কলোরেকটাল ক্যান্সার

খাদ্যনালীর নিচের অংশ যেখানে মল বায়ু ও মলমিশ্রিত পানি থাকে। সেই অংশগুলোর যেমন বিশেষ করে সিকাম, কোলন, রেকটাম ও পায়ু পথের ক্যান্সারকে বুঝায়।
এই রোগে আক্রানত্মের পরিমাণ কেমন বাংলাদেশে এই রোগে আক্রানত্মের সঠিক পরিসংখ্যান এখনও জানা নেই। তবে উন্নত বিশ্বে ক্যান্সারের মাধ্যমে এই রোগে আক্রানত্ম রোগীর সংখ্যা অনেক এবং ক্যান্সার রোগীর মধ্যে এর অবস্থান তৃতীয় স্থানে। আমাদের দেশেও এই রোগের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে।

এই রোগের কারণগুলো কি কি?

১। খাদ্যাভাস পরিবর্তন, ২। জেনিটিক বা পারিবারিক কারণ, ৩। ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু, ৪। এডিনোমা বা পলিপ, ৫। ইনফেমটরি বাওয়াল ডিজিজ, ৬। বাইল এসিড রস ইত্যাদি।

খাদ্যাভাস কিভাবে এই রোগের জন্য দায়ী

পরীৰা-নিরীৰায় প্রমাণিত হয়েছে যে, শাকসবজি ও অাঁশযুক্ত খাবার যেমন লাল আটা, ফল ফলাদি খাবারগুলো খেলে ক্যান্সার কম হয়। আবার মাংস, চর্বিজাতীয় খাবার, ফাস্টফুড, কম পানি খাওয়া ইত্যাদিতে অভ্যসত্মদের ক্যান্সার রোগ বেশি হয়।

অন্যান্য কারণ

জেনেটিক বা পারিবারিক ও এই রোগে বংশধরদের ভুগতে দেখা যায়। অর্থাৎ কোন কোন পরিবারে এই রোগ একাধিক ব্যক্তির মাঝে দেখা যায়।

কলোরেকটাল ক্যান্সার হলে কি কি উপস্বর্গ দেখা যায়?

১। মলদ্বারে রক্তৰরণ অর্থাৎ পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া। বেশিরভাগ ৰেত্রে পাইলস বলে সন্দেহ করে চিকিৎসা করা হয়।
২। মলত্যাগের অভ্যাস পরিবর্তন।
যো রোগী পূর্বে স্বাভাবিক দৈনিক মলত্যাগ করত। এ রোগ হলে তার কনসর্টিপেশন বা পায়খানা কিয়ার না হওয়া, অল্প পায়খানা হওয়া। আবার কখনও কখনও মিউকাস ডায়রিয়া দেখা যায়। বিশেষ করে সকাল বেলা।
৩। পেটে ব্যথ্যা, বমি (ইনটেসটিনাল অবস্ট্রাকশন) ইত্যাদি ইমার্জেন্সি উপস্বর্গ নিয়ে আসতে পারে।
৪। পেটে চাকা বা টিউমার নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসতে পারে।
৫। দুর্বলতা, রক্তশূন্যতা ও খাবারের অরম্নচি ইত্যাদি নিয়েও ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়।
৬। খাদ্য নালীর বাইরে এই রোগ অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। যেমন_ লিভার, ফুসফুস ও মসত্মিষ্কে।

রোগ নিরূপণ ও চিকিৎসা

কলোনোসকোপি ও বেরিয়াম এনেমা পরীৰার মাধ্যমে সহজেই এই রোগ নিরূপণ করা সম্ভব।

চিকিৎসা
এই রোগের সার্জারিই একমাত্র চিকিৎসা। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় হলে চিকিৎসার সফলতা অনেক বেশি। বর্তমানে মর্ডার্ন সার্জারি চিকিৎসার মাধ্যমে কলোস্টমিবেগ (পেটের মধ্যে কৃত্রিম পায়খানা দরজা করে দেয়া) না লাগিয়ে স্বাভাবিকভাবে মলদ্বার দিয়ে মলত্যাগ করা সম্ভব।

ডা. এম এ হাসেম ভূঁঞা

জেনারেল ও কলোরেক্টাল সার্জন
অধ্যাপক, সার্জারি
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা।

No comments

Powered by Blogger.