পবিত্র কোরআনের আলো-ইহুদিদের প্ররোচনা সত্ত্বেও শান্ত থাকার নির্দেশ
১০৭. আলাম তা'লাম আন্নাল্লা-হা লাহু-মুলকুছ্ ছামা-ওয়া-তি ওয়ালআরদ্বি; ওয়ামা-লাকুম মিন দু-নিল্লাহি মিওঁয়্যালিয়িঁ্যওয়ালা- নাছির। ১০৮. আম তুরি-দু-না আন তাছআলু- রাছু-লাকুম কামা- ছুয়িলা মুসা মিন ক্বাবলু; ওয়ামাইঁয়্যাতাবাদ্দালিল কুফরা বিলঈমা-নি ফাক্বাদ দ্বাল্লা ছাওয়া-আছ্ ছাবিল।
১০৯. ওয়াদ্দা কাছিরুম মিন আহলিল কিতা-বি লাও ইউরাদ্দু-কুম মিম বা'দি ঈমা-নিকুম কুফ্ফা-রান; হাছাদাম্ মিন ই'নদি আনফুছিহিম মিম বা'দি মা- তাবাইয়্যানা লাহুমুল হাক্কু; ফা'ফু- ওয়াছফাহু- হাত্তা- ইয়া'তিয়াল্লা-হু বিআমরিহি-; ইন্নাল্লা-হা আ'লা- কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির।
[সুরা বাকারা, আয়াত ১০৭-১০৯]
অনুবাদ
১০৭. আপনি কি জানেন না, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব একমাত্র আল্লাহ তায়ালার; তিনি ছাড়া তোমাদের কোনো বন্ধু নেই, কোনো সাহায্যকারীও নেই।
১০৮. তোমরা কি তোমাদের নবীর কাছে সে ধরনের (উদ্ভট) প্রশ্ন করতে চাও_যেমন তোমাদের আগে মুসাকে করা হয়েছিল? কেউ যদি ইমানকে কুুফরির সঙ্গে বদল করে নেয়, তবে অবশ্যই সে সোজা পথ ছেড়ে বিপথগামী হয়ে যাবে।
১০৯. তাহলে কিতাবিদের (ইহুদি ও খ্রিস্টান) অনেকেই বিদ্বেষের কারণে চাইবে, তোমাদের ইমানের বদলে আবার সেই কুফরিতে ফিরিয়ে নিতে। সত্য তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও তারা তা-ই করবে। অতএব তাদের ব্যাপারে আল্লাহর সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ক্ষমার নীতি অবলম্বন করো এবং তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো; অবশ্যই আল্লাহ সব কিছুর ওপর ক্ষমতাশালী।
ব্যাখ্যা
বিশ্বের চূড়ান্ত সার্বভৌমত্ব আল্লাহর হাতে। উল্লেখ করা প্রয়োজন, এই আয়াত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে নাকচ করে না। গণতন্ত্রে রাষ্ট্র পরিচালনার সার্বভৌমত্ব জনগণের হাতে, আগে যা ছিল কোনো রাজা, বাদশাহ বা নৃপতির হাতে।
১০৮ নম্বর আয়াতটির শানেনুজুল এ রকম_কোনো কোনো ইহুদি হঠকারিতাবশত রাসুলের কাছে উপস্থিত হয়ে বলছিল_তাওরাত কিতাব যেমন নবী মুসার ওপর একসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছিল, আপনিও তদ্রূপ কোরআনকে সমষ্টিগতভাবে নিয়ে আসুন। এ কথা কোনো কোনো মুসলমানের মধ্যেও কিছু না কিছু প্রভাব ফেলছিল। এর জবাবে এই আয়াতটি নাজিল হয়। ইহুদিরা নানা কৌশলে মুসলমানদের ইমানের পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য প্ররোচিত করত। এটাও ছিল তাদের একটা প্ররোচনা। কোরআন যে জীবনধারার প্রয়োজন অনুযায়ী ধীরে ধীরে নাজিল হয়েছে, এর মধ্যে আল্লাহর গভীরতম হেকমত রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা এ আয়াতের মাধ্যমে ইহুদিদের প্ররোচনা থেকে মুক্ত থাকার জন্য মুসলমানদের সতর্ক করে দিয়েছেন।
১০৯ নম্বর আয়াতটিও নাজিল হয়েছে ইহুদিদের বিদ্বেষ ও প্ররোচনার ব্যাপারে। হুয়াই ইবনে আলতাব প্রমুখ ইহুদি সর্দার কোরাইশ বংশোদ্ভূত নবীর ধর্ম বিস্তৃত হচ্ছে দেখে দারুণভাবে বিদ্বেষপরায়ণ হয়ে ওঠে। তারা সাধ্যানুযায়ী নানা কৌশলে মুসলমানদের সত্যের পথ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ আয়াতটি নাজিল হয়। এখানে ইহুদিদের বিরূপ মনোভাবের কথা জানা সত্ত্বেও তাদের প্রতি ভালো ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবার ওখানে এমন ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে যে তারা যদি সীমালঙ্ঘন করে, তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে তা প্রতিরোধের নির্দেশ আসবে। মুসলমানরা নিজের থেকে যেন তাদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি না ঘটায়।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
[সুরা বাকারা, আয়াত ১০৭-১০৯]
অনুবাদ
১০৭. আপনি কি জানেন না, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব একমাত্র আল্লাহ তায়ালার; তিনি ছাড়া তোমাদের কোনো বন্ধু নেই, কোনো সাহায্যকারীও নেই।
১০৮. তোমরা কি তোমাদের নবীর কাছে সে ধরনের (উদ্ভট) প্রশ্ন করতে চাও_যেমন তোমাদের আগে মুসাকে করা হয়েছিল? কেউ যদি ইমানকে কুুফরির সঙ্গে বদল করে নেয়, তবে অবশ্যই সে সোজা পথ ছেড়ে বিপথগামী হয়ে যাবে।
১০৯. তাহলে কিতাবিদের (ইহুদি ও খ্রিস্টান) অনেকেই বিদ্বেষের কারণে চাইবে, তোমাদের ইমানের বদলে আবার সেই কুফরিতে ফিরিয়ে নিতে। সত্য তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও তারা তা-ই করবে। অতএব তাদের ব্যাপারে আল্লাহর সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ক্ষমার নীতি অবলম্বন করো এবং তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো; অবশ্যই আল্লাহ সব কিছুর ওপর ক্ষমতাশালী।
ব্যাখ্যা
বিশ্বের চূড়ান্ত সার্বভৌমত্ব আল্লাহর হাতে। উল্লেখ করা প্রয়োজন, এই আয়াত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে নাকচ করে না। গণতন্ত্রে রাষ্ট্র পরিচালনার সার্বভৌমত্ব জনগণের হাতে, আগে যা ছিল কোনো রাজা, বাদশাহ বা নৃপতির হাতে।
১০৮ নম্বর আয়াতটির শানেনুজুল এ রকম_কোনো কোনো ইহুদি হঠকারিতাবশত রাসুলের কাছে উপস্থিত হয়ে বলছিল_তাওরাত কিতাব যেমন নবী মুসার ওপর একসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছিল, আপনিও তদ্রূপ কোরআনকে সমষ্টিগতভাবে নিয়ে আসুন। এ কথা কোনো কোনো মুসলমানের মধ্যেও কিছু না কিছু প্রভাব ফেলছিল। এর জবাবে এই আয়াতটি নাজিল হয়। ইহুদিরা নানা কৌশলে মুসলমানদের ইমানের পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য প্ররোচিত করত। এটাও ছিল তাদের একটা প্ররোচনা। কোরআন যে জীবনধারার প্রয়োজন অনুযায়ী ধীরে ধীরে নাজিল হয়েছে, এর মধ্যে আল্লাহর গভীরতম হেকমত রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা এ আয়াতের মাধ্যমে ইহুদিদের প্ররোচনা থেকে মুক্ত থাকার জন্য মুসলমানদের সতর্ক করে দিয়েছেন।
১০৯ নম্বর আয়াতটিও নাজিল হয়েছে ইহুদিদের বিদ্বেষ ও প্ররোচনার ব্যাপারে। হুয়াই ইবনে আলতাব প্রমুখ ইহুদি সর্দার কোরাইশ বংশোদ্ভূত নবীর ধর্ম বিস্তৃত হচ্ছে দেখে দারুণভাবে বিদ্বেষপরায়ণ হয়ে ওঠে। তারা সাধ্যানুযায়ী নানা কৌশলে মুসলমানদের সত্যের পথ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ আয়াতটি নাজিল হয়। এখানে ইহুদিদের বিরূপ মনোভাবের কথা জানা সত্ত্বেও তাদের প্রতি ভালো ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবার ওখানে এমন ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে যে তারা যদি সীমালঙ্ঘন করে, তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে তা প্রতিরোধের নির্দেশ আসবে। মুসলমানরা নিজের থেকে যেন তাদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি না ঘটায়।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments