আবার বিচারপতি সাহাবুদ্দিন
৯০
এর এরশাদ বিরোধী তুমুল গণআন্দোলন। স্বৈরাচারের পতন নিশ্চিত প্রায়। এ সময়
এরশাদ নতুন চালাকি করলেন। তিনি বললেন, কোথায় পদত্যাগ করব? পদত্যাগ পত্র কি
গুলিস্থানে দিয়ে আসবো? এরশাদ নিশ্চিত ছিলেন, তিন জোট বিশেষ করে আওয়ামী লীগ
বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান সম্পর্কে ঐক্যমতে আসতে পারবে না। কিন্তু
নিজের ফাঁদে নিজেই জড়ালেন এরশাদ। তিনজোট প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন
আহমেদের বাসভবনে মাত্র এক ঘণ্টার বৈঠকে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদকে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে প্রস্তাব করল। বিচারপতি সাহাবুদ্দিন তখন
প্রধান বিচারপতি। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাঁকে অনুরোধ করলেন,
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের দায়িত্ব নিতে। বিচারপতি সাহাবুদ্দিন শর্ত
দিলেন, তিনি নির্বাচন শেষে আবার স্বপদে ফিরতে পারলেই কেবল এই দায়িত্ব
নেবেন। তিনজোট রাজি হলো।
৯১ নির্বাচনও হলো। সংসদে একাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি স্বপদে ফিরে এলেন। ঘটনা এখানেই শেষ হতে পারত। এ পর্যন্তই বিচারপতি সাহাবুদ্দিন ছিলেন সব বিতর্কের উর্ধ্বে। কিন্তু তাঁকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হলো ১৯৯৬ সালে। আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনে জয়ী হলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর ছোটবোন শেখ রেহানা দুজনই গেলেন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের বাসভবনে। ততদিনে তিনি অবসরে গেছেন। রাজি করালেন রাষ্ট্রপতি করাতে। রাষ্ট্রপতি হবার পরই তিনি আওয়ামী লীগের অস্বস্তির কারণ হলেন। বিচার বিভাগ সম্পর্কে একাধিক বিষয়ে তিনি ভিন্নমত প্রকাশ করলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে ছাড় দিলেন। বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি সম্পূর্ণ তাঁর এখতিয়ারে ছেড়ে দেওয়া হলো।
আজ ২১ বছর পর বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আবার ঘুরে ফিরে আসছেন। বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ২৪ অক্টোবর ১৯৯৯ সালে বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। একই দিন শপথ নেন বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা। এরা দুজনই হাইকোর্টে অস্থায়ী বিচারপতি হবার আগে সুপ্রীমেকোর্টে আইনজীবী ছিলেন। আপিল বিভাগের আরেক বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন ২২ ফ্রেব্রুয়ারি ২০০১ সালে, বিচারপতি সাহাবুদ্দিন তখন রাষ্ট্রপতি।একই দিনে শপথ নেন বিচারপতি ইমান আলী ও হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। বিচারপতি মির্জা হোসেন হায়দার শপথ নেন ৩ জুলাই ২০০১ সালে, বিচারপতি সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায়। ষোড়শ সংশোধনী রায়ে এই ৬ জনের বাইরে ছিলেন সদ্য অবসর যাওয়া বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা। ২৮ মে ২০০০ সালে তিনি অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। তিনিও বিচারপতি সাহাবুদ্দিন কতৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।
৯৬-২০০১ সালে আইনমন্ত্রী ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। তিনি স্বীকার করেন যে, ওই সময়ে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির ইচ্ছাই প্রধান্য পেতো। বিচারপতি সাহাবুদ্দিন ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পর বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের নাম ঘুরে ফিরে আসছে বার বার।
৯১ নির্বাচনও হলো। সংসদে একাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি স্বপদে ফিরে এলেন। ঘটনা এখানেই শেষ হতে পারত। এ পর্যন্তই বিচারপতি সাহাবুদ্দিন ছিলেন সব বিতর্কের উর্ধ্বে। কিন্তু তাঁকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হলো ১৯৯৬ সালে। আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনে জয়ী হলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর ছোটবোন শেখ রেহানা দুজনই গেলেন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের বাসভবনে। ততদিনে তিনি অবসরে গেছেন। রাজি করালেন রাষ্ট্রপতি করাতে। রাষ্ট্রপতি হবার পরই তিনি আওয়ামী লীগের অস্বস্তির কারণ হলেন। বিচার বিভাগ সম্পর্কে একাধিক বিষয়ে তিনি ভিন্নমত প্রকাশ করলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে ছাড় দিলেন। বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি সম্পূর্ণ তাঁর এখতিয়ারে ছেড়ে দেওয়া হলো।
আজ ২১ বছর পর বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আবার ঘুরে ফিরে আসছেন। বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ২৪ অক্টোবর ১৯৯৯ সালে বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। একই দিন শপথ নেন বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা। এরা দুজনই হাইকোর্টে অস্থায়ী বিচারপতি হবার আগে সুপ্রীমেকোর্টে আইনজীবী ছিলেন। আপিল বিভাগের আরেক বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন ২২ ফ্রেব্রুয়ারি ২০০১ সালে, বিচারপতি সাহাবুদ্দিন তখন রাষ্ট্রপতি।একই দিনে শপথ নেন বিচারপতি ইমান আলী ও হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। বিচারপতি মির্জা হোসেন হায়দার শপথ নেন ৩ জুলাই ২০০১ সালে, বিচারপতি সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায়। ষোড়শ সংশোধনী রায়ে এই ৬ জনের বাইরে ছিলেন সদ্য অবসর যাওয়া বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা। ২৮ মে ২০০০ সালে তিনি অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। তিনিও বিচারপতি সাহাবুদ্দিন কতৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।
৯৬-২০০১ সালে আইনমন্ত্রী ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। তিনি স্বীকার করেন যে, ওই সময়ে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির ইচ্ছাই প্রধান্য পেতো। বিচারপতি সাহাবুদ্দিন ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পর বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের নাম ঘুরে ফিরে আসছে বার বার।
No comments