চিনি মসজিদের দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলী by নাকিবুল আহসান নিশাদ
চিনি মসজিদ |
চিনি
মসজিদ। নাম শুনলেই মনে হতে পারে চীনাদের তৈরি করা মসজিদ কিংবা এর
নির্মাণের পেছনে চীনাদের কোনও অবদান আছে! আদতে চিনির দানার মতো নিখুঁত কাজ
করা বিখ্যাত এই স্থাপনার নাম ‘চিনি মসজিদ’। নীলফামারী জেলা সদর থেকে প্রায়
২০ কিলোমিটার দূরে সৈয়দপুর শহরের পাশে এটি অবস্থিত। এর দৃষ্টিনন্দন
নান্দনিক স্থাপত্যশৈলী মুগ্ধ হওয়ার মতো।
১৮৮৩ সালে হাজী বাকের আলী ও হাজী মুকু নামে দুই ব্যক্তি সৈয়দপুরের ইসলামবাগ এলাকায় ছন ও বাঁশ দিয়ে প্রথম এই মসজিদ নির্মাণ করেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় এটি টিনে রূপান্তরিত হয়। এরপর তারা একটি তহবিল গঠন করেন।
জনশ্রুতি আছে, মসজিদের উন্নয়নের জন্য এলাকাবাসীরা স্বেচ্ছায় তাদের পুরো একমাসের উপার্জন দান করেছিলেন। ১৯২০ সালে হাজি হাফিজ আবদুল করিমের উদ্যোগে মসজিদটির প্রথম অংশ পাকা করা হয়। ১৯৬৫ সাল থেকে চলতে থাকে দক্ষিণ পাশের অংশের কাজ। ঐতিহাসিক এই মসজিদের নকশা করেন মো. মোখতুল ও নবী বক্স। কয়েকশ’ দক্ষ কারিগর ও শিল্পীর একনিষ্ঠ পরিশ্রমের ফসল হিসেবে গড়ে ওঠে এটি।
চিনি মসজিদ নির্মাণে মোগল স্থাপত্যশৈলী অনুসরণ করা হয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণে রয়েছে দুটি ফটক। কারুকার্যমণ্ডিত মূল ফটকে চোখে পড়বে ফারসি বা উর্দু ও বাংলায় লেখা ‘চিনি মসজিদ’। মসজিদের পুরো অংশ চীনামাটি দিয়ে তৈরি বলে এর নামকরণ হয় ‘চিনি মসজিদ’। এটি খ্যাতি পাওয়ার অন্যতম কারণ দেয়ালের আবরণ। পুরো দেয়ালজুড়ে ফুলদানি, ফুলের ঝাড়, গোলাপফুল, চাঁদ, তারাসহ অসংখ্য কারুকাজ।
মসজিদের গায়ে রয়েছে কলকাতা থেকে আনা ২৪৩টি শংকর মর্মর পাথর। পাথরের সঙ্গে মসজিদের গায়ে লাগিয়ে দেওয়া হয় ২৫ টনের মতো চীনামাটির টুকরা। মসজিদের গোটা অবয়ব ঢেলে সাজানো হয় রঙিন চকচকে পাথরে। মসজিদের বারান্দা বাঁধানো হয় সাদা মোজাইকে। দেয়াল জুড়ে চীনামাটির পাথরে আঁকা হয় নানান সুদৃশ্য নকশা। এগুলো আকৃষ্ট করে শিল্পানুরাগীদের।
বগুড়ার একটি গ্লাস ফ্যাক্টরি মসজিদের পুরো অংশ সাজানোর জন্য ২৫ মেট্রিক টন চীনামাটির টুকরা দান করে। এগুলো দিয়ে মোড়ানো হয় মসজিদের ৩২টি মিনারসহ তিনটি বড় গম্বুজ। এর মূল অংশের বর্ণ অনেকটা লালচে হলেও একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায়, পরবর্তী সময়ে তৈরি করা অংশ অনেকটা সাদা বর্ণের।
চিনি মসজিদ নিছক উপাসনালয় নয়, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে এর নির্মাণশৈলী বেশ আকর্ষণীয়। দৃষ্টিনন্দন ও ঐতিহ্যমণ্ডিত মসজিদটির দোতলায় পর্যটকদের থাকার বিশেষ ব্যবস্থা আছে।
১৮৮৩ সালে হাজী বাকের আলী ও হাজী মুকু নামে দুই ব্যক্তি সৈয়দপুরের ইসলামবাগ এলাকায় ছন ও বাঁশ দিয়ে প্রথম এই মসজিদ নির্মাণ করেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় এটি টিনে রূপান্তরিত হয়। এরপর তারা একটি তহবিল গঠন করেন।
জনশ্রুতি আছে, মসজিদের উন্নয়নের জন্য এলাকাবাসীরা স্বেচ্ছায় তাদের পুরো একমাসের উপার্জন দান করেছিলেন। ১৯২০ সালে হাজি হাফিজ আবদুল করিমের উদ্যোগে মসজিদটির প্রথম অংশ পাকা করা হয়। ১৯৬৫ সাল থেকে চলতে থাকে দক্ষিণ পাশের অংশের কাজ। ঐতিহাসিক এই মসজিদের নকশা করেন মো. মোখতুল ও নবী বক্স। কয়েকশ’ দক্ষ কারিগর ও শিল্পীর একনিষ্ঠ পরিশ্রমের ফসল হিসেবে গড়ে ওঠে এটি।
চিনি মসজিদ নির্মাণে মোগল স্থাপত্যশৈলী অনুসরণ করা হয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণে রয়েছে দুটি ফটক। কারুকার্যমণ্ডিত মূল ফটকে চোখে পড়বে ফারসি বা উর্দু ও বাংলায় লেখা ‘চিনি মসজিদ’। মসজিদের পুরো অংশ চীনামাটি দিয়ে তৈরি বলে এর নামকরণ হয় ‘চিনি মসজিদ’। এটি খ্যাতি পাওয়ার অন্যতম কারণ দেয়ালের আবরণ। পুরো দেয়ালজুড়ে ফুলদানি, ফুলের ঝাড়, গোলাপফুল, চাঁদ, তারাসহ অসংখ্য কারুকাজ।
মসজিদের গায়ে রয়েছে কলকাতা থেকে আনা ২৪৩টি শংকর মর্মর পাথর। পাথরের সঙ্গে মসজিদের গায়ে লাগিয়ে দেওয়া হয় ২৫ টনের মতো চীনামাটির টুকরা। মসজিদের গোটা অবয়ব ঢেলে সাজানো হয় রঙিন চকচকে পাথরে। মসজিদের বারান্দা বাঁধানো হয় সাদা মোজাইকে। দেয়াল জুড়ে চীনামাটির পাথরে আঁকা হয় নানান সুদৃশ্য নকশা। এগুলো আকৃষ্ট করে শিল্পানুরাগীদের।
বগুড়ার একটি গ্লাস ফ্যাক্টরি মসজিদের পুরো অংশ সাজানোর জন্য ২৫ মেট্রিক টন চীনামাটির টুকরা দান করে। এগুলো দিয়ে মোড়ানো হয় মসজিদের ৩২টি মিনারসহ তিনটি বড় গম্বুজ। এর মূল অংশের বর্ণ অনেকটা লালচে হলেও একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায়, পরবর্তী সময়ে তৈরি করা অংশ অনেকটা সাদা বর্ণের।
চিনি মসজিদ নিছক উপাসনালয় নয়, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে এর নির্মাণশৈলী বেশ আকর্ষণীয়। দৃষ্টিনন্দন ও ঐতিহ্যমণ্ডিত মসজিদটির দোতলায় পর্যটকদের থাকার বিশেষ ব্যবস্থা আছে।
কীভাবে যাবেন
রেলের শহর সৈয়দপুর। তাই একটু আরামদায়ক ও ক্লান্তিহীন ভ্রমণ চাইলে ট্রেনই জুতসই। ঢাকা থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে সৈয়দপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায় নীলসাগর এক্সপ্রেস। এটি সৈয়দপুর পৌঁছায় বিকেল পৌনে ৫টায়। রেলস্টেশন থেকে চিনি মসজিদ মাত্র দুই কিলোমিটার পথ। প্রতিদিন রাত ১১টা ৩০ মিনিটে এই ট্রেন ফের ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
সড়কপথে ঢাকার গাবতলী, উত্তরা, কল্যাণপুর থেকে নিয়মিত বিরতিতে সৈয়দপুর যাওয়ার বাস রয়েছে। উড়ালপথেও সৈয়দপুর যাওয়া যাবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও বেসরকারি সংস্থা নভোএয়ার এই রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।
>>>ছবি: লেখক
রেলের শহর সৈয়দপুর। তাই একটু আরামদায়ক ও ক্লান্তিহীন ভ্রমণ চাইলে ট্রেনই জুতসই। ঢাকা থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে সৈয়দপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায় নীলসাগর এক্সপ্রেস। এটি সৈয়দপুর পৌঁছায় বিকেল পৌনে ৫টায়। রেলস্টেশন থেকে চিনি মসজিদ মাত্র দুই কিলোমিটার পথ। প্রতিদিন রাত ১১টা ৩০ মিনিটে এই ট্রেন ফের ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
সড়কপথে ঢাকার গাবতলী, উত্তরা, কল্যাণপুর থেকে নিয়মিত বিরতিতে সৈয়দপুর যাওয়ার বাস রয়েছে। উড়ালপথেও সৈয়দপুর যাওয়া যাবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও বেসরকারি সংস্থা নভোএয়ার এই রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।
>>>ছবি: লেখক
চিনি মসজিদ |
No comments