কাশ্মীরে এই রক্তস্নান আর কতদিন?
কাশ্মীর
পরিস্থিতি যেভাবে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে, নিরাপত্তাবাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের
মধ্যে সংঘর্ষে হতাহতের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তা এই মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণে
আনতে না পারলে ভারতের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়বে৷
তাই বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলা করতে নিরাপত্তাবাহিনীকে আরও সংযত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে পাল্টা চাপে রাখতে তৈরি হচ্ছে মোদী সরকার৷
জ্ম্মু-কাশ্মীরে সাত দিন ধরে লাগাতার কারফিউ চলেছে, স্বাভাবিক জনজীবন প্রায় স্তব্ধ৷ হুরিয়াত ও কট্টর বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা গৃহবন্দি৷ অবিলম্বে রাজ্যে শান্তি আনতে না পারলে তা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবার আশঙ্কা৷ প্রধানমন্ত্রী মোদী বিদেশ সফর থেকে ফিরেই তড়িঘড়ি মন্ত্রী ও আধিকারিকদের সঙ্গে কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতিতে কিভাবে শান্তি আনা যায়, সে বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন৷ ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েনে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে মানবাধিকার প্রসঙ্গ তুলে ভারতকে অপদস্থ করতে পাকিস্তানের তত্পরতাকে কিভাবে ভোঁতা করে দেওয়া যায়. কিভাবে পাল্টা চাপ দেওয়া যায়, তার কূটনৈতিক কৌশল নিয়েও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
সেই অনুযায়ী, পাকিস্তানে ঘাঁটি গাড়া জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি যে কাশ্মীরে সহিংসতা চালাবার জন্য দায়ী, সেটা জাতিসংঘে নতুন করে তুলে ধরেছে ভারত৷ বলেছে, সন্ত্রাসবাদ যে দেশের রাষ্ট্রীয় নীতি সে দেশের মুখে মানবাধিকার লংঘনের কথা একেবারেই বেমানান৷ পাকিস্তান এর আগে ভারতের বিরুদ্ধে কাশ্মীরে দমন পীড়ন এবং মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ তোলে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মুসলিম দেশগুলির রাষ্ট্রদূতদের কাছেও কাশ্মীরের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইসলামাবাদ৷ তবে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ভারতকে অভ্যন্তরীণ সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে বলায় ভারত খানিকটা স্বস্তিতে, বিশেষ করে ‘অভ্যন্তরীণ' কথাটায়৷
উল্লেখ্য, হিজবুল মুজাহিদিনের জঙ্গি বুরহান ওয়ানি পুলিশের গুলিতে নিহত হলে শুরু হয় এই উত্তেজনা৷ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বুরহানিকে ‘শহিদ' আখ্যা দিলে তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতে শামিল হয় হাজার হাজার মানুষ৷ কারফিউ অমান্য করে গৃহবন্দি হুরিয়াত নেতারা বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিলে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়৷ এর প্রতিবাদে ‘কাশ্মীর বনধ' ডাকা হয়৷ সোশ্যাল মিডিয়াতে বিপ্লবী চে গুয়েভারার সঙ্গে তাঁকে তুলনা করা হয়৷ সে ছবি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে৷ সেজন্য ইন্টারনেট যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয় সাময়িকভাবে৷ মৌলিক মানবাধিকারের প্রশ্ন তুলে কাশ্মীরিদের একাংশের অভিযোগ, বুরহানকে সাজানো সংঘর্ষে মারা হয়েছে৷
প্রধানমন্ত্রী মোদীর তরফে বলা হয়, শান্তি উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে কাশ্মীর উপত্যকায় বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলা করতে আরও সংযত হবার নির্দেশ দেওয়া হয় নিরাপত্তা বাহিনীকে৷ সব পক্ষের কাছে শান্তি ফেরানোর আবেদন জানানো হয়েছে৷ মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গেও কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ জরুরি ওষুধপত্রসহ উপত্যকায় পাঠানো হয়েছে মেডিক্যাল টিম৷
প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই শান্তি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ভারতের সব রাজনৈতিক দল৷ খুব শিগগিরই একটা সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলকে পাঠানো হবে কাশ্মীরে৷ কিন্তু বিচ্ছিন্নতাবাদীরা প্রধানমন্ত্রীর এই শান্তি উদ্যোগকে ‘অর্থহীন' বলে অভিহিত করলেও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেস জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির নিষ্ক্রিয়তার দিকে আঙ্গুল তুলে তাঁর ইস্তফার দাবি তুলেছে৷
ভারতের বুদ্ধিজীবী মহলের একাংশের প্রশ্ন- নিরাপত্তা বাহিনী সংযত হলেই কি সবকিছু ঠাণ্ডা হয়ে যাবে ? কাশ্মীরের তিন দশক ধরে সহিংসার ধারাবাহিকতা কিন্তু সেকথা বলে না৷ কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নবাদীরা কোনো-না- কোনো ইস্যু নিয়ে উত্তেজনা, সংঘর্ষ জিইয়ে রাখতে চায়৷ জাতীয় স্বার্থে এর স্থায়ী সমাধান হতে পারে, বিচ্ছিন্নতাবাদীসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আলোচনায় শামিল করা ভারতের অখণ্ডতার সঙ্গে কোনো আপোষ না করে৷ ভূমিগত বাস্তবতার নিরিখে মোদী সরকারের উচিত এই ধরণের এক বড় রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া৷ আগামী সোমবার বসছে সংসদের ‘বাদল অধিবেশন'৷ কাশ্মীরের অস্থিরতা নিয়ে মোদীকে রেহাই দেবে না বিপক্ষ দলগুলি৷ জবাবদিহি করতে হবে মোদীকে৷
তাই বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলা করতে নিরাপত্তাবাহিনীকে আরও সংযত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে পাল্টা চাপে রাখতে তৈরি হচ্ছে মোদী সরকার৷
জ্ম্মু-কাশ্মীরে সাত দিন ধরে লাগাতার কারফিউ চলেছে, স্বাভাবিক জনজীবন প্রায় স্তব্ধ৷ হুরিয়াত ও কট্টর বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা গৃহবন্দি৷ অবিলম্বে রাজ্যে শান্তি আনতে না পারলে তা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবার আশঙ্কা৷ প্রধানমন্ত্রী মোদী বিদেশ সফর থেকে ফিরেই তড়িঘড়ি মন্ত্রী ও আধিকারিকদের সঙ্গে কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতিতে কিভাবে শান্তি আনা যায়, সে বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন৷ ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েনে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে মানবাধিকার প্রসঙ্গ তুলে ভারতকে অপদস্থ করতে পাকিস্তানের তত্পরতাকে কিভাবে ভোঁতা করে দেওয়া যায়. কিভাবে পাল্টা চাপ দেওয়া যায়, তার কূটনৈতিক কৌশল নিয়েও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
সেই অনুযায়ী, পাকিস্তানে ঘাঁটি গাড়া জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি যে কাশ্মীরে সহিংসতা চালাবার জন্য দায়ী, সেটা জাতিসংঘে নতুন করে তুলে ধরেছে ভারত৷ বলেছে, সন্ত্রাসবাদ যে দেশের রাষ্ট্রীয় নীতি সে দেশের মুখে মানবাধিকার লংঘনের কথা একেবারেই বেমানান৷ পাকিস্তান এর আগে ভারতের বিরুদ্ধে কাশ্মীরে দমন পীড়ন এবং মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ তোলে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মুসলিম দেশগুলির রাষ্ট্রদূতদের কাছেও কাশ্মীরের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইসলামাবাদ৷ তবে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ভারতকে অভ্যন্তরীণ সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে বলায় ভারত খানিকটা স্বস্তিতে, বিশেষ করে ‘অভ্যন্তরীণ' কথাটায়৷
উল্লেখ্য, হিজবুল মুজাহিদিনের জঙ্গি বুরহান ওয়ানি পুলিশের গুলিতে নিহত হলে শুরু হয় এই উত্তেজনা৷ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বুরহানিকে ‘শহিদ' আখ্যা দিলে তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতে শামিল হয় হাজার হাজার মানুষ৷ কারফিউ অমান্য করে গৃহবন্দি হুরিয়াত নেতারা বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিলে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়৷ এর প্রতিবাদে ‘কাশ্মীর বনধ' ডাকা হয়৷ সোশ্যাল মিডিয়াতে বিপ্লবী চে গুয়েভারার সঙ্গে তাঁকে তুলনা করা হয়৷ সে ছবি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে৷ সেজন্য ইন্টারনেট যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয় সাময়িকভাবে৷ মৌলিক মানবাধিকারের প্রশ্ন তুলে কাশ্মীরিদের একাংশের অভিযোগ, বুরহানকে সাজানো সংঘর্ষে মারা হয়েছে৷
প্রধানমন্ত্রী মোদীর তরফে বলা হয়, শান্তি উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে কাশ্মীর উপত্যকায় বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলা করতে আরও সংযত হবার নির্দেশ দেওয়া হয় নিরাপত্তা বাহিনীকে৷ সব পক্ষের কাছে শান্তি ফেরানোর আবেদন জানানো হয়েছে৷ মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গেও কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ জরুরি ওষুধপত্রসহ উপত্যকায় পাঠানো হয়েছে মেডিক্যাল টিম৷
প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই শান্তি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ভারতের সব রাজনৈতিক দল৷ খুব শিগগিরই একটা সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলকে পাঠানো হবে কাশ্মীরে৷ কিন্তু বিচ্ছিন্নতাবাদীরা প্রধানমন্ত্রীর এই শান্তি উদ্যোগকে ‘অর্থহীন' বলে অভিহিত করলেও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেস জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির নিষ্ক্রিয়তার দিকে আঙ্গুল তুলে তাঁর ইস্তফার দাবি তুলেছে৷
ভারতের বুদ্ধিজীবী মহলের একাংশের প্রশ্ন- নিরাপত্তা বাহিনী সংযত হলেই কি সবকিছু ঠাণ্ডা হয়ে যাবে ? কাশ্মীরের তিন দশক ধরে সহিংসার ধারাবাহিকতা কিন্তু সেকথা বলে না৷ কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নবাদীরা কোনো-না- কোনো ইস্যু নিয়ে উত্তেজনা, সংঘর্ষ জিইয়ে রাখতে চায়৷ জাতীয় স্বার্থে এর স্থায়ী সমাধান হতে পারে, বিচ্ছিন্নতাবাদীসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আলোচনায় শামিল করা ভারতের অখণ্ডতার সঙ্গে কোনো আপোষ না করে৷ ভূমিগত বাস্তবতার নিরিখে মোদী সরকারের উচিত এই ধরণের এক বড় রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া৷ আগামী সোমবার বসছে সংসদের ‘বাদল অধিবেশন'৷ কাশ্মীরের অস্থিরতা নিয়ে মোদীকে রেহাই দেবে না বিপক্ষ দলগুলি৷ জবাবদিহি করতে হবে মোদীকে৷
No comments