আন্ডারওয়ার্ল্ড-অ্যাওয়াকেনিং আবার ভ্যাম্পায়ার!

আন্ডারওয়ার্ল্ড। শুনলেই মনের পর্দায় ভেসে ওঠে আমাদের পরিচিত পৃথিবীর বাইরের অন্য এক জগৎ। যেখানে অপরাধের জগতের ‘ডন’দের বসবাস। খুনোখুনি যেখানে বাঁ হাতের খেল। আন্ডারওয়ার্ল্ড: অ্যাওয়াকেনিংও আমাদের অন্য এক জগতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। যদিও ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড’-এর পরিচিত সংজ্ঞা এখানে খাটে না।


আমাদের সাদা চোখের আড়ালে থাকা এই পৃথিবীতে অপরাধ জগতের ডনদের বসবাস নয়; সেখানে বাস করে ভ্যাম্পায়ার আর নেকড়ে-মানবেরা। আর আছে নেকড়ে-মানবদের উন্নত প্রজাতি লাইক্যান, যারা যেকোনো সময় মানুষের রূপ ধারণ করতে পারে, পারে নেকড়েও হয়ে যেতে। ভ্যাম্পায়ার আর নেকড়ে-মানবদের ‘ঐতিহাসিক’ লড়াইয়ের গল্প বানানো আন্ডারওয়ার্ল্ড সিরিজের চতুর্থ ছবি মুক্তি পেল গত সপ্তাহে। মুক্তির পরই টপচার্টের শীর্ষস্থান দখল করেছিল কেন বেকিনসেল অভিনীত আন্ডারওয়ার্ল্ড: অ্যাওয়াকেনিং।
ভ্যাম্পায়ার আর নেকড়ে-মানবদের লড়াইয়ের গল্প আছে টোয়ালাইট সিরিজেও। কিন্তু সেখানে মূল গল্পটা একজন রক্তমাংসের মানবীর সঙ্গে এক চির অমর, মহা শক্তিধর ভ্যাম্পায়ারের প্রেমের। আন্ডারওয়ার্ল্ড সিরিজেও প্রেম আছে। কিন্তু সেই প্রেম সেলেন নামের এক ভ্যাম্পায়ার তরুণীর সঙ্গে ভ্যাম্পায়ার-লাইক্যান মাইকেল করভিনের।
ছবির গল্পে দেখা যাবে, ভ্যাম্পায়ার আর লাইক্যানদের অস্তিত্ব সংকটের মুখে। মানুষ তাদের শত্রু গণ্য করে এই দুই প্রজাতিকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার ক্রুসেড ঘোষণা করেছে। মানুষের হাতে বন্দী সেলেন। সে জানে না করভিন এখন কোথায় আছে। বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে।
একসময় বন্দিদশা থেকে পালিয়ে মুক্তি পায় সেলেন। খুঁজে বের করে তাঁর স্বজাতিদের। ভ্যাম্পায়ারদের একটা অংশ প্রস্তুতি নিচ্ছে মানুষের আক্রমণ প্রতিরোধ করার, পাল্টা আঘাতের। অন্য আরেকটি অংশ মানুষের সঙ্গে লড়াইয়ে রাজি নয়। মানুষকে তারা বন্ধুই মনে করে, লড়াই তো তাদের আসলে নেকড়ে-মানবদের সঙ্গে। এই দ্বন্দ্বের মুখে নিজের ব্যক্তিগত ভালোবাসা, প্রেমের অস্তিত্বের টানাপোড়েন নিয়ে লড়াই করে সেলেন।
সাত কোটি ডলার বাজেটের এই ছবি মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রে আয় করেছে আড়াই কোটি ডলারেরও বেশি। আগের তিনটি পর্ব নিয়ে শুরুতেই দর্শকদের মধ্যে এমন আগ্রহ দেখা যায়নি। প্রযোজক তাই দ্বিধায় ছিলেন পঞ্চম পর্বটি করা হবে কি না, তা নিয়ে। কিন্তু আন্ডারওয়ার্ল্ড: অ্যাওয়াকেনিং-এর এমন সাফল্যের পর পঞ্চম পর্বটি না হওয়াই হবে বিস্ময়ের।
আন্ডারওয়ার্ল্ড: অ্যাওয়াকেনিং নিয়ে ছবির সমালোচকেরা নেতিবাচক রিভিউ দিলেও দর্শক-আগ্রহ অনেক বেড়েছে।
 রাজীব হাসান
তথ্য: হলিউড রিপোর্টার

No comments

Powered by Blogger.