কথা সামান্যই-শূন্যে কথা ছুড়ে দিয়ে আস্ফালন by ফজলুল আলম
কলাম লিখিয়েদের কাজ কী? সেদিন দেখলাম, এই পত্রিকায় মাত্র ৫০০ শব্দের চেয়ে কম একটা রিপোর্টিংয়ের ভিত্তিতে দুটি গ্রামে ভেজাল ও বিষাক্ত গুড়ের সন্ধানে সরকার মাঠে নেমেছে। আহা রে, একটা কলাম লেখার ওপর ভিত্তি করে তেমন কিছু যদি হতো! সরকারের বা বিরোধী দলের পক্ষে-বিপক্ষে নয়,
স্রেফ সামাজিক-অর্থনৈতিক বিষয়ে রচিত লেখাগুলো ফলোআপ করার একটা ব্যবস্থা যদি কোনো কর্তৃপক্ষ নিত! আজ পর্যন্ত সে রকম কিছু হয়তো বা হয়েছে, তবে আমার জানা নেই। কোনো পাঠক কি জানেন?
অনেকে বলতে পারেন যে একসময় ইত্তেফাকে 'মুসাফিরে'র (মানিক মিয়ার ছদ্মনাম) লেখা কলামের ফলে অনেক হৈহুল্লোড় পড়ত এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও ঘটেছিল, এমনকি সেই সময়ে ইত্তেফাকের বিরুদ্ধে পূর্বদেশে গাফ্ফার চৌধুরীর কলামও তোলপাড় ফেলেছিল। সেটা ছিল পাকিস্তান আমলের কথা, সে সময়ে পাকিস্তানের অগণতান্ত্রিক পূর্ব পাকিস্তান শোষণকারী সামরিক কর্তৃপক্ষ বেশ ভয়েই থাকত এবং এই কলামগুলোকে গুরুত্ব দিত। তাদের জন্য রাজনৈতিক লেখা তো আরো ভয়ংকর ছিল। কিন্তু সেই অবস্থা আর এখন আছে কি? সাধারণ দৃষ্টিতে তা মনে হয় না। [তবে অসাধারণ দৃষ্টিতে সে রকম মনে হতেও পারে।]
এখনো কারো কারো কলাম থেকে নিঃসৃত রচনা তোলপাড় ফেলে দেয় বলে কলামিস্ট নিজেই দাবি করেন। অবশ্য ব্যক্তি বা সরকার বা বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কলম খুলে সত্য-মিথ্যার বিষোদ্গার করলে শুধু কলামিস্ট কেন, পত্রিকার সম্পাদক মহোদয় পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়ে যেতে পারেন (জামিনও পাবেন বা অনেকে আগাম জামিন নিয়ে রাখবেন এবং তাঁদের উদ্ধারের জন্য কোনো আন্দোলন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে!)। সুতরাং পাকিস্তান আমলের মতো ক্ষুরধার রাজনৈতিক রচনার দিন শেষ হয়ে গেছে বলা যায়। কলামিস্ট তাহলে এখন কী নিয়ে লিখবেন? সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ের কথা বলেছি, এবং বেশির ভাগ দৈনিকের কলাম এই দুটো বিষয়ের মধ্যেই চলাফেরা করে। গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা বাঁচিয়ে যা লেখা যায় অভিজ্ঞ কলামিস্টরা কি শুধু সেসবই লিখে যাবেন? তাহলে গণতন্ত্রে লেখকের অধিকার কি এতই সীমিত?
আমি কিন্তু তা মনে করি না। আমাদের কলামিস্টদের সাহসের অভাব নেই এবং অনেক সম্পাদকও নির্ভীকভাবে অনেক কিছু প্রকাশ করে থাকেন। লেখার জন্য মানহানিকর মামলার কথাও আর খুব একটা শোনা যাচ্ছে না। এ কথার ভিত্তিতে মনে হয়, কলামিস্টরা অনেক এগিয়ে এসেছেন। সত্যিই কি তাই?
অবস্থা বদলেছে, এটা সত্য; কিন্তু এই পরিবর্তনটা কোথায় হয়েছে, সেটাও বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। এমন নয় যে আমরা বাংলাদেশে সহসাই সব কিছুতে স্বচ্ছ বা ট্রান্সপারেন্ট হয়ে গিয়েছি! ভালোমতো বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে কলামিস্টরা প্রায় সব বিষয়েই কখনো কঠোর, কখনো নমনীয়ভাবে লিখে যাচ্ছেন এবং অনেক লেখায় যুক্তি আছে, এমনকি বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণেরও অভাব নেই (সেই সঙ্গে ভুলভ্রান্তি ভরা লেখাও প্রকাশিত হচ্ছে)।
আসল কথাটি হলো কলামিস্টদের লেখাকে অনেকে একমাত্র বিনোদনের বিষয় মনে করে, সরকার তো তাই মনে করে। যেসব ব্যুরোক্র্যাটের দায়িত্বের মধ্যে পত্রিকার খবর ও কলাম কাটিং পড়ার দায়িত্ব আছে, তাঁরা পারতপক্ষে মন্ত্রীবর জিজ্ঞাসা না করা পর্যন্ত নিশ্চুপ থাকেন। জিজ্ঞাসিত হলে সাধারণত তাঁরা এক কথায় মন্ত্রীবরকে আশ্বস্ত করেন যে, গুরুত্বপূর্ণ (বা ভয় পাওয়ার মতো) কোথাও কিছু নেই!
এ তথ্যটা অনেক পত্রিকার সম্পাদককে খুশি করে দেবে। আসলে খুশি না হয়ে তাঁদের অবহেলিত বোধ করার কথা। এমনকি স্বয়ং সম্পাদক যখন প্রথম পৃষ্ঠায় কোনো প্রতিবেদন লেখেন এবং তাতে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন সেসবও কোনো আলোড়ন তোলে না। সেসব যাতে সরকারের বিবেচনায় না আসে এর ব্যবস্থা করেন ব্যুরোক্র্যাটরা। সম্ভবত সব দৈনিক-সাপ্তাহিকের স্তূপ সংসদ সদস্যদের সামনে শোভা পায়। তাঁদের অনেকেই পত্রিকার পাতা উল্টে দেখেন বলে মনে হয় না, প্রধান হেডলাইন পর্যন্তই অনেকের দৌড় (টেলিভিশনে রাত ১২টায় ও সকালেও দেখে নেওয়া যায়)। কারো কারো হয়তো কোনো কলামিস্টের বা সম্পাদকের সমর্থনে বক্তব্য সংসদে ওঠানোর ইচ্ছা হয়, কিন্তু তাঁরা হয়তো ফ্লোরই পান না।
আসলে আমাদের মেনে নিতে হবে যে ব্যুরোক্র্যাটরাই সরকার চালনা করেন, সংসদে শুধু কথা ছোড়াছুড়ি হয়, কাজের কাজ কী হয় তা আমরা সাধারণ জনগণ সব সময় বুঝতে পারি না। কলাম লেখকরা প্রায় সবাই 'ইনএফেকচুয়েল এঞ্জেল' বা প্রভাবহীন দেবদূতের ক্যাটাগরিতে পড়েন কি না তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়, তবে তাঁদের 'ইনএফেকচুয়েল' করার পেছনে ব্যুরোক্র্যাটদের ক্ষমতা আছে, সেটা সম্পর্কে অনেকটা নিশ্চিত হওয়া যায়। তাহলে কি কলাম লেখা বন্ধ করে দেওয়াই মঙ্গল? সেটাও কাজের হবে বলে মনে হয় না। শুধু খবর দিয়ে ২৮ থেকে ৩৪ পৃষ্ঠা (দেশ-বিদেশের খেলাধুলার গুরুত্বপূর্ণ বা অগুরুত্বপূর্ণ খবরসহ) ভরানো সহজ হবে না। দৈনিক কাগজগুলো অধুনা কলাম লেখক নিয়োগ করে সহসম্পাদক হিসেবে। এতে ফ্রিল্যান্স কলামিস্টদের অভাব হলে বা বাইরে থেকে প্রকাশযোগ্য লেখা না পেলে বা পত্রিকার নীতিমালার কারণে অনামন্ত্রিত লেখা গ্রহণ না করলেও কলামের অভাব হয় না। এই নীতিমালা নিয়ে পত্রিকাগুলো (সম্ভবত একটাই) যে যথাযথ কাজ করছে তা মনে হয় না, কারণ গণমাধ্যম যদি এ ধরনের লেখক বা কলামিস্ট বৈষম্য করে সেটা আর গণমাধ্যম না থেকে গোষ্ঠীমাধ্যম হয়ে ওঠে। তাদের গৃহপালিত 'সহসম্পাদক' কলামিস্টরা যে খুব একটা ভালো কাজ করছে তা মনে হয় না, কারণ 'হিজ মাস্টার্স ভয়েস' কোনোকালেই (সংগীতের লেবেল ব্যতিরেকে) প্রশংসনীয় ব্যাপার হয়নি। কতগুলো পত্রিকা তাদের দলগত মতবাদ প্রচার করার জন্য প্রকাশিত হয়, তাদের কথা ছেড়ে দিয়ে তথাকথিত প্রগতিশীল পত্রিকা যদি সাম্রাজ্যবাদী ও বিদেশি শক্তির পক্ষে 'উদ্দেশ্যমূলক' প্রচারণা পরোক্ষভাবে করে, তাহলে গণমাধ্যমের দৃষ্টি থেকে সেটাকে নিন্দা জানানো উচিত।
এত বড় কথাটি কি না আমি এক ক্ষুুদ্র কলামিস্টই লিখে ফেললাম। এখন আমার কথাটি শূন্যে ছুড়ে দিয়ে আস্ফালন আমি একাই করব।
লেখক : কথাসাহিত্যিক ও সংস্কৃতিবিষয়ক গবেষক
অনেকে বলতে পারেন যে একসময় ইত্তেফাকে 'মুসাফিরে'র (মানিক মিয়ার ছদ্মনাম) লেখা কলামের ফলে অনেক হৈহুল্লোড় পড়ত এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও ঘটেছিল, এমনকি সেই সময়ে ইত্তেফাকের বিরুদ্ধে পূর্বদেশে গাফ্ফার চৌধুরীর কলামও তোলপাড় ফেলেছিল। সেটা ছিল পাকিস্তান আমলের কথা, সে সময়ে পাকিস্তানের অগণতান্ত্রিক পূর্ব পাকিস্তান শোষণকারী সামরিক কর্তৃপক্ষ বেশ ভয়েই থাকত এবং এই কলামগুলোকে গুরুত্ব দিত। তাদের জন্য রাজনৈতিক লেখা তো আরো ভয়ংকর ছিল। কিন্তু সেই অবস্থা আর এখন আছে কি? সাধারণ দৃষ্টিতে তা মনে হয় না। [তবে অসাধারণ দৃষ্টিতে সে রকম মনে হতেও পারে।]
এখনো কারো কারো কলাম থেকে নিঃসৃত রচনা তোলপাড় ফেলে দেয় বলে কলামিস্ট নিজেই দাবি করেন। অবশ্য ব্যক্তি বা সরকার বা বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কলম খুলে সত্য-মিথ্যার বিষোদ্গার করলে শুধু কলামিস্ট কেন, পত্রিকার সম্পাদক মহোদয় পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়ে যেতে পারেন (জামিনও পাবেন বা অনেকে আগাম জামিন নিয়ে রাখবেন এবং তাঁদের উদ্ধারের জন্য কোনো আন্দোলন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে!)। সুতরাং পাকিস্তান আমলের মতো ক্ষুরধার রাজনৈতিক রচনার দিন শেষ হয়ে গেছে বলা যায়। কলামিস্ট তাহলে এখন কী নিয়ে লিখবেন? সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ের কথা বলেছি, এবং বেশির ভাগ দৈনিকের কলাম এই দুটো বিষয়ের মধ্যেই চলাফেরা করে। গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা বাঁচিয়ে যা লেখা যায় অভিজ্ঞ কলামিস্টরা কি শুধু সেসবই লিখে যাবেন? তাহলে গণতন্ত্রে লেখকের অধিকার কি এতই সীমিত?
আমি কিন্তু তা মনে করি না। আমাদের কলামিস্টদের সাহসের অভাব নেই এবং অনেক সম্পাদকও নির্ভীকভাবে অনেক কিছু প্রকাশ করে থাকেন। লেখার জন্য মানহানিকর মামলার কথাও আর খুব একটা শোনা যাচ্ছে না। এ কথার ভিত্তিতে মনে হয়, কলামিস্টরা অনেক এগিয়ে এসেছেন। সত্যিই কি তাই?
অবস্থা বদলেছে, এটা সত্য; কিন্তু এই পরিবর্তনটা কোথায় হয়েছে, সেটাও বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। এমন নয় যে আমরা বাংলাদেশে সহসাই সব কিছুতে স্বচ্ছ বা ট্রান্সপারেন্ট হয়ে গিয়েছি! ভালোমতো বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে কলামিস্টরা প্রায় সব বিষয়েই কখনো কঠোর, কখনো নমনীয়ভাবে লিখে যাচ্ছেন এবং অনেক লেখায় যুক্তি আছে, এমনকি বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণেরও অভাব নেই (সেই সঙ্গে ভুলভ্রান্তি ভরা লেখাও প্রকাশিত হচ্ছে)।
আসল কথাটি হলো কলামিস্টদের লেখাকে অনেকে একমাত্র বিনোদনের বিষয় মনে করে, সরকার তো তাই মনে করে। যেসব ব্যুরোক্র্যাটের দায়িত্বের মধ্যে পত্রিকার খবর ও কলাম কাটিং পড়ার দায়িত্ব আছে, তাঁরা পারতপক্ষে মন্ত্রীবর জিজ্ঞাসা না করা পর্যন্ত নিশ্চুপ থাকেন। জিজ্ঞাসিত হলে সাধারণত তাঁরা এক কথায় মন্ত্রীবরকে আশ্বস্ত করেন যে, গুরুত্বপূর্ণ (বা ভয় পাওয়ার মতো) কোথাও কিছু নেই!
এ তথ্যটা অনেক পত্রিকার সম্পাদককে খুশি করে দেবে। আসলে খুশি না হয়ে তাঁদের অবহেলিত বোধ করার কথা। এমনকি স্বয়ং সম্পাদক যখন প্রথম পৃষ্ঠায় কোনো প্রতিবেদন লেখেন এবং তাতে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন সেসবও কোনো আলোড়ন তোলে না। সেসব যাতে সরকারের বিবেচনায় না আসে এর ব্যবস্থা করেন ব্যুরোক্র্যাটরা। সম্ভবত সব দৈনিক-সাপ্তাহিকের স্তূপ সংসদ সদস্যদের সামনে শোভা পায়। তাঁদের অনেকেই পত্রিকার পাতা উল্টে দেখেন বলে মনে হয় না, প্রধান হেডলাইন পর্যন্তই অনেকের দৌড় (টেলিভিশনে রাত ১২টায় ও সকালেও দেখে নেওয়া যায়)। কারো কারো হয়তো কোনো কলামিস্টের বা সম্পাদকের সমর্থনে বক্তব্য সংসদে ওঠানোর ইচ্ছা হয়, কিন্তু তাঁরা হয়তো ফ্লোরই পান না।
আসলে আমাদের মেনে নিতে হবে যে ব্যুরোক্র্যাটরাই সরকার চালনা করেন, সংসদে শুধু কথা ছোড়াছুড়ি হয়, কাজের কাজ কী হয় তা আমরা সাধারণ জনগণ সব সময় বুঝতে পারি না। কলাম লেখকরা প্রায় সবাই 'ইনএফেকচুয়েল এঞ্জেল' বা প্রভাবহীন দেবদূতের ক্যাটাগরিতে পড়েন কি না তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়, তবে তাঁদের 'ইনএফেকচুয়েল' করার পেছনে ব্যুরোক্র্যাটদের ক্ষমতা আছে, সেটা সম্পর্কে অনেকটা নিশ্চিত হওয়া যায়। তাহলে কি কলাম লেখা বন্ধ করে দেওয়াই মঙ্গল? সেটাও কাজের হবে বলে মনে হয় না। শুধু খবর দিয়ে ২৮ থেকে ৩৪ পৃষ্ঠা (দেশ-বিদেশের খেলাধুলার গুরুত্বপূর্ণ বা অগুরুত্বপূর্ণ খবরসহ) ভরানো সহজ হবে না। দৈনিক কাগজগুলো অধুনা কলাম লেখক নিয়োগ করে সহসম্পাদক হিসেবে। এতে ফ্রিল্যান্স কলামিস্টদের অভাব হলে বা বাইরে থেকে প্রকাশযোগ্য লেখা না পেলে বা পত্রিকার নীতিমালার কারণে অনামন্ত্রিত লেখা গ্রহণ না করলেও কলামের অভাব হয় না। এই নীতিমালা নিয়ে পত্রিকাগুলো (সম্ভবত একটাই) যে যথাযথ কাজ করছে তা মনে হয় না, কারণ গণমাধ্যম যদি এ ধরনের লেখক বা কলামিস্ট বৈষম্য করে সেটা আর গণমাধ্যম না থেকে গোষ্ঠীমাধ্যম হয়ে ওঠে। তাদের গৃহপালিত 'সহসম্পাদক' কলামিস্টরা যে খুব একটা ভালো কাজ করছে তা মনে হয় না, কারণ 'হিজ মাস্টার্স ভয়েস' কোনোকালেই (সংগীতের লেবেল ব্যতিরেকে) প্রশংসনীয় ব্যাপার হয়নি। কতগুলো পত্রিকা তাদের দলগত মতবাদ প্রচার করার জন্য প্রকাশিত হয়, তাদের কথা ছেড়ে দিয়ে তথাকথিত প্রগতিশীল পত্রিকা যদি সাম্রাজ্যবাদী ও বিদেশি শক্তির পক্ষে 'উদ্দেশ্যমূলক' প্রচারণা পরোক্ষভাবে করে, তাহলে গণমাধ্যমের দৃষ্টি থেকে সেটাকে নিন্দা জানানো উচিত।
এত বড় কথাটি কি না আমি এক ক্ষুুদ্র কলামিস্টই লিখে ফেললাম। এখন আমার কথাটি শূন্যে ছুড়ে দিয়ে আস্ফালন আমি একাই করব।
লেখক : কথাসাহিত্যিক ও সংস্কৃতিবিষয়ক গবেষক
No comments