নোবেল পেয়ে ‘ভাষা হারান’ বব ডিলান
অবশেষে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে রহস্যময় দীর্ঘ নীরবতা ভাঙলেন খ্যাতিমান মার্কিন সংগীতশিল্পী ও গীতিকার বব ডিলান। তিনি জানিয়েছেন, আসলে নোবেল পাওয়ার খবরে তিনি ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলেন। সে কারণেই এত দিন নীরব ছিলেন। নোবেল ফাউন্ডেশন গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সুইডিশ একাডেমির স্থায়ী সচিব সারা দানিউসকে টেলিফোন করে বব ডিলান বলেছেন, ‘নোবেল পুরস্কার বিজয়ের খবর আমাকে বাকরুদ্ধ করে দিয়েছিল। এতে আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি।’ সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নোবেল পুরস্কার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট এই শিল্পী উপস্থিত থাকবেন কি না, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি নোবেল ফাউন্ডেশনের বিবৃতিতে। তবে যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র টেলিগ্রাফ এক খবরে বলেছে, ডিলান তাদের জানিয়েছেন, ‘যদি সম্ভব হয়, তাহলে আমি অবশ্যই যাব।’ পত্রিকাটিকে এক সাক্ষাৎকারে ডিলান নোবেল পুরস্কার বিজয়কে ‘বিস্ময়কর, অবিশ্বাস্য’ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটা বিশ্বাস করা কঠিন। এমন স্বপ্ন কজনইবা দেখতে পারে?’
সর্বশেষ গতকাল শনিবার সুইডিশ একাডেমি বলেছে, স্টকহোমের অনুষ্ঠানে বব ডিলানকে থাকতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে তিনি চাইলে যেকোনো উপায়ে নিজের কোনো বক্তব্য কিংবা গান সম্প্রচারের ব্যবস্থা করতে পারেন সেখানে। সুইডেনের একটি রেডিওকে সারা দানিউস বলেন, ডিলান চাইলে যেকোনো কিছুর ব্যবস্থা করতে পারেন। সেটা হতে পারে কোনো সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, ভিডিও সম্প্রচার, এমনকি কোনো গান। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করছি, যেটা ইচ্ছা হয়, তিনি তা করবেন। অনুষ্ঠান সার্থক করতে ডিলানের ইচ্ছাপূরণে যা প্রয়োজন, সুইডিশ একাডেমি তা করবে।’ মার্কিন সংগীতে নতুন কাব্যিক ধারা সৃষ্টির স্বীকৃতি হিসেবে ১৩ অক্টোবর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে বব ডিলানের নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি। একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে তহবিল সংগ্রহের কাজে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ আয়োজনের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে ডিলানের নাম। তিনি নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় বাংলাদেশেও অনুরাগীদের মধ্যে দেখা যায় উচ্ছ্বাস। কিন্তু পুরস্কার ঘোষণার পর থেকেই তিনি ছিলেন নীরব। এই নীরবতা অনেকের মনেই প্রশ্নের জন্ম দেয়, ডিলান কি পুরস্কার নিতে স্টকহোমে যাচ্ছেন? নাকি পুরস্কার বর্জন করতে চলেছেন?
সুইডিশ লেখক ও সুইডিশ একাডেমির সদস্য পার ওয়াস্টবার্গ গত সপ্তাহে বলেন, ডিলানের এই নীরবতা ‘অভদ্র এবং অহংকারী’ আচরণ। তাঁর এ মন্তব্যের পর শিল্পীর নোবেল পুরস্কার গ্রহণ নিয়ে ওঠা সংশয় আরও গাঢ় হয়। তবে সারা দানিউস জানান, গত মঙ্গলবার তাঁকে ফোন করেন বব ডিলান। ১৫ মিনিট কথা বলেন তাঁরা। সুইডিশ বার্তা সংস্থা টিটিকে সারা দানিউস বলেন, টেলিফোনের আলাপচারিতায় ডিলান ছিলেন ‘নম্র, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং মজার’।
সর্বশেষ গতকাল শনিবার সুইডিশ একাডেমি বলেছে, স্টকহোমের অনুষ্ঠানে বব ডিলানকে থাকতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে তিনি চাইলে যেকোনো উপায়ে নিজের কোনো বক্তব্য কিংবা গান সম্প্রচারের ব্যবস্থা করতে পারেন সেখানে। সুইডেনের একটি রেডিওকে সারা দানিউস বলেন, ডিলান চাইলে যেকোনো কিছুর ব্যবস্থা করতে পারেন। সেটা হতে পারে কোনো সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, ভিডিও সম্প্রচার, এমনকি কোনো গান। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করছি, যেটা ইচ্ছা হয়, তিনি তা করবেন। অনুষ্ঠান সার্থক করতে ডিলানের ইচ্ছাপূরণে যা প্রয়োজন, সুইডিশ একাডেমি তা করবে।’ মার্কিন সংগীতে নতুন কাব্যিক ধারা সৃষ্টির স্বীকৃতি হিসেবে ১৩ অক্টোবর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে বব ডিলানের নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি। একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে তহবিল সংগ্রহের কাজে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ আয়োজনের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে ডিলানের নাম। তিনি নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় বাংলাদেশেও অনুরাগীদের মধ্যে দেখা যায় উচ্ছ্বাস। কিন্তু পুরস্কার ঘোষণার পর থেকেই তিনি ছিলেন নীরব। এই নীরবতা অনেকের মনেই প্রশ্নের জন্ম দেয়, ডিলান কি পুরস্কার নিতে স্টকহোমে যাচ্ছেন? নাকি পুরস্কার বর্জন করতে চলেছেন?
সুইডিশ লেখক ও সুইডিশ একাডেমির সদস্য পার ওয়াস্টবার্গ গত সপ্তাহে বলেন, ডিলানের এই নীরবতা ‘অভদ্র এবং অহংকারী’ আচরণ। তাঁর এ মন্তব্যের পর শিল্পীর নোবেল পুরস্কার গ্রহণ নিয়ে ওঠা সংশয় আরও গাঢ় হয়। তবে সারা দানিউস জানান, গত মঙ্গলবার তাঁকে ফোন করেন বব ডিলান। ১৫ মিনিট কথা বলেন তাঁরা। সুইডিশ বার্তা সংস্থা টিটিকে সারা দানিউস বলেন, টেলিফোনের আলাপচারিতায় ডিলান ছিলেন ‘নম্র, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং মজার’।
No comments