নিপীড়নের প্রতিবাদে আত্মহত্যা-দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে
নারী উত্ত্যক্তকারীদের হাত থেকে এ সমাজের যেন কোনো নিস্তার নেই। এক বছর আগে ফরিদপুরের মধুখালীতে মেয়েকে উত্ত্যক্তকারীর হাতে নিহত হতে হয়েছে চাঁপা রানী ভৌমিককে। কুড়িগ্রামে স্কুলপড়ুয়া নাতনিকে ইভ টিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ৭৫ বছর বয়সের বৃদ্ধ নানা আবদুস সোবহানকে হত্যা করা হয়। মাত্র কয়েক দিন আগে মেয়েকে হয়রানি করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধা স্কুলশিক্ষককে খুন হতে দেখা গেছে।
সে ঘটনায় সারা দেশে আলোড়ন উঠল। কিন্তু কয়েক দিন যেতে না যেতেই নিজ কন্যাসন্তানকে উত্ত্যক্তকারীদের চাপে এবার আত্মহত্যা করলেন মাগুরা সদর উপজেলার আলিধানি গ্রামের ৭০ বছর বয়স্ক দিনমজুর জয়নাল ফকির। স্বামী পরিত্যক্ত মেয়ের ওপর পৈশাচিক লালসা চরিতার্থ করার চেষ্টা চালানো ওসমান মলি্লকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিজেই চুরির মতো অপমানজনক মামলায় ফেঁসে যান। কোথাও সুবিচার না পাওয়া এই বৃদ্ধ অবশেষে ক্ষোভে, অপমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। উল্লেখ্য, শ্লীলতাহানির চেষ্টাকারী ওসমান মলি্লক এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতার মামাতো ভাই হওয়ার কারণে জয়নাল ফকির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা আদায় করতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।
অসংখ্য মেয়েকে বাংলাদেশে যৌন হয়রানির কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে দেখা গেছে, অনেক মেয়েকে শ্লীলতাহানির পর হত্যা করতে দেখা গেছে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পাশাপাশি এখন একের পর এক অভিভাবককে হত্যা কিংবা তাদের আত্মহত্যা করতে দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ সমাজে যৌন নিপীড়নের চিত্র কতটা তীব্র হয়ে উঠেছে, এটি তার একটি উদাহরণ। বিশ্ব যখন সব ধরনের গোঁড়ামি ত্যাগ করে নতুন নতুন সভ্যতার প্রবেশদ্বার উন্মোচন করছে, আমাদের সমাজে তখন নারী নির্যাতন, নারীর অবমাননা ও বৈষম্য আরো প্রকট হয়ে উঠছে। এ অবস্থা কোনোক্রমেই মেনে নেওয়ার নয়। শুধু বিচারের আওতায় আনা নয়, এমন ঘটনা থেকে নিবৃত্ত রাখার দায়িত্বটিও গুরুত্বপূর্ণ। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে শিক্ষা ও সমাজ সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করতে হবে। সেই সঙ্গে বিদ্যমান নারী নির্যাতন আইনটি সংশোধনের মাধ্যমে আরো কঠোর করে তুলতে হবে। স্কুল ও কলেজে যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক পাঠ্যসূচির ওপর জোর দিতে হবে এবং নানা সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, নারী স্বাধীনতার সমর্থনে প্রচারাভিযান চালাতে হবে।
সর্বোপরি জয়নাল ফকিরকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক, তাদের দ্রুত আইনের কাছে সোপর্দ করার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের সংশ্লিষ্টদের মনে রাখতে হবে, যেকোনো ধরনের অপরাধের যথাযথ শাস্তি না হলে অপরাধটিই উৎসাহী হয়।
অসংখ্য মেয়েকে বাংলাদেশে যৌন হয়রানির কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে দেখা গেছে, অনেক মেয়েকে শ্লীলতাহানির পর হত্যা করতে দেখা গেছে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পাশাপাশি এখন একের পর এক অভিভাবককে হত্যা কিংবা তাদের আত্মহত্যা করতে দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ সমাজে যৌন নিপীড়নের চিত্র কতটা তীব্র হয়ে উঠেছে, এটি তার একটি উদাহরণ। বিশ্ব যখন সব ধরনের গোঁড়ামি ত্যাগ করে নতুন নতুন সভ্যতার প্রবেশদ্বার উন্মোচন করছে, আমাদের সমাজে তখন নারী নির্যাতন, নারীর অবমাননা ও বৈষম্য আরো প্রকট হয়ে উঠছে। এ অবস্থা কোনোক্রমেই মেনে নেওয়ার নয়। শুধু বিচারের আওতায় আনা নয়, এমন ঘটনা থেকে নিবৃত্ত রাখার দায়িত্বটিও গুরুত্বপূর্ণ। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে শিক্ষা ও সমাজ সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করতে হবে। সেই সঙ্গে বিদ্যমান নারী নির্যাতন আইনটি সংশোধনের মাধ্যমে আরো কঠোর করে তুলতে হবে। স্কুল ও কলেজে যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক পাঠ্যসূচির ওপর জোর দিতে হবে এবং নানা সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, নারী স্বাধীনতার সমর্থনে প্রচারাভিযান চালাতে হবে।
সর্বোপরি জয়নাল ফকিরকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক, তাদের দ্রুত আইনের কাছে সোপর্দ করার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের সংশ্লিষ্টদের মনে রাখতে হবে, যেকোনো ধরনের অপরাধের যথাযথ শাস্তি না হলে অপরাধটিই উৎসাহী হয়।
No comments