সুবাসীর খলযাত্রা by মিল্টন বিশ্বাস

তারাশঙ্করের কথাসাহিত্যে নিম্নবর্গের নারী চরিত্র প্রতিহিংসাস্পৃহায় নিষ্ঠুর; নির্মম ক্রূরতায়, অসংযত জৈবক্ষুধার খলত্বে অনন্য। পুরুষের আধিপত্য ও বহুগামিতার জন্য যেমন নারী বঞ্চনার শিকার হয়, তেমনি আবার নারী স্বপ্ন পূরণে প্রতিস্পর্ধী হয়ে উঠতে পারে মুহূর্তেই। এর দৃষ্টান্ত রয়েছে তাঁর একাধিক গল্প-উপন্যাসে। অনেক সময় খলামির জন্য পরিণতিতে নারী নিরাশ্রয় হয়; নারীর অস্তিত্ব ও মনোবাস্তবতায় পারস্পরিক সম্পর্কের জটিলতাও বৃদ্ধি পায়।


তবে জৈব প্রবৃত্তিতে নিম্নবর্গের নারী অকপট, প্রেমের ক্ষেত্রে সমাজনীতির বিরোধী। তাই তাদের খলযাত্রা সংকট এবং বিপর্যয়ের মধ্যেও প্রাণময়। সামাজিকভাবে উচ্চবর্গের আধিপত্য এবং পুরুষের অধীনতায় নারীর পারিবারিক ও সমাজজীবন নিয়ন্ত্রিত হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে নিম্নবর্গ নারীর স্বাধীন বিচরণ লক্ষ করা যায়। প্রেমানুভূতি, যৌনতা, আদিম প্রবৃত্তির তাড়না, দাম্পত্য জীবনের মিলন-বিরহ-বিচ্ছেদের কাতরতা, সর্বোপরি সমাজবন্ধনহীন ও শাস্ত্রাচারের নৈতিক সীমাবহির্ভূত পারস্পরিক সম্পর্কের জটিলতায় নারীর আচরণের বহুমাত্রিকতা প্রকাশ পায়। খল নারী জৈবিক জীবনের কামনা-বাসনার দৈহিক অনুভূতিকে প্রাধান্য দিলেও কখনো কখনো এর ব্যতিক্রমও লক্ষণীয়। তারাশঙ্কর তাঁর কথাসাহিত্যে জৈবিক জীবনের কামনা-বাসনাকেই কেবল প্রাধান্য দেননি, বরং নিম্নবর্গের নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান, শ্রেণীগত পরিচয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছেন।
তারাশঙ্করের গল্পে নিম্নবর্গের নর-নারীর বিচিত্রমুখী সম্পর্ক বিস্তারের মধ্যে নারীর প্রবৃত্তিগত সম্পর্কের রূপটি তাৎপর্যপূর্ণ। তাদের জীবন-প্রণালি এবং মূল্যবোধের একটি বিশিষ্ট প্রবণতার চিত্র পাওয়া যায় সেখানে। তাঁর গল্পে নর-নারীর প্রথাগত দাম্পত্য প্রেম এবং দাম্পত্যবহির্ভূত প্রেমের মধ্যে দাম্পত্যবহির্ভূত প্রেমের চিত্রই বেশি। জৈবিক কামনার সংরাগে দীপ্ত প্রেমের অনুষঙ্গ তাঁর অনেক গল্পের অবলম্বন। তারাশঙ্করের সাহিত্যে প্রেম-ধর্মের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো প্রবৃত্তিপরায়ণ মানুষের আদিম জৈবিক পিপাসা। অনেক গল্পের মধ্যে প্রেমের এই আদিম ধর্মটি বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। নারী চরিত্রে এই আদিমতা তার খলামির পরিপ্রেক্ষিত তৈরি করেছে।
'ডাইনি' শব্দ দিয়ে নারীর খলত্বকে চিহ্নিত করা হয়। গ্রামবাংলায় এবং লোককথায় এখনো এটা প্রচলিত। 'ডাইনির বাঁশী', 'ডাইনি' (একই নামে দুটি গল্প) গল্পে সমাজের কারণে নারীর ডাইনিত্ব প্রাপ্তির কাহিনী বিবৃত হলেও নারীর ডাইনি আচরণের একটি বিশিষ্ট দিক রূপায়িত হয়েছে। 'বাঞ্ছাপূরণ' গল্পে বিচিত্র নারীর মধ্যে বৈরাগী বহুবল্লভ রাধা অন্বেষণ করতে গিয়ে ঝুমুর দলের এক খল নারীর সংস্পর্শে এসে খুন হয়েছে। নারীটি তার সহযোগীকে দিয়ে বহুবল্লভকে খুন করিয়ে টাকা নিয়ে ভেগেছে। 'বেদেনী' গল্পে রাধিকা বেদেনীর প্রথম বিয়ে হয় ১৪ বছর বয়সে, শিবপদ বেদের সঙ্গে। রাধিকার চেয়ে বছর তিনেকের বড় শিবপদ ছিল শান্ত প্রকৃতির। রাধিকা সাপ নাচাত, গান গাইত আর শিবপদ রাধিকার স্বরের সঙ্গে মিলিয়ে বাঁশি বাজাত। রাধিকার ১৭ বছর বয়সে দেখা হয় শম্ভুর সঙ্গে। শিবপদের সমস্ত সঞ্চিত অর্থ নিয়ে রাধিকা শম্ভুর তাঁবুতে ওঠে। শিবপদ চোখের জলে বুক ভাসালেও রাধিকার কোনো মমতা জাগ্রত হয়নি। যদিও রাধিকার মা-বাপ, গ্রামের সবাই ছি ছি করেছিল, কিন্তু সে গ্রাহ্য করেনি কাউকে। আবার মা-কঙ্কালীর মেলায় 'ভোজবাজি-ছারকাছ' দেখাতে গিয়ে নতুন বাজিকর কিষ্টোর সঙ্গে এই খল নারী পালিয়েছে, ত্যাগ করেছে শম্ভুকে। শেষ পর্যন্ত কিষ্টোর তাঁবুতে আগুন না দিয়ে সে একই সঙ্গে অগি্ন প্রজ্বলিত করেছে শম্ভুর তাঁবুতে এবং আমাদের হৃদয়ে। বেদেনীর শরীরী প্রতারণা সার্থক হয়েছে শম্ভুকে হত্যার পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে। 'সাপুড়ের গল্প' যুবতী কালী সাপুড়ের গল্প। জনৈক সন্ন্যাসীর সঙ্গে তার ক্ষণিক সম্পর্ক এবং সংসারযাত্রায় একসময় গর্ভবতী হয় এই যাযাবর নারী। তার সন্তান সম্পর্কে সন্ন্যাসীর কোনো আগ্রহ না থাকায় সে তার ঝুলি থেকে সংগৃহীত বিষ বের করে নেশায় বেহুঁশ হয়ে পড়ে থাকা ভৈরবের ঠোঁটে ঢেলে দেয়। ভৈরবের ওষুধের গুঁড়া বের করে (কটু গন্ধের গুঁড়া) শঙ্খচূড়ের ঝাঁপিতে দিয়ে হত্যা করে সংগৃহীত সাপটি। সন্ন্যাসীকে হত্যার পর সাপকে হত্যা করার ঘটনা এই নারীর গর্ভের সন্তান রক্ষার প্রচেষ্টা হিসেবে ব্যাখ্যাত হলেও তার শঠতা স্পষ্ট। মূলত প্রিয়জনকে ত্যাগ করা, নিষ্ঠুর আচরণ প্রকাশ করা, সমাজকে দলন করে নিজের সুখ অন্বেষণ_এ ধরনের বিরূপ চরিত্র লেখকের খল নারী চরিত্র রূপায়ণের মুখ্য দিক। খল-চরিত্র চিত্রণে একটি বিশেষ দিক উপস্থাপিত হয়েছে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'হাঁসুলি বাঁকের উপকথা'র 'সুবাসী' চরিত্রে।
২.
'রমণের স্ত্রীর বোনঝি_কালো বউয়ের বোনঝি। বনওয়ারী তাকে আজই দেখেছে বিকালবেলায়। কালো বউয়ের ঢং তার সর্বাঙ্গে। মেয়েটি যুবতী। কালো শশীর রং ছিল কালো_এ মেয়েটির রং মাজা। মেয়েটি বিধবা হয়েছিল একটি সন্তান নিয়ে। সন্তানটিও মারা গিয়েছে। মায়ের কাছে আশ্রয় নিয়েছিল। মায়ের ইচ্ছা ছিল সাঙ্গা দেবে। কিন্তু তার আগেই মা গেল মরে। মেয়েটি এসে রমণের ঘাড়ে পড়েছে।'
এই সুবাসীকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে কাহারপাড়ার মাতব্বর বনওয়ারী ঘরে এনে বুঝতে পারে, এই নারী অন্য প্রকৃতির। তার রূপ-যৌবন নেশায় আচ্ছন্ন করে রাখলেও এই নেশায় সংসারের কল্যাণ নেই। মেয়েটি অবিকল কালো শশী_তেমনি বিলাসিনী, তেমনি ঢং, তেমনি হাসি, তেমনি ঢলে পড়া_মাঝেমধ্যে বনওয়ারীর মন খাপ্পা হয়ে ওঠে। 'হাঁসুলি বাঁকের উপকথা'র চতুর্থ পর্ব থেকে সুবাসীর অনুপ্রবেশ। এই পর্ব শুরু হয়েছে আগের পর্বের শেষাংশে কালো বউয়ের (কালো শশী) মৃত্যুর ঘটনায় বনওয়ারীর প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ভীতিজনিত মানসিক অসুস্থতায়। আটপৌরে কাহার পরমের বিয়ে করা স্ত্রী কালো শশী। কিন্তু বনওয়ারীর সঙ্গে দাম্পত্যবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কে জড়িত। পরমের ডাকাতির দায়ে জেলজীবনে সে এক চরিত্রহীনা নারী। এক জ্যোৎস্নালোকিত রাতে কালীদহের পাড়ে বনওয়ারীর সঙ্গে প্রেমের মুহূর্ত যাপনের সময় ঘটনাটি দেখে ফেলে পরম। পরমের তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়ে সাপের কামড়ে দহে পড়ে মৃত্যু হয় কালো শশীর। অন্যদিকে পরমকে দেখে বনওয়ারী দহে ডুব দিয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনার প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা পেলেও আখ্যানে শেষাবধি কালো বউ তার মনোজগতে প্রভাব বিস্তার করে ভীতিসঞ্চারী অলৌকিক চরিত্রে পরিণত হয়। এ পর্বে 'অঙ' বা প্রেমলীলা সম্পর্কে কাহার সমাজের দেবতার মনোভাব আমরা জানতে পারি মাতব্বরের দৃষ্টিকোণ থেকে। কালো বউয়ের সঙ্গে বনওয়ারীর 'অঙের' খেলার অপরাধ বাবাঠাকুরের কাছে বড় পাপ নয়। অজ্ঞান কাহারদের দণ্ডমুণ্ডের মালিক। তিনি বোঝেন, কাহারদের 'অঙের' খেলা ছাড়া আর কোনো মন ভোলানো খেলা নেই।
মূলত এ উপন্যাসে খল নারীদের রাজত্ব কায়েম করেছেন তারাশঙ্কর। যতই বলা হোক না কেন, প্রবীণ বনওয়ারীর সঙ্গে নবীন করালীর দ্বন্দ্বে করালীর জয় ঘোষণা এই উপন্যাসের মৌল প্রতিপাদ্য, এ জন্য বনওয়ারীর নারী সুবাসীর করালীগামী হওয়াটা স্বাভাবিক, শৈল্পিক অভীপ্সা ও কাহিনীর পরিণতি নির্মাণে যথার্থ, কিন্তু যেহেতু উপন্যাসের নায়ক 'কাহার সমাজ', সেহেতু সুবাসী আখ্যানে কেন্দ্রানুগ হয়ে ওঠেনি। আবার সুবাসীর স্বামী ত্যাগ করে পাখীর বাহুলগ্না করালীবিত হওয়া কাহার সমাজের দৃষ্টিতে নিন্দনীয় নয়। তবে পাখীর আত্মহত্যা, বনওয়ারীর অসহায়ত্ব_সবই সত্য। ব্যক্তির জীবন-বিপর্যয় ও যন্ত্রণার সারণিতে সুবাসীর শঠতানিপুণ আচরণ গ্রহণীয় নয়।
বনওয়ারী মাতব্বর হলেও সন্তানহীন। বংশ রক্ষার জন্য আটপৌরে পাড়ার রমণের বাড়ির সুন্দরী যুবতীকে কালো শশীর অবিকল প্রতিমূর্তি মনে হওয়ায় বিয়ে করে। তার সংসারে দুই বউ_গোপালীবালা বড়কী ও সুবাসী ছুটকী। সুবাসী মাতব্বরের গুণে মুগ্ধ হয়ে কাহারদের ঘরের বউ হয়ে এসেছে। সতীন ঘরে আছে, আমলে নেয়নি। গোপালী প্রথমে দুঃখ পেলেও মেনে নিয়েছে বিষয়টিকে। বিবাহ কার্যাদি শুভ হলেও মাতব্বরের গৃহে সুবাসীর আচরণ ভাবিয়ে তোলে বনওয়ারীকে। একদিন চুরি করে সন্দেশ খাওয়ার সময় ধরা পড়ে সুবাসী। যে লোভের বশে দেবতার কথা না ভেবে স্বামীকে বঞ্চিত করে ভুতুড়ে ঘরে বসে পেট পুরে সন্দেশ খায়, সে ভালো মেয়ে নয়। ওই মিষ্টি পরদিন দেবতাকে দেওয়ার কথা ছিল। বনওয়ারী মুখে তোলেনি তখনো পর্যন্ত। বনওয়ারী আত্মীয়তার সূত্রে তার মেসো রমণকে আশ্রয় দেয়। মাঠে কাজ করার সময় জলখাবার নিয়ে গোপালীবালা উপস্থিত হলে সুবাসীর জন্য মনোকষ্টে ভোগে। অথচ সুবাসী রান্নাসহ অন্যান্য কাজ শেষে সাজসজ্জা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। চুল বাঁধে, চুল খোলে, আবার বাঁধে। ফলে কালো শশীর মতো মনে হলেও শান্তি পায়নি মাতব্বর। মাতব্বরের অপছন্দের পাখীর সঙ্গেও সুবাসী গাঢ় সখ্য গড়ে তোলে। ঘরের লক্ষ্মী গোপালীবালার সঙ্গে ঝগড়াও করে সে।
অথচ বনওয়ারী তাকে ভেতর থেকে ভালোবেসেছে। পূজা ও ভাঁজো উৎসবে নতুন শাড়ি কিনে দিয়েছে। নাচ-গানের অনুমতি দিয়েছে। তার নাচ দেখে করালী হাসলে রাগান্বিত হয়েছে। স্নানের পর সুবাসীর অঙ্গ থেকে মৃদু সুবাস উঠলে আনন্দিত হয়েছে। কিন্তু আকস্মিক গোপালীবালার মৃত্যুতে সতীনের অবসান হলে সবাই সুখের কপাল নিয়ে কথা বললেও সুবাসীর দৃষ্টি আকর্ষিত হয় করালীর প্রতি। সুবাসীর সামনে করালী বনওয়ারীকে আক্রমণ করলে বিস্ফারিত হয় তার চোখ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মাতব্বর ভাবে, তার ঘরে কালসাপিনী ঢুকেছে। সুবাসী কালসাপিনী। তার মতিগতি দেখে বনওয়ারীর সন্দেহ হয়। ও-ই হয়তো কোনোদিন তার বুকে মারবে ছোবল। তবে সুবাসী তাকে বশ করেছে। তাই ছোবলের আশঙ্কা থাকলেও কড়া নজরে রাখা হয় তাকে। কখনো তোষামোদ করা হয়। নববধূর প্রতি বনওয়ারীর আসক্তি প্রবল। লেখক বলেছেন, সুবাসী বড় চতুর। সে ধান-চালের ঠিক ঠিক হিসাব রাখতে পারে। স্বামীর মন খারাপ হতে দেখলে গলা জড়িয়ে ধরে হেসে কথা বলে। এসব সত্ত্বেও ডাকাবুকো করালীর প্রতি তার অনুকম্পা শুরু হয়।
সুবাসীকে নিয়ে বনওয়ারীর সঙ্গে করালীর হাতাহাতির এক পর্যায়ে বনওয়ারী পরাজিত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘোরতর অসুস্থতার সুযোগে সুবাসী করালীর সঙ্গে ভেগে যায়। সুবাসীকে নিয়ে ঘরে তোলার পর পাখী আত্মঘাতিনী হয়। করালীর আচরণকে তার পিসি নসুবালা ধিক্কার জানিয়েছে; সেবা করেছে অসুস্থ বনওয়ারীর। করালীর মতোই খল নারীর মনুষ্যত্বহীনতা, নির্বিকার আচরণ এবং জিঘাংসাজাত প্রস্থান মেনে নিতে পারি না আমরা। সুবাসী হয়তো চন্দনপুরের শ্রমিক হয়ে করালীর সঙ্গে পাকা ঘুপচি কোয়ার্টারে থেকেছে। হাঁসুলি বাঁকের ঐতিহ্যশূন্য, প্রাণহীন জীবন তাদের। করালী কিন্তু উপন্যাসের শেষে হাঁসুলি বাঁকে ফিরে আসে। তার নতুন করে গড়ে তোলার অনুপ্রেরণা কি সুবাসীর খলযাত্রার অবসান?
মূলত উপকথা রাজ্যের অন্ধকারাচ্ছন্ন অতিপ্রাকৃত জগতের বর্ণনায় শুরু হওয়া 'হাঁসুলি বাঁকের উপকথা' উপন্যাসটি আদিম জীবন পিপাসায়, প্রকৃতির লীলাবৈচিত্র্যে অসহায় মানুষের চিত্রণে সীমাবদ্ধ না থেকে ব্যক্তিজীবনের বিপর্যয় কাহার-সমাজের প্রেম ও যৌনতার আলোকে স্নাত হয়েছে। লেখক যে প্রচলিত সমাজব্যবস্থায় আস্থাশীল, নীতিবাদী পুরনোর প্রতি দুর্বল, তাও লক্ষণীয় বনওয়ারী চরিত্র রূপায়ণে। এই চরিত্রটির সূত্রে সুবাসীর খলতার উন্মোচন অবারিত হয়েছে। তবে সুবাসীর প্রতি লেখকের পক্ষপাত দেখা যায়নি।

No comments

Powered by Blogger.