সিডনি টেস্ট-অপেক্ষায় সিডনি ও টেন্ডুলকার
শেন ওয়ার্নের চাওয়া পূরণ হয়নি, রডনি ক্যাভালিয়ারের কি হবে? অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি স্পিনার চেয়েছিলেন শততম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিটা শচীন টেন্ডুলকার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডেই করে ফেলুন। এভারেস্টে প্রথম পা রেখে শুধু এডমন্ড হিলারি গৌরবান্বিত হয়েছেন, খোদ এভারেস্টও কি হয়নি? চাঁদে প্রথম পা রেখে নিল আর্মস্ট্রংই কি ইতিহাসের অংশ হয়েছেন শুধু, ওই মুহূর্তটা চাঁদের জন্যও কি ঐতিহাসিক নয়? একইভাবে টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি যে মাঠে
হবে, সেই মাঠও হয়ে যাবে ক্রিকেট রূপকথা আর ইতিহাসের অংশ। মেলবোর্নের ঘরের ছেলে ওয়ার্নের চাওয়া পূরণ হতে হতেও হয়নি। তবে ক্যাভালিয়ার দৃঢ় বিশ্বাসী, ক্রিকেট-দেবতা সেই সেঞ্চুরিটা সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এসসিজি) জন্যই বরাদ্দ রেখেছেন। এই মাঠের ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ক্যাভালিয়ারের মন্তব্য, টেন্ডুলকারের জন্মের ২০০ বছর আগেই ঠিক করা হয়ে গিয়েছিল, তাঁর শততম সেঞ্চুরি হবে এসসিজিতেই, ‘আপনার কি মনে হয় এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড, সৃষ্টিকর্তা কিংবা হিন্দু দেবতারা শচীনকে শততম সেঞ্চুরি সিডনি ছাড়া অন্য কোথাও করতে দেবেন? এসব ব্যাপার মানুষের জন্মের অনেক আগে কিংবা ১৭৮৮ সালে ফিলিপের ভ্রমণের আগে (অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম ইংরেজ কলোনি) থেকেই নির্ধারিত হয়ে আছে।’
এই টেস্টেই টেন্ডুলকার সেঞ্চুরিটা পেতে যাচ্ছেন—এমন একটা আবহই যেন তৈরি হয়ে গেছে। বিশেষ করে এই মাঠে টেন্ডুলকারের অবিশ্বাস্য ব্যাটিং গড়ের (২২১.৩৩) কারণে। তা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর ছয়টি টেস্ট সেঞ্চুরির তিনটাই এ মাঠে। এর মধ্যে আছে ২৪১ রানের সেই ইনিংসও। যে টেন্ডুলকার নিজে সাধারণত নিজের রেকর্ড-টেকর্ড নিয়ে কথা বলতে উৎসাহী নন, তিনি পর্যন্ত বলছেন, ‘ভগবান চাইলে সেঞ্চুরিটা অবশ্যই হবে।’
কী কাকতালীয় ব্যাপার দেখুন, খোদ এসসিজিও সেঞ্চুরির অপেক্ষায়! এ মাঠে এখন পর্যন্ত ৯৯টি টেস্ট হয়েছে। আগামীকাল শুরু ম্যাচটি দিয়েই সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেলবে সিডনি। এসসিজির শততম টেস্টে টেন্ডুলকারের শততম সেঞ্চুরি—ক্যাভালিয়ার ঠিকই বলেছেন, এই চিত্রনাট্য ক্রিকেট-দেবতা সেই কবেই লিখে রেখেছেন!
মাইক হাসিরও মনে ‘কু-ডাক’ দিচ্ছে। বিশেষ করে মেলবোর্নে টেন্ডুলকারের ৭৩ আর ৩২ রানের দুটো ইনিংসেই ছিল দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পূর্বাভাস। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে হাসি বলছেন, ‘আমি একটু নার্ভাস। শততম সেঞ্চুরি থেকে মাত্র একটা ইনিংস দূরে দাঁড়িয়ে থাকা শচীনের পক্ষে যেন ভাগ্যও হাসছে। এটা আবার সিডনিরও শততম টেস্ট, যে মাঠে এর আগেও সে অজস্র রান করেছে। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, ব্যাপারটা আমাদের জন্য অলুক্ষুণে। তবে আশা করি, আমরা ওকে এই সিরিজে ওই সেঞ্চুরিটা পেতে দেব না। এর পরই যে সিরিজটা ও খেলবে, সেখানেই না হয় ওই সেঞ্চুরিটা পাক।’
শুধু টেন্ডুলকারই নন, রেকর্ড থেকে প্রেরণা খুঁজতে চাইলে এসসিজির দিকে তাকাতে পারে ভারতও। এমনিতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের পাঁচ টেস্ট জয়ের দুটি মেলবোর্নে, একটি করে সিডনি, অ্যাডিলেড আর পার্থে। তবে সিডনিতে তারা চারটি টেস্ট ড্রও করেছে। এত বেশি ড্র অস্ট্রেলিয়ার কোনো ভেন্যুতে করতে পারেনি ভারত।
ভারত অবশ্য ড্র নয়, জয় চায়। আর তা আসুক টেন্ডুলকারের তাঁর ম্যাজিক-সেঞ্চুরি বেয়েই। তবে এই ম্যাচে চমক হতে পারেন রোহিত শর্মাও। ৭২টি ওয়ানডে খেলে ফেলা রোহিতের টেস্ট অভিষেকের স্বপ্ন সম্ভবত পূরণ হতে চলেছে। বিদেশের মাটিতে সর্বশেষ সাতটি টেস্ট ইনিংসে মাত্র ১০৭ রান করা বিরাট কোহলিই সম্ভবত ছেড়ে দিচ্ছেন সেই জায়গা।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়া দলে কোনো পরিবর্তন হবে না বলেই ইঙ্গিত। যদিও আভাস রয়েছে, সিডনির পিচের চরিত্র বদলে এবার হয়ে উঠতে পারে বেশি গতিময়, বাউন্সি। অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক নাকি চার পেসার চেয়েছিলেন। কিন্তু সিডনির স্পিন ঐতিহ্যের কথা ভেবে স্পিনার ছাড়া নামতে নারাজ কোচ মিকি আর্থার। তাই চোট কাটিয়ে দলে ফেরা পেসার রায়ান হ্যারিসকে হয়তো পানি ও তোয়ালে নিয়েই ছোটাছুটি করতে দেখা যাবে মাঠে। ওয়েবসাইট।
এই টেস্টেই টেন্ডুলকার সেঞ্চুরিটা পেতে যাচ্ছেন—এমন একটা আবহই যেন তৈরি হয়ে গেছে। বিশেষ করে এই মাঠে টেন্ডুলকারের অবিশ্বাস্য ব্যাটিং গড়ের (২২১.৩৩) কারণে। তা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর ছয়টি টেস্ট সেঞ্চুরির তিনটাই এ মাঠে। এর মধ্যে আছে ২৪১ রানের সেই ইনিংসও। যে টেন্ডুলকার নিজে সাধারণত নিজের রেকর্ড-টেকর্ড নিয়ে কথা বলতে উৎসাহী নন, তিনি পর্যন্ত বলছেন, ‘ভগবান চাইলে সেঞ্চুরিটা অবশ্যই হবে।’
কী কাকতালীয় ব্যাপার দেখুন, খোদ এসসিজিও সেঞ্চুরির অপেক্ষায়! এ মাঠে এখন পর্যন্ত ৯৯টি টেস্ট হয়েছে। আগামীকাল শুরু ম্যাচটি দিয়েই সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেলবে সিডনি। এসসিজির শততম টেস্টে টেন্ডুলকারের শততম সেঞ্চুরি—ক্যাভালিয়ার ঠিকই বলেছেন, এই চিত্রনাট্য ক্রিকেট-দেবতা সেই কবেই লিখে রেখেছেন!
মাইক হাসিরও মনে ‘কু-ডাক’ দিচ্ছে। বিশেষ করে মেলবোর্নে টেন্ডুলকারের ৭৩ আর ৩২ রানের দুটো ইনিংসেই ছিল দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পূর্বাভাস। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে হাসি বলছেন, ‘আমি একটু নার্ভাস। শততম সেঞ্চুরি থেকে মাত্র একটা ইনিংস দূরে দাঁড়িয়ে থাকা শচীনের পক্ষে যেন ভাগ্যও হাসছে। এটা আবার সিডনিরও শততম টেস্ট, যে মাঠে এর আগেও সে অজস্র রান করেছে। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, ব্যাপারটা আমাদের জন্য অলুক্ষুণে। তবে আশা করি, আমরা ওকে এই সিরিজে ওই সেঞ্চুরিটা পেতে দেব না। এর পরই যে সিরিজটা ও খেলবে, সেখানেই না হয় ওই সেঞ্চুরিটা পাক।’
শুধু টেন্ডুলকারই নন, রেকর্ড থেকে প্রেরণা খুঁজতে চাইলে এসসিজির দিকে তাকাতে পারে ভারতও। এমনিতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের পাঁচ টেস্ট জয়ের দুটি মেলবোর্নে, একটি করে সিডনি, অ্যাডিলেড আর পার্থে। তবে সিডনিতে তারা চারটি টেস্ট ড্রও করেছে। এত বেশি ড্র অস্ট্রেলিয়ার কোনো ভেন্যুতে করতে পারেনি ভারত।
ভারত অবশ্য ড্র নয়, জয় চায়। আর তা আসুক টেন্ডুলকারের তাঁর ম্যাজিক-সেঞ্চুরি বেয়েই। তবে এই ম্যাচে চমক হতে পারেন রোহিত শর্মাও। ৭২টি ওয়ানডে খেলে ফেলা রোহিতের টেস্ট অভিষেকের স্বপ্ন সম্ভবত পূরণ হতে চলেছে। বিদেশের মাটিতে সর্বশেষ সাতটি টেস্ট ইনিংসে মাত্র ১০৭ রান করা বিরাট কোহলিই সম্ভবত ছেড়ে দিচ্ছেন সেই জায়গা।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়া দলে কোনো পরিবর্তন হবে না বলেই ইঙ্গিত। যদিও আভাস রয়েছে, সিডনির পিচের চরিত্র বদলে এবার হয়ে উঠতে পারে বেশি গতিময়, বাউন্সি। অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক নাকি চার পেসার চেয়েছিলেন। কিন্তু সিডনির স্পিন ঐতিহ্যের কথা ভেবে স্পিনার ছাড়া নামতে নারাজ কোচ মিকি আর্থার। তাই চোট কাটিয়ে দলে ফেরা পেসার রায়ান হ্যারিসকে হয়তো পানি ও তোয়ালে নিয়েই ছোটাছুটি করতে দেখা যাবে মাঠে। ওয়েবসাইট।
No comments