ভারতের সিরিজ জয়
তৃতীয় ম্যাচের জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতে ধরা দেওয়ায় ভারত-উইন্ডিজের পাঁচ ম্যাচের সিরিজে কিছুটা হলেও উত্তেজনা ফিরেছিল। কিন্তু ইতিহাস গড়া চতুর্থ ওয়ানডে ম্যাচে ভারত সেই সম্ভাবনাকে এক ঝটকায় উড়িয়ে দিয়েছে। আরও একটু পরিষ্কার করে বললে বিরেন্দর শেবাগ সেই সম্ভাবনাকে গলাটিপে মেরেছেন। তার বিধ্বংসী ব্যাটিং এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ভারতের সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে। ইন্দোরের দিবা-রাত্রির এ ম্যাচে ১৫৩ রানের বিশাল জয়
নিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ভারত ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল। বিরেন্দর শেবাগের ২১৯ রানের সুবাদে ভারতের সংগ্রহ ছিল ৪১৮ রান। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৬৫ রানে সব উইকেট হারায়।\ইন্দোরের এ ম্যাচটি ছিল শেবাগময়। ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি দেখতে সময় লেগেছিল ৪০ বছর; কিন্তু দ্বিতীয় ডাবলটি আসতে দু'বছরও লাগেনি। কাল ইন্দোরে ওয়ানডে ক্রিকেটের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি গড়লেন শেবাগ। গৌতম গম্ভীরকে সঙ্গী করে শেবাগের শুরুটা ছিল ঝড়ের গতিতে। মাঝ পথে একটা ভুল বোঝাবুঝিতে গম্ভীর রান আউট হয়ে যান। আর এ রান আউট যেন ভয়ানক তাতিয়ে দেয় নজফগড়ের নবাবকে। তাই তো তার ব্যাট থেকে চার-ছয়ের ফুলঝুরি ছুটতে থাকে। শেবাগ এতটাই বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন যে, এক পর্যায়ে ব্যক্তিগত আড়াইশ' আর দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড_ সবই সম্ভব মনে হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত রেকর্ডটা হলেও দলীয়টা বাস্তবে রূপ পায়নি। শেবাগের এ ইনিংসে ভারত তাদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংগ্রহের ইতিহাস গড়েছে। আর তাতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের হারটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। রান পাহাড়ে নিচে চাপা পড়লে যা হয় তা-ই হয়েছে। দলীয় রান একশ' হতে না হতেই টপ অর্ডারের ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাঁচ ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে। আর সফরকারীদের এ দশার পেছনে মূল কারিগর প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামা অফ স্পিনার রাহুল শর্মা। ওপেনিং জুটি বিদায়ের পর পরবর্তী তিনটি উইকেটই তার দখলে।
ভারত : ৪১৮/৫ (গম্ভীর ৬৭, শেবাগ ২১৯, রায়না ৫৫; রোচ ৮৮/১, রাসেল ৬৮/১)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২৬৫/১০, ৪৯.২ ওভার (সিমন্স ৩৬, রামদিন ৯৬। জাদেজা ৩/৩৪, রাহুল ৩/৪৩)। ফল : ভারত ১৫৩ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : বিরেন্দর শেবাগ।
ভারত : ৪১৮/৫ (গম্ভীর ৬৭, শেবাগ ২১৯, রায়না ৫৫; রোচ ৮৮/১, রাসেল ৬৮/১)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২৬৫/১০, ৪৯.২ ওভার (সিমন্স ৩৬, রামদিন ৯৬। জাদেজা ৩/৩৪, রাহুল ৩/৪৩)। ফল : ভারত ১৫৩ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : বিরেন্দর শেবাগ।
No comments