আবারো বাড়ছে মরণনেশার বিস্তার by রুদ্র মিজান
অভিযান,
গ্রেপ্তার এমনকি একের পর এক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। নিহত হয়েছেন অনেকে।
তবুও মাদকের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। অভিযান চলাকালীন মাদক বিক্রি প্রায়
বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু আবারো বাড়তে শুরু করেছে মাদক আমদানি ও বিক্রি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোরতার কারণে কৌশল পাল্টাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। নানা
কৌশলে মাদক বিক্রি করছে তারা। মাদক আসছে সীমান্ত এলাকা দিয়ে। তারপর তা
ছড়িয়ে যাচ্ছে দেশজুড়ে। মরণনেশার এই ভয়াবহ বিস্তার ঠেকাতে সবাইকে সচেতনভাবে
এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
জুলাই মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫০ কোটি ৪৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদক দ্রব্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, মাদকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে ইয়াবা। চট্টগ্রাম-টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে জুলাই মাসে আমদানি করা ইয়াবার মধ্যে ২,৩৭,৭২৮ পিস জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও ৪,৩০১ বোতল বিদেশি মদ, ৩০০ লিটার বাংলা মদ, ৯৬৩ ক্যান বিয়ার, ২১,৭২৬ বোতল ফেনসিডিল, ১,১৪২ কেজি গাঁজা, দুই কেজি ৩০০ গ্রাম হেরোইন, ১,৪৭,৩০০টি এ্যানেগ্রা-সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ১৭,১৮০টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন জব্দ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় পরিচালিত এসব অভিযানে ১৫৬ জনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
মাদকের বিস্তার ঘটছিল ভয়াবহভাবে। প্রতি মাসে বিজিবির অভিযানেই ১২ থেকে ২১ লাখ ইয়াবা জব্দ হয়েছে। জানুয়ারি মাসে বিজিবির অভিযানে জব্দ করা হয়েছে ১২ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫৮ পিস ইয়াবা। ফেব্রুয়ারি মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৮৮ লাখ ১১ হাজার ৫১৯ পিসে। এপ্রিলে মাদক প্রতিরোধে তুলনামূলকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে যায়। তারপর মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয় অভিযান। ওই মাসে বিজিবির অভিযানে ৭ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৬ পিস ইয়াবা জব্দ হয়। অভিযানের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে মাদক বেচা-বিক্রি কমে যায়। ওই সময়ে কমে যায় মাদক আমদানিও। জুন মাসে বিজিবির অভিযানে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৮৩৮ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
সম্প্রতি আবার মাদক আমদানি বাড়ছে বলে সূত্রে জানা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার অলিতে-গলিতে ছিল মরণ নেশা মাদকের বিস্তার। মে মাসে অভিযানের আগে এপ্রিলে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে ১২১৫টি। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১৮৭৮ জনকে। ওই মাসে ঢাকায় ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৬২টি পিস ইয়াবা জব্দ করে পুলিশ। তার আগের মাস মার্চে মামলা হয় ১৪১৯টি। গ্রেপ্তার করা হয় ২০৫৫ জনকে। পুলিশের অভিযানে জব্দ করা হয় ৮ লাখ ৮২ হাজার ৩১৮ পিস ইয়াবা।
মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু হলে মে মাসে ঢাকায় জব্দ করা হয় ১২ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৬ পিস ইয়াবা। ওই মাসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয় ১৫৭১টি। গ্রেপ্তার করা হয় ২৬১৬ জনকে। মে মাসে অভিযানকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে আত্মগোপনে চলে যায় মাদক ব্যবসায়ীরা। তারপর জুন মাসে মাদক বিক্রেতারা ভিন্ন কৌশলে সক্রিয় ছিল। তবে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি ঢাকায় প্রায় বন্ধ ছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে। জুন মাসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয় ১৪৩৫টি। গ্রেপ্তার করা হয় ২৫৪২ জনকে। ওই মাসে ৩ লাখ ১৬ হাজার ২৯৭ পিস ইয়াবা জব্দ করে ডিএমপি পুলিশ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে মরণ নেশা মাদক বিক্রি। জুলাই মাসে ডিএমপি পুলিশের অভিযানে জব্দ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৫৭৬ পিস ইয়াবা। মামলা হয়েছে ১৬৩১টি। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩০৯১ জনকে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের পর গা ঢাকা দিয়েছিল মাদক ব্যবসায়ীরা। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসেবে গত ১৫ই মে থেকে ১৬ই জুলাই পর্যন্ত ওই অভিযানে নিহত হয়েছে ২০২ জন। অভিযান চলাকালে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে গেলেও আবার বাড়ছে মরণ নেশা মাদক-বাণিজ্য।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডা. মোহিত কামাল বলেন, অনেকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক নানা অসঙ্গতি, মানসিক চাপের কারণে মাদক গ্রহণ করেন। আবার কেউ কেউ কৌতূহল থেকে, কেউ অজ্ঞতার কারণে। স্লিম হওয়ার জন্য মাদক গ্রহণ করেন। শুধু আইন প্রয়োগ করে এই মরণ নেশার হাত থেকে সমাজকে রক্ষা করা কঠিন। এজন্য অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। সন্তাদের খোঁজখবর রাখতে হবে। তাদের সঙ্গে বন্ধুতা করতে হবে। সবাইকে সচেতভাবে এগিয়ে গেলে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে মাদক প্রতিরোধ সম্ভব বলেই মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি সোহেল রানা বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা যত কৌশল অবলম্বন করুক। পুলিশ এ বিষয়ে তৎপর রয়েছে। মাদক প্রতিরোধে পুলিশ সক্রিয়। প্রতিদিনই মাদক বিক্রেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মাদক জব্দ করা হচ্ছে। তবে মাদক প্রতিরোধের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সবাইকে সচেতনভাবে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
জুলাই মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫০ কোটি ৪৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদক দ্রব্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, মাদকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে ইয়াবা। চট্টগ্রাম-টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে জুলাই মাসে আমদানি করা ইয়াবার মধ্যে ২,৩৭,৭২৮ পিস জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও ৪,৩০১ বোতল বিদেশি মদ, ৩০০ লিটার বাংলা মদ, ৯৬৩ ক্যান বিয়ার, ২১,৭২৬ বোতল ফেনসিডিল, ১,১৪২ কেজি গাঁজা, দুই কেজি ৩০০ গ্রাম হেরোইন, ১,৪৭,৩০০টি এ্যানেগ্রা-সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ১৭,১৮০টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন জব্দ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় পরিচালিত এসব অভিযানে ১৫৬ জনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
মাদকের বিস্তার ঘটছিল ভয়াবহভাবে। প্রতি মাসে বিজিবির অভিযানেই ১২ থেকে ২১ লাখ ইয়াবা জব্দ হয়েছে। জানুয়ারি মাসে বিজিবির অভিযানে জব্দ করা হয়েছে ১২ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫৮ পিস ইয়াবা। ফেব্রুয়ারি মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৮৮ লাখ ১১ হাজার ৫১৯ পিসে। এপ্রিলে মাদক প্রতিরোধে তুলনামূলকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে যায়। তারপর মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয় অভিযান। ওই মাসে বিজিবির অভিযানে ৭ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৬ পিস ইয়াবা জব্দ হয়। অভিযানের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে মাদক বেচা-বিক্রি কমে যায়। ওই সময়ে কমে যায় মাদক আমদানিও। জুন মাসে বিজিবির অভিযানে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৮৩৮ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
সম্প্রতি আবার মাদক আমদানি বাড়ছে বলে সূত্রে জানা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার অলিতে-গলিতে ছিল মরণ নেশা মাদকের বিস্তার। মে মাসে অভিযানের আগে এপ্রিলে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে ১২১৫টি। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১৮৭৮ জনকে। ওই মাসে ঢাকায় ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৬২টি পিস ইয়াবা জব্দ করে পুলিশ। তার আগের মাস মার্চে মামলা হয় ১৪১৯টি। গ্রেপ্তার করা হয় ২০৫৫ জনকে। পুলিশের অভিযানে জব্দ করা হয় ৮ লাখ ৮২ হাজার ৩১৮ পিস ইয়াবা।
মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু হলে মে মাসে ঢাকায় জব্দ করা হয় ১২ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৬ পিস ইয়াবা। ওই মাসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয় ১৫৭১টি। গ্রেপ্তার করা হয় ২৬১৬ জনকে। মে মাসে অভিযানকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে আত্মগোপনে চলে যায় মাদক ব্যবসায়ীরা। তারপর জুন মাসে মাদক বিক্রেতারা ভিন্ন কৌশলে সক্রিয় ছিল। তবে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি ঢাকায় প্রায় বন্ধ ছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে। জুন মাসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয় ১৪৩৫টি। গ্রেপ্তার করা হয় ২৫৪২ জনকে। ওই মাসে ৩ লাখ ১৬ হাজার ২৯৭ পিস ইয়াবা জব্দ করে ডিএমপি পুলিশ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে মরণ নেশা মাদক বিক্রি। জুলাই মাসে ডিএমপি পুলিশের অভিযানে জব্দ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৫৭৬ পিস ইয়াবা। মামলা হয়েছে ১৬৩১টি। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩০৯১ জনকে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের পর গা ঢাকা দিয়েছিল মাদক ব্যবসায়ীরা। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসেবে গত ১৫ই মে থেকে ১৬ই জুলাই পর্যন্ত ওই অভিযানে নিহত হয়েছে ২০২ জন। অভিযান চলাকালে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে গেলেও আবার বাড়ছে মরণ নেশা মাদক-বাণিজ্য।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডা. মোহিত কামাল বলেন, অনেকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক নানা অসঙ্গতি, মানসিক চাপের কারণে মাদক গ্রহণ করেন। আবার কেউ কেউ কৌতূহল থেকে, কেউ অজ্ঞতার কারণে। স্লিম হওয়ার জন্য মাদক গ্রহণ করেন। শুধু আইন প্রয়োগ করে এই মরণ নেশার হাত থেকে সমাজকে রক্ষা করা কঠিন। এজন্য অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। সন্তাদের খোঁজখবর রাখতে হবে। তাদের সঙ্গে বন্ধুতা করতে হবে। সবাইকে সচেতভাবে এগিয়ে গেলে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে মাদক প্রতিরোধ সম্ভব বলেই মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি সোহেল রানা বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা যত কৌশল অবলম্বন করুক। পুলিশ এ বিষয়ে তৎপর রয়েছে। মাদক প্রতিরোধে পুলিশ সক্রিয়। প্রতিদিনই মাদক বিক্রেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মাদক জব্দ করা হচ্ছে। তবে মাদক প্রতিরোধের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সবাইকে সচেতনভাবে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
No comments