সৌদি আরবে নারীত্ববাদ, সমকামিতা, নাস্তিক্যবাদ উগ্রপন্থিদের ধারনা
নারীত্ববাদ,
সমকামিতা ও নাস্তিক্যবাদকে উগ্রপন্থিদের আইডিয়া বা ধারণা বলে আখ্যায়িত
করেছে সৌদি আরব। দেশটির রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা প্রকাশিত একটি
প্রোমোশনাল বা প্রচারণামুলক ভিডিওতে ওই তিনটি ধারণাকে ক্যাটেগরি করা হয়েছে।
এখানে সমকামিতা ও নাস্তিক্যবাদ দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
হিসেবে গণ্য। এর শাস্তি মৃত্যুদন্ড। সৌদি আরবে জনবিক্ষোভ ও রাজনৈতিক দল
নিষিদ্ধ। মিডিয়ার ওপর কড়া নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রাজতন্ত্র শাসিত সৌদি আরবে। এ
খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রক্ষণশীল মুসলিম প্রধান সৌদি আরবে সাম্প্রতিক সময়ে বাড়ানো হয়েছে সহনশীলতা।
আকৃষ্ট করা হয়েছে বিদেশীদের। এক্ষেত্রে বিধিবিধান শিথিল করা হয়েছে। সপ্তাহান্তে টুইটারে একটি এনিমেশন করা ক্লিপ প্রকাশ করা হয়েছে স্টেট সিকিউরিটি প্রেসিডেন্সি’র একাউন্টে। এ একাউন্টটি ভেরিফায়েড। এতে বলা হয়েছে, যেকোনো রকম উগ্রপন্থা এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতা অগ্রহণযোগ্য। এতে বলতে শোনা যায়, দেশের স্বার্থ বিরোধী যেকোন কিছুকে উগ্রপন্থা হিসেবে বিবেচনা করা হবে- এটা ভুলে যাবেন না। উল্লেখ্য, সৌদি আরবের অর্থনীতি তেলের ওপর নির্ভরশীল। ফলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রকে আরো বিস্তৃত করতে সম্প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন। অনেকটা উন্মুক্ত করে দিয়েছেন সমাজ ব্যবস্থাকে। সামাজিক বিধিনিষেধকে শিথিল করেছেন। চালু করেছেন পর্যটক ভিসা। আগামী বছরে রিয়াদে বসছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। পুরুষের ওপর নির্ভরশীলতার ক্ষেত্রে নারীদের অনুমোদন দেয়া হয়েছে বেশ কিছু সুবিধা।
এতসব সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে দমন পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। ধর্মীয় নেতা, বৃদ্ধিজীবী ও অধিকারকর্মী সহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনকে গ্রেপ্তার করছে। নারীদের গাড়ি চালানোয় নিষেধাজ্ঞার কয়েক সপ্তাহ আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ডজনখানেক নারী অধিকারকর্মীকে। তবে গত বছর ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অধিকারকর্মী এবং কূটনীতিকরা এতে আশঙ্কা করছেন যে, এর মধ্য দিয়ে একটি বার্তা দেয়া হচ্ছে। তা হলো, শুধু সরকারের উদ্যোগেই হবে সংস্কারমূলক কর্মকান্ড। তবে যেসব নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সে সম্পর্কে কথা বলেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর। তিনি বলেছেন, সৌদি আরবের স্বার্থের ক্ষতি করছিলেন এবং বিদেশী শত্রু রাষ্ট্রগুলোর প্রতি সমর্থন রয়েছে এমন সন্দেহে ওইসব নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সৌদি আরবের আইনের অধীনে সন্ত্রাসী বা জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষিত গ্রুপের প্রতি সমর্থন দিলে তার শাস্তি জেল হতে পারে।
রক্ষণশীল মুসলিম প্রধান সৌদি আরবে সাম্প্রতিক সময়ে বাড়ানো হয়েছে সহনশীলতা।
আকৃষ্ট করা হয়েছে বিদেশীদের। এক্ষেত্রে বিধিবিধান শিথিল করা হয়েছে। সপ্তাহান্তে টুইটারে একটি এনিমেশন করা ক্লিপ প্রকাশ করা হয়েছে স্টেট সিকিউরিটি প্রেসিডেন্সি’র একাউন্টে। এ একাউন্টটি ভেরিফায়েড। এতে বলা হয়েছে, যেকোনো রকম উগ্রপন্থা এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতা অগ্রহণযোগ্য। এতে বলতে শোনা যায়, দেশের স্বার্থ বিরোধী যেকোন কিছুকে উগ্রপন্থা হিসেবে বিবেচনা করা হবে- এটা ভুলে যাবেন না। উল্লেখ্য, সৌদি আরবের অর্থনীতি তেলের ওপর নির্ভরশীল। ফলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রকে আরো বিস্তৃত করতে সম্প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন। অনেকটা উন্মুক্ত করে দিয়েছেন সমাজ ব্যবস্থাকে। সামাজিক বিধিনিষেধকে শিথিল করেছেন। চালু করেছেন পর্যটক ভিসা। আগামী বছরে রিয়াদে বসছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। পুরুষের ওপর নির্ভরশীলতার ক্ষেত্রে নারীদের অনুমোদন দেয়া হয়েছে বেশ কিছু সুবিধা।
এতসব সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে দমন পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। ধর্মীয় নেতা, বৃদ্ধিজীবী ও অধিকারকর্মী সহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনকে গ্রেপ্তার করছে। নারীদের গাড়ি চালানোয় নিষেধাজ্ঞার কয়েক সপ্তাহ আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ডজনখানেক নারী অধিকারকর্মীকে। তবে গত বছর ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অধিকারকর্মী এবং কূটনীতিকরা এতে আশঙ্কা করছেন যে, এর মধ্য দিয়ে একটি বার্তা দেয়া হচ্ছে। তা হলো, শুধু সরকারের উদ্যোগেই হবে সংস্কারমূলক কর্মকান্ড। তবে যেসব নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সে সম্পর্কে কথা বলেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর। তিনি বলেছেন, সৌদি আরবের স্বার্থের ক্ষতি করছিলেন এবং বিদেশী শত্রু রাষ্ট্রগুলোর প্রতি সমর্থন রয়েছে এমন সন্দেহে ওইসব নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সৌদি আরবের আইনের অধীনে সন্ত্রাসী বা জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষিত গ্রুপের প্রতি সমর্থন দিলে তার শাস্তি জেল হতে পারে।
No comments