মেধস মুনি আশ্রম যেখান থেকে শুরু হয়েছিল দুর্গাপূজা by শাহীনূর কিবরিয়া মাসুদ
দুর্গাপূজা এলেই সর্বাগ্রে এসে যায় মেধস মুনী আশ্রমের কথা। পৌরাণিক মতে, এখান থেকেই প্রথম শুরু হয়েছিল দেবী দুর্গার আরাধনা। প্রতিবছর দুর্গাপূজায় হাজার হাজার পুণ্যার্থীর আগমন ঘটে বোয়ালখালী উপজেলার করলডেঙ্গার পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত এ আশ্রমে। পৌরাণিক মতে, হাজার হাজার বছর আগে রাজা সুরথ ও সমাধি বৈশ্য প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তকালে তারা এ পূজার আয়োজন করায় দেবীর এ পূজা পরিচিত হয়
'বাসন্তী পূজা' হিসেবে। কিন্তু রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার আগে রামচন্দ্র শরৎকালের পূর্ণিমা তিথিতে দেবী দুর্গার পূজা করেছিলেন। কিংবদন্তি রয়েছে, এ মেধস মুনি আশ্রম থেকেই দুর্গাপূজার প্রচলন হয়েছে।
নগর থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মেধস মুনি আশ্রম। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় এখানে আসতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় পুণ্যার্থীদের। সড়কের কিছু অংশ কাঁচা, আবার কিছু অংশে ইট বিছানো। তাই এ সড়ক পেরিয়ে আশ্রমে যেতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিশু ও বয়স্কদের। বাঁশখালী থেকে আশ্রমে আসা শিমুল দে (৩৫), নগর থেকে আসা শিল্পী দাশ (৩০) ও টুম্পা বৈদ্যও (২৫) জানালেন আশ্রমে আসতে পথের কষ্টের কথা। স্থানীয় মিন্টু সিকদার ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, 'চণ্ডীর উৎপত্তিস্থল মেধস মুনি আশ্রম এখনও অবহেলিত রয়ে গেছে। শুধু করুণ সড়ক ব্যবস্থার কারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও এখানে আসতে চান না অনেকেই।'
আশ্রমের অধ্যক্ষ বুলবুল নন্দ ব্রহ্মচারী বলেন, 'দুর্গাপূজার উৎপত্তিস্থল মেধস মুনি আশ্রম। ঐতিহ্যবাহী এ আশ্রমে এখনও লাগেনি কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের ছোঁয়া। এমনকি কষ্টকর পথ পেরিয়ে আসা ধর্মপ্রাণ মানুষদের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পানি ও বিদ্যুৎ সংকটে পড়ে।' এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে করলডেঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, 'ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ দিয়ে আশ্রম সংস্কার করা সম্ভব নয়। এজন্য পৃথক একটি প্রকল্প নেওয়া হবে।'
এদিকে নানা মাঙ্গলিক আয়োজনে গত ২৭ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মাধ্যমে দেবীপক্ষের সূচনা হয় মেধস মুনি আশ্রমে। এসব আয়োজনের মধ্যে ছিল মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালিয়ে দেবীপক্ষের উদ্বোধন, চণ্ডী পাঠ, পূজা, আলোচনা সভা, প্রসাদ বিতরণ ও মাতৃ সঙ্গীতাঞ্জলি। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ ঘোষ, স্থানীয় সাংসদ মঈন উদ্দীন খান বাদল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলসাদ বেগম, চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক নারায়ণ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল পালিত, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল আলম, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইন্দুনন্দন দত্ত, বোয়ালখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম, বোয়ালখালী পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি শ্যামল মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক নবজিৎ চৌধুরী রানা, সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত বিকাশ সিকিম, মুক্তিযোদ্ধা রাজেন্দ্র প্রসাদ চৌধুরী ও অধ্যাপক সচ্চিনান্দ রায় চৌধুরী। সভায় বক্তারা এ আশ্রমকে জাতীয় আশ্রম ও তীর্থস্থান ঘোষণার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে ইউএনও দিলশাদ বেগম সমকালকে বলেন, 'আশ্রম ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র করতে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এটিকে জাতীয় আশ্রম ও তীর্থস্থান করতে সব ধরনের চেষ্টা চলছে। আশা করি বর্তমান সরকার আমলেই এ দাবি বাস্তবায়িত হবে।
নগর থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মেধস মুনি আশ্রম। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় এখানে আসতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় পুণ্যার্থীদের। সড়কের কিছু অংশ কাঁচা, আবার কিছু অংশে ইট বিছানো। তাই এ সড়ক পেরিয়ে আশ্রমে যেতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিশু ও বয়স্কদের। বাঁশখালী থেকে আশ্রমে আসা শিমুল দে (৩৫), নগর থেকে আসা শিল্পী দাশ (৩০) ও টুম্পা বৈদ্যও (২৫) জানালেন আশ্রমে আসতে পথের কষ্টের কথা। স্থানীয় মিন্টু সিকদার ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, 'চণ্ডীর উৎপত্তিস্থল মেধস মুনি আশ্রম এখনও অবহেলিত রয়ে গেছে। শুধু করুণ সড়ক ব্যবস্থার কারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও এখানে আসতে চান না অনেকেই।'
আশ্রমের অধ্যক্ষ বুলবুল নন্দ ব্রহ্মচারী বলেন, 'দুর্গাপূজার উৎপত্তিস্থল মেধস মুনি আশ্রম। ঐতিহ্যবাহী এ আশ্রমে এখনও লাগেনি কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের ছোঁয়া। এমনকি কষ্টকর পথ পেরিয়ে আসা ধর্মপ্রাণ মানুষদের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পানি ও বিদ্যুৎ সংকটে পড়ে।' এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে করলডেঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, 'ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ দিয়ে আশ্রম সংস্কার করা সম্ভব নয়। এজন্য পৃথক একটি প্রকল্প নেওয়া হবে।'
এদিকে নানা মাঙ্গলিক আয়োজনে গত ২৭ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মাধ্যমে দেবীপক্ষের সূচনা হয় মেধস মুনি আশ্রমে। এসব আয়োজনের মধ্যে ছিল মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালিয়ে দেবীপক্ষের উদ্বোধন, চণ্ডী পাঠ, পূজা, আলোচনা সভা, প্রসাদ বিতরণ ও মাতৃ সঙ্গীতাঞ্জলি। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ ঘোষ, স্থানীয় সাংসদ মঈন উদ্দীন খান বাদল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলসাদ বেগম, চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক নারায়ণ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল পালিত, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল আলম, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইন্দুনন্দন দত্ত, বোয়ালখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম, বোয়ালখালী পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি শ্যামল মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক নবজিৎ চৌধুরী রানা, সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত বিকাশ সিকিম, মুক্তিযোদ্ধা রাজেন্দ্র প্রসাদ চৌধুরী ও অধ্যাপক সচ্চিনান্দ রায় চৌধুরী। সভায় বক্তারা এ আশ্রমকে জাতীয় আশ্রম ও তীর্থস্থান ঘোষণার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে ইউএনও দিলশাদ বেগম সমকালকে বলেন, 'আশ্রম ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র করতে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এটিকে জাতীয় আশ্রম ও তীর্থস্থান করতে সব ধরনের চেষ্টা চলছে। আশা করি বর্তমান সরকার আমলেই এ দাবি বাস্তবায়িত হবে।
No comments