প্রকৃতির রহস্য- গুহাটা যেন নরমুণ্ড!

হস্যময়, অশুভ ও প্রাণসংহারী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে যুক্তরাজ্যের 'হডজ ক্লোজ কুইয়ারি' পার্বত্য গুহা। এটি জলমগ্ন। এর অবস্থান দেশের ক্যামব্রিয়া অঞ্চলের কোনিস্টন প্রশাসনিক এলাকার দুর্গম পর্বতে। এ গুহার রহস্য উদ্ঘাটনে পানিতে নেমে প্রাণ হারিয়েছেন অনেক ডুবুরি। সম্প্রতি একজন দুঃসাহসী ফটোগ্রাফার এবং ডুবুরি এ গুহার ছবি তুলেছেন। ছবি দেখে ওই ফটোগ্রাফারের চোখ কপালে উঠেছে। হায় ঈশ্বর! গুহার মুখটা তো কলজে কাঁপানো


অলক্ষুণে নরমুণ্ডর মতো। দৈত্য-দানো এবং রাক্ষস-খোক্ষস বলে যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে এটাই তো সেসব কিছুর জলজ্যান্ত প্রমাণ। খবর দ্য ডেইলি মেইল অনলাইনের।
সংবাদ সূত্র জানায়, যুক্তরাজ্যের কোনিস্টন এলাকার হডজ ক্লোজ কুইয়ারি পার্বত্য গুহা পানির নিচে অবস্থিত। এর পানি বরফের মতো ঠাণ্ডা, তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর দৈর্ঘ্য ২৫ মিটার এবং গোলাকৃতি গহ্বরের আয়তন দুই বর্গমিটার। এই পানিভর্তি গুহাটি ডুবুরিদের কাছে খুব আদর্শ স্থান। প্রতি বছরই
এখানে দুঃসাহসী ডুবুরিরা নামেন প্রকৃতির অপার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য। এ গুহায় অভিযানে নেমে গত বছর ৩ ডুবুরি মারা গেছেন। ডুবুরিদের মাঝেমধ্যেই মৃত্যু হয়। এ জন্য এটি এলাকাবাসীর কাছে ভুতুড়ে ও অলক্ষুণে স্থান হিসেবে পরিচিত। এমনও জনশ্রুতি চালু আছে, ২০০৫ সালে এক ডুবুরি এই গুহার পানির নিচে দেখতে মানুষের মতো একটা কিছু প্রত্যক্ষ করে খেই হারিয়ে ফেলেন। তখন ভেঙেপড়া ওই ডুবুরিকে গুহার পানি থেকে পাড়ে তুলতে এগিয়ে আসেন কোনিস্টন মাউনন্টেইন রেসকিউ টিমের সদস্যরা। তারা ওই ডুবুরিকে অসুস্থ অবস্থায় পানি থেকে উদ্ধার করেন।
ফটোগ্রাফার পিটার বার্ডস্লে বলেন, ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ক্যামেরা তাক করে আমি গুহাটির ছবি তুলি। স্টুডিওতে ছবিটির কাজ শেষ করার পর দেখি তাজ্জব ব্যাপার! ছবিটি দেখতে অবিকল নরমুণ্ডর মতো। মনে হয় আমি যেন ইন্ডিয়ানা জোন্স মুভির স্থিরচিত্র দেখছি। ছবিটি তুলতে গিয়ে ক্যামেরায় কোনো কারসাজি করা হয়নি।
উল্লেখ্য, জলমগ্ন এই গুহা যুক্তরাজ্যে বিপজ্জনক হিসেবে পরিচিত। তাই ওয়েবসাইটে এটি সম্পর্কে বলা আছে, যেসব ডুবুরির প্রশিক্ষণ উঁচুমাপের নয়, তারা যেন শখের বসে এ গুহায় না নামেন। কারণ প্রশিক্ষণগত দুর্বলতা এবং অভিজ্ঞতার অভাবে গত বছর এখানে নেমে ৩ ডুবুরি অকালে প্রাণ হারিয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.