প্রচারের অভাবই তাহলে দায়ী
মেসিদের ম্যাচের টিকিট বিক্রি চলছে ঢিমেতালে। এর মূল কারণ হিসেবে প্রচারের অভাবকেই দায়ী করল ম্যাচের পৃষ্ঠপোষক বেক্সিমকো গ্রুপ।
কাল বাফুফের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেক্সিমকোর ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘প্রচারটা যেভাবে হওয়া উচিত ছিল, সেভাবে হয়নি। গাফিলতি ছিল, আমি রোজায় বিদেশে ছিলাম। কথা ছিল, ঈদের আগেই টিকিট বিক্রির ব্যাপারটা শেষ করতে হবে। কিন্তু তা হয়নি। এ জন্য বাফুফে এবং সংশ্লিষ্টদের কিছু দুর্বলতা ছিল বলে মনে হচ্ছে।’
পত্রপত্রিকা এবং টিভিতে অবশ্য বিরামহীন প্রচার চলছে। আসল ব্যাপারটা হলো টিকিটের উচ্চ মূল্য। যদিও সেটিকে ধর্তব্যে আনছেন না সালমান, ‘সমস্যাটা হয়েছে ঈদের জন্য।’ কারণ যা-ই হোক, বিশ্বকাপের সময় আর্জেন্টিনার পতাকায় গোটা দেশ যারা সয়লাব করে ফেলে, সেই ফুটবলপ্রেমীদের অনেকেই এখন নীরব।
বাফুফে ভবনে দুই ঘণ্টা স্থায়ী বৈঠকে প্রস্তুতির সার্বিক বিষয় নিয়ে দুই পক্ষে কথা হয়েছে। সবচেয়ে বড় যে উদ্বেগ, সেই টিকিট বিক্রির ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বেক্সিমকো। বৈঠকে জানানো হয়েছে, গত পরশু পর্যন্ত বাফুফে ভবন থেকে সাড়ে ৫ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। ব্যাংক বিক্রি করতে পেরেছে হাজার দেড়েক। সব মিলিয়ে ৭ হাজারের মতো। তবে বাফুফে কর্মকর্তারা বলেছেন, ২৪ হাজার টিকিটের মধ্যে অর্ধেক বিক্রি হয়েছে।
হাতে সময় আছে কার্যত দুই দিন। এই দুই দিনে সব টিকিট বিক্রি হয়ে যাবে বলে নিশ্চয়তাই দিয়েছেন সালমান এফ রহমান, ‘টিকিট থাকবে না। আগামী দুই দিন দেখুন, কী হয়। টিকিটের জন্য কাড়াকাড়ি পড়বে। কাজেই আমরা এটা নিয়ে চিন্তিত নই। টিকিট বিক্রি নিয়ে আদৌ কোনো সমস্যা হবে না।’
পৃষ্ঠপোষক কিসের ভিত্তিতে এই নিশ্চয়তা দিচ্ছে, সেই অঙ্ক অনেকেই মেলাতে পারছে না। তবে পৃষ্ঠপোষকের কথায় আস্থা রাখছেন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ‘আমার মনে হয়, টিকিট থাকবে না। বিক্রি হয়ে যাবে।’
প্রসঙ্গক্রমে ওঠে বড় অঙ্কের লোকসানের শঙ্কাও। এই লোকসান দিয়ে পরবর্তী সময়ে ফুটবলের সঙ্গে বেক্সিমকো থাকবে কি না, সেই প্রশ্নও এসেছে সংবাদ সম্মেলনে। সালমান এফ রহমানের উত্তর, ‘এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। ফুটবলের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতেই আমরা এই আয়োজনে সম্পৃক্ত হয়েছি, এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তা ছাড়া আমাদের সঙ্গে বাফুফের চুক্তিতেই আছে—লোকসান আমাদের, লাভ বাফুফের।’
বেক্সিমকোর সঙ্গে এই বৈঠকের পর বাফুফের কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচার কথা। কারণ, বেশ কিছু বিষয় ঝুলে ছিল। টিকিট বিক্রির ব্যাপারটা তো ছিলই, সেই সঙ্গে সামগ্রিক প্রস্তুতি নিয়ে পৃষ্ঠপোষক খুশি না অখুশি, এটা জানতে পারছিল না বাফুফে। যেহেতু ৩০ কোটি টাকার এই মেগা ইভেন্ট আয়োজনের অর্থনৈতিক দায়টা নিয়েছে বেক্সিমকো, তাই তাদের সন্তুষ্টির ওপর নির্ভর করছিল অনেক কিছু।
সালমান এফ রহমান বললেন, ‘সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আমরা খুশি। এই ইভেন্টটি শেষ হওয়ার পর আমরা সিলেটে ফুটবল একাডেমি করার ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।’ বৈঠক সূত্রের খবর, ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় মেসিদের আবাসস্থল হোটেল রূপসী বাংলায় নৈশভোজেরও আয়োজন করছে বেক্সিমকো।
সংবাদ সম্মেলনে টিভি সাংবাদিকদের একটা দাবি মেনে নিয়েছেন বেক্সিমকো গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার। ম্যাচের প্রচারস্বত্ব বেক্সিমকোর মালিকানাধীন ইনডিপেনডেন্ট টিভির, অন্য টিভিগুলো কি তাহলে ম্যাচের কোনো ফুটেজ পাবে না? এই প্রশ্ন নিয়ে অনেকটা সময় ব্যয় হয়েছে এবং শেষে সিদ্ধান্ত, উদ্বোধনীর আনুষ্ঠানিকতা অন্য টিভি কাভার করতে পারবে এবং পরে ইনডিপেনডেন্টের সরবরাহ করা ম্যাচের ফুটেজ ইনডিপেনডেন্টের সৌজন্যে প্রচার করা যাবে।
জানানো হয়েছে, ঢাকায় ঐতিহাসিক ম্যাচটা উদ্বোধন করবেন সালমান এফ রহমান। তিনিই প্রধান অতিথি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হবে শোনা গিয়েছিল, এ ব্যাপারে কাজী সালাউদ্দিন কিছু বলতে রাজি হননি।
কাল বাফুফের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেক্সিমকোর ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘প্রচারটা যেভাবে হওয়া উচিত ছিল, সেভাবে হয়নি। গাফিলতি ছিল, আমি রোজায় বিদেশে ছিলাম। কথা ছিল, ঈদের আগেই টিকিট বিক্রির ব্যাপারটা শেষ করতে হবে। কিন্তু তা হয়নি। এ জন্য বাফুফে এবং সংশ্লিষ্টদের কিছু দুর্বলতা ছিল বলে মনে হচ্ছে।’
পত্রপত্রিকা এবং টিভিতে অবশ্য বিরামহীন প্রচার চলছে। আসল ব্যাপারটা হলো টিকিটের উচ্চ মূল্য। যদিও সেটিকে ধর্তব্যে আনছেন না সালমান, ‘সমস্যাটা হয়েছে ঈদের জন্য।’ কারণ যা-ই হোক, বিশ্বকাপের সময় আর্জেন্টিনার পতাকায় গোটা দেশ যারা সয়লাব করে ফেলে, সেই ফুটবলপ্রেমীদের অনেকেই এখন নীরব।
বাফুফে ভবনে দুই ঘণ্টা স্থায়ী বৈঠকে প্রস্তুতির সার্বিক বিষয় নিয়ে দুই পক্ষে কথা হয়েছে। সবচেয়ে বড় যে উদ্বেগ, সেই টিকিট বিক্রির ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বেক্সিমকো। বৈঠকে জানানো হয়েছে, গত পরশু পর্যন্ত বাফুফে ভবন থেকে সাড়ে ৫ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। ব্যাংক বিক্রি করতে পেরেছে হাজার দেড়েক। সব মিলিয়ে ৭ হাজারের মতো। তবে বাফুফে কর্মকর্তারা বলেছেন, ২৪ হাজার টিকিটের মধ্যে অর্ধেক বিক্রি হয়েছে।
হাতে সময় আছে কার্যত দুই দিন। এই দুই দিনে সব টিকিট বিক্রি হয়ে যাবে বলে নিশ্চয়তাই দিয়েছেন সালমান এফ রহমান, ‘টিকিট থাকবে না। আগামী দুই দিন দেখুন, কী হয়। টিকিটের জন্য কাড়াকাড়ি পড়বে। কাজেই আমরা এটা নিয়ে চিন্তিত নই। টিকিট বিক্রি নিয়ে আদৌ কোনো সমস্যা হবে না।’
পৃষ্ঠপোষক কিসের ভিত্তিতে এই নিশ্চয়তা দিচ্ছে, সেই অঙ্ক অনেকেই মেলাতে পারছে না। তবে পৃষ্ঠপোষকের কথায় আস্থা রাখছেন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ‘আমার মনে হয়, টিকিট থাকবে না। বিক্রি হয়ে যাবে।’
প্রসঙ্গক্রমে ওঠে বড় অঙ্কের লোকসানের শঙ্কাও। এই লোকসান দিয়ে পরবর্তী সময়ে ফুটবলের সঙ্গে বেক্সিমকো থাকবে কি না, সেই প্রশ্নও এসেছে সংবাদ সম্মেলনে। সালমান এফ রহমানের উত্তর, ‘এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। ফুটবলের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতেই আমরা এই আয়োজনে সম্পৃক্ত হয়েছি, এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তা ছাড়া আমাদের সঙ্গে বাফুফের চুক্তিতেই আছে—লোকসান আমাদের, লাভ বাফুফের।’
বেক্সিমকোর সঙ্গে এই বৈঠকের পর বাফুফের কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচার কথা। কারণ, বেশ কিছু বিষয় ঝুলে ছিল। টিকিট বিক্রির ব্যাপারটা তো ছিলই, সেই সঙ্গে সামগ্রিক প্রস্তুতি নিয়ে পৃষ্ঠপোষক খুশি না অখুশি, এটা জানতে পারছিল না বাফুফে। যেহেতু ৩০ কোটি টাকার এই মেগা ইভেন্ট আয়োজনের অর্থনৈতিক দায়টা নিয়েছে বেক্সিমকো, তাই তাদের সন্তুষ্টির ওপর নির্ভর করছিল অনেক কিছু।
সালমান এফ রহমান বললেন, ‘সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আমরা খুশি। এই ইভেন্টটি শেষ হওয়ার পর আমরা সিলেটে ফুটবল একাডেমি করার ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।’ বৈঠক সূত্রের খবর, ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় মেসিদের আবাসস্থল হোটেল রূপসী বাংলায় নৈশভোজেরও আয়োজন করছে বেক্সিমকো।
সংবাদ সম্মেলনে টিভি সাংবাদিকদের একটা দাবি মেনে নিয়েছেন বেক্সিমকো গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার। ম্যাচের প্রচারস্বত্ব বেক্সিমকোর মালিকানাধীন ইনডিপেনডেন্ট টিভির, অন্য টিভিগুলো কি তাহলে ম্যাচের কোনো ফুটেজ পাবে না? এই প্রশ্ন নিয়ে অনেকটা সময় ব্যয় হয়েছে এবং শেষে সিদ্ধান্ত, উদ্বোধনীর আনুষ্ঠানিকতা অন্য টিভি কাভার করতে পারবে এবং পরে ইনডিপেনডেন্টের সরবরাহ করা ম্যাচের ফুটেজ ইনডিপেনডেন্টের সৌজন্যে প্রচার করা যাবে।
জানানো হয়েছে, ঢাকায় ঐতিহাসিক ম্যাচটা উদ্বোধন করবেন সালমান এফ রহমান। তিনিই প্রধান অতিথি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হবে শোনা গিয়েছিল, এ ব্যাপারে কাজী সালাউদ্দিন কিছু বলতে রাজি হননি।
No comments