শেয়ারবাজার-সূচক আবারও পাঁচ হাজারের নিচে নামল
তেমন কোনো জোরালো যুক্তি নেই। তবু ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পাঁচ হাজার পয়েন্ট সূচককে মনস্তাত্তিক স্তর হিসেবে দেখেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টব্যক্তিরা। বুধবার পর্যন্তও সাধারণ মূল্যসূচক এ স্তরের ওপরেই অবস্থান করছিল। টানা পাঁচ কর্মদিবসের দরপতন ডিএসইর সূচককে টেনে নামিয়েছে ৪৯৩২.৩০ পয়েন্টে। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো ডিএসই সূচকের এ অধপতন ঘটল। এর আগে গত ১৬ নভেম্বর ডিএসইর সাধারণ
মূল্যসূচক নেমেছিল ৪৯৮৭.৫৬ পয়েন্টে।লেনদেন হওয়া ২৫৪টি কম্পানির মধ্যে ২০৪টিরই দাম পড়ে যাওয়ায় গতকাল ৯৮.৮৯ পয়েন্ট পড়ে গেছে ডিএসইর মূল্যসূচক। একদিনেই লেনদেন কমেছে ৭২ কোটি টাকা। বুধবার ২৭৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হলেও গতকাল তা কমে ২০২ কোটি ৪১ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
এত আয়োজনের পরও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বাজারে না আসায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাও ভরসা পাচ্ছেন না। বাজারের প্রতি কারোই আস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সে কারণেই শেয়ারবাজারে পতন অব্যাহত রয়েছে এমনই ধারণা বাজার-বিশ্লেষকদের। তবে ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্ষ শেষের হিসাব-নিকাশ চুকে গেলে আগামী বছরের শুরু থেকে মোটা দাগে বিনিয়োগ শুরু করতে পারে। তখন বাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়বে, বিনিয়োগকারীদের আস্থাও ফিরতে শুরু করবে বলে তাদের বিশ্বাস।
গতকাল ব্যাংক খাতের ৩০টি কম্পানির মধ্যে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের দাম আগের দিনের মতোই রয়েছে। বাদ বাকি ২৯টির দাম কমছে গতকাল। পুঁজিবাজারে প্রযুক্তি খাতের পাঁচটি কম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। সব কটিরই শেয়ারের দাম কমেছে গতকাল। ট্যানারি খাতের পাঁচটি কম্পানির মধ্যে একটিরও দাম বাড়েনি। আর্থিক খাতের ২১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শুধু দুটির দাম বেড়েছে। অন্যগুলো আগের দিনের চেয়ে কমেছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শুধু পাওয়ার গ্রিডের শেয়ারের দাম বেড়েছে। অন্য ১২টিরই কমেছে। আর সব মিলিয়ে গতকাল ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ২৫৪টি কমপানির মধ্যে ২০৪টির দাম কমেছে। বেড়েছে ৩৯টির দাম আর অন্য ১১টির দাম আগের দিনের মতোই রয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, এখন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বছর শেষের হিসাব চলছে। ফলে তারা হয়তো চাইছে না ঝুঁকিপূর্ণ বাজারে বিনিয়োগ করতে। আগামী বছরের শুরুতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা হয়তো তাঁদের বিনিয়োগ শুরু করবেন। তখন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদেরও আস্থা ফিরে আসবে।
ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. সালাউদ্দিন আহমেদ খান বলেন, পুঁজিবাজারের ধর্মের মধ্যে আছে ওঠা-নামা। নামার পর উঠে যাবে এটাই স্বাভাবিক। তারপরও এত দীর্ঘ সময় ধরে বাজার পতনে কিছু কারণ থাকতে পারে বলে আমার মনে হয়। তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ দিয়ে বাজারকে সাপোর্ট দেওয়া প্রয়োজন। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বড় সাপোর্ট থাকলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ড. ওসমান ইমাম বলেন, বর্তমানে শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমে গেছে, যার ফলে সাধারণ ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আস্থাও কমেছে। বর্তমানে ডিসেম্বর ক্লোজিং চলছে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। যখন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা দেখবেন বাজারে টার্নওভার ভালো, তখন এমনিতেই তাঁদের আস্থা ফিরে আসবে।
এত আয়োজনের পরও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বাজারে না আসায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাও ভরসা পাচ্ছেন না। বাজারের প্রতি কারোই আস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সে কারণেই শেয়ারবাজারে পতন অব্যাহত রয়েছে এমনই ধারণা বাজার-বিশ্লেষকদের। তবে ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্ষ শেষের হিসাব-নিকাশ চুকে গেলে আগামী বছরের শুরু থেকে মোটা দাগে বিনিয়োগ শুরু করতে পারে। তখন বাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়বে, বিনিয়োগকারীদের আস্থাও ফিরতে শুরু করবে বলে তাদের বিশ্বাস।
গতকাল ব্যাংক খাতের ৩০টি কম্পানির মধ্যে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের দাম আগের দিনের মতোই রয়েছে। বাদ বাকি ২৯টির দাম কমছে গতকাল। পুঁজিবাজারে প্রযুক্তি খাতের পাঁচটি কম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। সব কটিরই শেয়ারের দাম কমেছে গতকাল। ট্যানারি খাতের পাঁচটি কম্পানির মধ্যে একটিরও দাম বাড়েনি। আর্থিক খাতের ২১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শুধু দুটির দাম বেড়েছে। অন্যগুলো আগের দিনের চেয়ে কমেছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শুধু পাওয়ার গ্রিডের শেয়ারের দাম বেড়েছে। অন্য ১২টিরই কমেছে। আর সব মিলিয়ে গতকাল ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ২৫৪টি কমপানির মধ্যে ২০৪টির দাম কমেছে। বেড়েছে ৩৯টির দাম আর অন্য ১১টির দাম আগের দিনের মতোই রয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, এখন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বছর শেষের হিসাব চলছে। ফলে তারা হয়তো চাইছে না ঝুঁকিপূর্ণ বাজারে বিনিয়োগ করতে। আগামী বছরের শুরুতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা হয়তো তাঁদের বিনিয়োগ শুরু করবেন। তখন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদেরও আস্থা ফিরে আসবে।
ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. সালাউদ্দিন আহমেদ খান বলেন, পুঁজিবাজারের ধর্মের মধ্যে আছে ওঠা-নামা। নামার পর উঠে যাবে এটাই স্বাভাবিক। তারপরও এত দীর্ঘ সময় ধরে বাজার পতনে কিছু কারণ থাকতে পারে বলে আমার মনে হয়। তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ দিয়ে বাজারকে সাপোর্ট দেওয়া প্রয়োজন। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বড় সাপোর্ট থাকলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ড. ওসমান ইমাম বলেন, বর্তমানে শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমে গেছে, যার ফলে সাধারণ ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আস্থাও কমেছে। বর্তমানে ডিসেম্বর ক্লোজিং চলছে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। যখন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা দেখবেন বাজারে টার্নওভার ভালো, তখন এমনিতেই তাঁদের আস্থা ফিরে আসবে।
No comments