ভিন্নমত গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ -ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট
ভিন্নমত
হলো গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ। তাই ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ না দেয়া হলে
গণতন্ত্রের এই রক্ষাকবচ বিস্ফোরিত হবে। বুধবার একটি পিটিশনের জবাবে ভারতের
সুপ্রিম কোর্ট এই মন্তব্য করেছেন। ভারতের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে
সাম্প্রতিক গ্রেপ্তার অভিযানকে চ্যালেঞ্জ করে ওই পিটিশনটি দাখিল করা হয়। এর
জবাবে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের ওই বেঞ্চ
বলেছে, গ্রেপ্তারকৃত বুদ্ধিজীবীদের জেলে পাঠানো যাবে না। বড়জোর তাদের
গৃহবন্দি রাখা যেতে পারে। আগামী ৬ই সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি না
হওয়া পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ নিজগৃহে তাদের ওপর নজরদারি করতে পারবে বলে জানিয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট।
এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি ও আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, বর্ণভিত্তিক সহিংসতা উস্কে দেয়া ও মাওবাদী সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মঙ্গলবার পাঁচজন বুদ্ধিজীবীকে গ্রেপ্তার করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মানবাধিকার সংগঠন পিইউসিএলের প্রধান সুধা ভরদ্বাজ, মানবাধিকার কর্মী ও প্রাবন্ধিক গৌতম নওলাখা ও মাওবাদীদের প্রতি সহানুভূতিশীল কবি ভারভারাও রয়েছেন। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা গত বছরের শেষের দিকে কোরেগাঁও অঞ্চলে সংঘটিত সহিংসতায় উস্কানি দিয়েছেন। তখন উচ্চবর্ণের হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে দলিত হিন্দুদের সহিংসতা হয়। এতে অন্তত একজন নিহত হন। এর প্রেক্ষিতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরে বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরকে এভাবে গ্রেপ্তারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রিট করেন বিখ্যাত ইতিহাসবিদ রোমেলা থাপার, বামপন্থি বুদ্ধিজীবী প্রভাত পট্টনায়ক, সতীশ দেশপাণ্ডেসহ আরো কয়েকজন। ওই রিটের প্রেক্ষিতে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিচারপতিরা প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করেন। বিচারপতি ওয়াইবি চন্দ্রচূড় বলেন, মনে হচ্ছে সরকার সবপক্ষকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। পরে সুপ্রিম কোর্ট পিটিশনের পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃত বুদ্ধিজীবীদের গৃহবন্দি করার জন্য সরকারকে অনুমতি দেন। এছাড়া, পাঁচ বুদ্ধিজীবী গ্রেপ্তারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়েরকৃত পিটিশনের বিষয়ে কেন্দ্র ও মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকারকে নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পিটিশনের জবাব দেয়ার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে আগামী বুধবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। পরেরদিন বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবারো শুনানি হবে। পাশাপাশি দেশব্যাপী অভিযান ও গ্রেপ্তারের ঘটনা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি ও আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, বর্ণভিত্তিক সহিংসতা উস্কে দেয়া ও মাওবাদী সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মঙ্গলবার পাঁচজন বুদ্ধিজীবীকে গ্রেপ্তার করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মানবাধিকার সংগঠন পিইউসিএলের প্রধান সুধা ভরদ্বাজ, মানবাধিকার কর্মী ও প্রাবন্ধিক গৌতম নওলাখা ও মাওবাদীদের প্রতি সহানুভূতিশীল কবি ভারভারাও রয়েছেন। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা গত বছরের শেষের দিকে কোরেগাঁও অঞ্চলে সংঘটিত সহিংসতায় উস্কানি দিয়েছেন। তখন উচ্চবর্ণের হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে দলিত হিন্দুদের সহিংসতা হয়। এতে অন্তত একজন নিহত হন। এর প্রেক্ষিতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরে বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরকে এভাবে গ্রেপ্তারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রিট করেন বিখ্যাত ইতিহাসবিদ রোমেলা থাপার, বামপন্থি বুদ্ধিজীবী প্রভাত পট্টনায়ক, সতীশ দেশপাণ্ডেসহ আরো কয়েকজন। ওই রিটের প্রেক্ষিতে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিচারপতিরা প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করেন। বিচারপতি ওয়াইবি চন্দ্রচূড় বলেন, মনে হচ্ছে সরকার সবপক্ষকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। পরে সুপ্রিম কোর্ট পিটিশনের পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃত বুদ্ধিজীবীদের গৃহবন্দি করার জন্য সরকারকে অনুমতি দেন। এছাড়া, পাঁচ বুদ্ধিজীবী গ্রেপ্তারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়েরকৃত পিটিশনের বিষয়ে কেন্দ্র ও মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকারকে নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পিটিশনের জবাব দেয়ার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে আগামী বুধবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। পরেরদিন বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবারো শুনানি হবে। পাশাপাশি দেশব্যাপী অভিযান ও গ্রেপ্তারের ঘটনা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
No comments