মুক্তির মন্দির সোপানতলে কত প্রাণ হল বলিদান by মহিউদ্দিন আহমদ

মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল জাফর ইমাম বীরবিক্রমের এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় গত ৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত দিবস উদযাপনের দুই ঘণ্টার ছোট অনুষ্ঠানটিতে এত সব মুক্তিযোদ্ধার উপস্থিতি এবং অংশগ্রহণ আমাকে প্রবলভাবেই উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করে! মাঝারি সাইজের একটি বসার ঘরে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের উপাধিধারী এতজন মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের ৪২ বছর পরও তাদের অম্লান সব স্মৃতি। এরা সবাই ফেনী-বিলোনীয়া রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। নামগুলো দেখুন- মেজর জেনারেল হেলাল মোরশেদ খান বীরবিক্রম, বাড়ি সিরাজগঞ্জ; মেজর জেনারেল ইমামুজ্জামান বীরবিক্রম, বাড়ি সিলেট; মেজর মিজানুর রহমান, বাড়ি ফরিদপুর; কমোডর এ. ডব্লিউ চৌধুরী বীরউত্তম-বীরবিক্রম (বাংলাদেশে এই একজন মুক্তিযোদ্ধারই দুটি খেতাব রয়েছে), বাড়ি ফুলগাজী; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মীরন হামিদুর রহমান বীরপ্রতীক আর কর্নেল জাফর ইমাম বীরবিক্রম হোস্ট হিসেবে ছিলেনই। তবে উপস্থিত ছিলেন না কোনো কারণে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদুল ইসলাম বীরপ্রতীক, বাড়ি ফুলগাজীতে আমার পাশের গ্রাম পূর্ব বসিকপুরের এবং সিভিলিয়ান কমান্ডারদের একজন, ‘বায়রা’র সাবেক সভাপতি, গোলাম মোস্তফা, পাশের আরেক গ্রাম দরবারপুরের। আমার পাশের আরেক গ্রাম হাসানপুরের মেজর জেনারেল আমীন আহমেদ চৌধুরী বীরবিক্রম এক বছর আগে অপ্রত্যাশিতভাবে মারা গেছেন। তার বাড়ি ফেনীতে হলেও তিনি অবশ্য এই সেক্টরে যুদ্ধ করেননি।
’৭১-এ লন্ডনে ছিলাম, মুক্তিযুদ্ধের কোনো ফ্রন্টে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করিনি। কিন্তু তারপরও কর্নেল জাফর ইমাম প্রতি বছরই আমাকে দাওয়াত দেন। আমি আগ্রহের সঙ্গেই দাওয়াত গ্রহণ করি, অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করি, এই সব মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিচারণ শুনতে। স্মৃতিচারণে তারা অনেক শহীদের কথাও বললেন। শ্রদ্ধার সঙ্গে তারা স্মরণ করলেন শহীদ হাবিলদার এআর আহমেদ বীরবিক্রম, শহীদ হাবিলদার বায়েজেদুর রহমান, শহীদ মোসলেহ আহমেদ কচি এবং শহীদ মোশাররফ হোসেন হারুনের কথা।
এই বছর বিশেষভাবে দাওয়াত করা হয়েছিল প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসাকেও। তার গ্রামের বাড়িও আমাদের বাড়ির পাশে কুতুবপুর। আমার নুরপুর গ্রামের মাইল তিনেক উত্তরে জাফর ইমামদের নোয়াপুর গ্রাম। তার মাইলখানেক উত্তরে বেগম খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়ি, শ্রীপুর, ফুলগাজী উপজেলা সদর থেকে মাইলখানেক পশ্চিমে। তার মাইলখানেক পশ্চিমে চোত্তাখোলা-ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের একটি বাজার। এখানেই বছর তিনেক আগে আমাদের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি মুক্তিযুদ্ধ পার্ক নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে এসেছিলেন। ত্রিপুরা সরকার তিন বছরের মধ্যে এই পার্কটির নির্মাণ সমাপ্ত করার কথা ছিল। আরও কথা ছিল, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পার্কটি উদ্বোধন করবেন। ’৭১-এ এই চোত্তাখোলায় হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধার, বিশেষ করে তখনকার ফেনী সাবডিভিশনের, প্রাথমিক ‘প্রসেসিং’ সম্পন্ন হয়েছিল। এখান থেকে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে ট্রেনিংয়ের জন্য পাঠানো হয় একাত্তরে। ত্রিপুরার মেলাঘর যেমন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল, চোত্তাখোলারও কাছাকাছি একটি স্থান ছিল।
কর্নেল জাফর ইমাম ডাক নাম হুমায়ুন, তখন একজন ক্যাপ্টেন, তখনকার সেক্টর কমান্ডার মেজর খালেদ মোশাররফের অধীনে একজন সাব-সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। ফেনী পাইলট স্কুলে ছাত্রজীবনে দারুণ দুরন্ত ছিলেন হুমায়ুন। বাবা-চাচা দুজনই রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন, বাবা শেখ ওয়াহিদউল্লাহ চৌধুরী মুসলিম লীগ রাজনীতির সঙ্গে। মনে আছে ১৯৫৪-তে যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী, মূসা ভাই, এবিএম মূসার মামা এবং শ্বশুর এবং তখনকার পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক আবদুস সালামের বিপরীতে মুসলিম লীগ প্রার্থী ছিলেন শেখ ওয়াহিদ উল্লাহ। হুমায়ুনের চাচা ছিলেন শেখ নুরুল্লাহ, সেই জামানায় দারুণ প্রতাপশালী ইউনিয়ন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। পাশের ইউনিয়ন বোর্ড, তখন বোর্ডই বলা হতো- আনন্দপুরের প্রেসিডেন্ট হোসেনউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন মেজর জেনারেল আমীন আহমেদ চৌধুরী বীরবিক্রম এবং ফেনী জেলা পরিষদ প্রশাসক আজিজ আহমেদ চৌধুরীদের (গোলাপ ভাই) দাদা। একাত্তরে এই হোসেনউদ্দিন চৌধুরী তার বাড়িতে আরও কয়েকজনসহ শহীদ হয়েছিলেন। ফেনী শহরে মিজান ময়দান রোডে শেখ ওয়াহিদউল্লাহ চৌধুরীদের পাশেই স্টেশন রোডে শহীদ হোসেনউদ্দিন চৌধুরীর বাসা ছিল। এখন দুই জায়গাতেই মার্কেট; তবে শহীদ হোসেন চৌধুরীর বিপণিবিতান বেশি পরিচিত।
দুই.
ফেনীর একটু জিওগ্রাফি এবং বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকজনের নাম এখানে উল্লেখ করার মুখ্য উদ্দেশ্য হল, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য কর্তৃক তিন দিক পরিবেষ্টিত ‘ফেনী-বিলোনীয়া বাল্জ’ নামে পরিচিত এই জায়গাটিতে ’৭১-এ কতগুলো প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়েছিল। কর্নেল জাফর ইমামের বর্ণনা মতে, এই যুদ্ধগুলোর কথা কতগুলো দেশের সামরিক একাডেমিতেও পড়ানো হয়ে থাকে।
কর্নেল জাফর ইমামের বাসায় আমি এই বীরউত্তম এবং বীরবিক্রমদের মুখে ফেনী বিলোনীয়া রণাঙ্গনের স্মৃতির কথা শুনি আর অভিভূত হয়ে পড়ি। লক্ষ্য করুন, যুদ্ধটা হচ্ছে ফেনীর কতগুলো রণাঙ্গনে, কিন্তু এখানে যুদ্ধ করেছেন সিরাজগঞ্জের জেনারেল হেলাল মোরশেদ খান, সিলেটের জেনারেল ইমামুজ্জামান এবং ফরিদপুরের মেজর মিজান। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের এসব মানুষকে ফেনীর যুদ্ধে এমন সরাসরি সশস্ত্র অংশগ্রহণে দেখতে পাই, যদিও ফেনী জায়গাটা তাদের নয়, তাদের বাবা-মা, ভাইবোন কারও জন্মও এখানে নয়, এখানে তাদের দাদা-দাদি, মামা-মামির কবরও নেই। তারপরও তারা মনে করেছেন আক্রান্ত বাংলাদেশের প্রতিটি ইঞ্চি জমিই তাদের, সুতরাং জানপ্রাণ দিয়েই তাদের প্রতিটি পবিত্র ইঞ্চি রক্ষা করতে হবে, শত্র“কে পবিত্র ভূমি থেকে তাড়াতে হবে। দেশপ্রেমের এই গভীর বোধ থেকে সেদিন ’৭১-এ তারা তাড়িত হয়েছিলেন, এই বোধ থেকে তারা গভীর ঐক্য গড়ে তুলেছিলেন। ’৭১-এর এই ঐক্যে আমরা দেখি, সিলেট-ফেনীর মধ্যে তারা ফারাক দেখেননি, ফারাক করেননি জেনারেল ইমামুজ্জামান। সিরাজগঞ্জ-ফেনীর মধ্যে একই মায়ের ছবি দেখেছেন জেনারেল হেলাল মোরশেদ খান। মুসলিম লীগ পরিবারে জন্ম নেয়া কর্নেল জাফর ইমাম বীরবিক্রম যেমন উজ্জীবিত হয়ে ’৭১-এ যুদ্ধ করেছেন, তেমন যুদ্ধ করেছেন ফেনী শহরের পাশের বাড়ির অরাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেয়া মেজর জেনারেল আমীন আহমেদ চৌধুরী বীরবিক্রম।
বলতেই হয়, ‘বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রিস্টান, বাংলার মুসলমান- আমরা সবাই বাঙালি’ এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েই সেদিন বাংলাদেশের প্রায় দুই লাখ সন্তান ফেনী, সিলেট, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম যুদ্ধ করেছেন, ১৬ ডিসেম্বর অনেক দিনের প্রত্যাশিত বিজয়টি অর্জন করেছিলেন।
তিন.
বিভিন্ন মতবাদ এবং ধারার তরুণরা ’৭১-এ কেমন উদ্দীপিত হয়েছিল, ঐক্য গড়ে তুলেছিল, তার একটি উৎকৃষ্ট বর্ণনা দেখেছিলাম বছর দুই আগে শহীদুল হক খান বাদলের একটি ছোট লেখায়। বাদলের কোনো লেখা আমি আগে পড়েছি বলে মনে পড়ে না। তবে একাত্তরে শহীদুল হক খান বাদলের ভূমিকার যথার্থ কতগুলো বর্ণনা আছে জাহানারা ইমামের সেই অসাধারণ বই ‘একাত্তরের দিনগুলিতে’। বাদল এবং শহীদ রুমি, বদি এবং আশফাকুস সামাদদের এই গ্র“পটি ’৭১-এ ঢাকায় বেশ কতগুলো সাহসী অভিযান চালিয়েছিল। জাহানারা আপা জীবিতকালে তার এলিফ্যান্ট রোডের ‘কণিকা’ নামের বাড়িটির দোতলায় তার বাসায় ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় অনেকবার বর্ণনা করেছেন বাদলদের কথায়। তার আমেরিকা প্রবাসী ছোট ছেলে জামী এখনও যখন দেশে আসে, বাদলের বাসাতেই ওঠে থাকে। রুমী যেমন মা ডাকত জাহানারা ইমামকে; বাদল, বদি, সামাদ-আজাদ-শাহাদাত চৌধুরীরাও জাহানারা আপাকে তাই ডাকত। তো বাদল লিখেছেন তার আলোচ্য লেখায়- বাদলরা করত ছাত্র ইউনিয়ন, আর বদি করত এনএসএফ- ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ফেডারেশন। আয়ুব খান-মোনেম খানদের গুন্ডা ছাত্র সংগঠন। বাদলের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল সালেক, তার এক বন্ধু স্বপন। তারা কোনো এক জায়গায় ফিজিক্যাল ট্রেনিং নিত। ’৭১-এর ২৫ মার্চের পর যখন কারফিউ প্রত্যাহার করা হল, তখন বদি এলো বাদলের কাছে, সঙ্গে সালেক এবং স্বপন। বদিকে দেখে বাদল স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা আতংকিত বোধ করে। পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষায় দীক্ষিত এনএসএফের সদস্য বদি; আর বাদলরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। বদির পাশে বাদলের বন্ধু মালেককে দেখে কিছুটা আশ্বস্তও বোধ করে বাদল। কিন্তু বাদলকে উদ্দেশ করে বদি বলে, listen you, commies (commies মানে communists) সশস্ত্র বিপ্লবের কথা বল তোমরা, কিন্তু কোথায় বিপ্লব?let's go and fight. বদির এমন আহ্বানের জন্য অপ্রস্তুত বাদল, স্তম্ভিত হয়। চোখে মুখে বাদলের অবিশ্বাস।
বাদলের দ্বিধাদ্বন্দ্ব বুঝতে পারে বদি। পকেট থেকে ব্লেড বের করে বদি, তার এবং বাদলের কব্জিতে একটু আঁচড় দেয়। দুজনের কব্জি থেকে একটু রক্ত বের হয়। দুই কব্জির রক্ত মিলিয়ে বদি এবার বাদলকে বলে, From today, we are blood brothers. let's go and fight. একাত্তরে এই দুই যোদ্ধার একজন, বদি শহীদ হয়; আর বাদল, রাশেদ খান মেননদের ছোট ভাই শহীদুল হক খান বাদল, অসাধারণ মেধাবী একজন ছাত্র- এসএসসি এবং এইচএসসিতে ঢাকা বোর্ডের প্রথম স্থান অধিকারী এবং যুদ্ধশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিকস ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্সে ফার্¯¡ ক্লাস ফার্স্ট, কিন্তু এমএসসি করেননি একটি গুরুতর বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে। সে আরেক কাহিনী। ইংরেজি দৈনিক ‘নিউএজ’ এর প্রকাশক শহীদুল খান বাদল একেবারেই প্রচারবিমুখ। মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা, অবদান ইত্যাদি বিষয়ে কত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, কত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, কত কিসিমের এবং বর্ণের কাহিনী টিভি এবং পত্রপত্রিকায় সাক্ষাৎকার ছড়াচ্ছে! কিন্তু আমি যে কত বছর ধরে কতগুলো পত্রিকা পড়ি, এতগুলো টিভি চ্যানেল দেখি, কোনো দিন শহীদুল খান বাদলকে কোথাও দেখিনি।
চার.
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, কাদের মোল্লার ফাঁসিও হয়ে গেছে। আজ এই বিশেষ দিনে জাহানারা ইমামকে খুব মনে পড়ছে।
১৯৯২ সালের মার্চের শুরু থেকে গোলাম আযম এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে অনেক সভা, সমিতিতে অনুষ্ঠান হয়। এসব অনুষ্ঠানে তখন বিরোধীদলীয় নেত্রী, শেখ হাসিনা অথবা জাহানারা ইমাম আলাদা আলাদাভাবে অথবা দুজনই একত্রে বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়েছেন। ওই বছরের ২৬ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উত্তাল জনসমুদ্রে ’৭১-এর ৭ মার্চের স্মৃতিস্তম্ভেব পাশে চারটি ট্রাক পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে তৈরি করা মঞ্চে ১২টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ গণ-আদালতের চেয়ারম্যান হিসেবে জাহানারা ইমাম ‘গণ-আদালতে গোলাম আযমের ফাঁসির রায়টি পড়ে শোনান। শেখ হাসিনা তখন একে জনতার বিজয় বলে অভিহিত করেন। এই দিন সন্ধ্যায় দৈনিক ‘আজকের কাগজে’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জাহানারা ইমাম বলেন, ‘রায় কার্যকর না করলে দুর্বার আন্দোলন। পর্যায়ক্রমে সকল ঘাতকের বিচার করব।’ এর ১০ দিন পর জাহানারা আপা ঢাকা থেকে নিউইয়র্কে আমাকে যে চিঠিখানা লিখেছিলেন, তা আজকের এই দিনে খুব প্রাসঙ্গিক মনে করি। এই চিঠিতে তার সাফল্য ও বিনয়ের প্রকাশ ঘটেছে। তাই চিঠিটি হুবহু তুলে দিলাম। নিউইয়র্কে তখন আমি জাতিসংঘে আমাদের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ডেপুটি পারমান্যান্ট রিপ্রেজেনটেটিভ, উপস্থায়ী প্রতিনিধি।

No comments

Powered by Blogger.