হাকালুকি হাওরে পলোতে আটক ২৭ কেজির বোয়াল
তুমুল
বৃষ্টি হচ্ছিল। সঙ্গে মেঘের গর্জন। এর পরপরই লোকজন পলো, জালসহ বিভিন্ন
ধরনের উপকরণ নিয়ে মাছ ধরতে হাওরে নেমে পড়েন। এর মধ্যে এক ব্যক্তির পলোতে
আটকা পড়ে ২৭ কেজি ওজনের একটি বোয়াল। স্থানীয় লোকজন এটাকে ‘উজাই’ ধরা বলে। শুক্রবার ভোরে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার হাকালুকি হাওর এলাকার দৃশ্য
এটি।
এলাকাবাসী জানায়, কয়েক দিন ধরে তীব্র দাবদাহ চলছিল। এর মধ্যে সাহরির কিছু পর হঠাৎ করে মুষলধারে বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। তাতে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে। এ দিকে বৃষ্টি থামার পর বিভিন্ন বয়সী লোক মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে হাকালুকি হাওরের দিকে রওনা দেন। হাওরের হাঁটু-কোমরসমান পানিতে নেমে তাঁরা মাছ ধরতে শুরু করেন।
উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের উত্তর জাঙ্গিরাই গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আবু সাইদ স্বপন বলেন, তিনি শখে পলো নিয়ে মাছ ধরতে হাওরে যান। একপর্যায়ে একটি বোয়াল তাতে আটকা পড়ে। জোরে চেপে ধরেন। পরে তুলে দেখেন বোয়ালটি বেশ বড়। বাড়িতে নিয়ে আসার পর আশপাশের লোকজন মাছটি দেখতে ভিড় জমান। এটির ওজন হয় ২৭ কেজি। মাছটি কেটে নিজেসহ আত্মীয়স্বজন ভাগ করে নেন।
আবু সাইদ বলেন, শুধু বোয়াল নয়, অনেকে ঘনিয়া, আইড়, পাবদা ও কই মাছ পেয়েছেন। প্রতিবছর এ সময়টাতে বৃষ্টির পর হাওরের ভাসান পানিতে এ রকম মাছ পাওয়া যায়। এটাকে ‘উজাই’ ধরা বলা হয়।
উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মীর আলতাফ হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এখন মাছের প্রজনন মৌসুম। বৃষ্টি, বজ্রপাত ও নির্ধারিত তাপমাত্রায় মা মাছ ডিম ছাড়ার উদ্দেশ্যে নদী অথবা হাওরে স্রোতের বিপরীতে ছুটতে থাকে। আশপাশের ছোট খাল-বিলে তারা আশ্রয় নেয়। এ সুযোগে লোকজন এসব মাছ ধরতে নেমে পড়েন।
এলাকাবাসী জানায়, কয়েক দিন ধরে তীব্র দাবদাহ চলছিল। এর মধ্যে সাহরির কিছু পর হঠাৎ করে মুষলধারে বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। তাতে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে। এ দিকে বৃষ্টি থামার পর বিভিন্ন বয়সী লোক মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে হাকালুকি হাওরের দিকে রওনা দেন। হাওরের হাঁটু-কোমরসমান পানিতে নেমে তাঁরা মাছ ধরতে শুরু করেন।
উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের উত্তর জাঙ্গিরাই গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আবু সাইদ স্বপন বলেন, তিনি শখে পলো নিয়ে মাছ ধরতে হাওরে যান। একপর্যায়ে একটি বোয়াল তাতে আটকা পড়ে। জোরে চেপে ধরেন। পরে তুলে দেখেন বোয়ালটি বেশ বড়। বাড়িতে নিয়ে আসার পর আশপাশের লোকজন মাছটি দেখতে ভিড় জমান। এটির ওজন হয় ২৭ কেজি। মাছটি কেটে নিজেসহ আত্মীয়স্বজন ভাগ করে নেন।
আবু সাইদ বলেন, শুধু বোয়াল নয়, অনেকে ঘনিয়া, আইড়, পাবদা ও কই মাছ পেয়েছেন। প্রতিবছর এ সময়টাতে বৃষ্টির পর হাওরের ভাসান পানিতে এ রকম মাছ পাওয়া যায়। এটাকে ‘উজাই’ ধরা বলা হয়।
উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মীর আলতাফ হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এখন মাছের প্রজনন মৌসুম। বৃষ্টি, বজ্রপাত ও নির্ধারিত তাপমাত্রায় মা মাছ ডিম ছাড়ার উদ্দেশ্যে নদী অথবা হাওরে স্রোতের বিপরীতে ছুটতে থাকে। আশপাশের ছোট খাল-বিলে তারা আশ্রয় নেয়। এ সুযোগে লোকজন এসব মাছ ধরতে নেমে পড়েন।
হাকালুকি হাওরের পাশের বিল থেকে ২৭ কেজি ওজনের বোয়ালটি ধরেন আবু সাইদ স্বপন। ছবি: কল্যাণ প্রসূন |
No comments