‘নির্ভরযোগ্য তথ্যে’ নতুন অঞ্চলে তল্লাশি
মালয়েশিয়ার নিখোঁজ উড়োজাহাজ অনুসন্ধানে গতকাল শুক্রবার ভারত মহাসাগরের নতুন এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এটি আগের অনুসন্ধান এলাকা থেকে প্রায় ৭০০ মাইল উত্তরে। অভিযানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ‘নির্ভরযোগ্য তথ্যের’ ভিত্তিতেই নতুন অনুসন্ধান এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র নিরাপত্তাবিষয়ক কর্তৃপক্ষ (এএমএসএ) গতকাল জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজ থেকে তোলা ছবিতে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে ১১টি বস্তু দেখা গেছে, যা মালয়েশীয় বোয়িং বিমানটির ধ্বংসাবশেষ হতে পারে। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে আজ শনিবার পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। অনুসন্ধান অভিযানের সমন্বয়কারী এএমএসএ গতকাল এক বিবৃতিতে জানায়, আন্তর্জাতিক তদন্ত দলের কাছ থেকে পাওয়া নতুন তথ্যের ভিত্তিতে নতুন অনুসন্ধান এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই তদন্ত দল রাডারের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে উড়োজাহাজটির গতি আগের ধারণার চেয়ে বেশি ছিল। এর ফলে এর জ্বালানির ব্যবহার যেমন বেড়ে যায়, তেমনি সম্ভাব্য গন্তব্যের দূরত্বও কমে যায়। ওই সময় উড়োজাহাজটির অবস্থান ছিল ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলে। বিবৃতিতে বলা হয়, এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগের এলাকা থেকে ৬৮৪ মাইল উত্তরে নতুন অনুসন্ধান এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে।
নতুন অনুসন্ধান এলাকার অবস্থান হবে অস্ট্রেলিয়ার পার্থ বন্দর থেকে এক হাজার ৮৫০ মাইল পশ্চিমে, যা আগের অনুসন্ধান এলাকার চেয়ে স্থলভাগের বেশি কাছে। নতুন এলাকা সাগরের সবচেয়ে বিপজ্জনক অঞ্চল ‘গর্জনশীল চল্লিশা’র বাইরে হওয়ায় অনুসন্ধান অভিযান আগের চেয়ে অনেক বেশি সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত পরিবহনমন্ত্রী হিশামুদ্দিন হুসেইন গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, নিখোঁজ উড়োজাহাজ নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত দলের দেওয়া নতুন তথ্য ‘বিবেচনার’ দাবি রাখে। যদিও অনুসন্ধান অভিযান এখন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। তিনি বলেন, নতুন অনুসন্ধান এলাকা চিহ্নিত করার মানে এটা নয় যে সম্ভাব্য ধংসাবশেষ হিসেবে বিভিন্ন দেশের স্যাটেলাইটে পাওয়া কয়েক শ বস্তুর বিষয় একেবারেই অবজ্ঞা করা হচ্ছে। মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজটি ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে গত ৮ মার্চ নিখোঁজ হয়। মধ্যরাতের পর কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করে এক ঘণ্টা পরই রাডারের সঙ্গে এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিবিসি, এএফপি ও সিএনএন।
No comments