পবিত্র কোরআনের আলো-কাফিরদের জন্য শাস্তি প্রাপ্য হয়ে আছে যদিও আল্লাহ তৎক্ষণাৎ তা দিচ্ছেন না
৩২. ওয়া ইয ক্বা-লূ আল্লা-হুম্মা ইন্ কা-না হা-যা হুয়াল্ হাক্কু মিন্ ই'নদিকা ফাআমতি্বর্ আ'লাইনা হিজা-রাতাম মিনাচ্ছামা-ই আওয়ি'তিনা-বিআ'যা-বিন আলীম। ৩৩. ওয়া মা কা-নাল্লা-হু লিইউআ'য্যিবাহুম ওয়া আনতা ফীহিম; ওয়া মা কা-নাল্লা-হু মুআ'য্যিবাহুম ওয়া হুম ইয়াছ্তাগ্ফিরূন। ৩৪. ওয়া মা লাহুম আল্লা ইউআ'য্যিবাহুমুল্লা-হু ওয়া হুম ইয়াসুদ্দূনা আ'নিল মাছজিদিল্ হারা-মি ওয়া মা কা-নূ আওলিইয়া-আহূ; ইন আওলিইয়া-উহূ ইল্লাল মুত্তাক্বূনা ওয়া লা-কিন্না
আকছারাহুম লা-ইয়া'লামূন। ৩৫. ওয়া মান মা-নাআ' সালা-তুহুম ই'নদাল্ বাইতি ইল্লা মুকা-আওঁ ওয়াতাসদিইয়াহ্; ফাযূক্বুল আ'যা-বা বিমা কুনতুম তাক্ফুরূন। [সুরা : আল-আনফাল, আয়াত : ৩২-৩৫]
অনুবাদ : ৩২. (তখনকার সেই কথাটিও মনে রাখার মতো) যখন তারা বলেছিল, হে আল্লাহ, এই কোরআন যদি আপনার পক্ষ থেকে আগত সত্যই হয়ে থাকে, তবে আমাদের ওপর আকাশ থেকে পাথরবৃষ্টি বর্ষণ করুন অথবা আমাদের ওপর কোনো মর্মন্তুদ শাস্তি নামিয়ে দিতে পারেন।
৩৩. (আর এর পরও এদের পাকড়াও করা হয়নি, কারণ) আল্লাহ এমন নন যে আপনি তাদের মধ্যে বর্তমান থাকা অবস্থায় তাদের শাস্তি দেবেন এবং তিনি এমনও নন যে তারা ক্ষমা প্রার্থনায় থাকা অবস্থায় তাদের শাস্তি দেবেন।
৩৪. আর আল্লাহ তাদের শাস্তি দেবেন না-ই বা কেন, যেহেতু তারা মানুষকে মসজিদুল হারামে (জিয়ারতে আসা) থেকে বাধা দেয়, যদিও তারা এর মোতোয়ালি নয়। (অর্থাৎ শাস্তি তাদের প্রাপ্য, কিন্তু এই মুহূর্তে আল্লাহ তা দিচ্ছেন না)। এর মোতোয়ালি হওয়ার যোগ্যতা মুত্তাকি বা দায়িত্বনিষ্ঠরা ছাড়া আর কারো নেই। কিন্তু তাদের অধিকাংশ লোক এ কথা জানে না।
৩৫. আল্লাহর ঘরের কাছে তাদের নামাজ তো শিস দেওয়া বা তালি বাজানো ছাড়া আর কিছুই ছিল না (জাহেলি যুগে)। সুতরাং (তাদের বলা হবে) তোমরা যে আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত ছিলে, সেজন্য এখন শাস্তি ভোগ করো।
ব্যাখ্যা : ৩২ নম্বর আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে, কাফিররা কী রকম ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে শাস্তি গ্রহণের চ্যালেঞ্জ করেছিল। শিরক ও কুফরের কারণে তাদের ওপর চরম শাস্তি অবতীর্ণ হওয়ারই কথা ছিল। কিন্তু দুটি কারণে তাদের ওপর শাস্তি অবতীর্ণ করা হয়নি। সেটা বর্ণনা করা হয়েছে ৩৩ নম্বর আয়াতে। দুটি কারণের একটি হলো মহানবী (সা.) মক্কায় তাদের মধ্যেই রয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা কোনো জাতির ওপর তাদের নবীর বর্তমানে শাস্তি নাজিল করেন না। নবী যখন তাদের পরিত্যাগ করে চলে যান তখনই শাস্তি নাজিল করা হয়ে থাকে। তা ছাড়া মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে রাহমাতুলি্লল আলামিন হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় কারণ হলো মক্কা মুকাররমায় বহু মুসলিম প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে ইস্তিগফার ও ক্ষমা প্রার্থনায় রত আছে। তাদের ইস্তিগফারের বরকতে কাফিররাও শাস্তি থেকে মুক্ত আছে।
৩৪ নম্বর আয়াতে এটাই বলা হয়েছে যে যদিও ওপরে বর্ণিত দুই কারণে দুনিয়ায় তাদের কোনো শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না, তাই বলে এটা মনে করার কারণ নেই যে তারা শাস্তির উপযুক্ত নয়। বরং শাস্তি তাদের প্রাপ্য। শিরক ও কুফর ছাড়াও তারা এমন বহু অপরাধ করে, যা তাদের জন্য শাস্তি অবধারিত করে রেখেছে। যেমন তাদের বড় অপরাধ হলো তারা মুসলমানদের মসজিদুল হারামে ইবাদত করতে দেয় না।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ : ৩২. (তখনকার সেই কথাটিও মনে রাখার মতো) যখন তারা বলেছিল, হে আল্লাহ, এই কোরআন যদি আপনার পক্ষ থেকে আগত সত্যই হয়ে থাকে, তবে আমাদের ওপর আকাশ থেকে পাথরবৃষ্টি বর্ষণ করুন অথবা আমাদের ওপর কোনো মর্মন্তুদ শাস্তি নামিয়ে দিতে পারেন।
৩৩. (আর এর পরও এদের পাকড়াও করা হয়নি, কারণ) আল্লাহ এমন নন যে আপনি তাদের মধ্যে বর্তমান থাকা অবস্থায় তাদের শাস্তি দেবেন এবং তিনি এমনও নন যে তারা ক্ষমা প্রার্থনায় থাকা অবস্থায় তাদের শাস্তি দেবেন।
৩৪. আর আল্লাহ তাদের শাস্তি দেবেন না-ই বা কেন, যেহেতু তারা মানুষকে মসজিদুল হারামে (জিয়ারতে আসা) থেকে বাধা দেয়, যদিও তারা এর মোতোয়ালি নয়। (অর্থাৎ শাস্তি তাদের প্রাপ্য, কিন্তু এই মুহূর্তে আল্লাহ তা দিচ্ছেন না)। এর মোতোয়ালি হওয়ার যোগ্যতা মুত্তাকি বা দায়িত্বনিষ্ঠরা ছাড়া আর কারো নেই। কিন্তু তাদের অধিকাংশ লোক এ কথা জানে না।
৩৫. আল্লাহর ঘরের কাছে তাদের নামাজ তো শিস দেওয়া বা তালি বাজানো ছাড়া আর কিছুই ছিল না (জাহেলি যুগে)। সুতরাং (তাদের বলা হবে) তোমরা যে আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত ছিলে, সেজন্য এখন শাস্তি ভোগ করো।
ব্যাখ্যা : ৩২ নম্বর আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে, কাফিররা কী রকম ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে শাস্তি গ্রহণের চ্যালেঞ্জ করেছিল। শিরক ও কুফরের কারণে তাদের ওপর চরম শাস্তি অবতীর্ণ হওয়ারই কথা ছিল। কিন্তু দুটি কারণে তাদের ওপর শাস্তি অবতীর্ণ করা হয়নি। সেটা বর্ণনা করা হয়েছে ৩৩ নম্বর আয়াতে। দুটি কারণের একটি হলো মহানবী (সা.) মক্কায় তাদের মধ্যেই রয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা কোনো জাতির ওপর তাদের নবীর বর্তমানে শাস্তি নাজিল করেন না। নবী যখন তাদের পরিত্যাগ করে চলে যান তখনই শাস্তি নাজিল করা হয়ে থাকে। তা ছাড়া মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে রাহমাতুলি্লল আলামিন হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় কারণ হলো মক্কা মুকাররমায় বহু মুসলিম প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে ইস্তিগফার ও ক্ষমা প্রার্থনায় রত আছে। তাদের ইস্তিগফারের বরকতে কাফিররাও শাস্তি থেকে মুক্ত আছে।
৩৪ নম্বর আয়াতে এটাই বলা হয়েছে যে যদিও ওপরে বর্ণিত দুই কারণে দুনিয়ায় তাদের কোনো শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না, তাই বলে এটা মনে করার কারণ নেই যে তারা শাস্তির উপযুক্ত নয়। বরং শাস্তি তাদের প্রাপ্য। শিরক ও কুফর ছাড়াও তারা এমন বহু অপরাধ করে, যা তাদের জন্য শাস্তি অবধারিত করে রেখেছে। যেমন তাদের বড় অপরাধ হলো তারা মুসলমানদের মসজিদুল হারামে ইবাদত করতে দেয় না।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments