কাশ্মীর নিয়ে প্রায় সমঝোতায় পৌঁছেছিল ভারত ও পাকিস্তান
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ কাশ্মীর সমস্যার একটি সমাধানে পৌঁছাতে রাজি হয়েছিলেন। কাশ্মীরের সীমানার বিষয়টি বাদ দিয়ে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের মাধ্যমে (ব্যাক চ্যানেল) সমাধানে পৌঁছাতে রাজি হন তাঁরা। উইকিলিকসের প্রকাশিত মার্কিন গোপন নথি থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
মার্কিন দূতাবাসের ২০০৯ সালের ২১ এপ্রিলের নথিতে দেখা যায়, মনমোহন সিং ভারত সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদলকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মার্কিন ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির তৎকালীন চেয়ারম্যান হাওয়ার্ড বারম্যান।
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মার্কিন ওই প্রতিনিধিদলকে জানান, ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের আগে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্কের দারুণ উন্নতি হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যাক চ্যানেলের মাধ্যমে একটি সমঝোতায় পৌঁছার ব্যাপারে একমত হয়েছিলাম।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানান, পারভেজ মোশাররফ সীমানার বিষয়টি বাদ দিয়ে একটি সমাধানে পৌঁছাতে রাজি হয়েছিলেন। এতে মুক্ত বাণিজ্য ও নিয়ন্ত্রণ রেখার প্রসঙ্গও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
মনমোহন সিং বলেন, ভারত একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক পাকিস্তান রাষ্ট্র চেয়েছিল। পাকিস্তানের এক ইঞ্চি পরিমাণও ভূখণ্ড ভারত দাবি করবে না।
মোশাররফের গত বছরের একটি বক্তব্যে মনমোহনের এমন মন্তব্যের যথার্থতা মিলে যায়। মোশাররফ বলেন, ভারত ও পাকিস্তান এখন এমন এক ধাপে পৌঁছেছে, যেখানে তারা প্রস্তাবের চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করতে পারে। ব্যাক চ্যানেলের মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে খসড়া প্রস্তাব বিনিময়ের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে চারটি পয়েন্ট উল্লেখ করেন মোশাররফ। তা হলো: বেসামরিকীকরণ, সর্বোচ্চ স্বায়ত্তশাসন দেওয়া, সীমানার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া ও যৌথ ব্যবস্থাপনা। পাকিস্তানের পরবর্তী সরকার অবশ্য মোশাররফের এই ফর্মুলা বাতিল করে দেয়। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, এটা মোশাররফের ব্যক্তিগত চিন্তার ফসল হতে পারে। এসব বিষয় পাকিস্তানের মন্ত্রিপরিষদ বা সংসদে অনুমোদিত হয়নি।
মুম্বাইয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে মনমোহন সিং মার্কিন প্রতিনিধিদলকে জানান, এখন পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা শুরু হতে পারে, যদি তারা ‘সভ্য দেশের মতো আচরণ করে এবং মুম্বাই হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনে।’
উইকিলিকসের নথিতে বলা হয়, এখন পাকিস্তানি নেতারা ভারতের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে পাকিস্তানের মাটি থেকে ভারতে কোনো সন্ত্রাসী হামলা চালাতে দেওয়া হবে না।
মার্কিন দূতাবাসের ২০০৯ সালের ২১ এপ্রিলের নথিতে দেখা যায়, মনমোহন সিং ভারত সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদলকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মার্কিন ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির তৎকালীন চেয়ারম্যান হাওয়ার্ড বারম্যান।
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মার্কিন ওই প্রতিনিধিদলকে জানান, ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের আগে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্কের দারুণ উন্নতি হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যাক চ্যানেলের মাধ্যমে একটি সমঝোতায় পৌঁছার ব্যাপারে একমত হয়েছিলাম।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানান, পারভেজ মোশাররফ সীমানার বিষয়টি বাদ দিয়ে একটি সমাধানে পৌঁছাতে রাজি হয়েছিলেন। এতে মুক্ত বাণিজ্য ও নিয়ন্ত্রণ রেখার প্রসঙ্গও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
মনমোহন সিং বলেন, ভারত একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক পাকিস্তান রাষ্ট্র চেয়েছিল। পাকিস্তানের এক ইঞ্চি পরিমাণও ভূখণ্ড ভারত দাবি করবে না।
মোশাররফের গত বছরের একটি বক্তব্যে মনমোহনের এমন মন্তব্যের যথার্থতা মিলে যায়। মোশাররফ বলেন, ভারত ও পাকিস্তান এখন এমন এক ধাপে পৌঁছেছে, যেখানে তারা প্রস্তাবের চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করতে পারে। ব্যাক চ্যানেলের মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে খসড়া প্রস্তাব বিনিময়ের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে চারটি পয়েন্ট উল্লেখ করেন মোশাররফ। তা হলো: বেসামরিকীকরণ, সর্বোচ্চ স্বায়ত্তশাসন দেওয়া, সীমানার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া ও যৌথ ব্যবস্থাপনা। পাকিস্তানের পরবর্তী সরকার অবশ্য মোশাররফের এই ফর্মুলা বাতিল করে দেয়। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, এটা মোশাররফের ব্যক্তিগত চিন্তার ফসল হতে পারে। এসব বিষয় পাকিস্তানের মন্ত্রিপরিষদ বা সংসদে অনুমোদিত হয়নি।
মুম্বাইয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে মনমোহন সিং মার্কিন প্রতিনিধিদলকে জানান, এখন পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা শুরু হতে পারে, যদি তারা ‘সভ্য দেশের মতো আচরণ করে এবং মুম্বাই হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনে।’
উইকিলিকসের নথিতে বলা হয়, এখন পাকিস্তানি নেতারা ভারতের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে পাকিস্তানের মাটি থেকে ভারতে কোনো সন্ত্রাসী হামলা চালাতে দেওয়া হবে না।
No comments