সরকারের খাল, রেলওয়ের জমি, ভবন বানাচ্ছেন আ.লীগ নেতা! by দুলাল ঘোষ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় সরকারি খাল ও রেলওয়ের জমি দখল করে আওয়ামী লীগের একজন নেতা ভবন নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী আবদুল মতিন। তাঁর দাবি, রেলওয়ের জমি হিসেবে পরিচিত এই জমি তাঁদের বৈধ সম্পত্তি। আখাউড়া সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের সিঅ্যান্ডবি খালটি শহরের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত। এটি প্রায় ৭০ বছর আগে খনন করা।
খালের দক্ষিণ পাড়ে বসতি ও কৃষিজমি, উত্তর পাড়ে সরকারি রাস্তা। তবে ভূমি কার্যালয়ের রেকর্ডে খালটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। খাল খননের সময় আশপাশের জমি পরিত্যক্ত ছিল বলে এমন ভুল হয়েছে।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শহীদ আমীর হোসেন সড়কে ওই খালের ওপর একটি ছোট সেতু রয়েছে। এই সেতুর নিচে খালের সম্পূর্ণ অংশ ভরাট করে ইট বিছানো। সেতু ঘেঁষে চলছে বহুতল ভবন নির্মাণের পাইলিং।
দেখা গেছে, যেখানে নির্মাণকাজ চলছে, তার উত্তরে সরকারি রাস্তা। পশ্চিমে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চৌকি। পূর্ব দিকে সেতু ও রাস্তা। আর দক্ষিণে খাল ও রেলওয়ের সম্পত্তি। ভবন নির্মাণের স্থানটির চারপাশে সরকারি ও রেলওয়ে সম্পত্তি।
আখাউড়া সদর দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সূত্র জানায়, ডা. শামসুদ্দিন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে এই জমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী আবদুল মতিনের বড় ভাই প্রকৌশলী দারুল ইসলাম কিনেছেন। এর মধ্যে নামজারিও হয়েছে। তবে শামসুদ্দিন এই ভূমি কার কাছ থেকে কিনেছেন, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেনি ভূমি কার্যালয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভূমি কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এই সম্পত্তি রেলওয়ের। দলিল তৈরি করে এখন ব্যক্তির নামে দাবি করা হচ্ছে। ভূমি অফিসের সাবেক কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে খালটি রেকর্ডভুক্ত হয়নি।
রেলওয়ের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তার কার্যালয় (ঢাকা) সূত্র জানায়, আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের ১৮৯২-৯৩ সালের রেলওয়ের সিএস ১০৩৯ নম্বরে মোট সম্পত্তি ১৩ একর ৫৪ শতক। যে স্থানে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, ওই স্থানও সিএস ১০৩৯ নম্বরের অন্তর্ভুক্ত রেলওয়ের সম্পত্তি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, খালটি ভরাট হয়ে গেলে শহরে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। খাল দিয়ে শহরের পানি নেমে যায় তিতাস নদীতে। খালটি ত্রিপুরার আগরতলা পৌর শহরের প্রধান খালের সঙ্গেও যুক্ত। এ কারণে এই খালে পানির প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হলে বর্ষায় ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা উজানের পানিতে সীমান্তের দুটি ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রাম তলিয়ে যাবে।
জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী আবদুল মতিন প্রথম আলোকে বলেন, এখানে তাঁদের ৪ শতাংশ বৈধ সম্পত্তি রয়েছে। এর কাগজপত্রও আছে। পরিবারের নামে এই সম্পত্তির নামজারি রয়েছে। বাংলাদেশ জরিপে (বিএস) তাঁদের নামে রেকর্ড হয়েছে। তিনি দাবি করেন, ভবন নির্মাণের কাজের সুবিধার্থে তিনি খালের একটি অংশ ভরাট করেছেন। কাজ শেষে খালটি মুক্ত করে দেবেন।
যোগাযোগ করা হলে রেলওয়ের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (ঢাকা) আহমাদুল হক বলেন, তাঁর কার্যালয়ের লোকজন গত শনিবার জায়গাটি পরিদর্শন করেন। ওই জায়গা মাপজোখ করা হবে। এতে রেলওয়ের জায়গা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, খাল ভরাট করবেন না বলে গাজী আবদুল মতিন তাঁকে জানিয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, রাস্তায় জায়গা নেই বলে তিনি খালে নির্মাণসামগ্রী রেখেছেন। তবে তাঁকে খালের দখল ছেড়ে দিতে বলা হয়। তা না করলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শহীদ আমীর হোসেন সড়কে ওই খালের ওপর একটি ছোট সেতু রয়েছে। এই সেতুর নিচে খালের সম্পূর্ণ অংশ ভরাট করে ইট বিছানো। সেতু ঘেঁষে চলছে বহুতল ভবন নির্মাণের পাইলিং।
দেখা গেছে, যেখানে নির্মাণকাজ চলছে, তার উত্তরে সরকারি রাস্তা। পশ্চিমে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চৌকি। পূর্ব দিকে সেতু ও রাস্তা। আর দক্ষিণে খাল ও রেলওয়ের সম্পত্তি। ভবন নির্মাণের স্থানটির চারপাশে সরকারি ও রেলওয়ে সম্পত্তি।
আখাউড়া সদর দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সূত্র জানায়, ডা. শামসুদ্দিন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে এই জমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী আবদুল মতিনের বড় ভাই প্রকৌশলী দারুল ইসলাম কিনেছেন। এর মধ্যে নামজারিও হয়েছে। তবে শামসুদ্দিন এই ভূমি কার কাছ থেকে কিনেছেন, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেনি ভূমি কার্যালয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভূমি কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এই সম্পত্তি রেলওয়ের। দলিল তৈরি করে এখন ব্যক্তির নামে দাবি করা হচ্ছে। ভূমি অফিসের সাবেক কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে খালটি রেকর্ডভুক্ত হয়নি।
রেলওয়ের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তার কার্যালয় (ঢাকা) সূত্র জানায়, আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের ১৮৯২-৯৩ সালের রেলওয়ের সিএস ১০৩৯ নম্বরে মোট সম্পত্তি ১৩ একর ৫৪ শতক। যে স্থানে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, ওই স্থানও সিএস ১০৩৯ নম্বরের অন্তর্ভুক্ত রেলওয়ের সম্পত্তি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, খালটি ভরাট হয়ে গেলে শহরে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। খাল দিয়ে শহরের পানি নেমে যায় তিতাস নদীতে। খালটি ত্রিপুরার আগরতলা পৌর শহরের প্রধান খালের সঙ্গেও যুক্ত। এ কারণে এই খালে পানির প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হলে বর্ষায় ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা উজানের পানিতে সীমান্তের দুটি ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রাম তলিয়ে যাবে।
জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী আবদুল মতিন প্রথম আলোকে বলেন, এখানে তাঁদের ৪ শতাংশ বৈধ সম্পত্তি রয়েছে। এর কাগজপত্রও আছে। পরিবারের নামে এই সম্পত্তির নামজারি রয়েছে। বাংলাদেশ জরিপে (বিএস) তাঁদের নামে রেকর্ড হয়েছে। তিনি দাবি করেন, ভবন নির্মাণের কাজের সুবিধার্থে তিনি খালের একটি অংশ ভরাট করেছেন। কাজ শেষে খালটি মুক্ত করে দেবেন।
যোগাযোগ করা হলে রেলওয়ের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (ঢাকা) আহমাদুল হক বলেন, তাঁর কার্যালয়ের লোকজন গত শনিবার জায়গাটি পরিদর্শন করেন। ওই জায়গা মাপজোখ করা হবে। এতে রেলওয়ের জায়গা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, খাল ভরাট করবেন না বলে গাজী আবদুল মতিন তাঁকে জানিয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, রাস্তায় জায়গা নেই বলে তিনি খালে নির্মাণসামগ্রী রেখেছেন। তবে তাঁকে খালের দখল ছেড়ে দিতে বলা হয়। তা না করলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
No comments