বাংলাদেশে নিউমোনিয়া: একবছরে ৫ বছরের কম বয়সী ১২০০০ শিশুর মৃত্যু
গত
বছর বাংলাদেশে নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে পাঁচ বছরের কম বয়সী আনুমানিক ১২০০০
শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিউমোনিয়ায় শিশু মৃত্যুহার হিসেবে বিশ্বে ১৪তম স্থান
বাংলাদেশের। তবে অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বাংলাদেশ নিউমোনিয়া
নিয়ন্ত্রণের এক্ষেত্রে বহু গুণ এগিয়ে আছে। মঙ্গলবার বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস
উপলক্ষে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক
সংস্থা ইউনিসেফ।
প্রতিবেদন অনুসারে, এশীয় দেশগুলোর মধ্যে নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে শিশু মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি ভারতে। গত বছর দেশটিতে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ বছরের কম বয়সী ১ লাখ ২৭ হাজার শিশু। পুরো বিশ্বের মধ্যে নিউমোনিয়ায় শিশু মৃত্যুহার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেশটিতে। ভারতের পরই রয়েছে পাকিস্তান। গত বছর দেশটিতে নিউমোনিয়ায় মারা গেছে ৫৮ হাজার পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু।
চীনে এ সংখ্যা ১৮ হাজার ও ইন্দোনেশিয়ায় ১৯ হাজার। প্রথম স্থানে রয়েছে নাইজেরিয়া। দেশটিতে গত বছর নিউমোনিয়ায় মারা গেছে ১ লাখ ৬২ হাজার পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু।
প্রতি ৩৯ সেকেন্ডে মারা গেছে ১ শিশু
ইউনিসেফ মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত বছর বিশ্বজুড়ে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পাঁচ বছরের কম বয়সী আনুমানিক ৮ লাখ ২ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই হিসেবে, গড়ে প্রতি ৩৯ সেকেন্ডে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে নিউমোনিয়ায়। বিশ্বজুড়ে নিউমোনিয়ার টিকা পায়নি ৭ কোটি ১০ লাখ শিশু। এর মধ্যে দুই বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। এছাড়া, জন্মের এক মাসের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার শিশুর।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েত্তা ফোরে বলেন, প্রতিদিন পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ২ হাজার ২০০ শিশু নিউমোনিয়ায় মারা যাচ্ছে। এটি নিরাময় ও প্রতিরোধযোগ্য রোগ হওয়া সত্ত্বেও এমনটা হচ্ছে। এই রোগ মোকাবিলায় জোরদার বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি ও বিনিয়োগের প্রয়োজন।
ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাকের মাধ্যমে নিউমোনিয়া ছড়িয়ে থাকে। এতে শিশুদের তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তাদের ফুসফুসে পূঁয ও তরল পদার্থ জমা হতে থাকে। ২০১৮ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে এই রোগে। উল্লেখ্য, পুরো বিশ্বজুড়ে গতবছর ম্যালেরিয়ায় পাঁচ বছরের কম বয়সী ২ লাখ ৭২ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ডায়রিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ৩৭ হাজার।
সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান নির্বাহী কেভিন ওয়াটকিনস বলেন, নিউমোনিয়া একটি ভুলে যাওয়া বৈশ্বিক মহামারী। এটা মোকাবিলায় তাৎক্ষনিকভাবে আন্তর্জাতিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। টিকা, অ্যান্টিবায়োটিক ও নিয়মমাফিক অক্সিজেন চিকিৎসার অভাবে লাখ লাখ শিশু মারা যাচ্ছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, এশীয় দেশগুলোর মধ্যে নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে শিশু মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি ভারতে। গত বছর দেশটিতে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ বছরের কম বয়সী ১ লাখ ২৭ হাজার শিশু। পুরো বিশ্বের মধ্যে নিউমোনিয়ায় শিশু মৃত্যুহার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেশটিতে। ভারতের পরই রয়েছে পাকিস্তান। গত বছর দেশটিতে নিউমোনিয়ায় মারা গেছে ৫৮ হাজার পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু।
চীনে এ সংখ্যা ১৮ হাজার ও ইন্দোনেশিয়ায় ১৯ হাজার। প্রথম স্থানে রয়েছে নাইজেরিয়া। দেশটিতে গত বছর নিউমোনিয়ায় মারা গেছে ১ লাখ ৬২ হাজার পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু।
প্রতি ৩৯ সেকেন্ডে মারা গেছে ১ শিশু
ইউনিসেফ মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত বছর বিশ্বজুড়ে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পাঁচ বছরের কম বয়সী আনুমানিক ৮ লাখ ২ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই হিসেবে, গড়ে প্রতি ৩৯ সেকেন্ডে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে নিউমোনিয়ায়। বিশ্বজুড়ে নিউমোনিয়ার টিকা পায়নি ৭ কোটি ১০ লাখ শিশু। এর মধ্যে দুই বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। এছাড়া, জন্মের এক মাসের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার শিশুর।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েত্তা ফোরে বলেন, প্রতিদিন পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ২ হাজার ২০০ শিশু নিউমোনিয়ায় মারা যাচ্ছে। এটি নিরাময় ও প্রতিরোধযোগ্য রোগ হওয়া সত্ত্বেও এমনটা হচ্ছে। এই রোগ মোকাবিলায় জোরদার বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি ও বিনিয়োগের প্রয়োজন।
ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাকের মাধ্যমে নিউমোনিয়া ছড়িয়ে থাকে। এতে শিশুদের তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তাদের ফুসফুসে পূঁয ও তরল পদার্থ জমা হতে থাকে। ২০১৮ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে এই রোগে। উল্লেখ্য, পুরো বিশ্বজুড়ে গতবছর ম্যালেরিয়ায় পাঁচ বছরের কম বয়সী ২ লাখ ৭২ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ডায়রিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ৩৭ হাজার।
সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান নির্বাহী কেভিন ওয়াটকিনস বলেন, নিউমোনিয়া একটি ভুলে যাওয়া বৈশ্বিক মহামারী। এটা মোকাবিলায় তাৎক্ষনিকভাবে আন্তর্জাতিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। টিকা, অ্যান্টিবায়োটিক ও নিয়মমাফিক অক্সিজেন চিকিৎসার অভাবে লাখ লাখ শিশু মারা যাচ্ছে।
No comments