মোদি-রাহুল বাগযুদ্ধ
রাহুল গান্ধী -নরেন্দ্র মোদি |
নরেন্দ্র মোদি তাঁর খাসতালুকে রাহুল গান্ধীর তোলা প্রশ্নের উত্তর দিলেন কংগ্রেসের খাসতালুকে দাঁড়িয়ে। ভারতের সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রতিন্দ্বন্দ্বী দুই দলের রাজনৈতিক বাগ্যুদ্ধ কী রকম হতে চলেছে, গতকাল শনিবার বিভিন্ন জনসভায় রাহুল ও মোদির ভাষণে তার একটা ঝলক দেখা গেল। নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাটে গিয়ে কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী গতকাল সরাসরি প্রশ্ন তুললেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর সর্দার প্যাটেলের বন্দনার যৌক্তিকতা নিয়ে। আজীবন কংগ্রেস করা ‘লৌহপুরুষ’ সর্দার প্যাটেলের ৫৯৭ ফুট উঁচু মূর্তি তৈরি নিয়ে মোদি যেভাবে প্রচার শুরু করেছেন, তাতে বিস্ময় প্রকাশ করে রাহুল বলেন, মহাত্মা গান্ধী ও সর্দার প্যাটেল কংগ্রেস দলের আদর্শ ঠিক করে দিয়েছিলেন। বিজেপি সেই আদর্শের বিরুদ্ধে গিয়ে দেশকে বিপথে পরিচালিত করছে। রাহুল বলেন, আরএসএস গান্ধীকে হত্যা করার পর সর্দার প্যাটেল ওই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দেন।
আদর্শহীন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী এখন সেই প্যাটেলের মূর্তি গড়ে ভাঁওতাবাজি করছেন। রাহুলের এই আক্রমণের জবাব মোদি দেন দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে আসামে। গুয়াহাটিতে তিনি বলেন, কংগ্রেসের মনটাই শুধু ছোট নয়, তাদের চিন্তাভাবনা, তাদের দৃষ্টিশক্তিও ছোট হয়ে গেছে। ৬০ বছরেও তারা প্যাটেলকে তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা দিতে পারেনি। প্যাটেল আমাদের কাছে নিছক কোনো দলীয় নেতা নন, তিনি রাষ্ট্রনেতা। গুজরাটে লোকসভার আসনসংখ্যা ২৬, আসামসহ গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রয়েছে ২৫টি। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে এই ৫১টি আসনের মধ্যে ২৫টি পেয়েছিল কংগ্রেস, বিজেপি পেয়েছিল ১৯টি। গুজরাটে বিজেপি ও কংগ্রেসের ভাগে পড়েছিল যথাক্রমে ১৫ ও ১১টি আসন। এবার প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী গুজরাটে কংগ্রেসকে যেমন নিশ্চিহ্ন করতে বদ্ধপরিকর, তেমনই আসামসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দলের আসন বাড়াতে সচেষ্ট। উত্তর-পূর্বের আট রাজ্যের মধ্যে শুধু আসামে বিজেপির রয়েছে চারটি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে আসামের সাতটির সঙ্গে রয়েছে অন্য রাজ্যের আরও সাতটি। প্রধান এই দুই দলের রাজনৈতিক লক্ষ্য তাই অন্যকে হীনবল করে যতটা সম্ভব আসন জিতে নেওয়া। সেই লক্ষ্যে শনিবার দুই প্রধান নেতা দুই দলকে আক্রমণ করেছেন তাঁদের নিজেদের ঢংয়ে।
আদর্শহীন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী এখন সেই প্যাটেলের মূর্তি গড়ে ভাঁওতাবাজি করছেন। রাহুলের এই আক্রমণের জবাব মোদি দেন দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে আসামে। গুয়াহাটিতে তিনি বলেন, কংগ্রেসের মনটাই শুধু ছোট নয়, তাদের চিন্তাভাবনা, তাদের দৃষ্টিশক্তিও ছোট হয়ে গেছে। ৬০ বছরেও তারা প্যাটেলকে তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা দিতে পারেনি। প্যাটেল আমাদের কাছে নিছক কোনো দলীয় নেতা নন, তিনি রাষ্ট্রনেতা। গুজরাটে লোকসভার আসনসংখ্যা ২৬, আসামসহ গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রয়েছে ২৫টি। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে এই ৫১টি আসনের মধ্যে ২৫টি পেয়েছিল কংগ্রেস, বিজেপি পেয়েছিল ১৯টি। গুজরাটে বিজেপি ও কংগ্রেসের ভাগে পড়েছিল যথাক্রমে ১৫ ও ১১টি আসন। এবার প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী গুজরাটে কংগ্রেসকে যেমন নিশ্চিহ্ন করতে বদ্ধপরিকর, তেমনই আসামসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দলের আসন বাড়াতে সচেষ্ট। উত্তর-পূর্বের আট রাজ্যের মধ্যে শুধু আসামে বিজেপির রয়েছে চারটি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে আসামের সাতটির সঙ্গে রয়েছে অন্য রাজ্যের আরও সাতটি। প্রধান এই দুই দলের রাজনৈতিক লক্ষ্য তাই অন্যকে হীনবল করে যতটা সম্ভব আসন জিতে নেওয়া। সেই লক্ষ্যে শনিবার দুই প্রধান নেতা দুই দলকে আক্রমণ করেছেন তাঁদের নিজেদের ঢংয়ে।
No comments