টিপাইমুখে যৌথ সমীক্ষা-দিল্লির আশ্বাসেও অবস্থান বদলায়নি ঢাকা by মেহেদী হাসান
বিতর্কিত টিপাইমুখ প্রকল্পের কারণে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে না বলে দিল্লির অব্যাহত আশ্বাসে বিশ্বাস রাখলেও যৌথ সমীক্ষা চালানোর দাবি থেকে সরে আসেনি ঢাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান গত সপ্তাহে দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে ঢাকা ফিরে আশ্বস্ত ও সন্তুষ্ট হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
তাঁরা আরো বলেছেন, ভারত বাংলাদেশকে নিয়ে যৌথ সমীক্ষায়ও রাজি। বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে ওই দুই উপদেষ্টার আশ্বস্ত হয়ে ফেরার পর ঢাকা যৌথ সমীক্ষার আহ্বান থেকে সরে আসছে কি না জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'দিল্লির কাছে পাঠানো একাধিক বার্তায় যৌথ সমীক্ষার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা আমাদের অবস্থান বদলাইনি।'
যৌথ সমীক্ষার আহ্বানের বিষয়ে দিল্লি কোনো সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কি না জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, অনানুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে, তারা ওই আহ্বান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। তবে দিল্লি বারবার
আশ্বাস দিয়েছে, টিপাইমুখ প্রকল্পের কারণে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে না। ওই প্রকল্পে বাংলাদেশকেও অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে দিল্লি। এ ছাড়া টিপাইমুখ প্রকল্প ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল ভারত সফর করতে চাইলে তাদের স্বাগত জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রকৃত তথ্য জানার জন্যই সমীক্ষা প্রয়োজন : টিপাইমুখ প্রকল্প ইস্যুতে বিভিন্ন মহলে সুস্পষ্ট দুটি মনোভাব দেখা যাচ্ছে। এক পক্ষ মনে করছে, টিপাইমুখ প্রকল্প হলে বাংলাদেশের ওপর চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। হুমকির মুখে পড়বে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল। অন্য পক্ষের ধারণা, টিপাইমুখ প্রকল্প বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হবে। ইদানীং টিপাইমুখ প্রকল্পে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশেরও পাওয়ার সুযোগ থাকবে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, টিপাইমুখ প্রকল্পের কারণে বাংলাদেশের লাভ-ক্ষতির আশঙ্কাটি অনুমানভিত্তিক। যখন বিভিন্ন মহল থেকে এ নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে, তখন বাংলাদেশ বিষয়টি ভারতের কাছে জানতে চেয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু হবে না বলে ভারত আশ্বাস দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক জানান, টিপাইমুখ প্রকল্প নিয়ে জনমনে শঙ্কা-উদ্বেগ দূর করার জন্যই যৌথ সমীক্ষা চালানো প্রয়োজন। বাংলাদেশ এ ব্যাপারে দিল্লির সম্মতিসূচক আনুষ্ঠানিক বার্তার অপেক্ষায় আছে।
যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকের ব্যাপারে ভারতের সাড়া মেলেনি : গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের পরপরই অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক অনুষ্ঠানে দিল্লিকে প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকার এ প্রস্তাবে দিল্লি এখনো সাড়া দেয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, জেআরসির বৈঠক হলেই তিস্তার পানি বণ্টনসহ টিপাইমুখ প্রকল্প ইস্যুটি উঠবে। ওই বৈঠকের ব্যাপারে ভারত এখন আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
টিপাইমুখ ইস্যুতে সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে অবস্থানগত কিছুটা ভিন্নতা দেখা দিলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, তাদের ও জেআরসির অবস্থান অভিন্ন।
উল্লেখ্য টিপাইমুখ ইস্যুতে পররাষ্ট্র সচিব মো. মিজারুল কায়েস বলেছেন, ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বারবার বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু না হওয়ার আশ্বাস এসেছে। বাংলাদেশ তাতে আশ্বস্ত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এ ধরনের আশ্বাসকে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাংলাদেশ তাই করছে।
তবে টিপাইমুখ প্রকল্পের কারণে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, উদ্বেগের কি না তা যৌথ সমীক্ষার ফল থেকেই জানা যাবে।
পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বলেছেন, 'বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ভারতকে বিশ্বাস করে। তবে ভারত যদি বাংলাদেশের স্বার্থকে অগ্রাহ্য করে, সে ক্ষেত্রে আমরা এর বিরুদ্ধে লিখব এবং আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে যাব।'
এদিকে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান বলেছেন, টিপাইমুখ ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু। এ নিয়ে সরকারের কিছু করণীয় নেই। এরপরও কিছু বলার থাকলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলবে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এখানে কোনো ভূমিকা নেই।
অন্যদিকে অব্যাহত আলোচনা-সমালোচনার মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে দূত পাঠানোর এবং যৌথ সমীক্ষার কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা গত শুক্রবার দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।
দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেন, 'টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। এ ব্যাপারে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাতে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট।'
তিনি আরো বলেন, 'ভারতের পক্ষ থেকে তথ্য দেখিয়ে আমাদের বলা হয়েছে, টিপাইমুখ প্রকল্পে সেচের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। শুধু জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বাঁধ হবে, জলাধার হবে। কাজেই নদের গতি রোধ হবে না। সারা বছরই ভারত পানি ছাড়বে। এ নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।'
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত মাসের মাঝামাঝি টিপাইমুখ নিয়ে ভারতে বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর অভিন্ন অববাহিকার দেশ বাংলাদেশকে না জানিয়ে কেন চুক্তি করা হলো, সে ব্যাপারে ব্যাখ্যা চেয়ে দিল্লির কাছে একাধিক বার্তা পাঠায় ঢাকা। তবে দিল্লি এ বিষয়ে কোনো উত্তর দেয়নি। তা ছাড়া বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানানোর কথা কূটনৈতিক চ্যানেলে জানালেও যৌথ সমীক্ষার দাবির ব্যাপারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, গত শুক্রবার দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই উপদেষ্টার বৈঠক বিষয়ে গত সাত দিনেও আনুষ্ঠানিকভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কিছু জানানো হয়নি। ওই বৈঠক নিয়ে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কিছু জানায়নি বলে জানা গেছে।
প্রতিবেশীদের উদ্বেগে লাওসে বাঁধ নির্মাণ স্থগিত
যৌথ সমীক্ষার আহ্বানের বিষয়ে দিল্লি কোনো সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কি না জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, অনানুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে, তারা ওই আহ্বান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। তবে দিল্লি বারবার
আশ্বাস দিয়েছে, টিপাইমুখ প্রকল্পের কারণে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে না। ওই প্রকল্পে বাংলাদেশকেও অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে দিল্লি। এ ছাড়া টিপাইমুখ প্রকল্প ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল ভারত সফর করতে চাইলে তাদের স্বাগত জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রকৃত তথ্য জানার জন্যই সমীক্ষা প্রয়োজন : টিপাইমুখ প্রকল্প ইস্যুতে বিভিন্ন মহলে সুস্পষ্ট দুটি মনোভাব দেখা যাচ্ছে। এক পক্ষ মনে করছে, টিপাইমুখ প্রকল্প হলে বাংলাদেশের ওপর চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। হুমকির মুখে পড়বে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল। অন্য পক্ষের ধারণা, টিপাইমুখ প্রকল্প বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হবে। ইদানীং টিপাইমুখ প্রকল্পে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশেরও পাওয়ার সুযোগ থাকবে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, টিপাইমুখ প্রকল্পের কারণে বাংলাদেশের লাভ-ক্ষতির আশঙ্কাটি অনুমানভিত্তিক। যখন বিভিন্ন মহল থেকে এ নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে, তখন বাংলাদেশ বিষয়টি ভারতের কাছে জানতে চেয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু হবে না বলে ভারত আশ্বাস দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক জানান, টিপাইমুখ প্রকল্প নিয়ে জনমনে শঙ্কা-উদ্বেগ দূর করার জন্যই যৌথ সমীক্ষা চালানো প্রয়োজন। বাংলাদেশ এ ব্যাপারে দিল্লির সম্মতিসূচক আনুষ্ঠানিক বার্তার অপেক্ষায় আছে।
যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকের ব্যাপারে ভারতের সাড়া মেলেনি : গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের পরপরই অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক অনুষ্ঠানে দিল্লিকে প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকার এ প্রস্তাবে দিল্লি এখনো সাড়া দেয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, জেআরসির বৈঠক হলেই তিস্তার পানি বণ্টনসহ টিপাইমুখ প্রকল্প ইস্যুটি উঠবে। ওই বৈঠকের ব্যাপারে ভারত এখন আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
টিপাইমুখ ইস্যুতে সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে অবস্থানগত কিছুটা ভিন্নতা দেখা দিলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, তাদের ও জেআরসির অবস্থান অভিন্ন।
উল্লেখ্য টিপাইমুখ ইস্যুতে পররাষ্ট্র সচিব মো. মিজারুল কায়েস বলেছেন, ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বারবার বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু না হওয়ার আশ্বাস এসেছে। বাংলাদেশ তাতে আশ্বস্ত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এ ধরনের আশ্বাসকে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাংলাদেশ তাই করছে।
তবে টিপাইমুখ প্রকল্পের কারণে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, উদ্বেগের কি না তা যৌথ সমীক্ষার ফল থেকেই জানা যাবে।
পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বলেছেন, 'বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ভারতকে বিশ্বাস করে। তবে ভারত যদি বাংলাদেশের স্বার্থকে অগ্রাহ্য করে, সে ক্ষেত্রে আমরা এর বিরুদ্ধে লিখব এবং আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে যাব।'
এদিকে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান বলেছেন, টিপাইমুখ ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু। এ নিয়ে সরকারের কিছু করণীয় নেই। এরপরও কিছু বলার থাকলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলবে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এখানে কোনো ভূমিকা নেই।
অন্যদিকে অব্যাহত আলোচনা-সমালোচনার মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে দূত পাঠানোর এবং যৌথ সমীক্ষার কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা গত শুক্রবার দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।
দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেন, 'টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। এ ব্যাপারে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাতে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট।'
তিনি আরো বলেন, 'ভারতের পক্ষ থেকে তথ্য দেখিয়ে আমাদের বলা হয়েছে, টিপাইমুখ প্রকল্পে সেচের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। শুধু জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বাঁধ হবে, জলাধার হবে। কাজেই নদের গতি রোধ হবে না। সারা বছরই ভারত পানি ছাড়বে। এ নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।'
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত মাসের মাঝামাঝি টিপাইমুখ নিয়ে ভারতে বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর অভিন্ন অববাহিকার দেশ বাংলাদেশকে না জানিয়ে কেন চুক্তি করা হলো, সে ব্যাপারে ব্যাখ্যা চেয়ে দিল্লির কাছে একাধিক বার্তা পাঠায় ঢাকা। তবে দিল্লি এ বিষয়ে কোনো উত্তর দেয়নি। তা ছাড়া বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানানোর কথা কূটনৈতিক চ্যানেলে জানালেও যৌথ সমীক্ষার দাবির ব্যাপারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, গত শুক্রবার দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই উপদেষ্টার বৈঠক বিষয়ে গত সাত দিনেও আনুষ্ঠানিকভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কিছু জানানো হয়নি। ওই বৈঠক নিয়ে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কিছু জানায়নি বলে জানা গেছে।
প্রতিবেশীদের উদ্বেগে লাওসে বাঁধ নির্মাণ স্থগিত
No comments