‘বোমা’ সঙ্গে করেই পথ চলছে ঢাকার মানুষ! by সঞ্চিতা সীতু
মেয়াদ
পেরুনো সিএনজি সিলিন্ডার মানেই বোমা। ফাটতে পারে যখন-তখন। দেশের প্রায় ৮০
শতাংশ গাড়ির সিলিন্ডার পুনঃপরীক্ষা ছাড়াই চলছে। এসব সিলিন্ডারের প্রত্যেকটি
এক-একটি বোমা। ফলে রাস্তায় শত শত বোমা নিয়ে ঘুরছেন গাড়ির মালিকরা। ফাটলে
ওই গাড়ির যাত্রী তো মরবেই আশেপাশের মানুষরাও বেঁচে থাকবে না। এই ঝুঁকি
কমাতে হলে পুনঃপরীক্ষা জরুরি। পাশাপাশি মান পরীক্ষা করার বিষয়ে সরকারকে আরও
কঠোর হতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে চকবাজারে লাগা আগুনের প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই বলেছেন, দুর্ঘটনার সময় প্রথমে একটি গাড়ির সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ ঘটে। সেই সিলিন্ডার থেকে আরও কয়েকটি গাড়ির সিলিন্ডারে আগু ধরে যায়। এরপর পাশের হোটেল এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারে আগুন লাগে। এরপরই বাড়ির ভেতরে থাকা কেমিক্যালে আগুন ধরে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। তবে এর কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে পারেননি কেউ।
এ বিষয়ে বিস্ফোরক পরিদফতরের প্রধান পরিদর্শক শামসুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা যায়, যে পিকআপের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কথা বলা হয়েছে তাতে কোনও সিলিন্ডার ছিলই না। আর পুড়ে যাওয়া গাড়িগুলোর মধ্যে একটি গাড়িতে আমরা সিলিন্ডার অক্ষত অবস্থায় পেয়েছি। অন্য গাড়িগুলোতে সিলিন্ডার ছিল কিনা, আর থাকলেও সেগুলো ফাটলে সিলিন্ডারের বাইরের আবরণের কিছু অংশ অন্তত পাওয়া যাওয়ার কথা। সে ধরনের কোনও নমুনা আমরা পাইনি। তারপরও সম্ভাব্য সব কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিএনজি রূপান্তর কারখানা, ফিলিং স্টেশন এবং রি-টেস্টিং সেন্টারগুলোর অনুমতি আমরা দিই। কিন্তু যানবাহনগুলোকে সিলিন্ডার পরীক্ষা করতে আমরা বাধ্য করতে পারি না। এই কাজ বিআরটিএ’র।’
এদিকে সরেজমিন ওই এলাকায় দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া বাহনের মধ্যে ছিল প্রাইভেট কার, পিকআপ ভ্যান, রিকশা, ঠেলাগাড়ি, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সবমিলিয়ে ৫১টি গাড়ি পুড়েছে এই ঘটনায়। এরমধ্যে দুটি প্রাইভেট কার এবং দুটি পিকআপ ভ্যান ছিল। একটি প্রাইভেট গাড়িতে সিলিন্ডার অক্ষত অবস্থায় আছে। আর দুর্ঘটনার স্থানেই হোটেলের তিনটি এলপি সিলিন্ডার অক্ষত অবস্থায় আছে। তবে অন্য গাড়িগুলোতে সিলিন্ডার ছিল কিনা তার কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
২০০৫ সালের সিএনজি বিধিমালা অনুযায়ী, পাঁচ বছর পরপর সিএনজিচালিত যানবাহনের সিলিন্ডার পরীক্ষা করা বাধ্যবাধকতামূলক। পরীক্ষায় ত্রুটি ধরা পড়লে নতুন সিলিন্ডার বসাতে হবে।
কিন্তু যারা এই রিটেস্টিং করেন তাদের বেশির ভাগই বলছেন, যে পরিমাণ সিলিন্ডার আছে তার মাত্র ২০ শতাংশ গাড়ি রিটেস্টিং করা হয়। অর্থাৎ প্রায় ৮০ শতাংশ গাড়ি রিটেস্টিং ছাড়াই বছরের পর বছর চলছে।
এ বিষয়ে নাভানার সিনিয়র সেলস এক্সিকিউটিভ মার্কেটিং (রিটেস্টিং) কামরুজ্জামান বলেন, ‘বাজারে নাভানা সিএনজির এক লাখ সিলিন্ডার রয়েছে। আর রিটেস্টিং করেছে সর্বোচ্চ ৩২ হাজার। তবে এর সবগুলোই নাভানার সিএনজি রূপান্তরিত নয়। অন্য কোম্পানিরও সিলিন্ডার রয়েছে। হিসাব করলে ২০ হাজার নাভানার রূপান্তরিত সিলিন্ডার আমরা রিটেস্টিং করেছি। যা মোট রূপান্তরিত সিলিন্ডারের ২০ ভাগ মাত্র। অর্থাৎ ৮০ শতাংশ সিলিন্ডারই রিটেস্টিং ছাড়াই চলছে। এসব সিলিন্ডারের প্রত্যেকটি এক একটি বোমা। ফাটলে ওই গাড়ির যাত্রী তো মরবেই আশেপাশের কেউ বেঁচে থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘চকবাজারের দুর্ঘটনার পর শুক্রবার ৩০টি গাড়ি টেস্ট করাতে এসেছে। প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০টির বেশি গাড়ি আসে না।’
এদিকে ইন্ট্রাকো সিএনজি রূপান্তর কারখানার এজিএম নাসির উদ্দিনও জানালেন একই অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেন, ‘রিটেস্টিং করাতে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা লাগে। এই টাকা খরচ করার ভয়ে অনেকে আসেন না।’ তিনি জানান, প্রতিদিন তাদের কারখানাও ১০ থেকে ১৫ গাড়ির রিটেস্টিং করে। গাড়ির সিলিন্ডার খালি অবস্থায় নিয়ে গেলে কোনও সিরিয়াল না থাকলে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় প্রয়োজন হয়। ফলে অনেকে সময়ের কারণেও আসেন না রিটেস্ট করাতে।
এদিকে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি (আরপিজিসিএল) জানায়, তাদের রিটেস্টিং সেন্টারে গত বছরের জুন পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজার ৮৩৬ এনজিভি সিলিন্ডার (ন্যাচারাল গ্যাস ভেহিকল) পুনঃপরীক্ষা করা হয়েছে। গত তিন বছরে ৩৬৫টি যানবাহন সিএনজিতে রূপান্তর করা হয়। রিটেস্টিং করার জন্য এক হাজার ১৩৮ জনকে প্রশিক্ষণও দিয়েছে আরপিজিসিএল। তাদের হিসাব অনুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত সারা দেশে সিএনজিচালিত যানবাহনের সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখ তিন হাজার ১৩১টি। এর মধ্যে দুই লাখ ৬৯ হাজার ৫০৬টি যানবাহন সিএনজি ব্যবহারের জন্য রূপান্তরিত। এক লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি অটোরিকশা এবং ৪০ হাজার ৩৮৩টি বাহন গ্যাসচালিত বাহন হিসাবে আমদানি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর বলেন, ‘সিলিন্ডারে তিন হাজার পিএসআই (পাম্প পার স্কয়ার ইঞ্চি) চাপে গ্যাস ভরা হয়। আর রান্নাঘরের চুলায় গ্যাসের চাপ এক পিএসআইয়ের চেয়েও কম। এই চাপের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটলে বিস্ফোরণটা অনেক বেশি হবে। তাই সিলিন্ডার পরীক্ষা করা জরুরি।’
তিনি জানান, বিআরটিএ’র ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় গাড়ি রিটেস্টিং করা হয়েছে কিনা সেটি দেখার কথা। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা দেখছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন। অভিযোগ আছে, ফিটনেস নবায়নের দায়িত্বে থাকা বিআরটিএ’র পরিদর্শকরা অন্যান্য কাগজপত্র দেখতে চাইলেও সিলিন্ডার রিটেস্টিংয়ের সনদ চান না।
এ বিষয়ে বিস্ফোরক পরিদফতরের প্রধান পরিদর্শক শামসুল আলম বলেন, ‘ঝুঁকি কমাতে নিম্নমানের সিলিন্ডার আমদানি বন্ধ ও অবৈধ কনভারশন সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সিলিন্ডারের মান নিয়ন্ত্রণ, রিটেস্টিং ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, এগুলোর কোনও মান আছে কিনা তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই।’
মান নিয়েই যখন সংশয় তখন মানের বিষয়ে সরকারকে আগে উদ্যোগ নিতে হবে বলে তিনি জানান।
গত বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে চকবাজারে লাগা আগুনের প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই বলেছেন, দুর্ঘটনার সময় প্রথমে একটি গাড়ির সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ ঘটে। সেই সিলিন্ডার থেকে আরও কয়েকটি গাড়ির সিলিন্ডারে আগু ধরে যায়। এরপর পাশের হোটেল এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারে আগুন লাগে। এরপরই বাড়ির ভেতরে থাকা কেমিক্যালে আগুন ধরে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। তবে এর কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে পারেননি কেউ।
এ বিষয়ে বিস্ফোরক পরিদফতরের প্রধান পরিদর্শক শামসুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা যায়, যে পিকআপের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কথা বলা হয়েছে তাতে কোনও সিলিন্ডার ছিলই না। আর পুড়ে যাওয়া গাড়িগুলোর মধ্যে একটি গাড়িতে আমরা সিলিন্ডার অক্ষত অবস্থায় পেয়েছি। অন্য গাড়িগুলোতে সিলিন্ডার ছিল কিনা, আর থাকলেও সেগুলো ফাটলে সিলিন্ডারের বাইরের আবরণের কিছু অংশ অন্তত পাওয়া যাওয়ার কথা। সে ধরনের কোনও নমুনা আমরা পাইনি। তারপরও সম্ভাব্য সব কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিএনজি রূপান্তর কারখানা, ফিলিং স্টেশন এবং রি-টেস্টিং সেন্টারগুলোর অনুমতি আমরা দিই। কিন্তু যানবাহনগুলোকে সিলিন্ডার পরীক্ষা করতে আমরা বাধ্য করতে পারি না। এই কাজ বিআরটিএ’র।’
এদিকে সরেজমিন ওই এলাকায় দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া বাহনের মধ্যে ছিল প্রাইভেট কার, পিকআপ ভ্যান, রিকশা, ঠেলাগাড়ি, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সবমিলিয়ে ৫১টি গাড়ি পুড়েছে এই ঘটনায়। এরমধ্যে দুটি প্রাইভেট কার এবং দুটি পিকআপ ভ্যান ছিল। একটি প্রাইভেট গাড়িতে সিলিন্ডার অক্ষত অবস্থায় আছে। আর দুর্ঘটনার স্থানেই হোটেলের তিনটি এলপি সিলিন্ডার অক্ষত অবস্থায় আছে। তবে অন্য গাড়িগুলোতে সিলিন্ডার ছিল কিনা তার কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
২০০৫ সালের সিএনজি বিধিমালা অনুযায়ী, পাঁচ বছর পরপর সিএনজিচালিত যানবাহনের সিলিন্ডার পরীক্ষা করা বাধ্যবাধকতামূলক। পরীক্ষায় ত্রুটি ধরা পড়লে নতুন সিলিন্ডার বসাতে হবে।
কিন্তু যারা এই রিটেস্টিং করেন তাদের বেশির ভাগই বলছেন, যে পরিমাণ সিলিন্ডার আছে তার মাত্র ২০ শতাংশ গাড়ি রিটেস্টিং করা হয়। অর্থাৎ প্রায় ৮০ শতাংশ গাড়ি রিটেস্টিং ছাড়াই বছরের পর বছর চলছে।
এ বিষয়ে নাভানার সিনিয়র সেলস এক্সিকিউটিভ মার্কেটিং (রিটেস্টিং) কামরুজ্জামান বলেন, ‘বাজারে নাভানা সিএনজির এক লাখ সিলিন্ডার রয়েছে। আর রিটেস্টিং করেছে সর্বোচ্চ ৩২ হাজার। তবে এর সবগুলোই নাভানার সিএনজি রূপান্তরিত নয়। অন্য কোম্পানিরও সিলিন্ডার রয়েছে। হিসাব করলে ২০ হাজার নাভানার রূপান্তরিত সিলিন্ডার আমরা রিটেস্টিং করেছি। যা মোট রূপান্তরিত সিলিন্ডারের ২০ ভাগ মাত্র। অর্থাৎ ৮০ শতাংশ সিলিন্ডারই রিটেস্টিং ছাড়াই চলছে। এসব সিলিন্ডারের প্রত্যেকটি এক একটি বোমা। ফাটলে ওই গাড়ির যাত্রী তো মরবেই আশেপাশের কেউ বেঁচে থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘চকবাজারের দুর্ঘটনার পর শুক্রবার ৩০টি গাড়ি টেস্ট করাতে এসেছে। প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০টির বেশি গাড়ি আসে না।’
এদিকে ইন্ট্রাকো সিএনজি রূপান্তর কারখানার এজিএম নাসির উদ্দিনও জানালেন একই অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেন, ‘রিটেস্টিং করাতে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা লাগে। এই টাকা খরচ করার ভয়ে অনেকে আসেন না।’ তিনি জানান, প্রতিদিন তাদের কারখানাও ১০ থেকে ১৫ গাড়ির রিটেস্টিং করে। গাড়ির সিলিন্ডার খালি অবস্থায় নিয়ে গেলে কোনও সিরিয়াল না থাকলে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় প্রয়োজন হয়। ফলে অনেকে সময়ের কারণেও আসেন না রিটেস্ট করাতে।
এদিকে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি (আরপিজিসিএল) জানায়, তাদের রিটেস্টিং সেন্টারে গত বছরের জুন পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজার ৮৩৬ এনজিভি সিলিন্ডার (ন্যাচারাল গ্যাস ভেহিকল) পুনঃপরীক্ষা করা হয়েছে। গত তিন বছরে ৩৬৫টি যানবাহন সিএনজিতে রূপান্তর করা হয়। রিটেস্টিং করার জন্য এক হাজার ১৩৮ জনকে প্রশিক্ষণও দিয়েছে আরপিজিসিএল। তাদের হিসাব অনুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত সারা দেশে সিএনজিচালিত যানবাহনের সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখ তিন হাজার ১৩১টি। এর মধ্যে দুই লাখ ৬৯ হাজার ৫০৬টি যানবাহন সিএনজি ব্যবহারের জন্য রূপান্তরিত। এক লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি অটোরিকশা এবং ৪০ হাজার ৩৮৩টি বাহন গ্যাসচালিত বাহন হিসাবে আমদানি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর বলেন, ‘সিলিন্ডারে তিন হাজার পিএসআই (পাম্প পার স্কয়ার ইঞ্চি) চাপে গ্যাস ভরা হয়। আর রান্নাঘরের চুলায় গ্যাসের চাপ এক পিএসআইয়ের চেয়েও কম। এই চাপের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটলে বিস্ফোরণটা অনেক বেশি হবে। তাই সিলিন্ডার পরীক্ষা করা জরুরি।’
তিনি জানান, বিআরটিএ’র ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় গাড়ি রিটেস্টিং করা হয়েছে কিনা সেটি দেখার কথা। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা দেখছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন। অভিযোগ আছে, ফিটনেস নবায়নের দায়িত্বে থাকা বিআরটিএ’র পরিদর্শকরা অন্যান্য কাগজপত্র দেখতে চাইলেও সিলিন্ডার রিটেস্টিংয়ের সনদ চান না।
এ বিষয়ে বিস্ফোরক পরিদফতরের প্রধান পরিদর্শক শামসুল আলম বলেন, ‘ঝুঁকি কমাতে নিম্নমানের সিলিন্ডার আমদানি বন্ধ ও অবৈধ কনভারশন সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সিলিন্ডারের মান নিয়ন্ত্রণ, রিটেস্টিং ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, এগুলোর কোনও মান আছে কিনা তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই।’
মান নিয়েই যখন সংশয় তখন মানের বিষয়ে সরকারকে আগে উদ্যোগ নিতে হবে বলে তিনি জানান।
No comments