হঠাৎ করেই দৃশ্যপট বদলে গেল

হঠাৎ করেই যেন সবকিছু ওলট-পালট হয়ে গেল। চরম এক অস্থিরতা চারদিকে। মানুষের মনে কোন শান্তি বা স্বস্তি নেই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরাও বেকুব বনে গেছেন। তারা বলছেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার হবে এতে কার কি বলার আছে, কেবল মাত্র সংক্ষুব্ধ দল বা ব্যক্তি ছাড়া।
পরিস্থিতি এমনটাই ছিল। প্রধান বিরোধীদল বিএনপির পক্ষে অবস্থান নেয়া ছিল সত্যিই কঠিন। কারণ, দলের দু’জন নেতা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন। এর মধ্যে ‘শাহবাগে গণজাগরণ’ হয়ে গেল। এটাও এক নাটকীয় ঘটনা। কয়েকজন ব্লগার এ ঘটনা ঘটিয়েছেন এখন আর কেউ এটা বিশ্বাস করে না। শুরুতে তাই মনে হতো। টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বিষয়টি খোলাসা করে দিয়ে গেছে। যুদ্ধাপরাধের তিনটি মামলার রায় হয়েছে। আবুল কালাম আযাদের রায় নিয়ে তেমন হইচই হয়নি। কারণ হতে পারে দুটো। তার এখন আর কোন দল নেই। বহু আগে জামায়াতে ইসলামী ছেড়েছেন। দুই নম্বর হতে পারে তার প্রতীকী ফাঁসি নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। তিনি কোন দূরদেশে অবস্থান করছেন। কিভাবে তিনি গেলেন বা কোথায় আছেন তা এখনও রহস্যঘেরা। সমালোচকরা নানা কথাই বলেন। এর মধ্যে যুক্তি আছে, নেইও।  আবদুল কাদের মোল্লার মামলার রায় নিয়েই যত গোলমাল। যাবজ্জীবন সাজা মানতে পারেননি তরুণরা। তাই তারা শাহবাগে জাগরণের চেষ্টা করেন। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তারা সফল হন। বিরোধী বিএনপিও এতে সমর্থন দেয়। আইন সংশোধন হয় দ্রুততম সময়ের মধ্যে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ প্রসঙ্গে বলেছে, ‘যে দেশে আইনের শাসন নিয়ে সরকার পরিচালিত হয় সেখানে আদালতের রায় তাদের পছন্দ না হলে তারা আদালতের সেই রায়কে পাল্টে দিতে একটি আইন করতে পারে না। এক্ষেত্রে আইনের যে সংশোধনী আনা হয়েছে তাতে বিচার প্রক্রিয়া যে প্রশ্নবিদ্ধ তাতে কোন সন্দেহ নেই।’ একথা ঠিক, শাহবাগের আন্দোলন মিশরের তাহরির স্কোয়ার অথবা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট দখলের আন্দোলনের অবিকল কিছু নয়। বরং উল্টোটাই দেখা গেছে। খাওয়া দাওয়া, নানা সুযোগ সুবিধা ছাড়াও নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে চব্বিশ ঘণ্টা। এ থেকে সরকার ফায়দা তুলতে চেয়েছে। কিছুটা পেয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই। সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে চলে গিয়েছিল। এ ঘটনায় মানুষ সাময়িককালের জন্য হলেও হলমার্ক, ডেসটিনি, পদ্মা নিয়ে দুর্নীতি ভুলে গেছে। সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির কথা মানুষ এখন আলোচনা করছে না। মেইনস্ট্রিম মিডিয়াও একই সুরে কথা বলছে। ক’দিন আগেও যারা সরকারের সমালোচনায় মুখর ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এসব মিডিয়া আরেকটা ওয়ান ইলেভেন তৈরি করতে চাচ্ছে। এখন এই মিডিয়া কোরাস গাইছে এক সুরে। যদিও কেউ কেউ তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। বলছেন, শাহবাগকে বিকল্প সরকার বানিয়ে তারা সরকারের বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছে।  শেরেবাংলা একে ফজলুল হক পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তখন প্রতিদিনই তার সমালোচনা করতো কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা। একদিন সকাল বেলা তার প্রাইভেট সেক্রেটারি এসে বললেন- স্যার, আজকে আনন্দবাজার পত্রিকা আপনার প্রশংসা করেছে। শেরেবাংলা তখন বললেন- তাই নাকি? তাহলে তো মনে হয় আমি সঠিক পথে নেই।
যাই বলুন না কেন, যেভাবেই মূল্যায়ন করুন না কেন, শেখ হাসিনা যে মস্তবড় এক চাল চেলেছেন তা নিয়ে কি কারো মনে সন্দেহ আছে!
হিসাবটা গোলমাল হয়ে গেল সাঈদীর ফাঁসির রায়ের মধ্য দিয়ে। দেশব্যাপী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লো। ৪৯ জনের মৃত্যুর সংবাদ এসেছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ৩শ’ জন। পুলিশও মারা গেছে। এখানেই কি শেষ? বিদেশী সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, শুরু হলো মাত্র। সিএনএন বলেছে, স্থিতিশীলতার ঝুঁকিতে পড়তে পারে বাংলাদেশ। একবাক্যে বাংলাদেশের মানুষ সবাই স্বীকার করবেন। থমথমে অবস্থা। বাংলাদেশ স্তব্ধ হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে কোন দিকে যাচ্ছে প্রিয় মাতৃভূমি। জামায়াতবিরোধী ধর্মীয় সংগঠনগুলোও মাঠে। ব্লগার রাজীবের ব্লগের লেখা নিয়ে তারা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। বলছেন, একজন নাস্তিককে নিয়ে সরকার কেন মাতামাতি করছে। সরকারপ্রধান কেন সবকিছু না জেনে তাকে জাতীয় বীর ঘোষণা করলেন। তাদের আন্দোলন অবশ্য অনেকটা নিয়ন্ত্রিত। সরকারের তরফে তাদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করা হয়েছে। হাটহাজারীর জনপ্রিয় পীর সাহেবের সঙ্গেও যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। ফলাফল কি তা জানা যায়নি। আতঙ্ক এমন একপর্যায়ে পৌঁছেছে, লোকজন মসজিদে যেতেও ভয় পাচ্ছে।  অনেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করছেন। বলছেন, তারা কেন জামায়াতকে সমর্থন দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বলে আসছে, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হলে তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে যাবে। আর তারা যদি আল কায়েদার পথ বেছে নেয় তখন অশান্ত হবে বাংলাদেশ। তাদের রয়েছে বুদ্ধি ও শিক্ষা। তাদের পেছনে টাকার জোগান থাকবে নিরবচ্ছিন্নভাবে। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র আগাম সতর্ক করেছে। বাস্তব অবস্থা কিন্তু তাই। পাকিস্তান কাঁদছে। আফগানিস্তান জ্বলেপুড়ে ছাই। কেউ আমাদেরকে সেদিকে নিয়ে যাবার জন্য টানছে কিনা তা পর্যালোচনা করে দেখার সময় এসেছে। ক্রিকেটার কাম পলিটিশিয়ান ইমরান খান পাকিস্তানের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন- অনেক হয়েছে। আসুন সবকিছু ভুলে গিয়ে পাকিস্তানকে রক্ষার জন্য ভাবি। আমরা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করি। ভুলভ্রান্তি একপাশে রেখে তালেবানের সঙ্গেও কথা বলি। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিশ্বময়। অর্থনীতি নাজুক হতে চলেছে। ব্যবসা বাণিজ্য স্থবির। বিদেশি বিনিয়োগ বন্ধ। একমাত্র পুঁজি শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স। সেটাও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। সৌদি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত কি হয় বলা যাচ্ছে না। তবে মদিনা থেকে এক ধরনের পরামর্শ গেছে জেদ্দায়। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বন্ধ করার দাবি এবং ব্যাংকটির স্বাভাবিক কাজকর্ম চালাতে বিঘ্ন ঘটানোয় আন্তর্জাতিক ১৪টি সংস্থার পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানানো হয়েছে, যারা এই ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার। ৮০ লাখ গ্রাহকের এই ব্যাংকটির ৪৫% বিনিয়োগ রয়েছে শিল্পখাতে। বর্তমানে প্রায় ৪ হাজার শিল্প কারখানা এই ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। সরকারকে এ ব্যাপারে চটজলদি সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারা কি চান পরিষ্কার করতে হবে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোলাটে হচ্ছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিও মাঠে নামতে যাচ্ছে। তাদের কৌশল কি হবে তা পরিষ্কার হবে খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, বিএনপি ঘুমিয়ে ছিল। ঘুম থেকে উঠে দেখছে খেলাতো তাদের বাদ দিয়েই হচ্ছে। যে খেলা হোক না কেন, পরিস্থিতি যে কোন সময় যে কোনদিকে মোড় নিতে পারে।
বাতাসে নানা কথাই চাউর হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। শেষ পর্যন্ত কি দাঁড়াবে তা বোধকরি রাজনীতির কারবারিরা জানেন। শুধু জানেন না জনগণ। তাদের সামনে এক অনিশ্চিত অবস্থা। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া প্রায় বন্ধ। একের পর এক হরতালে পরীক্ষার রুটিনও বদল হচ্ছে। জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা যে কোন সময়ের তুলনায় বেশি। চালের দামে ঊর্ধ্বগতি। আগে আন্দোলন হতো শহরকেন্দ্রিক। এখন কিন্তু এই আন্দোলন গ্রামেও ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তত ৮টি স্থানে গ্রামের মানুষ যোগ দিয়েছে।
সব কথার শেষ কথা হচ্ছে, সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রনায়কোচিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মনে রাখতে হবে তিনি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা। বঙ্গবন্ধু কিন্তু এমন বাংলাদেশ চাননি। ’৭১ সালের আগে শত্রুমিত্র চেনা যেত। পাকিস্তান ছিল শত্রুর কাতারে। এখন একই বাড়িতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বাস। তাই কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ভেবে দেখতে হবে, যাতে ভ্রাতৃঘাতী কোন যুদ্ধে আমরা লিপ্ত না হই।  জামায়াতিদেরও বুঝতে হবে হিংসা হিংসারই জন্ম দেয়। হিংসার পথে কোন সমাধান নয়। যুদ্ধপরাধের প্রশ্নে জামায়াতকে বাস্তবতা মেনে নিয়েই রাজনীতি করতে হবে।
জানিনা এই রিপোর্টটি মানবজমিন তার কোন কৌশলগত কারণে করেছে কিনা, কিন্তু রিপোর্টটিতে দেশপ্রেম আর সত্য আছে। আমার মত অনেক সাধারণ আর রাজনীতি বিমুখ মানুষের মনের তৃষ্ণা মিটিয়েছে কথাগুলো। সবাইকে এখন-ই ভাবতে হবে। আপনি জামাত হোন আর আওয়ামি হোন, আস্তিক হোন আর নাস্তিক হোন, ফাঁসি চান আর মুক্তি চান, দয়া করে সবাই মাথা খাটান। দেশটা আমাদের অনেক সুন্দর। হে মহামান্য দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদগণ, দয়া করে আমাদের দেশটাকে পাকিস্তানের মত মারদাঙ্গা বানাবেন না, আফগান বা ফিলিস্তিনের মত জলন্ত অগ্নিকুন্ড বানাবেন না। এমন কোন কিছু হয়ে যায় নাই দেশে যে একদিনে অর্ধশত লাশ পড়তে হবে। আপনরা রাজনীতি করেন, আপনারা সমস্ত রাজনৈতিক সুবিধা আদায় করেন, কোটি কোটি টাকা আপনারাই পাচার করেন আবার আপনারাই ফিরিয়ে আনেন, আপনারাই দূর্নীতি করেন আবার আপনারাই দেশপ্রেমিক খেতাব পান, তাতে আমাদের কোন আফসোস নেই। যত কষ্টই হোক, সব দাত চেপে সয়ে যাব। শুধু হাতজোর অনুরোধ, দেশকে রক্ষা করুন। দেশে এমন শুরু হলে কারোর জন্যই ভালো হবে না।

পাঠকদের মন্তব্যঃ
----
ধন্যবাদ মানবজমিন কে এই সাহসিকতা পূর্ণ নিউজ প্রকাশ করার জন্য জাহা বাস্তব , আপনারা তা করছেন সত্যি স্যালুট আপনাকে এই নিউজ তা করার জন্য /এই হলুদ মিডিয়ার সময়ে আপনারা লেখে যান সত্য ন্যায়ে।
----
শাহবাগীদের সাথে তাহরীর স্কোয়ারের তরুনদের তুলনা কী চলে? আর মুক্তমনা, সাম হয়ারইন,আমার ব্লগ এসব যারা পড়েন তারা ভালো করেই জানেন ইনু সাহেবরা কী পরিমান মিথ্যুক।আফজাল,মাসউদ আর সালাউদ্দিন সাহেবরা কত বড় আলেম তা নিজেরাই ক্লিয়ার করেছেন।
----
সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে চলে গিয়েছিল। এ ঘটনায় মানুষ সাময়িককালের জন্য হলেও হলমার্ক, ডেসটিনি, পদ্মা নিয়ে দুর্নীতি ভুলে গেছে। সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির কথা মানুষ এখন আলোচনা করছে না। একমত - See more at: http://www.mzamin.com/details.php?nid=NDQ2MTQ=&ty=MA==&s=MzY=&c=MQ==#sthash.0GQdinDt.dpuf
সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে চলে গিয়েছিল। এ ঘটনায় মানুষ সাময়িককালের জন্য হলেও হলমার্ক, ডেসটিনি, পদ্মা নিয়ে দুর্নীতি ভুলে গেছে। সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির কথা মানুষ এখন আলোচনা করছে না।
----
আজকে যতগুলো লেখা পড়েছি , এই লেখাটা আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে, আসুন আমাদের এই ছোট একটি দেশে মানুষের মধ্যে বিভাযন সৃষ্টি না করে ভালবাসার বন্ধন তৈরী করি। আমরা নিজরা নিজদের মাঝে বিরোধ তৈরী না করি.মত ও পথ যার যাই হোক আমরা সবাই বাংলাদেশী
----
এই লেখাটি সরকারকে পড়তে হবে এবং সম্মান তাকতে ট্রাইবুনাল বাতিল করে নির্ধলিয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।নতুবা সরকারের অবস্তা তার বাবার মত হতে পারে।
----
আমরা বাংলাদেশি । আমাদের একটাই পরিচয় ।এই পরিচয়ে আমরা সামনে চলবো ।যারা ভুল পথে যাচ্ছে তাদের বুজিয়ে সটীক পথে আনা সকলের কর্তব্য। 
----
এত দিন পর মনের মতো খবর পড়লাম। আমার মনে হচ্ছে মানবজমিন ন্যায় নিণ্ট সংবাদ পরিবেশনে সক্ষম একটা পত্রিকা। এই পত্রিকায় প্রকাশিত খবরটি আসলেই বস্তুনিষ্ট। আমার খুব ভাল লেগেছে। শাহবাগ নিয়ে এতো মাতামাতির কিছু নাই। জনগণকে ধোকা দেয়া হয়েছে এই আন্দোলেনের মাধ্যমে। একসময় জনগণ ঠিকই বুঝে যাবে।
----
লেখাটি যদি লিড নিউজ হওয়ার চেয়েও বেশি দাবি রাখে। ধন্যবাদ লেখককে, ধন্যবাদ মানবজমিনকে। একসময় পত্রিকার সংবাদ পড়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিলাম, শুধু বস্তুনিষ্ঠতার অভাবে (প্রায় সংবাদ মিথ্যা বা অতিরঞ্জিত মনে হতো)। মানবজমিন চোখ খুলে দিয়েছে। আমার মনে হয় বর্তমান সময়ে যদি কোন পত্রিকা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে তাহলে মানবজমিন। অন্য কোন মিডিয়া বকে হাত দিয়ে বলতে পারবে না তারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে। তাই কেন জানি মনে হয় প্রচারে শীর্ষ স্থান করা মানবজমিনের জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র।
----
দেশ অন্ধকার অনিশ্চিত গহব্বরের যাওয়ার পথে গঠনমুলক লেখা। সবাইকে বলি ধৈর্য ধারুন করুন। আল্লাহ ধৈর্যশীলদের পছন্দ করেন। দেশটাকে পাকিস্থান আফগানিস্থান করবেন না। আসুন এ সংকটাময় পরিস্থিতিতে সবাই আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি। আল্লাহ ধৈর্যশীলদের পছন্দ করেন।
----
 এই রিপোর্টটি যেন সকল দেশবাসী পড়তে পারে সে ব্যবস্থা করুন প্লীজ। একটু আশ জাগাবার জন্য।
----
গত কয়েকদিনের মধ্যে পড়া সেরা লেখা এটি। ধন্যবাদ লেখককে। দয়া করে আরো লিখুন। দেশটাকে কিভাবে বাচানো যায় লিখুন। আমরা সাধারন মানুষরা যার যার পেশা বা চাকুরিতে থেকে দুবেলা খাবারের সংস্থান করার নিশ্চিন্ত নির্ভয় একটা পরিবেশ চাই শুধু। দয়া করে এব্যাপারে একটু লিখুন। আমাদের সংসার স্ত্রী সন্তান পিতামাতা ভাইবোনকে নিয়ে বাচার জন্য নিরাপদ একটা দেশ চাই। এটুকু চাওয়ার কি অমানবজমিনের কাছে আকুল আবেদন এই অসম্ভব জনপ্রিও লেখাটি আগামীকালের প্রথম প্রিস্তায় ছাপানোর জন্য ধিকার নাই? মানবজমিনের কাছে আকুল আবেদন এই অসম্ভব জনপ্রিও লেখাটি আগামীকালের প্রথম প্রিস্তায় ছাপানোর জন্য
----
মনে হল যেন ্মনের কথা টি লেখা টাতে পেলাম। আমাদের পরিবার গুলিতে রাজনৈতিক দল এমন ভাবে জরিয়ে আছে শিবির,বি এন পি , লীগ, যার লোক মারা যাক না কেন পারিবারিক ভাবে তারা আমাদের নিকট জন হয়। কষ্ট , কান্না আমাদের হয়। তারা তো বাংলাদেশের নাগরিক। আমাদের অপরকে ছোট করে অপমান করে কথা বলা এখনি বন্ধ করতে হবে।
----
ধন্যবাদ মানবজমিনকে . ধন্যবাদ এবং ধন্যবাদ। এখন একই বাড়িতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বাস। তাই কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ভেবে দেখতে হবে। এর সমাধান বিবেকবান সরকারের কাছে কাম্য। আর তা না হলে জাতি একদিন এর বিচার করবে। যা হবে ভয়াবহ
---
সরকার পরিকল্পিত গণহত্যা চালাচ্ছে। এ অবস্থায় এ লেখাটি অনেক সাহসের পরিচয় বহন করে। সাংবাদিকদের বিবেক জাগ্রত হচ্ছে দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ লেখককে। দয়া করে আরো লিখুন। দেশটাকে কিভাবে বাচানো যায় লিখুন। আমরা সাধারন মানুষরা যার যার পেশা বা চাকুরিতে থেকে দুবেলা খাবারের সংস্থান করার নিশ্চিন্ত নির্ভয় একটা পরিবেশ চাই শুধু। দয়া করে এব্যাপারে একটু লিখুন। আমাদের সংসার স্ত্রী সন্তান পিতামাতা ভাইবোনকে নিয়ে বাচার জন্য নিরাপদ একটা দেশ চাই। এটুকু চাওয়ার কি অধিকার নাই?
----
দেশ নিয়ে সবাই ভাবছে তবে ভাবছেনা আওয়ামিলীগ। তাদের ভাবনায় দুর্নীতি লুটপাটের কলংক ছাপিয়ে পূন: ক্ষমতায় যাওয়া। নতুন ক্ষতগুলোর চিকিতসা না করে ৪০ বছর পুরানো ক্ষতকে আবার চুলকিয়ে রক্তাক্ত করে কার লাভ এবং জাতী কি পাবে তা নিয়ে এক্ষূনি ভাবা উচিত। অনেকের যাবার অনেক জায়গা আছে,দুর্যোগমুহুর্তে অনেকে ভারত আমেরিকাতে উড়াল দেবেন। কিন্তু এই দেশ ছাড়া জনগনের যাবার কোন জায়গা নাই। দয়া করে এই দেশটাকে অনিরাপদ করবেননা।
-----
পাখির মতো এতো গুলো প্রান কে হত্যা করা হল কিন্তু সরকার এখনো নমনীয় হয় নাই যা তাদের মন্ত্রী আমলাদের কথা বার্তার মধ্যে ফুটে উঠে।সহিংতা ছড়িয়ে পড়বে আরও বেশী যদি সরকার তড়িৎ কোন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না নেয়।সরকার কে পারমিশন দিলো এ দেশের জনগণ কে পাখির মতো হত্যা করার??অনেক অনেক ধন্যবাদএকটি সময় উপোযোগী বাস্তব ধর্মী লেখার জন্য।দয়া করে আরও বেশী বেশী লিখুন
-----
অনেক দিন পর সুন্দর একটা নিউজ পেলাম ধন্যবাদ মানবজমিন কে এই সাহসিকতা পূর্ণ নিউজ প্রকাশ করার জন্য, বাস্তবতা এখন অনেক কঠিন হয়ে গেছে পেপারে তুলে আন্তে, আপনারা তা করছেন সত্যি স্যালুট আপনাকে এই নিউজ তা করার জন্য। আশা করি আর বেশি বেশি করে নিউজ করবেন নিরপেক্ষ থেকে তবে শাহবাগের মত নিরপেক্ষ না।
-----
আমার মতো অনেক তরুণ প্রজন্ম শাহবাগের ‘প্রজন্ম চত্বরের’ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন ও সহমর্মিতা প্রকাশ করে সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু যখন দেখলাম এই আন্দোলনকে একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এবং পর্দার আড়াল থেকে সমর্থন এবং সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে বামপন্থী এবং একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃস্থানীয় লোকজন। তখনই সেখান থেকে চলে এসেছি এবং আমার মতো দেশের হাজার হাজার তরুণ প্রজন্ম এই আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, এমনকি দেশের সাধারণ জনগণও এই আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
-----
গত কয়েকদিনের মধ্যে পড়া সেরা লেখা এটি। ধন্যবাদ লেখককে। দয়া করে আরো লিখুন। দেশটাকে কিভাবে বাচানো যায় লিখুন। আমরা সাধারন মানুষরা যার যার পেশা বা চাকুরিতে থেকে দুবেলা খাবারের সংস্থান করার নিশ্চিন্ত নির্ভয় একটা পরিবেশ চাই শুধু। দয়া করে এব্যাপারে একটু লিখুন। আমাদের সংসার স্ত্রী সন্তান পিতামাতা ভাইবোনকে নিয়ে বাচার জন্য নিরাপদ একটা দেশ চাই। এটুকু চাওয়ার কি অধিকার নাই?

সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে চলে গিয়েছিল। এ ঘটনায় মানুষ সাময়িককালের জন্য হলেও হলমার্ক, ডেসটিনি, পদ্মা নিয়ে দুর্নীতি ভুলে গেছে। সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির কথা মানুষ এখন আলোচনা করছে না। একমত - See more at: http://www.mzamin.com/details.php?nid=NDQ2MTQ=&ty=MA==&s=MzY=&c=MQ==#sthash.0GQdinDt.dpuf

1 comment:

  1. হ্যা ভাই! দেশটা তো আমার ও। আমি কথার মারপ্যাচ বুঝি না। পারিনা ভাল লিখতে তবে জানি যে দেশ বাচাতে ঐক্যমত।

    ReplyDelete

Powered by Blogger.