বিজয়ানন্দে বাস্তবতার ছোঁয়া by তারেক মাহমুদ
শুধু জেতা নয়, সিরিজ জয়ও। বিসিবি অফিসে নিশ্চয়ই আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে...। কিন্তু কাল সকালে বোর্ডের এক কর্মকর্তা হতাশার খবরই শোনালেন। নাহ্, আনন্দ-টানন্দ কিছু না। শান্ত-নিস্তরঙ্গ ভঙ্গিতেই চলছে তাঁদের দৈনন্দিন কাজ।
কী ব্যাপার? ক্রিকেট বোর্ডের এই বিশাল সাফল্যে চারদিক থেকে অভিনন্দনের জোয়ার, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার খিচুড়িভোজের আয়োজন পর্যন্ত করে ফেললেন, আর খোদ বিসিবিরই কোনো হেলদোল নেই! বিকেলে অবশ্য এক বোর্ড পরিচালকের কথায় স্পষ্ট হলো, জয়ের আনন্দেও এখন মাত্রা রাখতে চাইছেন তাঁরা, ‘আমাদের ক্রিকেট এখন যে অবস্থায় আছে তাতে এমন জয় আসতেই পারে। আমরাও ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা দেব, তবে এ নিয়ে বাড়াবাড়ির কিছু নেই।’
বিসিবির মাটিতে পা রাখার চিন্তাটা অভিনন্দনযোগ্য। সাফল্যে আনন্দ হবে, সেই আনন্দের তোড়ে ভেসে গেলে মুশকিল। বিশেষ করে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাই যখন মনে করিয়ে দিচ্ছেন সামনে অপেক্ষমাণ জিম্বাবুয়ে সফরের ‘চ্যালেঞ্জ’টার কথা, ‘জিম্বাবুয়ে এদের (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) চেয়ে অনেক গোছানো দল। ওটা হবে মাইন্ড গেম।’ তবে পরশু রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৭৪ রান করে ফেলার পরও তাঁর কাছে কখনো মনে হয়নি বাংলাদেশ হারতে পারে, ‘আসলে আমাদের ছেলেদের খেলার ধরন দেখেই মনে হয়েছে জিতবে।’ ইনজুরিতে পড়ে দেশে ফিরে আসা অধিনায়ক টেলিফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন ডমিনিকায় থাকা দলকে।
সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের কাছে মনে হয়েছে উল্টোটা। তামিম ইকবাল আউট হয়ে যাওয়ার পর ২৭৪ অনতিক্রম্যই মনে হচ্ছিল তাঁর কাছে। কিন্তু ভোরের আলো ফোটার আগে যখন জয়ের আলো ফোটাল বাংলাদেশ, হাবিবুল স্বীকার করে নিলেন, ‘আমাদের সময়ের চেয়েও এই দল অনেক পরিণত, অনেক পরিকল্পিত ক্রিকেট খেলে তারা। সবচেয়ে বড় কথা, দলের সবাই পারফর্ম করছে। দলটার আসল চরিত্র ফুটে উঠছে আস্তে আস্তে।’
এ দেশের ক্রিকেটের একটা বহুদিনের রেওয়াজ এই যে, বাংলাদেশ দলের চরিত্রের সঙ্গে স্থানবিচ্যুতি ঘটে যায় তার ভক্ত-সমর্থকদের চরিত্রেরও। খারাপ খেললে ক্রিকেটারদের চেয়ে নিকৃষ্ট আর কিছু হয় না। জিতলে তাঁরাই দেশের শ্রেষ্ঠ নাগরিক। এবার যেন সেটা একটু বদলাল। বিদেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের সাফল্যের পিঠাপিঠি ওয়ানডে সিরিজেও বিজয়ের হাসি—কিন্তু কই, টিএসসি থেকে তো বিজয় মিছিলের খবর আসেনি? বৃষ্টিস্নাত সড়কে দেখা কোনো তরুণ-তরুণীর গালে লাল-সবুজ পতাকাও তো আঁকা নেই! তাহলে কি সত্যি সত্যি বাস্তবতায় ভর করল বাংলাদেশের ক্রিকেট?
ভাবনার তাল কেটে যায় মুঠোফোনে এসএমএস আসার শব্দে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর মোহাম্মদ আশরাফুলকে শাপ-শাপান্ত করেছিলেন এমন এক ‘ক্রিকেট-প্রেমিকের’ আবেগি ঘোষণা ভেসে এসেছে, ‘অ্যাশ খেললে দেশ জেতে।’
কী ব্যাপার? ক্রিকেট বোর্ডের এই বিশাল সাফল্যে চারদিক থেকে অভিনন্দনের জোয়ার, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার খিচুড়িভোজের আয়োজন পর্যন্ত করে ফেললেন, আর খোদ বিসিবিরই কোনো হেলদোল নেই! বিকেলে অবশ্য এক বোর্ড পরিচালকের কথায় স্পষ্ট হলো, জয়ের আনন্দেও এখন মাত্রা রাখতে চাইছেন তাঁরা, ‘আমাদের ক্রিকেট এখন যে অবস্থায় আছে তাতে এমন জয় আসতেই পারে। আমরাও ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা দেব, তবে এ নিয়ে বাড়াবাড়ির কিছু নেই।’
বিসিবির মাটিতে পা রাখার চিন্তাটা অভিনন্দনযোগ্য। সাফল্যে আনন্দ হবে, সেই আনন্দের তোড়ে ভেসে গেলে মুশকিল। বিশেষ করে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাই যখন মনে করিয়ে দিচ্ছেন সামনে অপেক্ষমাণ জিম্বাবুয়ে সফরের ‘চ্যালেঞ্জ’টার কথা, ‘জিম্বাবুয়ে এদের (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) চেয়ে অনেক গোছানো দল। ওটা হবে মাইন্ড গেম।’ তবে পরশু রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৭৪ রান করে ফেলার পরও তাঁর কাছে কখনো মনে হয়নি বাংলাদেশ হারতে পারে, ‘আসলে আমাদের ছেলেদের খেলার ধরন দেখেই মনে হয়েছে জিতবে।’ ইনজুরিতে পড়ে দেশে ফিরে আসা অধিনায়ক টেলিফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন ডমিনিকায় থাকা দলকে।
সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের কাছে মনে হয়েছে উল্টোটা। তামিম ইকবাল আউট হয়ে যাওয়ার পর ২৭৪ অনতিক্রম্যই মনে হচ্ছিল তাঁর কাছে। কিন্তু ভোরের আলো ফোটার আগে যখন জয়ের আলো ফোটাল বাংলাদেশ, হাবিবুল স্বীকার করে নিলেন, ‘আমাদের সময়ের চেয়েও এই দল অনেক পরিণত, অনেক পরিকল্পিত ক্রিকেট খেলে তারা। সবচেয়ে বড় কথা, দলের সবাই পারফর্ম করছে। দলটার আসল চরিত্র ফুটে উঠছে আস্তে আস্তে।’
এ দেশের ক্রিকেটের একটা বহুদিনের রেওয়াজ এই যে, বাংলাদেশ দলের চরিত্রের সঙ্গে স্থানবিচ্যুতি ঘটে যায় তার ভক্ত-সমর্থকদের চরিত্রেরও। খারাপ খেললে ক্রিকেটারদের চেয়ে নিকৃষ্ট আর কিছু হয় না। জিতলে তাঁরাই দেশের শ্রেষ্ঠ নাগরিক। এবার যেন সেটা একটু বদলাল। বিদেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের সাফল্যের পিঠাপিঠি ওয়ানডে সিরিজেও বিজয়ের হাসি—কিন্তু কই, টিএসসি থেকে তো বিজয় মিছিলের খবর আসেনি? বৃষ্টিস্নাত সড়কে দেখা কোনো তরুণ-তরুণীর গালে লাল-সবুজ পতাকাও তো আঁকা নেই! তাহলে কি সত্যি সত্যি বাস্তবতায় ভর করল বাংলাদেশের ক্রিকেট?
ভাবনার তাল কেটে যায় মুঠোফোনে এসএমএস আসার শব্দে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর মোহাম্মদ আশরাফুলকে শাপ-শাপান্ত করেছিলেন এমন এক ‘ক্রিকেট-প্রেমিকের’ আবেগি ঘোষণা ভেসে এসেছে, ‘অ্যাশ খেললে দেশ জেতে।’
No comments