নিজামীর ফাঁসি নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস যা লিখেছে by ইলেন বেরি
পাকিস্তানের
কাছ থেকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নৃশংসতার জন্য
অভিযুুক্ত বিরোধী দল জামায়াতের সিনিয়র নেতা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড
কার্যকরের পর সহিংসতার বিষয়ে সচেতন বাংলাদেশ সরকার। মতিউর রহমান নিজামীর
ফাঁসি কার্যকর করা হয় বুধবার দিনের একেবারে শুরুর দিকে। তাকে বাংলাদেশের
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তার নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে। দেশের স্বাধীনতাকামী
শক্তির বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাদের পক্ষ নিয়ে প্যারামিলিটারি গ্রুপ (আল
বদর) গঠন করেন তিনি। ২০১৪ সালের অক্টোবরে তার বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দেয়া হয়।
সেই রায় গত সপ্তাহে বহাল রাখেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, প্রেসিডেন্টের কাছে
প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন নি নিজামী।
এর আগের ফাঁসিগুলোতে রাজপথে প্রতিবাদ হয়েছে। তাই রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীয় কারাগার, এর আশপাশে ও অন্যান্য স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে কয়েক হাজার পুলিশ।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব ব্যক্তি নৃশংস যুদ্ধাপরাধ করেছিলেন বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে তাদের বিচার করার উদ্যোগ নেয়।
এই বিচার নিয়ে বাংলাদেশে বিভক্তি আছে। একপক্ষ হলো স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যে ধর্মনিরপেক্ষ পরিচয় ছিল তার পক্ষে। অন্যপক্ষ হলো তারা, যারা ইসলামিক নীতির ভিত্তিতে দেশে সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
এই বিভক্তি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ইসলামি উগ্রবাদীরা হত্যাকাণ্ড শুরু করে। নাস্তিক্যবাদের পক্ষে এবং ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে এমন বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করে। সাম্প্রতিক সময়ে তারা টার্গেট বিস্তৃত করেছে। তারা টার্গেটে ফেলেছে বিদেশী, এলজিবিটি অধিকারকর্মী, ধর্র্মীয় সংখ্যালঘুদের। এর মধ্যে আছে হিন্দু, শিয়া মুসলিম ও খ্রিস্টান।
আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো যুদ্ধাপরাধ বিচারের সমালোচনা করেছে। তারা বলেছে, অভিযুক্ত নেতারা নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ পেয়েছেন সামান্যই। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, বিবাদীর পক্ষে খুব সামান্যই সাক্ষী হাজির করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। প্রসিকিউশনের সাক্ষীকে ক্রস-চেক করতে দেয়া হয় নি।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্রাড এডামস গত সপ্তাহে বলেছেন, বাংলাদেশের অনেক মানুষ বিশ্বাস করেন নিজামী অপরাধী এবং তারা তার বিচার চান। সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সেই বিচার করা যায়।
নিজামীকে আল বদর বাহিনীর নেতা হিসেবে সনাক্ত করেছে প্রসিকিউটররা। এই বাহিনী স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্বাধীনতাপন্থিদের বিরুদ্ধে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতন চালিয়েছিল। নিজামীকে স্বাধীনতাপন্থি বুদ্ধিজীবি হত্যা, ২২ জন নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষ হত্যা, ষড়যন্ত্র, হত্যা, ধর্ষণের অভিযোগে ফাঁসির রায় দেয়া হয়। এ ছাড়াও তাকে দু’দফা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
(নয়া দিল্লি থেকে ইলেন বেরি ও ঢাকা থেকে জুলফিকার আলী মানিক যৌথভাবে এ রিপোর্ট করেছেন।) (নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনের অনুবাদ)
এর আগের ফাঁসিগুলোতে রাজপথে প্রতিবাদ হয়েছে। তাই রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীয় কারাগার, এর আশপাশে ও অন্যান্য স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে কয়েক হাজার পুলিশ।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব ব্যক্তি নৃশংস যুদ্ধাপরাধ করেছিলেন বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে তাদের বিচার করার উদ্যোগ নেয়।
এই বিচার নিয়ে বাংলাদেশে বিভক্তি আছে। একপক্ষ হলো স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যে ধর্মনিরপেক্ষ পরিচয় ছিল তার পক্ষে। অন্যপক্ষ হলো তারা, যারা ইসলামিক নীতির ভিত্তিতে দেশে সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
এই বিভক্তি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ইসলামি উগ্রবাদীরা হত্যাকাণ্ড শুরু করে। নাস্তিক্যবাদের পক্ষে এবং ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে এমন বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করে। সাম্প্রতিক সময়ে তারা টার্গেট বিস্তৃত করেছে। তারা টার্গেটে ফেলেছে বিদেশী, এলজিবিটি অধিকারকর্মী, ধর্র্মীয় সংখ্যালঘুদের। এর মধ্যে আছে হিন্দু, শিয়া মুসলিম ও খ্রিস্টান।
আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো যুদ্ধাপরাধ বিচারের সমালোচনা করেছে। তারা বলেছে, অভিযুক্ত নেতারা নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ পেয়েছেন সামান্যই। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, বিবাদীর পক্ষে খুব সামান্যই সাক্ষী হাজির করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। প্রসিকিউশনের সাক্ষীকে ক্রস-চেক করতে দেয়া হয় নি।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্রাড এডামস গত সপ্তাহে বলেছেন, বাংলাদেশের অনেক মানুষ বিশ্বাস করেন নিজামী অপরাধী এবং তারা তার বিচার চান। সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সেই বিচার করা যায়।
নিজামীকে আল বদর বাহিনীর নেতা হিসেবে সনাক্ত করেছে প্রসিকিউটররা। এই বাহিনী স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্বাধীনতাপন্থিদের বিরুদ্ধে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতন চালিয়েছিল। নিজামীকে স্বাধীনতাপন্থি বুদ্ধিজীবি হত্যা, ২২ জন নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষ হত্যা, ষড়যন্ত্র, হত্যা, ধর্ষণের অভিযোগে ফাঁসির রায় দেয়া হয়। এ ছাড়াও তাকে দু’দফা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
(নয়া দিল্লি থেকে ইলেন বেরি ও ঢাকা থেকে জুলফিকার আলী মানিক যৌথভাবে এ রিপোর্ট করেছেন।) (নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনের অনুবাদ)
No comments