবং তিন নম্বর কূপ থেকে উত্তোলিত প্রায় ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, গ্যাসক্ষেত্রে ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা রয়েছে। অথচ প্রতিদিন মাত্র ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রক্রিয়াজাতকরণ করা যাচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিদিন উত্তোলিত গ্যাসের সঙ্গে প্রায় ৪৫ ব্যারেল কনডেনসড (অপরিশোধিত জ্বালানি) পাওয়া যাচ্ছে। এসব অপরিশোধিত জ্বালানি চট্টগ্রামে পরিশোধনাগারে পাঠানো হয়। সেটা থেকে পেট্রল, অকটেন, কেরোসিনসহ বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি তেল উত্পন্ন হচ্ছে।
যোগাযোগ করা হলে বাপেক্সের ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. মহিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রের চার নম্বর কূপে প্রচুর গ্যাস মজুদ রয়েছে। খননের উদ্যোগ নেওয়া হলে এটা থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫-২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যেত। আর ওই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ সম্ভব হতো।’
No comments