চমক, বিস্ময়, অঘটন আর নাটক
মেসি, জাভি, ইনিয়েস্তাদের মতো তারকাদের একনজর দেখতে যেখানে হুমড়ি খায় দর্শকরা সেখানে বাটে বরিসভের সঙ্গে বার্সেলোনার ম্যাচে টিকিট বিক্রি হয়েছিল মাত্র ৫০১৩টি! ৭ মিনিটের মধ্যে অলিম্পিক লিওঁর অখ্যাত স্ট্রাইকার বাফেতিম্বি গোমিসের হ্যাটট্রিক, গতবারের রানার্সআপ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিদায়। এ রকম আরো অনেক কিছুই ঘটেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে। সেগুলো নিয়েই আজকের এ আয়োজন
তারা গতবারের রানার্সআপ। বার্সেলোনার মতো অন্য গ্রহের ফুটবল খেলা দল প্রতিপক্ষ না হলে হয়তো চ্যাম্পিয়নই হয়ে যেত। সেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডই কিনা এবার বাদ পড়ে গেল গ্রুপ পর্ব থেকে! বাদ পড়েছে দুবারের চ্যাম্পিয়ন এফসি পোর্তোও। চমক এখানেই শেষ নয়_আরো আছে, যেমন_বার্সেলোনা-বাতে বরিসভ ম্যাচ। মেসি, জাভি, ইনিয়েস্তাদের মতো তারকাদের একনজর দেখতে যেখানে হুমড়ি খায় দর্শকরা সেখানে ওই ম্যাচে টিকিট বিক্রি হয়েছিল মাত্র ৫০১৩টি! ৭ মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিকটিও বা কি করে ভোলা যায়। অলিম্পিক লিঁওর অখ্যাত স্ট্রাইকার বাফেতিম্বি গোমিসের হ্যাটট্রিকের মতো কত চমক, বিস্ময়, অঘটন আর নাটক দিয়ে শেষ হলো এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ গ্রুপ পর্ব।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কষ্টটাই সবচেয়ে বেশি। কেননা এত দিন চ্যাম্পিয়নস লিগ আগের আসরে ফাইনাল খেলা কোনো দলের ঠিক পরের আসরেই গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়া দেখেনি। সেই লজ্জায় ডুবে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নকে এবার গিলতে হলো ইউরোপা লিগের 'কুইনাইন'। তারা যে ধরনের ফুটবল খেলে এবং খেলছে তাতে এ ব্যর্থতাটা ঠিক মানা যায় না। তা ছাড়া এভাবে তাদের বিদায় তো এর আগে খুব বেশিবার হয়ওনি। ১৯৬৮, ১৯৯৯ ও ২০০৮-এর চ্যাম্পিয়নরা এ নিয়ে মাত্র তৃতীয়বার গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার তেতো স্বাদ নিল। অবশ্য এবার শুরু থেকেই পথচলাটা মসৃণ ছিল না স্যার অ্যালেঙ্ ফার্গুসনের দলের। প্রথম ম্যাচে বেনফিকার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্রর পর দ্বিতীয় ম্যাচেও এফসি বাসেলের বিপক্ষে ৩-৩ গোলের ড্র। বাসেলের বিপক্ষে তো তারা হেরে যেতেও পারত। শেষ মিনিটে অ্যাশলে ইয়ংয়ের গোলে কোনোরকমে সমতা ফিরিয়েছিল রেড ডেভিলরা।
রোমানিয়ান ক্লাব ওতেলুল গালাতির বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই জয় এসেছিল ২-০ ব্যবধানে। এরপর ফিরতি ম্যাচে বেনফিকার বিপক্ষে আবারও ২-২ গোলে ড্র। তবে অপরাজিত থাকায় শেষ ম্যাচে বাসেলের সঙ্গে ড্র করলেও চলত ম্যানইউর। কিন্তু উল্টো ১-২ গোলে হেরে বসায় ছিটকে যেতে হয় গ্রুপ পর্ব থেকেই। গত আসরে গ্রুপ পর্বে কোনো গোল হজম না করা দলটার জালে এবার বল জড়িয়েছে ৮ বার! তাই ম্যানইউর এভাবে ছিটকে পড়া নিয়ে ইংলিশ মিডিয়ায় শুরু হয়েছে নানা বিশ্লেষণ। দ্য টেলিগ্রাফ এর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পাঁচটি কারণ_
ক. আত্মতুষ্টিতে ভোগা
খ. রক্ষণে ফাঁক-ফোকর
গ. চোট
ঘ. নতুন মৌসুমে উঁচুমানের ফুটবলার কিনতে না পারা
ঙ. রুনির অফফর্ম।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগে সাফল্য না থাকলেও ম্যানচেস্টার সিটির তারায় ভরা দল নিয়ে এবার উচ্ছ্বসিত ছিলেন অনেকেই। কিন্তু ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষে থাকা দলটি প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে এসে বুঝেছে, এটা একেবারেই আলাদা। তাই শেষ ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়েও তারা বাদ পড়ছে গ্রুপ পর্ব থেকেই। এবারের ব্যর্থতা অবশ্য আগামী মৌসুমে কাটিয়ে ওঠার ঘোষণাও দিয়েছেন সিটি কোচ রবার্তো মানচিনি। ম্যানইউ, ম্যানসিটি না পারলেও ইংল্যান্ডের অন্য দুই দল চেলসি ও আর্সেনাল জায়গা করে নিয়েছে শেষ ষোলতে। সেস্ক ফ্যাব্রেগাস, সামির নাসরির মতো তারকারা ক্লাব ছাড়ার পরও নতুন খেলোয়াড়দের নিয়ে ফন পার্সির কাঁধে ভর করে পাওয়া আর্সেনালের এ সাফল্যটা অবশ্যই কৃতিত্বের।
সাফল্য পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদও। একমাত্র দল হিসেবে টানা ৬ ম্যাচ জিতে এবার নক আউট পর্বের টিকিট পেয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, কাকা, করিম বেনজেমা, গনজালো হিগুয়াইনরা। চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে মাত্র পঞ্চম দল হিসেবে টানা ছয় ম্যাচ জিতে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করার রেকর্ডও গড়েছে সর্বোচ্চ ৯ বারের চ্যাম্পিয়নরা। তবে রিয়ালের জন্য শঙ্কার হচ্ছে আগের চার দলের কেউই কিন্তু শিরোপার স্বাদ পায়নি শেষ পর্যন্ত! এক ম্যাচে টিকিট বিক্রির সবচেয়ে বেশি রেকর্ডটাও রিয়াল মাদ্রিদেরই। বার্নাব্যুতে আয়াঙ্রে বিপক্ষে ম্যাচটি দেখতে টিকিট কিনেছিলেন ৭৮,০০০ হাজার দর্শক। রিয়াল মাদ্রিদ এবার দুই লেগে ডায়নামো জাগরেবকে ১-০ ও ৬-২, আয়াঙ্কে ৩-০ ও ৩-০ আর অলিম্পিক লিঁওকে ৪-০ ও ২-০ গোলে।
রিয়ালের মতো ছয় ম্যাচ না জিতলেও বার্সেলোনা অপরাজিত ছিল ৬ ম্যাচেই। এসি মিলানের সঙ্গে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচটাই কেবল ২-২ গোলে ড্র করেছিল তারা। তাও ৫০ মিনিট থেকে ২-১ গোলে এগিয়ে থাকার পর ইনজুরি সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে মিলানের থিয়াগো সিলভার গোলে জয়বঞ্চিত হতে হয়েছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নদের। এরপর বাতে বরিসভকে ৫-০ ও ৪-০, ভিক্টোরিয়া প্লজেনের সঙ্গে ২-০ ও ৪-০ আর এসি মিলানের সঙ্গে মেসিদের দল জয় পেয়েছে ৩-২ গোলে।
টানা তৃতীয়বারের মতো ফিফা ব্যালন ডি'অর জয়ের সম্ভাবনা জাগানো মেসি গোল করেছেন ৬টি। বার্সেলোনার হয়ে তো বটেই, এবারের গ্রুপ পর্বে এই ৬ গোলই যৌথভাবে সর্বোচ্চ। মেসির সমান ৬ গোল করেছেন বায়ার্ন মিউনিখের মারিও গোমেজেও। এ ছাড়া ৫টি গোল করেছেন ভ্যালেন্সিয়ার রবার্তো সলদাদো আর চারটি করে এসি মিলানের জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, রিয়াল মাদ্রিদের করিম বেনজেমা, বাসেলের আলেকজান্ডার ফ্রেই, নাপোলির এদিসন কাভানি, বার্সেলোনার পেদ্রো, সিএসকেএ মস্কোর সাইদু দোম্বিয়া আর পোর্তোর হাল্ক। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ফন পার্সি ও দিদিয়ের দ্রগবার গোল ৩টি করে।
সর্বোচ্চ ৪টি করে গোল তৈরি করে দিয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখের টনি ক্রুস ও বেনিফিকার নিকোলাস গাইতান। নাপোলির বিপক্ষে ৩-২ গোলে জেতা ম্যাচটিতে প্রথম হ্যাটট্রিকটি করেছিলেন বায়ার্নের মারিও গোমেজ। এরপর একে একে হ্যাটট্রিক করেন ভ্যালেন্সিয়ার রবার্তো সলদাদো, বার্সেলোনার লিওনেল মেসি ও লিঁও'র বাফেতিম্বি গোমিস। পরশু ডায়নামো জাগরেবের বিপক্ষে জেতা ৭-১ গোলের ম্যাচটিতে গোমিস করেছেন ৪ গোল। ৪৫ থেকে ৫২_এই ৭ মিনিটের ব্যবধানে করা হ্যাটট্রিকটি আবার চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসেরই দ্রুততম। সকারনেট
একনজরে
সর্বোচ্চ গোল : লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা) ও মারিও গোমেজ (বায়ার্ন মিউনিখ) : ৬টি
সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট : টনি ক্রুস (বায়ার্ন মিউনিখ) ও নিকোলাস গাইতান (বেনফিকা) : ৪টি
হোমে বড় জয় : ভ্যালেন্সিয়া ৭ : ০ রেসিং জেঙ্ক
অ্যাওয়েতে বড় জয় : ডায়নামো জাগরেব ১ : ৭ লিওঁ
টানা জয় : রিয়াল মাদ্রিদ : ৬টি
অপরাজিত দল : রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা
বেশি ড্র : ট্রাবজোনসপোর : ৪টি
জয় পায়নি : ভিলারিয়াল, ডায়নামো জাগরেব, রেসিং জেঙ্ক, ওতেলুল গালাতি ও বাতে বরিসভ
সবচেয়ে বেশি গোল : বার্সেলোনা : ২০টি
সবচেয়ে কম গোল : ভিলারিয়াল : ২টি
সবচেয়ে বেশি গোল হজম : ডায়নামো জাগরেব : ২২টি
সবচেয়ে কম গোল হজম : রিয়াল মাদ্রিদ : ২টি
গোল হজম না করে জয় : রিয়াল মাদ্রিদ : ৫টি
গ্রুপ
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কষ্টটাই সবচেয়ে বেশি। কেননা এত দিন চ্যাম্পিয়নস লিগ আগের আসরে ফাইনাল খেলা কোনো দলের ঠিক পরের আসরেই গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়া দেখেনি। সেই লজ্জায় ডুবে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নকে এবার গিলতে হলো ইউরোপা লিগের 'কুইনাইন'। তারা যে ধরনের ফুটবল খেলে এবং খেলছে তাতে এ ব্যর্থতাটা ঠিক মানা যায় না। তা ছাড়া এভাবে তাদের বিদায় তো এর আগে খুব বেশিবার হয়ওনি। ১৯৬৮, ১৯৯৯ ও ২০০৮-এর চ্যাম্পিয়নরা এ নিয়ে মাত্র তৃতীয়বার গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার তেতো স্বাদ নিল। অবশ্য এবার শুরু থেকেই পথচলাটা মসৃণ ছিল না স্যার অ্যালেঙ্ ফার্গুসনের দলের। প্রথম ম্যাচে বেনফিকার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্রর পর দ্বিতীয় ম্যাচেও এফসি বাসেলের বিপক্ষে ৩-৩ গোলের ড্র। বাসেলের বিপক্ষে তো তারা হেরে যেতেও পারত। শেষ মিনিটে অ্যাশলে ইয়ংয়ের গোলে কোনোরকমে সমতা ফিরিয়েছিল রেড ডেভিলরা।
রোমানিয়ান ক্লাব ওতেলুল গালাতির বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই জয় এসেছিল ২-০ ব্যবধানে। এরপর ফিরতি ম্যাচে বেনফিকার বিপক্ষে আবারও ২-২ গোলে ড্র। তবে অপরাজিত থাকায় শেষ ম্যাচে বাসেলের সঙ্গে ড্র করলেও চলত ম্যানইউর। কিন্তু উল্টো ১-২ গোলে হেরে বসায় ছিটকে যেতে হয় গ্রুপ পর্ব থেকেই। গত আসরে গ্রুপ পর্বে কোনো গোল হজম না করা দলটার জালে এবার বল জড়িয়েছে ৮ বার! তাই ম্যানইউর এভাবে ছিটকে পড়া নিয়ে ইংলিশ মিডিয়ায় শুরু হয়েছে নানা বিশ্লেষণ। দ্য টেলিগ্রাফ এর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পাঁচটি কারণ_
ক. আত্মতুষ্টিতে ভোগা
খ. রক্ষণে ফাঁক-ফোকর
গ. চোট
ঘ. নতুন মৌসুমে উঁচুমানের ফুটবলার কিনতে না পারা
ঙ. রুনির অফফর্ম।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগে সাফল্য না থাকলেও ম্যানচেস্টার সিটির তারায় ভরা দল নিয়ে এবার উচ্ছ্বসিত ছিলেন অনেকেই। কিন্তু ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষে থাকা দলটি প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে এসে বুঝেছে, এটা একেবারেই আলাদা। তাই শেষ ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়েও তারা বাদ পড়ছে গ্রুপ পর্ব থেকেই। এবারের ব্যর্থতা অবশ্য আগামী মৌসুমে কাটিয়ে ওঠার ঘোষণাও দিয়েছেন সিটি কোচ রবার্তো মানচিনি। ম্যানইউ, ম্যানসিটি না পারলেও ইংল্যান্ডের অন্য দুই দল চেলসি ও আর্সেনাল জায়গা করে নিয়েছে শেষ ষোলতে। সেস্ক ফ্যাব্রেগাস, সামির নাসরির মতো তারকারা ক্লাব ছাড়ার পরও নতুন খেলোয়াড়দের নিয়ে ফন পার্সির কাঁধে ভর করে পাওয়া আর্সেনালের এ সাফল্যটা অবশ্যই কৃতিত্বের।
সাফল্য পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদও। একমাত্র দল হিসেবে টানা ৬ ম্যাচ জিতে এবার নক আউট পর্বের টিকিট পেয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, কাকা, করিম বেনজেমা, গনজালো হিগুয়াইনরা। চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে মাত্র পঞ্চম দল হিসেবে টানা ছয় ম্যাচ জিতে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করার রেকর্ডও গড়েছে সর্বোচ্চ ৯ বারের চ্যাম্পিয়নরা। তবে রিয়ালের জন্য শঙ্কার হচ্ছে আগের চার দলের কেউই কিন্তু শিরোপার স্বাদ পায়নি শেষ পর্যন্ত! এক ম্যাচে টিকিট বিক্রির সবচেয়ে বেশি রেকর্ডটাও রিয়াল মাদ্রিদেরই। বার্নাব্যুতে আয়াঙ্রে বিপক্ষে ম্যাচটি দেখতে টিকিট কিনেছিলেন ৭৮,০০০ হাজার দর্শক। রিয়াল মাদ্রিদ এবার দুই লেগে ডায়নামো জাগরেবকে ১-০ ও ৬-২, আয়াঙ্কে ৩-০ ও ৩-০ আর অলিম্পিক লিঁওকে ৪-০ ও ২-০ গোলে।
রিয়ালের মতো ছয় ম্যাচ না জিতলেও বার্সেলোনা অপরাজিত ছিল ৬ ম্যাচেই। এসি মিলানের সঙ্গে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচটাই কেবল ২-২ গোলে ড্র করেছিল তারা। তাও ৫০ মিনিট থেকে ২-১ গোলে এগিয়ে থাকার পর ইনজুরি সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে মিলানের থিয়াগো সিলভার গোলে জয়বঞ্চিত হতে হয়েছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নদের। এরপর বাতে বরিসভকে ৫-০ ও ৪-০, ভিক্টোরিয়া প্লজেনের সঙ্গে ২-০ ও ৪-০ আর এসি মিলানের সঙ্গে মেসিদের দল জয় পেয়েছে ৩-২ গোলে।
টানা তৃতীয়বারের মতো ফিফা ব্যালন ডি'অর জয়ের সম্ভাবনা জাগানো মেসি গোল করেছেন ৬টি। বার্সেলোনার হয়ে তো বটেই, এবারের গ্রুপ পর্বে এই ৬ গোলই যৌথভাবে সর্বোচ্চ। মেসির সমান ৬ গোল করেছেন বায়ার্ন মিউনিখের মারিও গোমেজেও। এ ছাড়া ৫টি গোল করেছেন ভ্যালেন্সিয়ার রবার্তো সলদাদো আর চারটি করে এসি মিলানের জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, রিয়াল মাদ্রিদের করিম বেনজেমা, বাসেলের আলেকজান্ডার ফ্রেই, নাপোলির এদিসন কাভানি, বার্সেলোনার পেদ্রো, সিএসকেএ মস্কোর সাইদু দোম্বিয়া আর পোর্তোর হাল্ক। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ফন পার্সি ও দিদিয়ের দ্রগবার গোল ৩টি করে।
সর্বোচ্চ ৪টি করে গোল তৈরি করে দিয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখের টনি ক্রুস ও বেনিফিকার নিকোলাস গাইতান। নাপোলির বিপক্ষে ৩-২ গোলে জেতা ম্যাচটিতে প্রথম হ্যাটট্রিকটি করেছিলেন বায়ার্নের মারিও গোমেজ। এরপর একে একে হ্যাটট্রিক করেন ভ্যালেন্সিয়ার রবার্তো সলদাদো, বার্সেলোনার লিওনেল মেসি ও লিঁও'র বাফেতিম্বি গোমিস। পরশু ডায়নামো জাগরেবের বিপক্ষে জেতা ৭-১ গোলের ম্যাচটিতে গোমিস করেছেন ৪ গোল। ৪৫ থেকে ৫২_এই ৭ মিনিটের ব্যবধানে করা হ্যাটট্রিকটি আবার চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসেরই দ্রুততম। সকারনেট
একনজরে
সর্বোচ্চ গোল : লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা) ও মারিও গোমেজ (বায়ার্ন মিউনিখ) : ৬টি
সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট : টনি ক্রুস (বায়ার্ন মিউনিখ) ও নিকোলাস গাইতান (বেনফিকা) : ৪টি
হোমে বড় জয় : ভ্যালেন্সিয়া ৭ : ০ রেসিং জেঙ্ক
অ্যাওয়েতে বড় জয় : ডায়নামো জাগরেব ১ : ৭ লিওঁ
টানা জয় : রিয়াল মাদ্রিদ : ৬টি
অপরাজিত দল : রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা
বেশি ড্র : ট্রাবজোনসপোর : ৪টি
জয় পায়নি : ভিলারিয়াল, ডায়নামো জাগরেব, রেসিং জেঙ্ক, ওতেলুল গালাতি ও বাতে বরিসভ
সবচেয়ে বেশি গোল : বার্সেলোনা : ২০টি
সবচেয়ে কম গোল : ভিলারিয়াল : ২টি
সবচেয়ে বেশি গোল হজম : ডায়নামো জাগরেব : ২২টি
সবচেয়ে কম গোল হজম : রিয়াল মাদ্রিদ : ২টি
গোল হজম না করে জয় : রিয়াল মাদ্রিদ : ৫টি
গ্রুপ
No comments