অতিথিসেবার অনন্য নজির by আরিফুল ইসলাম
উত্তরটা জেমি সিডন্সের হাসিতেই লুকিয়ে ছিল। আগামী ১৫ মে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কোচকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এর আগে লর্ডসেই বাংলাদেশকে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলানো হলে কেমন হতো! ‘তাহলে তো দারুণ হতো!’—মুখে এ কথা বলেছেন, কিন্তু এর পরই যে হাসিটা দিলেন, তার অর্থ হতে পারে, ‘ইংলিশদের কি এতই বোকা পেয়েছ!’
প্রথম টেস্ট খেলার জন্য বাংলাদেশ দল চট্টগ্রাম এসেছে পরশু রাতে, আর ইংল্যান্ড এখানে আছে নয় দিন ধরেই। তাতে খুব একটা সমস্যা নেই। কিন্তু যে মাঠে দুই দিন পরই টেস্ট, সেই মাঠেই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ ক্রিকেট ইতিহাসে কোনো সফরকারী দল এর আগে পেয়েছে কি না, অনেক ঘেঁটেও কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেল না। প্রশ্ন হতে পারে, প্র্যাকটিস ম্যাচের উইকেটেই তো আর টেস্ট হবে না, তাহলে আর সমস্যা কী? যৌক্তিক প্রশ্ন, তবে পুরোনো সেই প্রবাদটা ভুলে গেলেও চলবে না, ‘একটা ভাত টিপলেই পুরো হাঁড়ির ভাতের অবস্থা বোঝা যায়!’
উইকেট সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া গেছে, এর চেয়েও বড় ব্যাপার আরেকটা। ক্রিকেট যতটা মাঠের খেলা, ঠিক ততটাই মনস্তাত্ত্বিক। শুধু উইকেট নয়, মাঠ, মাঠের পরিবেশ, ড্রেসিংরুম—সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক নিউজিল্যান্ড সফরে এটা নিয়ে খুব ভালো একটা ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান, ‘শুধু মাঠ বা উইকেট নয়, হোটেল থেকে মাঠে আসা-যাওয়ার রাস্তা, রাস্তার দুই পাশের দৃশ্য, ড্রেসিংরুমের সিঁড়ি সবকিছুই একজন ক্রিকেটারের মনোজগতে ছাপ ফেলে। হুট করেই একটা নতুন জায়গায় যাওয়া আর কদিন থেকে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য।’ সাকিবের কথার প্রেক্ষাপট অবশ্য ছিল ভিন্ন, নিউজিল্যান্ডে কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ তো বাংলাদেশ পায়ইনি, উল্টো অন্য এক গোলার্ধে পা দিয়েই তড়িঘড়ি করে আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নেমে পড়তে হয়েছে। এর স্পষ্ট ছাপ দেখা গেছে পারফরম্যান্সেও, শুরুর জঘন্য পারফরম্যান্স অনেক ভালো হয়েছে যতই সময় গড়িয়েছে।
নিউজিল্যান্ডে এমন আতিথেয়তা পেয়ে দেশে এসে সাকিব যখন শুনলেন আমাদের অতিথি ইংল্যান্ডের জন্য এমন আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে, একা দীর্ঘশ্বাস ফেলে শুধু বলেছিলেন, ‘ইংল্যান্ডে গেলে কি লর্ডসে আমাদের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে দেবে!’ কাল জেমি সিডন্স কোনো রাখঢাক না রেখেই বললেন ‘অবশ্যই এটা ওদের জন্য বড় একটা অ্যাডভানটেজ, অবশ্যই। কোনো সন্দেহ নেই ওরা অনেক লাভবান হবে।’ ওয়ানডে দলে ছিলেন না, টেস্টের আগে একই ভেন্যুতে প্রস্তুতির সুযোগ পেয়ে বিস্ময় লুকাননি ইংলিশ ব্যাটসম্যান, ‘সপ্তাহখানেক এই মাঠে অনুশীলন করছি, ম্যাচ খেলেছি, দলের জন্য এটা দারুণ একটা ব্যাপার। আমাদের প্রস্তুতিটা দুর্দান্ত হয়েছে, এমন সুযোগ সব সময় হয় না।’
সিডন্স অবশ্য পরে শিষ্যদের সাহস দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এই বলে, ‘ওরা একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে, আমার ছেলেরা এখানে সারা জীবন ধরেই খেলছে, দেখা যাক।’ কিন্তু একদল সারা জীবন ধরেই খেলে, আরেক দল সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে এসে খাবি খাবে, এটাই তো দেশের মাটিতে খেলার সুবিধা। অবশ্য ক্রিকেট কর্তারা যদি বাংলাদেশের সুবিধার চেয়ে ‘বাঙালি অতিথিপরায়ণ জাতি’ এটা প্রমাণ করাকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন, তাহলে ভিন্ন কথা!
প্রথম টেস্ট খেলার জন্য বাংলাদেশ দল চট্টগ্রাম এসেছে পরশু রাতে, আর ইংল্যান্ড এখানে আছে নয় দিন ধরেই। তাতে খুব একটা সমস্যা নেই। কিন্তু যে মাঠে দুই দিন পরই টেস্ট, সেই মাঠেই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ ক্রিকেট ইতিহাসে কোনো সফরকারী দল এর আগে পেয়েছে কি না, অনেক ঘেঁটেও কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেল না। প্রশ্ন হতে পারে, প্র্যাকটিস ম্যাচের উইকেটেই তো আর টেস্ট হবে না, তাহলে আর সমস্যা কী? যৌক্তিক প্রশ্ন, তবে পুরোনো সেই প্রবাদটা ভুলে গেলেও চলবে না, ‘একটা ভাত টিপলেই পুরো হাঁড়ির ভাতের অবস্থা বোঝা যায়!’
উইকেট সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া গেছে, এর চেয়েও বড় ব্যাপার আরেকটা। ক্রিকেট যতটা মাঠের খেলা, ঠিক ততটাই মনস্তাত্ত্বিক। শুধু উইকেট নয়, মাঠ, মাঠের পরিবেশ, ড্রেসিংরুম—সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক নিউজিল্যান্ড সফরে এটা নিয়ে খুব ভালো একটা ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান, ‘শুধু মাঠ বা উইকেট নয়, হোটেল থেকে মাঠে আসা-যাওয়ার রাস্তা, রাস্তার দুই পাশের দৃশ্য, ড্রেসিংরুমের সিঁড়ি সবকিছুই একজন ক্রিকেটারের মনোজগতে ছাপ ফেলে। হুট করেই একটা নতুন জায়গায় যাওয়া আর কদিন থেকে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য।’ সাকিবের কথার প্রেক্ষাপট অবশ্য ছিল ভিন্ন, নিউজিল্যান্ডে কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ তো বাংলাদেশ পায়ইনি, উল্টো অন্য এক গোলার্ধে পা দিয়েই তড়িঘড়ি করে আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নেমে পড়তে হয়েছে। এর স্পষ্ট ছাপ দেখা গেছে পারফরম্যান্সেও, শুরুর জঘন্য পারফরম্যান্স অনেক ভালো হয়েছে যতই সময় গড়িয়েছে।
নিউজিল্যান্ডে এমন আতিথেয়তা পেয়ে দেশে এসে সাকিব যখন শুনলেন আমাদের অতিথি ইংল্যান্ডের জন্য এমন আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে, একা দীর্ঘশ্বাস ফেলে শুধু বলেছিলেন, ‘ইংল্যান্ডে গেলে কি লর্ডসে আমাদের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে দেবে!’ কাল জেমি সিডন্স কোনো রাখঢাক না রেখেই বললেন ‘অবশ্যই এটা ওদের জন্য বড় একটা অ্যাডভানটেজ, অবশ্যই। কোনো সন্দেহ নেই ওরা অনেক লাভবান হবে।’ ওয়ানডে দলে ছিলেন না, টেস্টের আগে একই ভেন্যুতে প্রস্তুতির সুযোগ পেয়ে বিস্ময় লুকাননি ইংলিশ ব্যাটসম্যান, ‘সপ্তাহখানেক এই মাঠে অনুশীলন করছি, ম্যাচ খেলেছি, দলের জন্য এটা দারুণ একটা ব্যাপার। আমাদের প্রস্তুতিটা দুর্দান্ত হয়েছে, এমন সুযোগ সব সময় হয় না।’
সিডন্স অবশ্য পরে শিষ্যদের সাহস দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এই বলে, ‘ওরা একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে, আমার ছেলেরা এখানে সারা জীবন ধরেই খেলছে, দেখা যাক।’ কিন্তু একদল সারা জীবন ধরেই খেলে, আরেক দল সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে এসে খাবি খাবে, এটাই তো দেশের মাটিতে খেলার সুবিধা। অবশ্য ক্রিকেট কর্তারা যদি বাংলাদেশের সুবিধার চেয়ে ‘বাঙালি অতিথিপরায়ণ জাতি’ এটা প্রমাণ করাকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন, তাহলে ভিন্ন কথা!
No comments