প্রতিবন্ধীরা সমাজেরই অংশ by মুফতি এনায়েতুল্লাহ
রেওয়াজ অনুযায়ী প্রতিবছর প্রথম রোজার ইফতার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে করে থাকেন। প্রতিবন্ধীদের প্রতি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এই আয়োজন করা হয়; এটা প্রতিবন্ধীদের প্রতি সহমর্মিতার বহিঃপ্রকাশও বটে। এ ছাড়া বিশ্বময় প্রতিবন্ধীদের যথাযথ অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিবছর ৩ ডিসেম্বর পালিত হয় 'আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস'।
পশ্চিমা বিশ্বে প্রতিবন্ধীদের 'স্পেশাল চাইল্ড' বা 'গড গিফটেড' মনে করা হয়। সেখানে প্রতিবন্ধীদের বিশেষ শিক্ষা দিয়ে গড়ে তোলা হয়। ফলে তারা সমাজে বোঝা হিসেবে অনুভূত হয় না। এর বিপরীত চিত্র দরিদ্র দেশগুলোর; ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশ। আমাদের সমাজে প্রায়শই প্রতিবন্ধীদের দেখা হয় অবজ্ঞা-অবহেলার চোখে। চলমান সমাজ ব্যবস্থায় দুর্বল ও অসহায় প্রতিবন্ধীরা নানা নিগ্রহের শিকার হয়ে থাকে। ইসলাম প্রতিবন্ধীদের সমাজের সদস্য হিসেবে গণ্য করে তাদের যথাযথ অধিকারের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। উল্লেখ্য, প্রতিবন্ধিতা কোনো অভিশাপ বা পাপের ফসল নয়।
সাধারণ অর্থে প্রতিবন্ধী বলতে কর্মক্ষম কাউকে বোঝায়। সমাজে শারীরিক, মানসিক, বাক, দৃষ্টি ও শ্রবণপ্রতিবন্ধীর মতো নানা ধরনের প্রতিবন্ধী রয়েছে। অবস্থাসম্পন্ন পরিবারের সন্তানরা প্রতিবন্ধিত্বের শিকার হলে যথাযথ চিকিৎসা ও বিকল্প শিক্ষা দিয়ে তাকে অনেকটাই সচল করে তোলা হয়। এর বিপরীতে কোনো দরিদ্রের সন্তান প্রতিবন্ধিত্বের শিকার হলে বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়; অন্যথায় ভিক্ষাবৃত্তি গ্রহণ করে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করে। সমাজ তাদের ব্যাপারে অনেকটাই উদাসীন।
সমাজের যারা প্রতিবন্ধীদের অবহেলা ও অবজ্ঞার চোখে দেখে, তাদের মনে রাখা দরকার, (আল্লাহ না করুন) বিভিন্ন দুর্ঘটনা ও অসুস্থতার কারণে একজন সুস্থ-সবল মানুষও যে কোনো সময় শারীরিক সক্ষমতা হারিয়ে প্রতিবন্ধী হয়ে যেতে পারে। তাই প্রত্যেক সুস্থ মানুষের উচিত, শারীরিক সুস্থতার জন্য আল্লাহতায়ালার কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের পাশাপাশি সমাজের প্রতিবন্ধীদের প্রতি সহযোগিতা ও সহমর্মিতার হাত বাড়ানো। কারণ, তাদেরও অধিকার রয়েছে স্বাভাবিক জীবনযাপনের। ইসলাম মানুষকে প্রতিবন্ধীদের প্রতি সচেতন হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে, 'আর তাদের (বিত্তশালী) ধনসম্পদে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে।' (সূরা আজ জারিয়াত : ১৯)
সমাজের প্রতিবন্ধীরা তো বলতে গেলে বঞ্চিতই। সুতরাং তাদের প্রতি সবার বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে বলা যায়, কোনো প্রতিবন্ধীকে যদি তার অসুস্থতার সূচনায় যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে অনেকেই সমাজে প্রতিবন্ধী হিসেবে চিহ্নিত হতো না।
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সমাজের সব শ্রেণীর মানুষকে সমান চোখে দেখতেন। মৃদু বাকপ্রতিবন্ধী সাহাবি হজরত বিলালকে (রা.) মসজিদে নববীর প্রথম মুয়াজ্জিন নিয়োগ দিয়েছিলেন। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুমকে (রা.) হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) দু'দু'বার মদিনার অস্থায়ী শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) যখনই তাকে দেখতেন, তখনই বলতেন, 'স্বাগতম জানাই তাকে, যার সম্পর্কে আমার আল্লাহ আমাকে ভর্ৎসনা করেছেন।' উল্লেখ্য, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ উম্মে মাকতুমকে (রা.) কোনো এক বিষয়ে অগ্রাধিকার না দেওয়ায় আল্লাহতায়ালার সতর্কীকরণের মুখে পড়েন; যার বিস্তরিত বিবরণ সূরা আবাসায় (ত্রিশতম পারা) রয়েছে। এ জন্য বলা যায়, প্রতিবন্ধীদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) সুন্নতও বটে। যেখানে হজরত রাসূলুল্লাহকে (সা.) আল্লাহতায়ালা সতর্ক করেছেন, সেখানে সাধারণ মানুষ প্রতিবন্ধীদের প্রতি উদাসীনতা দেখালে নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা অসন্তুষ্ট হবেন, এটা বলাবাহুল্য।
প্রতিবন্ধীদের সামগ্রিক পুনর্বাসনের জন্য কেবল সরকারের সাহায্য যথেষ্ট নয়, তার পাশাপাশি দরকার সমাজেরও সাহায্য। এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে সামর্থ্যবানদের। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহতায়ালা বলেন, 'গোটা সৃষ্টিজগৎ আল্লাহতায়ালার পরিবারভুক্ত। আল্লাহর কাছে সে-ই প্রিয় যে তার পরিবারের কাছে প্রিয়।' অন্য আরেক হাদিসে আছে, 'তোমরা দুনিয়াবাসীর প্রতি দয়া করো। তাহলে আসমানের অধিকর্তা তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।' হাদিসে আরও ইরশাদ হয়েছে, 'যে মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহতায়ালাও তার প্রতি দয়া করেন না।' অন্য এক হাদিসে আছে, 'বনি ইসরাইলের এক চরিত্রহীন নারী তৃষ্ণার্ত একটি কুকুরকে পানি পান করিয়ে জীবন বাঁচানোর বদলায় আল্লাহতায়ালা তাকে জান্নাতবাসী করে দেন।' এর পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। সমাজে সেই মানুষেরই একটা অংশ অসহায়; প্রতিবন্ধী। তাদের প্রতি দয়া করলে আল্লাহতায়ালা নিশ্চিত খুশি হবেন তা সহজেই অনুমেয়।
আল্লাহতায়ালাকে খুশি করার, আল্লাহতায়ালার দিদার লাভ করার, আল্লাহতায়ালাকে পাওয়ার উপায় ও পথ বর্ণনা করে হাদিস শরিফে ইরশাদ হচ্ছে, 'কিয়ামতের দিন আল্লাহতায়ালা বলবেন, হে আদম সন্তান! আমি অসুস্থ হয়েছিলাম কিন্তু তুমি আমাকে দেখতে যাওনি! সে বলবে, হে রব! আপনি তো রাব্বুল আলামিন, আমি কীভাবে আপনাকে দেখতে যাব? তিনি বলেন, তুমি তো জেনেছিলে যে আমার অমুক বান্দা অসুস্থ হয়েছিল তবুও তুমি তাকে দেখতে যাওনি। তুমি কি জানতে না যে, তুমি যদি তাকে দেখতে যেতে তাহলে সেখানে আমাকে পেতে।' (মুসলিম শরিফ)
পারিপাশর্ি্বক নানা কারণে মানুষের প্রতি মানুষের সহানুভূতি আজ বিলুপ্তপ্রায়। মুসলমানদের ইমানি ঘাটতির জন্যই আজ এ অবস্থা। প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়, তাদের মধ্যে রয়েছে অনেক মেধাসম্পন্ন প্রতিভা। শারীরিক বা যে কোনো প্রতিবন্ধিতা অক্ষমতা নয়, বরং ভিন্ন ধরনের সক্ষমতা। প্রতিবন্ধীদের কম্পিউটার, সেলাইয়ের কাজ, কুটিরশিল্প, হস্তশিল্প, কাঠশিল্প, মৃৎশিল্পসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলা যায়। তারা আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতিবন্ধী সমাজকে বাদ দিয়ে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কখনও সম্ভব হতে পারে না। এ ছাড়া প্রতিবন্ধীদের প্রতি সহমর্মিতা পরকালে মুক্তির উসিলাও বটে।
muftianaet@gmail.com
সাধারণ অর্থে প্রতিবন্ধী বলতে কর্মক্ষম কাউকে বোঝায়। সমাজে শারীরিক, মানসিক, বাক, দৃষ্টি ও শ্রবণপ্রতিবন্ধীর মতো নানা ধরনের প্রতিবন্ধী রয়েছে। অবস্থাসম্পন্ন পরিবারের সন্তানরা প্রতিবন্ধিত্বের শিকার হলে যথাযথ চিকিৎসা ও বিকল্প শিক্ষা দিয়ে তাকে অনেকটাই সচল করে তোলা হয়। এর বিপরীতে কোনো দরিদ্রের সন্তান প্রতিবন্ধিত্বের শিকার হলে বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়; অন্যথায় ভিক্ষাবৃত্তি গ্রহণ করে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করে। সমাজ তাদের ব্যাপারে অনেকটাই উদাসীন।
সমাজের যারা প্রতিবন্ধীদের অবহেলা ও অবজ্ঞার চোখে দেখে, তাদের মনে রাখা দরকার, (আল্লাহ না করুন) বিভিন্ন দুর্ঘটনা ও অসুস্থতার কারণে একজন সুস্থ-সবল মানুষও যে কোনো সময় শারীরিক সক্ষমতা হারিয়ে প্রতিবন্ধী হয়ে যেতে পারে। তাই প্রত্যেক সুস্থ মানুষের উচিত, শারীরিক সুস্থতার জন্য আল্লাহতায়ালার কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের পাশাপাশি সমাজের প্রতিবন্ধীদের প্রতি সহযোগিতা ও সহমর্মিতার হাত বাড়ানো। কারণ, তাদেরও অধিকার রয়েছে স্বাভাবিক জীবনযাপনের। ইসলাম মানুষকে প্রতিবন্ধীদের প্রতি সচেতন হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে, 'আর তাদের (বিত্তশালী) ধনসম্পদে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে।' (সূরা আজ জারিয়াত : ১৯)
সমাজের প্রতিবন্ধীরা তো বলতে গেলে বঞ্চিতই। সুতরাং তাদের প্রতি সবার বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে বলা যায়, কোনো প্রতিবন্ধীকে যদি তার অসুস্থতার সূচনায় যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে অনেকেই সমাজে প্রতিবন্ধী হিসেবে চিহ্নিত হতো না।
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সমাজের সব শ্রেণীর মানুষকে সমান চোখে দেখতেন। মৃদু বাকপ্রতিবন্ধী সাহাবি হজরত বিলালকে (রা.) মসজিদে নববীর প্রথম মুয়াজ্জিন নিয়োগ দিয়েছিলেন। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুমকে (রা.) হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) দু'দু'বার মদিনার অস্থায়ী শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) যখনই তাকে দেখতেন, তখনই বলতেন, 'স্বাগতম জানাই তাকে, যার সম্পর্কে আমার আল্লাহ আমাকে ভর্ৎসনা করেছেন।' উল্লেখ্য, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ উম্মে মাকতুমকে (রা.) কোনো এক বিষয়ে অগ্রাধিকার না দেওয়ায় আল্লাহতায়ালার সতর্কীকরণের মুখে পড়েন; যার বিস্তরিত বিবরণ সূরা আবাসায় (ত্রিশতম পারা) রয়েছে। এ জন্য বলা যায়, প্রতিবন্ধীদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) সুন্নতও বটে। যেখানে হজরত রাসূলুল্লাহকে (সা.) আল্লাহতায়ালা সতর্ক করেছেন, সেখানে সাধারণ মানুষ প্রতিবন্ধীদের প্রতি উদাসীনতা দেখালে নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা অসন্তুষ্ট হবেন, এটা বলাবাহুল্য।
প্রতিবন্ধীদের সামগ্রিক পুনর্বাসনের জন্য কেবল সরকারের সাহায্য যথেষ্ট নয়, তার পাশাপাশি দরকার সমাজেরও সাহায্য। এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে সামর্থ্যবানদের। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহতায়ালা বলেন, 'গোটা সৃষ্টিজগৎ আল্লাহতায়ালার পরিবারভুক্ত। আল্লাহর কাছে সে-ই প্রিয় যে তার পরিবারের কাছে প্রিয়।' অন্য আরেক হাদিসে আছে, 'তোমরা দুনিয়াবাসীর প্রতি দয়া করো। তাহলে আসমানের অধিকর্তা তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।' হাদিসে আরও ইরশাদ হয়েছে, 'যে মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহতায়ালাও তার প্রতি দয়া করেন না।' অন্য এক হাদিসে আছে, 'বনি ইসরাইলের এক চরিত্রহীন নারী তৃষ্ণার্ত একটি কুকুরকে পানি পান করিয়ে জীবন বাঁচানোর বদলায় আল্লাহতায়ালা তাকে জান্নাতবাসী করে দেন।' এর পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। সমাজে সেই মানুষেরই একটা অংশ অসহায়; প্রতিবন্ধী। তাদের প্রতি দয়া করলে আল্লাহতায়ালা নিশ্চিত খুশি হবেন তা সহজেই অনুমেয়।
আল্লাহতায়ালাকে খুশি করার, আল্লাহতায়ালার দিদার লাভ করার, আল্লাহতায়ালাকে পাওয়ার উপায় ও পথ বর্ণনা করে হাদিস শরিফে ইরশাদ হচ্ছে, 'কিয়ামতের দিন আল্লাহতায়ালা বলবেন, হে আদম সন্তান! আমি অসুস্থ হয়েছিলাম কিন্তু তুমি আমাকে দেখতে যাওনি! সে বলবে, হে রব! আপনি তো রাব্বুল আলামিন, আমি কীভাবে আপনাকে দেখতে যাব? তিনি বলেন, তুমি তো জেনেছিলে যে আমার অমুক বান্দা অসুস্থ হয়েছিল তবুও তুমি তাকে দেখতে যাওনি। তুমি কি জানতে না যে, তুমি যদি তাকে দেখতে যেতে তাহলে সেখানে আমাকে পেতে।' (মুসলিম শরিফ)
পারিপাশর্ি্বক নানা কারণে মানুষের প্রতি মানুষের সহানুভূতি আজ বিলুপ্তপ্রায়। মুসলমানদের ইমানি ঘাটতির জন্যই আজ এ অবস্থা। প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়, তাদের মধ্যে রয়েছে অনেক মেধাসম্পন্ন প্রতিভা। শারীরিক বা যে কোনো প্রতিবন্ধিতা অক্ষমতা নয়, বরং ভিন্ন ধরনের সক্ষমতা। প্রতিবন্ধীদের কম্পিউটার, সেলাইয়ের কাজ, কুটিরশিল্প, হস্তশিল্প, কাঠশিল্প, মৃৎশিল্পসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলা যায়। তারা আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতিবন্ধী সমাজকে বাদ দিয়ে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কখনও সম্ভব হতে পারে না। এ ছাড়া প্রতিবন্ধীদের প্রতি সহমর্মিতা পরকালে মুক্তির উসিলাও বটে।
muftianaet@gmail.com
No comments