রিতেশ-জেনেলিয়ার বিয়ে
‘আমরা স্রেফ ভালো বন্ধু। দয়া করে আমাদের মধ্যে অন্য কোনো সম্পর্ক খুঁজতে যাবেন না’—তারকাদের চিরাচরিত এই অধ্যায় পার করে বলিউডের রিতেশ দেশমুখ-জেনেলিয়া ডি সুজাও এবার বিয়ে করতে যাচ্ছেন। ১০ বছর আগে প্রথম পরিচয়, নয় বছর আগে প্রেম, অথচ মাত্র কিছুদিন আগে দুজন স্বীকার করলেন প্রণয়ের দীর্ঘ পথ পার করে এবার তাঁরা পরিণয়ের পথে পা বাড়াতে যাচ্ছেন। মানতেই হবে, দুজনই দারুণ চৌকস।
চরম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক গোপন রাখতে পেরেছেন। অবশ্য এখন কেউ পুরোনো কাসুন্দি ঘেঁটে সময় নষ্ট করতে চাইছেন না। সবার চোখ আগামীকালের দিকে। আগামীকালই দেশমুখ এবং ডি সুজা পরিবার সম্পর্কের জালে বন্দী হতে যাচ্ছেন। তার পরদিন গ্র্যান্ড হায়াতে আয়োজন করা হয়েছে বিয়ে-পরবর্তী সংবর্ধনা। অবশ্য গত সপ্তাহে ফারদিন খান ও প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা বিয়ে-পূর্ববর্তী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। বন্ধুদের রাতভর আড্ডা, আনন্দ-উল্লাসের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হবে আজ দুজনের সংগীত অনুষ্ঠানে। নির্মাতা করন জোহর এই পুরো অনুষ্ঠানের নির্দেশনার দায়িত্ব নিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, সংগীত অনুষ্ঠানে রিতেশ দেশমুখের পোশাক ডিজাইনও করেছেন করন। জায়েদ খান, ফারদিন খান, এমনকি হূতিক রোশনের ‘সারপ্রাইজ’ নাচ করার কথা এ রাতে। যদিও করন এসব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। নায়ক জ্যাকি ভাগনানির বাড়িতে চুপিসারে মহড়া চলছে বলিউড তারকাদের। কে বা কারা এ মহড়ায় অংশ নিচ্ছেন—জানতে পারছেন না রিতেশ-জেনেলিয়া কেউই। ‘সারপ্রাইজ’ বলে কথা!
রিতেশ দেশমুখ কমেডি ছবিতে নিজের নাম কায়েম করেছেন। ওদিকে জেনেলিয়া ডি সুজা পাঁচটি ভাষার ছবিতে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। দক্ষিণী ছবির এক নম্বর নায়িকা বললেও বাড়িয়ে বলা হবে না। এই দুই তারকার মনের মিলন হলো কী করে? জানতে চাইলে রিতেশ বলেন, ‘২০০২-এর কথা। হায়দরাবাদের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছিলাম আমাদের প্রথম ছবি তুঝে মেরি কসম-এর শুটিংয়ে অংশ নিতে। বিমানবন্দর থেকে নেমে দেখা হলো জেনির মায়ের সঙ্গে। পেছনে তাকিয়ে দেখি, জেনি বসা। আমাকে দেখে শুধু একটা শুকনো ‘হাই’। এরপর আর পাত্তাই নেই। ভাবলাম, এত ভাব দেখাচ্ছে কেন মেয়েটি? এভাবে কাজ করব কী করে?’ জেনেলিয়া হাসতে হাসতে বলেন, ‘ভাব দেখিয়েছিলাম ইচ্ছা করে। শুটিংয়ের দুই দিন আগে শুনলাম, রিতেশ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে। ভেবেছিলাম, রাজনীতিবিদ সন্তানদের চরিত্র যা হয়, রিতেশেরও বুঝি তাই। ও ভাব নেওয়ার আগে তাই আমিই...হা হা হা!’
‘দুই দিন কাজ করার পরই আমাদের বরফ গলে গেল’—জানালেন জেনেলিয়া, ‘আসলে আমরা আজ পর্যন্ত কেউ কাউকে ভালোবাসার কথা বলিনি। রিতেশ আমাকে আজ পর্যন্ত কোনো আংটি পরায়নি। সম্পর্কে উত্থান-পতন হয়েছে, তবে আমাদের বন্ধুত্বের হাতটি ছাড়িনি মুহূর্তের জন্যও।’ রিতেশের ভাষায়, ‘জেনেলিয়ার প্রেমে পড়া যায় এমন চিন্তা করারই কখনো সময় হয়নি। হায়দরাবাদে এক মাস স্বপ্নের মতো কেটেছে। আমি আমার অন্য পেশা স্থাপত্যবিদ্যা নিয়ে কথা বলতাম। জেনেলিয়া তখনো টিনএজার। ওর ক্লাস, পরীক্ষা—এসব নিয়ে টেনশন করত। মুম্বাইয়ে ফেরার পর প্রতিমুহূর্তে ওর সঙ্গ মিস করতাম। হয়তো এটাই প্রেম।’ দুজনের মধ্যে কেউই মাত্রাতিরিক্ত রোমান্টিক নয়—জানালেন জেনেলিয়া, ‘আমরা আমাদের ছোট ছোট মুহূর্তের মধ্য থেকেই বিশাল আনন্দ খুঁজে নিই। এই তো গেল থার্টি ফার্স্টের রাতে এক বন্ধুর বাড়ি থেকে ফিরছিলাম। হঠাৎ রিতেশ একটা কফি শপে গাড়ি ভেড়ায়। সেখানে দুই ঘণ্টা কফি খাওয়া, সুখ-দুঃখের গল্প করা, সত্যিই অসাধারণ!’
দুজনের চারিত্রিক ভালো-মন্দের কিসসা শুনতে চাইলে এগিয়ে আসেন রিতেশ, ‘জেনেলিয়ার সবকিছুই ভালো লাগে; বিশেষ করে ওর হাসি এবং জীবনীশক্তি। আমি যখন খুব ঝামেলায় থাকি, তখন জেনির হাসিই যথেষ্ট আমাকে চাঙা করে তুলতে। আমাদের প্রথম ছবি হিট হলেও আমরা তখন কেউই অভিনয় পারতাম না। বলার অপেক্ষা রাখে না, সময়ের বিবর্তনে এখন জেনেলিয়া আমার চেয়ে কয়েক গুণ ভালো করছে। ওর মন্দ দিক তেমন নেই, তবে আমি ওর স্মৃতিশক্তিকে চরম অপছন্দ করি। কোনো কিছুই ও ভোলে না।’ এবার জেনেলিয়ার পালা, ‘এ যুগে রিতেশের মতো মানুষ পাওয়া বিরল। আমি বরাবরই অস্থির, কিন্তু ওর কথা শুনতে সব সময়ই পছন্দ করতাম। বন্ধু হিসেবে ওর সঙ্গ প্রত্যাশা করতাম। ভালোবাসার অনুভূতি অনেক পরের ব্যাপার। অভিনেতা হিসেবে কে এগিয়ে তা সবাই জানেন, আমি আর কিছু বলছি না। রিতেশের সবচেয়ে অপছন্দ ওর ব্যস্ততা। ছুটির দিনেও ওকে কাজ করতে হবে, মিটিং করতে হবে। মাঝেমধ্যে মনে হয়, ও পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যস্ত মানুষ!
২৪ ফেব্রুয়ারি অনেক দিন পর রিতেশ-জেনেলিয়া জুটির ছবি তেরে নাল লাভ হো গ্যায়া মুক্তি পাচ্ছে। ছবির গান ইতিমধ্যেই হিট। বিয়ের পর কাজ প্রসঙ্গে রিতেশ বলেন, ‘এই যুগে এমন প্রশ্ন করা অবান্তর। জেনির ইচ্ছা হলে কাজ করবে। আমার কোনো সমস্যা নেই। জেনেলিয়া অবশ্য এখন থেকে বেছে বেছে কাজ করতে চান। গড়পড়তা কাজ করে সময় নষ্ট করতে চান না। সেই সময়টা দিতে চান নতুন সংসার গোছাতে।
রুম্মান রশীদ খান
[টাইমস অব ইন্ডিয়া, টিএনএন, মিড ডে, ফিল্মিক্যাফে, পর্দাফাঁস, সাউথএশিয়ামেইল ডট কম অবলম্বনে]
রিতেশ দেশমুখ কমেডি ছবিতে নিজের নাম কায়েম করেছেন। ওদিকে জেনেলিয়া ডি সুজা পাঁচটি ভাষার ছবিতে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। দক্ষিণী ছবির এক নম্বর নায়িকা বললেও বাড়িয়ে বলা হবে না। এই দুই তারকার মনের মিলন হলো কী করে? জানতে চাইলে রিতেশ বলেন, ‘২০০২-এর কথা। হায়দরাবাদের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছিলাম আমাদের প্রথম ছবি তুঝে মেরি কসম-এর শুটিংয়ে অংশ নিতে। বিমানবন্দর থেকে নেমে দেখা হলো জেনির মায়ের সঙ্গে। পেছনে তাকিয়ে দেখি, জেনি বসা। আমাকে দেখে শুধু একটা শুকনো ‘হাই’। এরপর আর পাত্তাই নেই। ভাবলাম, এত ভাব দেখাচ্ছে কেন মেয়েটি? এভাবে কাজ করব কী করে?’ জেনেলিয়া হাসতে হাসতে বলেন, ‘ভাব দেখিয়েছিলাম ইচ্ছা করে। শুটিংয়ের দুই দিন আগে শুনলাম, রিতেশ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে। ভেবেছিলাম, রাজনীতিবিদ সন্তানদের চরিত্র যা হয়, রিতেশেরও বুঝি তাই। ও ভাব নেওয়ার আগে তাই আমিই...হা হা হা!’
‘দুই দিন কাজ করার পরই আমাদের বরফ গলে গেল’—জানালেন জেনেলিয়া, ‘আসলে আমরা আজ পর্যন্ত কেউ কাউকে ভালোবাসার কথা বলিনি। রিতেশ আমাকে আজ পর্যন্ত কোনো আংটি পরায়নি। সম্পর্কে উত্থান-পতন হয়েছে, তবে আমাদের বন্ধুত্বের হাতটি ছাড়িনি মুহূর্তের জন্যও।’ রিতেশের ভাষায়, ‘জেনেলিয়ার প্রেমে পড়া যায় এমন চিন্তা করারই কখনো সময় হয়নি। হায়দরাবাদে এক মাস স্বপ্নের মতো কেটেছে। আমি আমার অন্য পেশা স্থাপত্যবিদ্যা নিয়ে কথা বলতাম। জেনেলিয়া তখনো টিনএজার। ওর ক্লাস, পরীক্ষা—এসব নিয়ে টেনশন করত। মুম্বাইয়ে ফেরার পর প্রতিমুহূর্তে ওর সঙ্গ মিস করতাম। হয়তো এটাই প্রেম।’ দুজনের মধ্যে কেউই মাত্রাতিরিক্ত রোমান্টিক নয়—জানালেন জেনেলিয়া, ‘আমরা আমাদের ছোট ছোট মুহূর্তের মধ্য থেকেই বিশাল আনন্দ খুঁজে নিই। এই তো গেল থার্টি ফার্স্টের রাতে এক বন্ধুর বাড়ি থেকে ফিরছিলাম। হঠাৎ রিতেশ একটা কফি শপে গাড়ি ভেড়ায়। সেখানে দুই ঘণ্টা কফি খাওয়া, সুখ-দুঃখের গল্প করা, সত্যিই অসাধারণ!’
দুজনের চারিত্রিক ভালো-মন্দের কিসসা শুনতে চাইলে এগিয়ে আসেন রিতেশ, ‘জেনেলিয়ার সবকিছুই ভালো লাগে; বিশেষ করে ওর হাসি এবং জীবনীশক্তি। আমি যখন খুব ঝামেলায় থাকি, তখন জেনির হাসিই যথেষ্ট আমাকে চাঙা করে তুলতে। আমাদের প্রথম ছবি হিট হলেও আমরা তখন কেউই অভিনয় পারতাম না। বলার অপেক্ষা রাখে না, সময়ের বিবর্তনে এখন জেনেলিয়া আমার চেয়ে কয়েক গুণ ভালো করছে। ওর মন্দ দিক তেমন নেই, তবে আমি ওর স্মৃতিশক্তিকে চরম অপছন্দ করি। কোনো কিছুই ও ভোলে না।’ এবার জেনেলিয়ার পালা, ‘এ যুগে রিতেশের মতো মানুষ পাওয়া বিরল। আমি বরাবরই অস্থির, কিন্তু ওর কথা শুনতে সব সময়ই পছন্দ করতাম। বন্ধু হিসেবে ওর সঙ্গ প্রত্যাশা করতাম। ভালোবাসার অনুভূতি অনেক পরের ব্যাপার। অভিনেতা হিসেবে কে এগিয়ে তা সবাই জানেন, আমি আর কিছু বলছি না। রিতেশের সবচেয়ে অপছন্দ ওর ব্যস্ততা। ছুটির দিনেও ওকে কাজ করতে হবে, মিটিং করতে হবে। মাঝেমধ্যে মনে হয়, ও পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যস্ত মানুষ!
২৪ ফেব্রুয়ারি অনেক দিন পর রিতেশ-জেনেলিয়া জুটির ছবি তেরে নাল লাভ হো গ্যায়া মুক্তি পাচ্ছে। ছবির গান ইতিমধ্যেই হিট। বিয়ের পর কাজ প্রসঙ্গে রিতেশ বলেন, ‘এই যুগে এমন প্রশ্ন করা অবান্তর। জেনির ইচ্ছা হলে কাজ করবে। আমার কোনো সমস্যা নেই। জেনেলিয়া অবশ্য এখন থেকে বেছে বেছে কাজ করতে চান। গড়পড়তা কাজ করে সময় নষ্ট করতে চান না। সেই সময়টা দিতে চান নতুন সংসার গোছাতে।
রুম্মান রশীদ খান
[টাইমস অব ইন্ডিয়া, টিএনএন, মিড ডে, ফিল্মিক্যাফে, পর্দাফাঁস, সাউথএশিয়ামেইল ডট কম অবলম্বনে]
No comments