প্রশ্নপত্র ফাঁসের নমুনা দেখলেই আইনি ব্যবস্থা
উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা চলার সময় সাজেশন আকারে, মুঠোফোনে খুদেবার্তা, হাতে লেখা ও টাইপ করা কোনো কাগজ বা তথ্য কারও কাছে পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে জরুরি এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রাথমিক সুপারিশ অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে নিরপরাধ কেউ যেন হেনস্তা না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হবে।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দিতে কয়েক দিন দেরি হতে পারে। তাই এর মধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সোহরাব হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, 'আমরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দোষীদের খুঁজে বের করা এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তাই দোষী চক্রটিকে চিহ্নিত করতে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চাইব।'
এদিকে তদন্ত কমিটি গঠনের পরও একের পর এক প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ আসছে। গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত পদার্থ বিজ্ঞানের দ্বিতীয় পত্রের সৃজনশীলের প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়েছে বলে অভিভাবক, শিক্ষক ও পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন। পরীক্ষার আগের দু-তিন দিন ধরে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। গতকাল পরীক্ষার পর দেখা যায়, ফাঁস হওয়া প্রশ্নের অধিকাংশই মূল প্রশ্নের সঙ্গে মিলেছে।
পদার্থ বিজ্ঞানের দ্বিতীয় পত্রের সৃজনশীল অংশের মোট নম্বর ৪০। এ পরীক্ষায় ছয়টি প্রশ্ন থেকে চারটির উত্তর দিতে বলা হয়। পরীক্ষার পর ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে প্রশ্ন মিলিয়ে দেখা যায়, ফাঁস হওয়া প্রশ্নগুলোর থেকে চারটি শব্দগত ও ক্রমিক সংখ্যার কিছু পরিবর্তন ছাড়া বিষয়বস্তু মিলে গেছে। অর্থাৎ যারা ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পেয়েছে, তারা ৪০ নম্বরের উত্তরই দিতে পেরেছে।
একাধিক অভিভাবক ও পরীক্ষার্থী প্রথম আলো কার্যালয়ে এসে এ ব্যাপারে তাঁদের ক্ষোভের কথা জানান। তাঁদের বক্তব্য হলো, এভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে থাকলে শিক্ষার্থীরা দুই বছর ধরে পড়বে কেন? তাঁরা তো পরীক্ষার আগে প্রশ্নের পেছনে ছুটবে।
গতকালের প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম বলেন, 'পদার্থ বিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের বিষয়টি আমি বলব সাজেশন। কারণ, আমিও ফেসবুকে দেখেছি। তাতে মনে হয়েছে, যেভাবে পরীক্ষার প্রশ্ন হয় সেভাবে হয়নি। তার পরও আমি বলব এ বিষয়ে গোয়েন্দাদের সক্রিয় হতে হবে। না হয় এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করা কঠিন হবে।'
তদন্ত কমিটির প্রাথমিক সুপারিশ: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, তদন্ত কমিটি মনে করে, পরীক্ষা চলাকালে জরুরি ভিত্তিতে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এর ভিত্তিতেই কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তদন্ত কমিটি মনে করে, চক্রটিকে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ, র্যাব, এসবি এবং এনএসআইসহ সংশ্লিষ্ট সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করা প্রয়োজন। তবে এ প্রক্রিয়ায় নিরাপরাধ কেউ যেন হেনস্থা না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
এ ছাড়া পরীক্ষার দিন জেলা ট্রেজারি ও উপজেলা পর্যায়ে থানা ভল্ট বা ব্যাংকের ভল্ট থেকে কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র সরবরাহের সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিজেদের উপস্থিত থেকে আরও সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা প্রথম ধরা পড়ে ফরিদপুরের নগরকান্দায়। তদন্ত কমিটি মনে করে, ওই উপজেলায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের তথ্য (ক্লু) খুঁজে বের করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা দরকার। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা চক্রকে চিহ্নিত করতে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, র্যাব, এসবি এবং এনএসআইয়ের তৎপরতা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।
এর আগে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার প্রশপত্র ফাঁসের অভিযোগে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। ১০ এপ্রিল এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। এরই মধ্যে পরবর্তী পরীক্ষাগুলোর প্রশ্নও ফাঁসের অভিযোগ উঠছে। গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত পদার্থবিজ্ঞানের প্রথম পত্রের সৃজনশীলের প্রশ্নও ফাঁস হয় বলে অভিযোগ করেন একাধিক পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রাথমিক সুপারিশ অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে নিরপরাধ কেউ যেন হেনস্তা না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হবে।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দিতে কয়েক দিন দেরি হতে পারে। তাই এর মধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সোহরাব হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, 'আমরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দোষীদের খুঁজে বের করা এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তাই দোষী চক্রটিকে চিহ্নিত করতে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চাইব।'
এদিকে তদন্ত কমিটি গঠনের পরও একের পর এক প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ আসছে। গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত পদার্থ বিজ্ঞানের দ্বিতীয় পত্রের সৃজনশীলের প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়েছে বলে অভিভাবক, শিক্ষক ও পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন। পরীক্ষার আগের দু-তিন দিন ধরে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। গতকাল পরীক্ষার পর দেখা যায়, ফাঁস হওয়া প্রশ্নের অধিকাংশই মূল প্রশ্নের সঙ্গে মিলেছে।
পদার্থ বিজ্ঞানের দ্বিতীয় পত্রের সৃজনশীল অংশের মোট নম্বর ৪০। এ পরীক্ষায় ছয়টি প্রশ্ন থেকে চারটির উত্তর দিতে বলা হয়। পরীক্ষার পর ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে প্রশ্ন মিলিয়ে দেখা যায়, ফাঁস হওয়া প্রশ্নগুলোর থেকে চারটি শব্দগত ও ক্রমিক সংখ্যার কিছু পরিবর্তন ছাড়া বিষয়বস্তু মিলে গেছে। অর্থাৎ যারা ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পেয়েছে, তারা ৪০ নম্বরের উত্তরই দিতে পেরেছে।
একাধিক অভিভাবক ও পরীক্ষার্থী প্রথম আলো কার্যালয়ে এসে এ ব্যাপারে তাঁদের ক্ষোভের কথা জানান। তাঁদের বক্তব্য হলো, এভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে থাকলে শিক্ষার্থীরা দুই বছর ধরে পড়বে কেন? তাঁরা তো পরীক্ষার আগে প্রশ্নের পেছনে ছুটবে।
গতকালের প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম বলেন, 'পদার্থ বিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের বিষয়টি আমি বলব সাজেশন। কারণ, আমিও ফেসবুকে দেখেছি। তাতে মনে হয়েছে, যেভাবে পরীক্ষার প্রশ্ন হয় সেভাবে হয়নি। তার পরও আমি বলব এ বিষয়ে গোয়েন্দাদের সক্রিয় হতে হবে। না হয় এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করা কঠিন হবে।'
তদন্ত কমিটির প্রাথমিক সুপারিশ: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, তদন্ত কমিটি মনে করে, পরীক্ষা চলাকালে জরুরি ভিত্তিতে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এর ভিত্তিতেই কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তদন্ত কমিটি মনে করে, চক্রটিকে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ, র্যাব, এসবি এবং এনএসআইসহ সংশ্লিষ্ট সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করা প্রয়োজন। তবে এ প্রক্রিয়ায় নিরাপরাধ কেউ যেন হেনস্থা না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
এ ছাড়া পরীক্ষার দিন জেলা ট্রেজারি ও উপজেলা পর্যায়ে থানা ভল্ট বা ব্যাংকের ভল্ট থেকে কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র সরবরাহের সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিজেদের উপস্থিত থেকে আরও সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা প্রথম ধরা পড়ে ফরিদপুরের নগরকান্দায়। তদন্ত কমিটি মনে করে, ওই উপজেলায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের তথ্য (ক্লু) খুঁজে বের করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা দরকার। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা চক্রকে চিহ্নিত করতে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, র্যাব, এসবি এবং এনএসআইয়ের তৎপরতা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।
এর আগে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার প্রশপত্র ফাঁসের অভিযোগে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। ১০ এপ্রিল এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। এরই মধ্যে পরবর্তী পরীক্ষাগুলোর প্রশ্নও ফাঁসের অভিযোগ উঠছে। গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত পদার্থবিজ্ঞানের প্রথম পত্রের সৃজনশীলের প্রশ্নও ফাঁস হয় বলে অভিযোগ করেন একাধিক পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক।
No comments