হতবাক তাঁর স্বজনেরা by মোস্তফা মনজু
জাতীয় দলের মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান রকিবুল হাসানের সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অব্যাহতি নেওয়ার ঘোষণায় তাঁর বৃদ্ধ বাবা নূর উদ্দিন (৮২) হতবাক হয়ে পড়েছেন। রকিবুলের নিজ জেলা জামালপুর শহরের দেওয়ানপাড়ায় তাঁর বাসায় কাল রাতে ছিল এক ধরনের ‘শোকাচ্ছন্ন’ পরিবেশ। তাঁর স্বজনদের মুখে যেন কোনো ভাষাই ছিল না। শহরের মোড়ে মোড়ে এ নিয়ে শোনা গেল বিস্তর আলোচনা। রকিবুলের এই সিদ্ধান্তে সবাই বিস্মিত, হতবাক। মোবাইল ফোনে রকিবুলকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সবার মাঝেই ‘কী হলো কী হলো’ ছটফটানি লক্ষ করা গেছে। তবে তাঁর নিকটাত্মীয় ও বন্ধুরা কেউই জানেন না রকিবুল কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন।
রাত সাড়ে নয়টায় তাঁদের বাসায় রকিবুলের বাবা-মা, ভাইবোন ও অন্যরা রিমোট টিপে টিপে টিভি চ্যানেলগুলোতে রকিবুলের অকাল অবসরের খবরটা দেখছিলেন। তাঁর বৃদ্ধ বাবা নূর উদ্দিন ক্রিকেট অতটা বোঝেন না। কিন্তু ছেলে রকিবুল যে ভালো খেলেন, এ আনন্দ নিয়েই তিনি সময় কাটান। টিভিতে ছেলের খেলা দেখে খুবই আনন্দ পান। কিন্তু রকিবুল আর ক্রিকেট খেলবে না—কাল রাতে এ কথা শোনার পর তিনি অনেকটা ভেঙে পড়েছেন। বড় ছেলে শফিকের কাছে জানতে চাইলেন, কী হয়েছে রকিবুলের। ‘আমার ছেলে নয়নের (রকিবুলের ডাক নাম) সারা দেশশুদ্ধা নামডাক আছে। সেদিন টিভিতে দেখলাম, ১০০ রান করার পর কী রকম কালা মিচমিচা চেহারা হইছে। অর যেন কোনো ক্ষতি না হয়। আপনেরা দেখবেন’—রকিবুলের বাবা এ প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলছিলেন আর ফ্যাল ফ্যাল করে টিভি চ্যানেলের দিকে তাকিয়ে ছিলেন।
২০০৮ সালের এই মার্চেই (৯ মার্চ) চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু। একই বছরের নভেম্বরে সেঞ্চুরিয়নে ওই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই টেস্ট অভিষেক। জাতীয় দলে ঢোকার পরই ঢাকার মিরপুরে বাসা নেন জাতীয় লিগে এ পর্যন্ত একমাত্র তিন শ রানের ইনিংসের মালিক এই তরুণ ক্রিকেটার। জামালপুর থেকে নিয়ে যান মা-বাবা ও এক বোনকে। বাবা এ মুহূর্তে জামালপুরে থাকলেও মা ও বোন রয়েছেন ঢাকাতেই।
চার ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে রকিবুল সবার ছোট। বড় ভাই শফিকুল ইসলামের হাত ধরে জামালপুরের মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে তাঁর ক্রিকেট-যাত্রা শুরু। এই ভাই-ই বড় মানসিক আশ্রয়। তাঁকেই সবকিছু জানান। শফিকুলের কাছ থেকে জানা যায়, সর্বশেষ কাল দুপুরের দিকে রকিবুল তাঁকে মোবাইল ফোনে জানান, তিনি আর ক্রিকেট খেলবেন না। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় চলে আসছেন। এর পর থেকেই তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। শফিকুল বললেন, ‘রকিবুল খুব বিচক্ষণ। পরিবারের এবং কারও সঙ্গেই ও খারাপ ব্যবহার করে না। কেউ তাঁর সঙ্গে ব্যবহার একটু খারাপ করলে মানিয়ে নেয়। কিন্তু হঠাত্ করে এত বড় একটা সিদ্ধান্ত যে কেন নিল আমার মাথায় ধরছে না। ওর সঙ্গে কথা না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলতে পারছি না।’
রাত সাড়ে নয়টায় তাঁদের বাসায় রকিবুলের বাবা-মা, ভাইবোন ও অন্যরা রিমোট টিপে টিপে টিভি চ্যানেলগুলোতে রকিবুলের অকাল অবসরের খবরটা দেখছিলেন। তাঁর বৃদ্ধ বাবা নূর উদ্দিন ক্রিকেট অতটা বোঝেন না। কিন্তু ছেলে রকিবুল যে ভালো খেলেন, এ আনন্দ নিয়েই তিনি সময় কাটান। টিভিতে ছেলের খেলা দেখে খুবই আনন্দ পান। কিন্তু রকিবুল আর ক্রিকেট খেলবে না—কাল রাতে এ কথা শোনার পর তিনি অনেকটা ভেঙে পড়েছেন। বড় ছেলে শফিকের কাছে জানতে চাইলেন, কী হয়েছে রকিবুলের। ‘আমার ছেলে নয়নের (রকিবুলের ডাক নাম) সারা দেশশুদ্ধা নামডাক আছে। সেদিন টিভিতে দেখলাম, ১০০ রান করার পর কী রকম কালা মিচমিচা চেহারা হইছে। অর যেন কোনো ক্ষতি না হয়। আপনেরা দেখবেন’—রকিবুলের বাবা এ প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলছিলেন আর ফ্যাল ফ্যাল করে টিভি চ্যানেলের দিকে তাকিয়ে ছিলেন।
২০০৮ সালের এই মার্চেই (৯ মার্চ) চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু। একই বছরের নভেম্বরে সেঞ্চুরিয়নে ওই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই টেস্ট অভিষেক। জাতীয় দলে ঢোকার পরই ঢাকার মিরপুরে বাসা নেন জাতীয় লিগে এ পর্যন্ত একমাত্র তিন শ রানের ইনিংসের মালিক এই তরুণ ক্রিকেটার। জামালপুর থেকে নিয়ে যান মা-বাবা ও এক বোনকে। বাবা এ মুহূর্তে জামালপুরে থাকলেও মা ও বোন রয়েছেন ঢাকাতেই।
চার ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে রকিবুল সবার ছোট। বড় ভাই শফিকুল ইসলামের হাত ধরে জামালপুরের মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে তাঁর ক্রিকেট-যাত্রা শুরু। এই ভাই-ই বড় মানসিক আশ্রয়। তাঁকেই সবকিছু জানান। শফিকুলের কাছ থেকে জানা যায়, সর্বশেষ কাল দুপুরের দিকে রকিবুল তাঁকে মোবাইল ফোনে জানান, তিনি আর ক্রিকেট খেলবেন না। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় চলে আসছেন। এর পর থেকেই তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। শফিকুল বললেন, ‘রকিবুল খুব বিচক্ষণ। পরিবারের এবং কারও সঙ্গেই ও খারাপ ব্যবহার করে না। কেউ তাঁর সঙ্গে ব্যবহার একটু খারাপ করলে মানিয়ে নেয়। কিন্তু হঠাত্ করে এত বড় একটা সিদ্ধান্ত যে কেন নিল আমার মাথায় ধরছে না। ওর সঙ্গে কথা না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলতে পারছি না।’
No comments