সেনাবাহিনীকে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহবান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষার জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সব সময় প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়ে বলেছেন, 'সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামোর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের জন্য 'রূপকল্প ২০২১'র আলোকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর 'ফোর্সেস গোল ২০৩০' প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা চাই, সেনাবাহিনীর প্রত্যেক সদস্য জাতীয় পতাকাকে সমুন্নত রাখবেন।'
জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'জাতীয় পতাকা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যেকোনো ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান ও গৌরবের বিষয়। আজ সেই জাতীয় পতাকা আপনাদের হাতে তুলে দেওয়া হলো। আশা করি, জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষার জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে আপনারা সব সময় প্রস্তুত থাকবেন।'
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীর সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর বাংলাদেশ ইনফ্যানট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার ও দ্বিতীয় বাংলাদেশ ইনফ্যানট্রি রেজিমেন্টকে জাতীয় পতাকা প্রদান, প্রথম বীর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতীয় পতাকা প্রদান ও বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী সপ্তম বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলন ২০১১-তে বক্তব্য দেন।
বিমানযোগে রাজশাহী সেনানিবাসে অনুষ্ঠানস্থলে পেঁৗছলে সেনাপ্রধান জেনারেল মোহাম্মদ আবদুল মুবীন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এ সময় বিমান ও নৌবাহিনী প্রধান, এরিয়া কমান্ডারসহ সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে গণমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা, রাজশাহীর মেয়র, সংসদ সদস্যরা, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবাররা, মুক্তিযোদ্ধা, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
কর্মদক্ষতা, কঠোর অনুশীলন, কর্তব্য নিষ্ঠা এবং সেনাবাহিনী তথা জাতীয় উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ইনফ্যানট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার ও দ্বিতীয় বাংলাদেশ ইনফ্যানট্রি রেজিমেন্টকে পতাকা প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এরপর প্যারেড কমান্ডার লে. কর্নেল মো. সাজেদুর রহমানের নেতৃত্বে ইনফ্যানট্রি রেজিমেন্টের একটি সুসজ্জিত দলের বর্ণাঢ্য জাতীয় পতাকা প্রদান কুচকাওয়াজ থেকে প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করেন।
জাতীয় পতাকা প্রদানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ইনফ্যানট্রি রেজিমেন্টের শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ 'বীর গৌরব'-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ ইনফ্যানট্রি রেজিমেন্টের অধিনায়ক ও অন্যান্য অফিসারদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আজ বিশ্ব পরিমণ্ডলেও কর্মদক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদান রাখছেন। বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন। এ জন্য আমরা গর্বিত।' সেনাবাহিনীকে আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে তাঁর সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'রূপকল্প ২০২১' আলোকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর 'ফোর্সেস গোল ২০৩০' প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আওতায় সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো বিন্যাস ও আধুনিকায়ন করা হবে। সেনাবাহিনীতেও তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। ইতিমধ্যে বীর রেকর্ড অফিসকে অটোমেশন করা হয়েছে। এভাবেই আমরা ২০২১ সালের মধ্যে 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' গড়ে তুলব।"
বীরের বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলন
সেনাবাহিনীর ঐতিহ্যবাহী বীর রেজিমেন্টের অধিনায়কদের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'সশস্ত্র বাহিনী দেশের ঐক্য ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। আমাদের জাতীয় সম্পদ। তাই আমরা একটি দক্ষ, সুশৃঙ্খল, সুসজ্জিত ও শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এ ঐতিহ্যবাহী রেজিমেন্টের অধিনায়ক হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব অনেক। জাতির সার্বভৌমত্ব ও সম্মান অক্ষুণ্ন রাখার দায়িত্ব অনেকটাই আপনাদের ওপর ন্যস্ত। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনারা অধীন সৈনিকদের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করে এ দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন।'
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, 'বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মক্ষেত্র এখন বিদেশেও বিস্তৃত হয়েছে। আপনারা বিশ্বশান্তি রক্ষার লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালনে নিষ্ঠার পরিচয় দিচ্ছেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সদস্য হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। তাই শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে অবস্থান করছে। শান্তি রক্ষায় নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আপনাদের পারদর্শী হতে হবে। সবাইকে তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগের সামর্থ্য অর্জন করতে হবে। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এ অগ্রযাত্রায় সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করেছি। আসুন আমরা যে যেখানে আছি নিজ নিজ ক্ষেত্রে দেশ গঠনে অবদান রাখি।'
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীর সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর বাংলাদেশ ইনফ্যানট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার ও দ্বিতীয় বাংলাদেশ ইনফ্যানট্রি রেজিমেন্টকে জাতীয় পতাকা প্রদান, প্রথম বীর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতীয় পতাকা প্রদান ও বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী সপ্তম বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলন ২০১১-তে বক্তব্য দেন।
বিমানযোগে রাজশাহী সেনানিবাসে অনুষ্ঠানস্থলে পেঁৗছলে সেনাপ্রধান জেনারেল মোহাম্মদ আবদুল মুবীন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এ সময় বিমান ও নৌবাহিনী প্রধান, এরিয়া কমান্ডারসহ সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে গণমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা, রাজশাহীর মেয়র, সংসদ সদস্যরা, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবাররা, মুক্তিযোদ্ধা, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
কর্মদক্ষতা, কঠোর অনুশীলন, কর্তব্য নিষ্ঠা এবং সেনাবাহিনী তথা জাতীয় উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ইনফ্যানট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার ও দ্বিতীয় বাংলাদেশ ইনফ্যানট্রি রেজিমেন্টকে পতাকা প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এরপর প্যারেড কমান্ডার লে. কর্নেল মো. সাজেদুর রহমানের নেতৃত্বে ইনফ্যানট্রি রেজিমেন্টের একটি সুসজ্জিত দলের বর্ণাঢ্য জাতীয় পতাকা প্রদান কুচকাওয়াজ থেকে প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করেন।
জাতীয় পতাকা প্রদানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ইনফ্যানট্রি রেজিমেন্টের শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ 'বীর গৌরব'-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ ইনফ্যানট্রি রেজিমেন্টের অধিনায়ক ও অন্যান্য অফিসারদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আজ বিশ্ব পরিমণ্ডলেও কর্মদক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদান রাখছেন। বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন। এ জন্য আমরা গর্বিত।' সেনাবাহিনীকে আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে তাঁর সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'রূপকল্প ২০২১' আলোকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর 'ফোর্সেস গোল ২০৩০' প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আওতায় সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো বিন্যাস ও আধুনিকায়ন করা হবে। সেনাবাহিনীতেও তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। ইতিমধ্যে বীর রেকর্ড অফিসকে অটোমেশন করা হয়েছে। এভাবেই আমরা ২০২১ সালের মধ্যে 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' গড়ে তুলব।"
বীরের বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলন
সেনাবাহিনীর ঐতিহ্যবাহী বীর রেজিমেন্টের অধিনায়কদের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'সশস্ত্র বাহিনী দেশের ঐক্য ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। আমাদের জাতীয় সম্পদ। তাই আমরা একটি দক্ষ, সুশৃঙ্খল, সুসজ্জিত ও শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এ ঐতিহ্যবাহী রেজিমেন্টের অধিনায়ক হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব অনেক। জাতির সার্বভৌমত্ব ও সম্মান অক্ষুণ্ন রাখার দায়িত্ব অনেকটাই আপনাদের ওপর ন্যস্ত। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনারা অধীন সৈনিকদের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করে এ দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন।'
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, 'বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মক্ষেত্র এখন বিদেশেও বিস্তৃত হয়েছে। আপনারা বিশ্বশান্তি রক্ষার লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালনে নিষ্ঠার পরিচয় দিচ্ছেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সদস্য হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। তাই শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে অবস্থান করছে। শান্তি রক্ষায় নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আপনাদের পারদর্শী হতে হবে। সবাইকে তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগের সামর্থ্য অর্জন করতে হবে। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এ অগ্রযাত্রায় সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করেছি। আসুন আমরা যে যেখানে আছি নিজ নিজ ক্ষেত্রে দেশ গঠনে অবদান রাখি।'
No comments