ঐক্যই পারে বিজয়কে সুসংহত করতে by সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক
মুক্তিযুদ্ধের
সময়কাল এক কথায় নয় মাস, সূক্ষ্ম হিসেবে ২৬৬ দিন। প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ১৯৪৮
সাল থেকেই স্বাধীন পাকিস্তানের ভেতর থেকে ভিন্ন আঙ্গিকের চেতনার জন্ম।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬১-৬২ সালের সামরিক আইনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২-৬৩
সালের শিক্ষানীতিবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৮ সালের
আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণআন্দোলন ইত্যাদি সবকিছুই মুক্তিযুদ্ধের
প্রেক্ষাপট রচনার সহায়ক হয়েছে। অর্থাৎ হঠাৎ করেই ১৯৭১-এ সশস্ত্র
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়নি, এর একটি প্রেক্ষাপট ক্রমান্বয়ে সৃষ্টি হচ্ছিল। ৭
মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এবং ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র
থেকে তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণায় মুক্তিযুদ্ধ
আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। তবে ২৫ মার্চ ১৯৭১ দিবাগত রাত ১২টার পরই প্রত্যক্ষ
সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। ক্রমান্বয়ে ভারতের সাহায্য-সহযোগিতা
বৃদ্ধি পায়। অক্টোবরে মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার ও ভারত
সরকারের মধ্যে একটা গোপন চুক্তি হয়। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে পরোক্ষ
সহযোগিতার মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল। ডিসেম্বরের ৩ তারিখ থেকে ভারত ও
পাকিস্তান প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ভারত ও পাকিস্তান বলতে পশ্চিম
পাকিস্তান ও ভারত সীমান্তে এবং পূর্ব পাকিস্তান ও ভারত সীমান্তে যুদ্ধ শুরু
হয়। ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর অপরাহ্ন ৪টা পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব
পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় সামরিক বাহিনী ও পাকিস্তানি সামরিক
বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ হয়। যুগপৎভাবে ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর
মুক্তিযোদ্ধারা যথা- ‘জেড’ ফোর্স, ‘এস’ ফোর্স, ‘কে’ ফোর্স এবং বিভিন্ন
সেক্টরের সেক্টর ট্র–পসগণ ভারতীয় বাহিনীর যুদ্ধের সাংগঠনিক কাঠামোর সঙ্গে
তাল মিলিয়ে (সামরিক পরিভাষায় অর্ডার অব ব্যাটল) যৌথ কমান্ডের অধীনে যুদ্ধে
অংশগ্রহণ করে। অর্থাৎ মুক্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা, যারা সারা বাংলাদেশে
গ্রামে-গঞ্জে শহরে নগরে ছড়িয়ে থেকে যুদ্ধরত ছিলেন তারা, বিগত মাসগুলোর মতো
প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক গেরিলা তৎপরতা অব্যাহত রাখেন। সার্বিকভাবে ভারতীয় ও
মুক্তিবাহিনীর আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ডের ফলে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার
বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের রেকর্ড ও ছবি অনুযায়ী পাকিস্তানিদের পক্ষে আত্মসমর্পণ করেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার লে. জেনারেল এএকে নিয়াজি এবং আত্মসমর্পণ গ্রহণ করেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা। সেই অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি তৎকালীন কর্নেল এমএজি ওসমানী উপস্থিত ছিলেন না (বা তাকে উপস্থিত রাখা হয়নি)। তার কোনো প্রতিনিধিকেও আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট করা হয়নি। অর্থাৎ বিষয়টিকে এমনভাবে সাজানো হয়েছিল যে, ১৩ দিনের দীর্ঘ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ সমাপ্ত হয়েছে এবং ওই যুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানিরা বিজয়ী ভারতীয়দের কাছে আত্মসমর্পণ করছে। ১৬ ডিসেম্বর অপরাহ্নে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সফলভাবেই মুক্তিবাহিনীর অবদান ও সাফল্যকে মার্জিনালাইজড করে দেয়। দু’বছর পর সিমলায় অনুষ্ঠিত আলোচনার পর যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, সেই চুক্তির ফলেও বাংলাদেশের মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে মার্জিনালাইজড করে ফেলা হয়েছিল। এখন ৪২ বছর পর পুরো স্বাধীনতাটাকেই মার্জিনালাইজড করে ফেলার প্রক্রিয়া উৎকটভাবে প্রতিফলিত।
২.
আজকের বিজয় দিবসে আমাদের হৃদয় আপ্লুত। দেশমাতৃকার মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমাদের সবার মাঝে যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য ছিল, আজ সে ঐক্য ম্লান হয়ে গেছে। দেশ আজ দু’ভাগে বিভক্ত। কথাটি হাজারো লোকে বলছেন। অনেক বছর আগে বিএনপি সরকারের অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানও বলতেন, ওয়ান কান্ট্রি টু নেশন। দেশ যে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল, এটি কি পরিকল্পিত নাকি অপরিকল্পিত? আমার মতে, এটা কিছুটা পরিকল্পিত কিছুটা অপরিকল্পিত। পরিকল্পিত অংশের সূক্ষ্ম পরিকল্পনাকারী এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী হচ্ছে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রধান নেতৃত্ব প্রদানকারী রাজনৈতিক দল এবং সেই রাজনৈতিক দলের অনুসারী সুধী সমাজ। এরূপ বিভাজিত জাতির জন্য স্থিতিশীল ধারাবাহিক অগ্রগতি অথবা অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় স্থিতিশীলতা আনা কঠিন কাজ। বিভাজিত জাতির দুটি ভাগের বৈশিষ্ট্যগুলো উৎকটভাবেই বিপরীতমুখী। একভাগ ভারত পছন্দের আরেক ভাগ ভারত অপছন্দের। যারা ভারত পছন্দের, তারা অপর ভাগকে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি বলে। আজকের বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি। অথচ ১৯৭১ সালে জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি। যেসব লোক ১৯৭১ সালে বয়স ও লেখাপড়ার কারণে পরিপক্ব জ্ঞানসম্পন্ন ছিলেন এবং নিজের স্বাধীন মত গঠন করে স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিলেন এবং এখনও বেঁচে আছেন, এরূপ লোকের সংখ্যা আজকের তারিখে কত হতে পারে? ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী দেশের এ মুহূর্তের জনগোষ্ঠীতে ৬০ বছরের ওপরের জনসংখ্যা হার ২০ শতাংশের কম। আমার মতে, বর্তমানে মাত্র ১৫-২০ হাজার ব্যক্তি পাওয়া যাবে, যারা স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি ছিল। এই ১৫-২০ হাজার ব্যক্তির জন্য আজ আমরা পুরো জাতিকে বিভাজিত করে রেখেছি, যা কখনোই কাম্য হতে পারে না।
জাতিকে বিভাজন করার যে চেষ্টা অতীতে চালু হয়েছিল, সেটি আজ পরিপক্বতা পেয়েছে। জাতিকে বিভাজন না করেও ১৯৭১ সালের বিজয়ের চেতনাকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা গুরুত্ব পায়নি বলে আমার মনে হয়। আজ বিজয়ের ৪২ বছর পর তাই বিজয় দিবসের তাৎপর্য বিশেষ মনোযোগের দাবিদার।
৩.
১৯৭১ সালে কার ওপর কিসের বিজয় ছিল? দর্শনীয়ভাবে, পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের ওপর বিজয় অর্জন করেছিল মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর যৌথ কমান্ড। দর্শনীয়ভাবে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের ওপর বিজয় অর্জন করেছিল ভারত ও বাংলাদেশ নামক দুটি রাষ্ট্র যৌথভাবে। দার্শনিক বা তত্ত্বীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে : (এক) পাকিস্তানি সামরিক শাসন তথা স্বৈরশাসনের ওপর বিজয় অর্জন করেছিল বাংলাদেশের জনগণের শক্তি ও ইচ্ছা। (দুই) পাকিস্তানি অগণতান্ত্রিক অভ্যাস ও রেওয়াজের বিপরীতে বিজয় অর্জন করেছিল গণতান্ত্রিক অভ্যাস ও চিন্তা-চেতনা। (৩) পশ্চিম পাকিস্তানিদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তান বাঙালি জনগোষ্ঠী কর্তৃক পরিচালিত প্রতিবাদের বিজয় হয়। (৪) পাকিস্তান সরকার ও শাসকগোষ্ঠী শান্তি ও সাম্য
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের রেকর্ড ও ছবি অনুযায়ী পাকিস্তানিদের পক্ষে আত্মসমর্পণ করেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার লে. জেনারেল এএকে নিয়াজি এবং আত্মসমর্পণ গ্রহণ করেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা। সেই অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি তৎকালীন কর্নেল এমএজি ওসমানী উপস্থিত ছিলেন না (বা তাকে উপস্থিত রাখা হয়নি)। তার কোনো প্রতিনিধিকেও আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট করা হয়নি। অর্থাৎ বিষয়টিকে এমনভাবে সাজানো হয়েছিল যে, ১৩ দিনের দীর্ঘ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ সমাপ্ত হয়েছে এবং ওই যুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানিরা বিজয়ী ভারতীয়দের কাছে আত্মসমর্পণ করছে। ১৬ ডিসেম্বর অপরাহ্নে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সফলভাবেই মুক্তিবাহিনীর অবদান ও সাফল্যকে মার্জিনালাইজড করে দেয়। দু’বছর পর সিমলায় অনুষ্ঠিত আলোচনার পর যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, সেই চুক্তির ফলেও বাংলাদেশের মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে মার্জিনালাইজড করে ফেলা হয়েছিল। এখন ৪২ বছর পর পুরো স্বাধীনতাটাকেই মার্জিনালাইজড করে ফেলার প্রক্রিয়া উৎকটভাবে প্রতিফলিত।
২.
আজকের বিজয় দিবসে আমাদের হৃদয় আপ্লুত। দেশমাতৃকার মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমাদের সবার মাঝে যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য ছিল, আজ সে ঐক্য ম্লান হয়ে গেছে। দেশ আজ দু’ভাগে বিভক্ত। কথাটি হাজারো লোকে বলছেন। অনেক বছর আগে বিএনপি সরকারের অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানও বলতেন, ওয়ান কান্ট্রি টু নেশন। দেশ যে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল, এটি কি পরিকল্পিত নাকি অপরিকল্পিত? আমার মতে, এটা কিছুটা পরিকল্পিত কিছুটা অপরিকল্পিত। পরিকল্পিত অংশের সূক্ষ্ম পরিকল্পনাকারী এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী হচ্ছে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রধান নেতৃত্ব প্রদানকারী রাজনৈতিক দল এবং সেই রাজনৈতিক দলের অনুসারী সুধী সমাজ। এরূপ বিভাজিত জাতির জন্য স্থিতিশীল ধারাবাহিক অগ্রগতি অথবা অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় স্থিতিশীলতা আনা কঠিন কাজ। বিভাজিত জাতির দুটি ভাগের বৈশিষ্ট্যগুলো উৎকটভাবেই বিপরীতমুখী। একভাগ ভারত পছন্দের আরেক ভাগ ভারত অপছন্দের। যারা ভারত পছন্দের, তারা অপর ভাগকে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি বলে। আজকের বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি। অথচ ১৯৭১ সালে জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি। যেসব লোক ১৯৭১ সালে বয়স ও লেখাপড়ার কারণে পরিপক্ব জ্ঞানসম্পন্ন ছিলেন এবং নিজের স্বাধীন মত গঠন করে স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিলেন এবং এখনও বেঁচে আছেন, এরূপ লোকের সংখ্যা আজকের তারিখে কত হতে পারে? ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী দেশের এ মুহূর্তের জনগোষ্ঠীতে ৬০ বছরের ওপরের জনসংখ্যা হার ২০ শতাংশের কম। আমার মতে, বর্তমানে মাত্র ১৫-২০ হাজার ব্যক্তি পাওয়া যাবে, যারা স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি ছিল। এই ১৫-২০ হাজার ব্যক্তির জন্য আজ আমরা পুরো জাতিকে বিভাজিত করে রেখেছি, যা কখনোই কাম্য হতে পারে না।
জাতিকে বিভাজন করার যে চেষ্টা অতীতে চালু হয়েছিল, সেটি আজ পরিপক্বতা পেয়েছে। জাতিকে বিভাজন না করেও ১৯৭১ সালের বিজয়ের চেতনাকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা গুরুত্ব পায়নি বলে আমার মনে হয়। আজ বিজয়ের ৪২ বছর পর তাই বিজয় দিবসের তাৎপর্য বিশেষ মনোযোগের দাবিদার।
৩.
১৯৭১ সালে কার ওপর কিসের বিজয় ছিল? দর্শনীয়ভাবে, পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের ওপর বিজয় অর্জন করেছিল মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর যৌথ কমান্ড। দর্শনীয়ভাবে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের ওপর বিজয় অর্জন করেছিল ভারত ও বাংলাদেশ নামক দুটি রাষ্ট্র যৌথভাবে। দার্শনিক বা তত্ত্বীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে : (এক) পাকিস্তানি সামরিক শাসন তথা স্বৈরশাসনের ওপর বিজয় অর্জন করেছিল বাংলাদেশের জনগণের শক্তি ও ইচ্ছা। (দুই) পাকিস্তানি অগণতান্ত্রিক অভ্যাস ও রেওয়াজের বিপরীতে বিজয় অর্জন করেছিল গণতান্ত্রিক অভ্যাস ও চিন্তা-চেতনা। (৩) পশ্চিম পাকিস্তানিদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তান বাঙালি জনগোষ্ঠী কর্তৃক পরিচালিত প্রতিবাদের বিজয় হয়। (৪) পাকিস্তান সরকার ও শাসকগোষ্ঠী শান্তি ও সাম্য
No comments