পাকিস্তানের ট্যাক্সি সার্ভিস “কারিম” এ নারী-চালক
সাউথ এশিয়ান মনিটর, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬: চালকের
আসনে নারী। এমনই এক বিরল উদ্যোগের যাত্রা শুরু হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ
পাকিস্তানে। এই মুসলিম প্রজাতন্ত্রের শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ মাত্র ২২
শতাংশ।
নারী-চালকদের এই ট্যাক্সি সার্ভিসের সূচনা করেছে কারিম নামের একটি প্রতিষ্ঠান। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার ৩২টি দেশে এই সার্ভিস পরিচালনা করে কারিম। দেশগুলোতে প্রতিষ্ঠানটি আরেক ট্যাক্সি সার্ভিস উবার-এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি। তবে পাকিস্তানের জন্য নারী ট্যাক্সি চালক একটি নতুন আইডিয়া। পুরুষ-নারী নির্বিশেষ সব ধরনের যাত্রী বহন করবে এসব নারী-চালিত ট্যাক্সি। লাহোর, ইসলামাবাদ ও করাচিতে প্রাথমিকভাবে এই সার্ভিস শুরু হয়েছে।
পাকিস্তান কারিম-এর মহাব্যাবস্থাপক আহমেদ উসমান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা নারীদেরও সমান সুযোগ ও সুবিধা দিতে চাই। আমাদের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে পুরুষরা বেশ মোটা অংকের রোজগার করছে।’
উসমান জানান যে এ পর্যন্ত সাত জন নারি ট্যাক্সি-চালকের যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হয়েছে। তবে আবেদন প্রক্রিয়া উন্মুক্ত রয়েছে, যে কেউ চাইলে এখানে আবেদন করতে পারেন।
ট্যাক্সি-চালকের চাকরি পাওয়া সাত নারীর মধ্যে দুইজন করাচি, তিনজন লাহোর এবং একজন ইসলামাবাদে কাজ করবেন।
এদেরই একজন জাহরা আলী। ত্রিশ বছর বয়সী এই দুই সন্তানের জননী বন্ধুদের কাছ থেকে কারিম-এর খবর পান। দু’বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তানদের একাই লালন করছেন তিনি। অনেক জোগাড়যন্ত্র করে এ বছর তিনি একটি গাড়ি কিনেন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সও পেয়েছেন এ বছরেই। কয়েক মাস আগে জাহরা যখন কারিম-এর ট্যাক্সি ড্রাইভার পদের জন্য আবেদন করেন তখন তাকে বলা হয়েছিল যে এখানে কোন নারী চালক নেয়া হয় না। এরপরই তিনি কারিমের কাছ থেকে সুখবরটি পান।
লাহোর থেকে আসা এই নারী বার্তা সংস্থাকে বলেন, ‘কাজের মধ্যে আমার কেবল গাড়ি চালানোর দক্ষতা আছে।’ ‘এখন আমি সম্মানের সঙ্গে আমার সন্তানদের লালন করতে পারবো। তাদেরকে ভালো শিক্ষা দিতে পারবো।’
৯০,০০০ ড্রাইভারের বিশাল বহর নিয়ে একটি বৈশ্বিক সংস্থা হিসেবে ২০১২ সালে দুবাইয়ে আত্মপ্রকাশ করে কারিম। মোবাইল এ্যাপের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত ৮০ লাখের বেশি গ্রাহক।
উসমান বলেন, পাকিস্তানে কারিম-এর সবচেয়ে বড় বাজার করাচির নারীদের কাছে।
চালকের আসনে নারীদের নিয়ে আসা তাদের জন্য কর্মক্ষেত্রে সুযোগই তৈরি করবে না অন্যদেরও এ পথে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করবে।
পাকিস্তানে নারী ট্যাক্সি-চালকদেরও অন্যান্য পুরুষ সহকর্মীর মতো কঠোর প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। কোম্পানির প্রটোকল অনুযায়ী তাদের পরীক্ষা দিতে হবে উন্নতমানের সেবাদান নিশ্চিত করার জন্য। নারী চালকদের জন্য সাপোর্ট ডিপার্টমেন্টে আলাদা লাইনও তৈরি করেছে কারিম।
নারী-চালকদের এই ট্যাক্সি সার্ভিসের সূচনা করেছে কারিম নামের একটি প্রতিষ্ঠান। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার ৩২টি দেশে এই সার্ভিস পরিচালনা করে কারিম। দেশগুলোতে প্রতিষ্ঠানটি আরেক ট্যাক্সি সার্ভিস উবার-এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি। তবে পাকিস্তানের জন্য নারী ট্যাক্সি চালক একটি নতুন আইডিয়া। পুরুষ-নারী নির্বিশেষ সব ধরনের যাত্রী বহন করবে এসব নারী-চালিত ট্যাক্সি। লাহোর, ইসলামাবাদ ও করাচিতে প্রাথমিকভাবে এই সার্ভিস শুরু হয়েছে।
পাকিস্তান কারিম-এর মহাব্যাবস্থাপক আহমেদ উসমান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা নারীদেরও সমান সুযোগ ও সুবিধা দিতে চাই। আমাদের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে পুরুষরা বেশ মোটা অংকের রোজগার করছে।’
উসমান জানান যে এ পর্যন্ত সাত জন নারি ট্যাক্সি-চালকের যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হয়েছে। তবে আবেদন প্রক্রিয়া উন্মুক্ত রয়েছে, যে কেউ চাইলে এখানে আবেদন করতে পারেন।
ট্যাক্সি-চালকের চাকরি পাওয়া সাত নারীর মধ্যে দুইজন করাচি, তিনজন লাহোর এবং একজন ইসলামাবাদে কাজ করবেন।
এদেরই একজন জাহরা আলী। ত্রিশ বছর বয়সী এই দুই সন্তানের জননী বন্ধুদের কাছ থেকে কারিম-এর খবর পান। দু’বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তানদের একাই লালন করছেন তিনি। অনেক জোগাড়যন্ত্র করে এ বছর তিনি একটি গাড়ি কিনেন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সও পেয়েছেন এ বছরেই। কয়েক মাস আগে জাহরা যখন কারিম-এর ট্যাক্সি ড্রাইভার পদের জন্য আবেদন করেন তখন তাকে বলা হয়েছিল যে এখানে কোন নারী চালক নেয়া হয় না। এরপরই তিনি কারিমের কাছ থেকে সুখবরটি পান।
লাহোর থেকে আসা এই নারী বার্তা সংস্থাকে বলেন, ‘কাজের মধ্যে আমার কেবল গাড়ি চালানোর দক্ষতা আছে।’ ‘এখন আমি সম্মানের সঙ্গে আমার সন্তানদের লালন করতে পারবো। তাদেরকে ভালো শিক্ষা দিতে পারবো।’
৯০,০০০ ড্রাইভারের বিশাল বহর নিয়ে একটি বৈশ্বিক সংস্থা হিসেবে ২০১২ সালে দুবাইয়ে আত্মপ্রকাশ করে কারিম। মোবাইল এ্যাপের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত ৮০ লাখের বেশি গ্রাহক।
উসমান বলেন, পাকিস্তানে কারিম-এর সবচেয়ে বড় বাজার করাচির নারীদের কাছে।
চালকের আসনে নারীদের নিয়ে আসা তাদের জন্য কর্মক্ষেত্রে সুযোগই তৈরি করবে না অন্যদেরও এ পথে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করবে।
পাকিস্তানে নারী ট্যাক্সি-চালকদেরও অন্যান্য পুরুষ সহকর্মীর মতো কঠোর প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। কোম্পানির প্রটোকল অনুযায়ী তাদের পরীক্ষা দিতে হবে উন্নতমানের সেবাদান নিশ্চিত করার জন্য। নারী চালকদের জন্য সাপোর্ট ডিপার্টমেন্টে আলাদা লাইনও তৈরি করেছে কারিম।
No comments