স্থানীয় প্রশাসনে সমন্বয়সাধন জরুরি -জেলা প্রশাসক সম্মেলন
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে জেলা ও এর নিচের পর্যায়ের সার্বিক শাসনকার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে কতকগুলো বাস্তব সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে। সেগুলো সমাধানের উপায় অন্বেষণ করা হচ্ছে; জেলা প্রশাসকেরা কিছু প্রস্তাব রেখেছেন, প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশনা এসেছে। সব মিলিয়ে, বিচার বিভাগের পৃথক্করণ, উপজেলা আইন পাস ও উপজেলা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সৃষ্ট নতুন বাস্তবতায় নতুন নির্বাচিত সরকারের সামনে কার্য-সম্পাদনের ক্ষেত্রে যে পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, তার কিছুটা চিত্র এই সম্মেলন থেকে পাওয়া যায়।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশ দেন। আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের প্রতিবেদনকে তিনি ‘অত্যন্ত প্রথাগত’ বলে মন্তব্য করায় এটা পরিষ্কার হয় যে তিনি এ বিষয়ে তাঁদের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট নন। পূর্ণ সফলতার সঙ্গে কীভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা যায়, সে বিষয়ে পরামর্শসহ আরও বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠাতে তিনি জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ‘সমন্বিত কার্যক্রমের’ ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিগুলোর সভায় যোগ দিতে ‘পার্টিকুলার অথরিটি’র অনীহার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত জানেন। প্রশাসন ও পুলিশ ক্যাডারের সদস্যদের মধ্যে কাজের সমন্বয় ও সহযোগিতার অভাবের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার পর জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব পালনে কিছু আইনি ও প্রশাসনিক সমস্যা হচ্ছে বলে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসকেরা উপজেলা কর্মকর্তাদের (ইউএনও) হাতে কিছু বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। তত্ত্বগতভাবে এমনটির প্রয়োজন নেই, তবে বাস্তব ক্ষেত্রে শাসনকার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের সুবিধার্থে এর প্রয়োজন আসলেই রয়েছে কি না, তা বিবেচনার বিষয় হতে পারে।
একইভাবে স্থানীয় প্রশাসনে সাংসদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের কাজে সমন্বয়হীনতা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে তাঁদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার ক্ষমতা চেয়েছেন জেলা প্রশাসকেরা। কিন্তু বর্তমান আইনে এ রকম ক্ষমতা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই, কারণ তাঁরা নির্বাচিত জনপ্রিতিনিধি এবং তাঁদের জবাবদিহির পৃথক ব্যবস্থা রয়েছে। জেলায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে কাবিখা, কাবিটা প্রভৃতি প্রকল্পের বরাদ্দ দেওয়া হয় জেলা প্রশাসকদের নামে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-সদস্যরা সেগুলো বিতরণ করেন। কিন্তু সেখানে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হলে দুর্নীতি দমনের স্বাভাবিক পন্থায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
এটি এমন এক সমস্যা, যার সমাধান না হলে স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা কঠিন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কাজে সমন্বয়সাধনের জন্য সরকার সংশ্লিষ্ট সবার জন্য কর্মক্ষেত্র সুনির্দিষ্ট করে দেবে। আমাদের মনে হয়, এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা। তবে স্থানীয় সরকার যাতে শক্তিশালী হয়, সেদিকেই বেশি খেয়াল রাখা উচিৎ।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশ দেন। আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের প্রতিবেদনকে তিনি ‘অত্যন্ত প্রথাগত’ বলে মন্তব্য করায় এটা পরিষ্কার হয় যে তিনি এ বিষয়ে তাঁদের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট নন। পূর্ণ সফলতার সঙ্গে কীভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা যায়, সে বিষয়ে পরামর্শসহ আরও বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠাতে তিনি জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ‘সমন্বিত কার্যক্রমের’ ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিগুলোর সভায় যোগ দিতে ‘পার্টিকুলার অথরিটি’র অনীহার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত জানেন। প্রশাসন ও পুলিশ ক্যাডারের সদস্যদের মধ্যে কাজের সমন্বয় ও সহযোগিতার অভাবের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার পর জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব পালনে কিছু আইনি ও প্রশাসনিক সমস্যা হচ্ছে বলে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসকেরা উপজেলা কর্মকর্তাদের (ইউএনও) হাতে কিছু বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। তত্ত্বগতভাবে এমনটির প্রয়োজন নেই, তবে বাস্তব ক্ষেত্রে শাসনকার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের সুবিধার্থে এর প্রয়োজন আসলেই রয়েছে কি না, তা বিবেচনার বিষয় হতে পারে।
একইভাবে স্থানীয় প্রশাসনে সাংসদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের কাজে সমন্বয়হীনতা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে তাঁদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার ক্ষমতা চেয়েছেন জেলা প্রশাসকেরা। কিন্তু বর্তমান আইনে এ রকম ক্ষমতা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই, কারণ তাঁরা নির্বাচিত জনপ্রিতিনিধি এবং তাঁদের জবাবদিহির পৃথক ব্যবস্থা রয়েছে। জেলায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে কাবিখা, কাবিটা প্রভৃতি প্রকল্পের বরাদ্দ দেওয়া হয় জেলা প্রশাসকদের নামে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-সদস্যরা সেগুলো বিতরণ করেন। কিন্তু সেখানে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হলে দুর্নীতি দমনের স্বাভাবিক পন্থায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
এটি এমন এক সমস্যা, যার সমাধান না হলে স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা কঠিন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কাজে সমন্বয়সাধনের জন্য সরকার সংশ্লিষ্ট সবার জন্য কর্মক্ষেত্র সুনির্দিষ্ট করে দেবে। আমাদের মনে হয়, এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা। তবে স্থানীয় সরকার যাতে শক্তিশালী হয়, সেদিকেই বেশি খেয়াল রাখা উচিৎ।
No comments