বিএনপিকে অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে- দেশ ধ্বংসের আন্দোলন!
১৮-দলীয় জোটের প্রধান শরিক বিএনপি দাবি করে আসছে যে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর ধ্বংসাত্মক আন্দোলন ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড তারা সমর্থন করে না। তারা ‘শান্তিপূর্ণ’ আন্দোলন করছে সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে।
কিন্তু দলটি নিজেদের যৌক্তিক আন্দোলনকে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসের কাছে জিম্মি করে ফেলেছে বলেই প্রতীয়মান হয়। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে ভিডিও বার্তা বা বিবৃতির মাধ্যমে বিএনপির নেতারা কর্মসূচি ঘোষণার পরপরই বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারদের হত্যা, নৈরাজ্য ও নাশকতা শুরু হয়ে যায়। দুর্ভাগ্যজনক যে, বিরোধী দলের ‘শান্তিপূর্ণ’ অবরোধ কর্মসূচি শুধু জনগণের অবর্ণনীয় দুর্ভোগই সৃষ্টি করেনি, বহু প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞেরও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশেষ করে আবদুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর থেকে জামায়াতে ইসলামী সারা দেশে হত্যা, নৈরাজ্য ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। সরকারি স্থাপনা, পুলিশের যানবাহন, যাত্রীবাহী গণপরিবহন ও ট্রেনে চোরাগোপ্তা হামলা চালানোর পাশাপাশি তারা সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে, যা একাত্তরে দলটির মানবতাবিরোধী অপরাধের কথাই মনে করিয়ে দেয়।
বিশেষ করে আবদুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর থেকে জামায়াতে ইসলামী সারা দেশে হত্যা, নৈরাজ্য ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। সরকারি স্থাপনা, পুলিশের যানবাহন, যাত্রীবাহী গণপরিবহন ও ট্রেনে চোরাগোপ্তা হামলা চালানোর পাশাপাশি তারা সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে, যা একাত্তরে দলটির মানবতাবিরোধী অপরাধের কথাই মনে করিয়ে দেয়।
নীলফামারী জেলার এরকম একটি আক্রান্ত সংখ্যালঘু এলাকা পরিদর্শন শেষে গত শনিবার ঢাকায় ফেরার পথে স্থানীয় সাংসদ ও জনপ্রিয় অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলা চালায় জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা। তাদের নিবৃত্ত করতে পুলিশ অভিযান চালালে, তারাও পাল্টা আঘাত হানে এবং দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। এটি চোরাগোপ্তা নয়, পরিকল্পিত হামলা।
এখানে সরকারের ব্যর্থতার দিকটিও স্পষ্ট। কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর জামায়াতে ইসলামী যে আরও ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হতে পারে, সেটি কি সরকারের নীতিনির্ধারকেরা জানতেন না? জানলে কেন তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলেন না?
প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে বুঝতে হবে যে, তাদের কাঁধে ভর করে মৌলবাদী জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও এর জনগণের বিরুদ্ধে আক্রোশমূলক সহিংসতায় লিপ্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা একাত্তরে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চাইছে। এখন বিএনপিকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা সেই যুদ্ধে কোন পক্ষে থাকবে?
No comments