ওয়ারিদ টেলিকম কিনে নিচ্ছে ভারতি এয়ারটেল
আবুধাবিভিত্তিক ধাবি গ্রুপের কাছ থেকে বাংলাদেশের মোবাইল ফোন কোম্পানি ওয়ারিদ টেলিকম কিনে নিচ্ছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ভারতি এয়ারটেল লিমিটেড।
ভারতি এয়ারটেলের কাছে ওয়ারিদ টেলিকমের ৭০ শতাংশ শেয়ার বিক্রির ব্যাপারে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) অনুমতি চেয়েছে ধাবি গ্রুপ। বিটিআরসির চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানান।
ওয়ারিদের শেয়ার কিনতে পারলে ভারতি এয়ারটেলই হবে বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান মোবাইল ফোন মার্কেটে বিনিয়োগকারী এ পর্যন্ত সর্বশেষ বিদেশি প্রতিষ্ঠান।
জিয়া আহমেদ বলেন, ‘ধাবি গ্রুপ ওয়ারিদ টেলিকমের ৭০ শতাংশ শেয়ার ভারতি এয়ারটেলের কাছে বিক্রি করতে চায় বলে গত রোববার আমাদের জানিয়েছে। এ অবস্থায় আমরা উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যকার সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) কপিসহ আরও কাগজপত্র চেয়েছি।’
এরপর অবশ্য ভারতি এয়ারটেল বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থাভুক্ত (সার্ক) দেশগুলোর সম্ভাবনাময় কোম্পানি কিনতে আগ্রহী বলে জানানো হয়েছে। তবে তারা ওয়ারিদ টেলিকম কিনছে কি না, সে ব্যাপারে কোনো কথা বলেনি।
ভারতি এয়ারটেল গ্রুপের উপপ্রধান নির্বাহী অখিল গুপ্ত নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সব সময়ই বলছি, সার্ক দেশগুলোতে আমাদের আগ্রহ রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশেও আমাদের আগ্রহ আছে।’
বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকে নিয়ে সার্ক গঠিত।
তবে ভারতি এয়ারটেল ওয়ারিদের ৭০ শতাংশ শেয়ার কিনতে চায় বলে বিটিআরসি যে তথ্য দিয়েছে, সে ব্যাপারে অখিল গুপ্ত কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কিছু না ঘটা পর্যন্ত সে সম্পর্কে আমি কোনো কথা বলতে পারি না।’
ভারতি এয়ারটেল গত সেপ্টেম্বরে বন্ধ হয়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার এমটিএন নামের টেলিযোগাযোগ কোম্পানিকে অধিগ্রহণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই জানা গেল, তারা বাংলাদেশের ওয়ারিদের ব্যাপারেও আগ্রহী।
এদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভারতের মোবাইল ফোন বাজারে বর্তমানে ভারতি এয়ারটেলের ১০ কোটি গ্রাহক রয়েছে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারে নতুন নতুন কোম্পানি আসার কারণে এয়ারটেলের আয়ের প্রবৃদ্ধি কমে আসছে। সে জন্য আয় বাড়াতে কোম্পানিটির এখন বিদেশেও বিনিয়োগ করা প্রয়োজন বলে মনে করছে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ জানান, ওয়ারিদের ৭০ শতাংশ শেয়ারের মূল্য কত নির্ধারিত হয়েছে, তা বলা হয়নি। তবে ভারতি এয়ারটেল প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশে ৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগে আগ্রহী। তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, নতুন এই বিনিয়োগের ফলে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে গতিশীলতার নতুন মাত্রা যোগ হবে।’
এদিকে ওয়ারিদের একজন মুখপাত্র এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে কোম্পানিটির নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা স্থানীয় ডেইলি স্টার পত্রিকাকে জানান, এ সম্পর্কিত চুক্তির মূল্যমান ৯০ কোটি ডলার হতে পারে।
বাংলাদেশে ২০০৭ সালে ওয়ারিদ টেলিকম যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় পাঁচ কোটি ২০ লাখ মোবাইল ফোন গ্রাহকের মধ্যে ওয়ারিদের অংশ হচ্ছে ৩০ লাখের মতো।
যেহেতু বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহক দিন দিন বাড়ছে এবং ছয়টি কোম্পানির মধ্যে দামেরও একটি প্রতিযোগিতা চলছে, সেহেতু আগামী ২০১৫ সাল নাগাদ তা ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন।
২০০৪ সালে মিসরীয় কোম্পানি ওরাসকম বাংলাদেশের সেবা নামের মোবাইল ফোন কোম্পানিটির মালিকানা গ্রহণ করে।
এ ছাড়া ২০০৫ সালে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান সিংটেল বাংলাদেশ টেলিকমের ৪৫ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয়।
গত বছর জাপানের এনটিটি দোকোমো দেশের আরেক মোবাইল ফোন অপারেটর একটেলের ৩০ শতাংশ শেয়ার কিনতে ৩৫ কোটি ডলার পরিশোধ করে। একটেলের অধিকাংশ শেয়ারের মালিক হচ্ছে মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠান আজিয়াটা।
ভারতি এয়ারটেলের কাছে ওয়ারিদ টেলিকমের ৭০ শতাংশ শেয়ার বিক্রির ব্যাপারে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) অনুমতি চেয়েছে ধাবি গ্রুপ। বিটিআরসির চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানান।
ওয়ারিদের শেয়ার কিনতে পারলে ভারতি এয়ারটেলই হবে বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান মোবাইল ফোন মার্কেটে বিনিয়োগকারী এ পর্যন্ত সর্বশেষ বিদেশি প্রতিষ্ঠান।
জিয়া আহমেদ বলেন, ‘ধাবি গ্রুপ ওয়ারিদ টেলিকমের ৭০ শতাংশ শেয়ার ভারতি এয়ারটেলের কাছে বিক্রি করতে চায় বলে গত রোববার আমাদের জানিয়েছে। এ অবস্থায় আমরা উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যকার সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) কপিসহ আরও কাগজপত্র চেয়েছি।’
এরপর অবশ্য ভারতি এয়ারটেল বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থাভুক্ত (সার্ক) দেশগুলোর সম্ভাবনাময় কোম্পানি কিনতে আগ্রহী বলে জানানো হয়েছে। তবে তারা ওয়ারিদ টেলিকম কিনছে কি না, সে ব্যাপারে কোনো কথা বলেনি।
ভারতি এয়ারটেল গ্রুপের উপপ্রধান নির্বাহী অখিল গুপ্ত নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সব সময়ই বলছি, সার্ক দেশগুলোতে আমাদের আগ্রহ রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশেও আমাদের আগ্রহ আছে।’
বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকে নিয়ে সার্ক গঠিত।
তবে ভারতি এয়ারটেল ওয়ারিদের ৭০ শতাংশ শেয়ার কিনতে চায় বলে বিটিআরসি যে তথ্য দিয়েছে, সে ব্যাপারে অখিল গুপ্ত কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কিছু না ঘটা পর্যন্ত সে সম্পর্কে আমি কোনো কথা বলতে পারি না।’
ভারতি এয়ারটেল গত সেপ্টেম্বরে বন্ধ হয়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার এমটিএন নামের টেলিযোগাযোগ কোম্পানিকে অধিগ্রহণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই জানা গেল, তারা বাংলাদেশের ওয়ারিদের ব্যাপারেও আগ্রহী।
এদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভারতের মোবাইল ফোন বাজারে বর্তমানে ভারতি এয়ারটেলের ১০ কোটি গ্রাহক রয়েছে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারে নতুন নতুন কোম্পানি আসার কারণে এয়ারটেলের আয়ের প্রবৃদ্ধি কমে আসছে। সে জন্য আয় বাড়াতে কোম্পানিটির এখন বিদেশেও বিনিয়োগ করা প্রয়োজন বলে মনে করছে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ জানান, ওয়ারিদের ৭০ শতাংশ শেয়ারের মূল্য কত নির্ধারিত হয়েছে, তা বলা হয়নি। তবে ভারতি এয়ারটেল প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশে ৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগে আগ্রহী। তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, নতুন এই বিনিয়োগের ফলে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে গতিশীলতার নতুন মাত্রা যোগ হবে।’
এদিকে ওয়ারিদের একজন মুখপাত্র এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে কোম্পানিটির নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা স্থানীয় ডেইলি স্টার পত্রিকাকে জানান, এ সম্পর্কিত চুক্তির মূল্যমান ৯০ কোটি ডলার হতে পারে।
বাংলাদেশে ২০০৭ সালে ওয়ারিদ টেলিকম যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় পাঁচ কোটি ২০ লাখ মোবাইল ফোন গ্রাহকের মধ্যে ওয়ারিদের অংশ হচ্ছে ৩০ লাখের মতো।
যেহেতু বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহক দিন দিন বাড়ছে এবং ছয়টি কোম্পানির মধ্যে দামেরও একটি প্রতিযোগিতা চলছে, সেহেতু আগামী ২০১৫ সাল নাগাদ তা ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন।
২০০৪ সালে মিসরীয় কোম্পানি ওরাসকম বাংলাদেশের সেবা নামের মোবাইল ফোন কোম্পানিটির মালিকানা গ্রহণ করে।
এ ছাড়া ২০০৫ সালে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান সিংটেল বাংলাদেশ টেলিকমের ৪৫ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয়।
গত বছর জাপানের এনটিটি দোকোমো দেশের আরেক মোবাইল ফোন অপারেটর একটেলের ৩০ শতাংশ শেয়ার কিনতে ৩৫ কোটি ডলার পরিশোধ করে। একটেলের অধিকাংশ শেয়ারের মালিক হচ্ছে মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠান আজিয়াটা।
No comments