রোহিণী-নায়িকা, না খলনায়িকা by কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর কথাসাহিত্যের ভুবনে ভাষা, বয়নকৌশল আর কথনের পর যে বিষয়টার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন তা হচ্ছে নারী-চরিত্রের অসাধারণ সব দিক উন্মোচন। তাঁর ১৪টি উপন্যাসের সাতটির নামই দিয়েছেন নারী-চরিত্রসহযোগে_দুর্গেশনন্দিনী, কপালকুণ্ডলা, মৃণালিনী, ইন্দিরা, রাধারানী, রজনী, দেবী চৌধুরাণী। এর ভেতর আবার তিনটি_বিষবৃক্ষ, যুগলাঙ্গরীয় আর কৃষ্ণকান্তের উইলের নামকরণ নারী-চরিত্রসহযোগে করলে আরো যুতসই কাজ হতো বলা যেতে পারে!
খল-চরিত্র হিসেবে আমরা কৃষ্ণকান্তের উইলের রোহিণী চরিত্রটি চিহ্নিত করতে চাই। এটি কি সত্যিই কোনো খল-চরিত্র? একটি চরিত্রের সামগ্রিকতায় খলনায়িকার লেবেল এঁটে দেওয়া তো সোজা কথা নয়। সোজা বা বাঁকা যা-ই হোক, এটা আদৌ উচিত হবে কি না তা নিয়েও বারবার ভাবতে হচ্ছে। এই ভাবাভাবির মূল কারণ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এ চরিত্র নির্মাণে যে মমতা, ভালোবাসা, তৃষ্ণা, হাহাকার, এমনকি রোদনময়তা রেখেছেন তাতে তার ভেতর পাশবিকতা বা খলত্বের পরিমাণ কতটুকু? আমরা সেই বিষয়টাই নানাভাবে দেখার চেষ্টা করব।
আমরা উপন্যাসটিকে যে উইলজনিত লাভ-লোকসানের আখ্যান হিসেবে ধরতে পারি, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এবং আমাদের নিঃসন্দেহ করাতে মদদ জুগিয়েছেন উপন্যাসটির সৃজনকর্তা স্বয়ং। তিনি এর নামকরণ করলেন কৃষ্ণকান্তের উইল। তিনি কেন তা করলেন? কারণ উপন্যাসটির সর্বাঙ্গ কখনো আলোকিত, কখনো অন্ধকারময়, কখনো বা দ্বিধা থরোথরো কম্পনের মুখোমুখি হয়েছে একটা মাত্র উইলের জন্য। উইলটি তিনবার রূপ বদল করেছে_আর সেই কাজটি করেছেন হরিদ্রা গ্রামের জমিদার কৃষ্ণকান্ত। জমিসংক্রান্ত উইলের এ রূপবদলে অন্তত দুই বার সরাসরি এক্টিভিস্ট হিসেবে কাজ করেছে রোহিণী। দ্বিতীয়বার যখন কৃষ্ণকান্ত এর শর্ত চেঞ্জ করে ঘরে লুুকিয়ে রাখেন, তখন তাতে হাত পড়ে রোহিণীর। সে কৃষ্ণকান্তের জ্যেষ্ঠপুত্র হরলালের ফাঁদে পড়ে কৃষ্ণকান্তের ঘরে রক্ষিত হাতবাঙ্রে চেস্ট ড্রয়ার থেকে মূল উইলটি সরিয়ে একটি নকল উইল সেখানে প্রতিস্থাপন করে। সেটি শুধু হরলালের প্রতি তার ইজ্জত বাঁচানোর প্রতিদানের জন্যই করে বলে মনে হয় না; হরলালের সঙ্গে কথা বলার সময় আমরা এক শিহরণেরও মুখোমুখি হই। রোহিণী বিধবা; লোভকাতর হরলাল বিধবাকে বিয়ে করার কথাও জানায়। এমনকি আসল উইলটি এনেও নিতান্তই কৌশল হিসেবে রোহিণী তার কাছে রেখে দেয়।
একসময় রোহিণী আত্মহত্যা করতে চায় এবং তা উপন্যাসটির মূল-চরিত্র গোবিন্দলালের সঙ্গে প্রেমজনিত কারণেই। বারুণী নামের পুকুরে ডুবে সে আত্মহত্যা করতে উদ্যত হয়। কিন্তু তাকে বাঁচায় গোবিন্দলালই। এটা ভাবারও কারণ থাকতে পারে যে গোবিন্দলালকে দেখে বা সে এদিকে আসছে জেনেই আত্মহত্যার মতো একটা ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। এটা মনে করার কারণ হচ্ছে, রোহিণীর কর্মযজ্ঞে শঠতা আছে। সে নিজেই তার ভালোবাসার টানে, শরীরের টানে, কিংবা বিলাসিতার টানে নিজেকে অপকর্মে জড়িয়েছে। এই যেমন, গোবিন্দলালের সঙ্গে তার প্রেমজনিত ঘটনা যখন নানা ডালপালা মেলে চারদিকে ছড়াতে থাকে, তখন সেই ঘটনাকে নেভানোর বদলে সে আরো উসকে দিতে থাকে। একজন নারী তার কথিত পরপুরুষের সঙ্গে প্রেমের কথা সেই আঠারো শতকে নিজ মুখে যখন বলার মতো কূটকৌশল রাখে, তখন এ কাজটিকে শুধু মনোযাতনার প্রকাশ বলেই এস্টাবি্লস্ট করা যায় না। সে তখন জমিদার বাড়িতে গিয়ে গোবিন্দলালের স্ত্রী ভ্রমরকে রীতিমতো ডকুমেন্টারি এভিডেন্সযোগে প্রমাণ রাখতে চায় যে তাকে তো গোবিন্দলাল শুধু ভালোই বাসে না, সাত হাজার টাকার গয়নাগাঁটিও দিয়েছে। এতে স্বামী-স্ত্রীর ভেতর সেই যে বিরোধ পাকাপাকি আকারে শুরু হয় তা আর থামে না।
একসময় গোবিন্দলাল স্ত্রীকে ছেড়ে রোহিণীর সঙ্গে যশোরে প্রসাদপুরে বসবাস করতে থাকে। এমনকি গোবিন্দলাল মায়ের সঙ্গে তীর্থগমনের একপর্যায়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। স্ত্রী, জমিদারি, তামাম দুনিয়াদারি ছেড়ে রোহিণীর সঙ্গে নির্জন-নিরালায়, লোকচক্ষুর আড়ালে বসবাস করতে থাকে। মানবচরিত্রের ভেতর আছে নিত্য লীলাময় জীবনের আনাগোনা। রোহিণী-গোবিন্দলালের জীবন নিত্য সৃজনমুখরতার নবতর অধ্যায় রূপে মানা যেতেও পারে। কিন্তু গোবিন্দলালের এই যে স্যাক্রিফাইস, জীবনকে তার মতো করে রূপলীলায় দেখার সাধনা, তা কি রোহিণী তার ভালোবাসার পবিত্রতায় বহন করতে পারল? তা তো সে পারেনি। বরং তার লোভব্যাকুল রিপুর বিচিত্র প্রকাশ আমরা দেখি। প্রথমত মনে হচ্ছিল, সে শুধু ওই নির্জনবাসে তার দেশের বাড়ির এক লোকের কাছে তার বাবার খোঁজ করার জন্যই বাগানে গিয়ে একজনের সঙ্গে দেখা করছে! কিন্তু পরবর্তী সময়ে বোঝা গেল, রাসবিহারি নামের লোকটার সঙ্গে একসময় তার প্রণয় ছিল। এখনো সে তাতে একধরনের পিপাসা লালন করে। তা বুঝতে পেরেই গোবিন্দলাল রোহিণীর প্রতি দারুণ ক্ষুব্ধ হয়। একপর্যায়ে তাকে পিস্তলের গুলিতে হত্যা করে। মামলা, পুলিশ, খালাস ইত্যাদি আমরা দেখি। ভ্রমরও একসময় রোগে-শোকে মারা যায়। আমরা এভাবেই একটা চমৎকার প্রেমকথনের পরিসমাপ্তি দেখি। রোহিণীর জন্য আমরা যত না রোদনব্যাকুল হই, এর চেয়ে যেন পরিহাসমুখর, ক্ষুব্ধতার প্রতিচ্ছবি নির্ণয়ে মনস্থ হতে থাকি বেশি।
তবে আমরা সাধারণভাবে ধরে নিতে পারি, একজন বিধবার প্রেম (ভ্রমরের গুণের কাছে রোহিণীর রূপই বড় হয়ে দেখা দেয়) দেখানোতে সত্যশাসিত লেখক হিসেবে বঙ্কিমের সৃজনশীল মানসিকতার বিষয়টা বোঝাতে পারলেও, তিনি কিন্তু ভ্রমরের প্রেম, স্বামীর প্রতি অবিচল থাকার সাধনা, নারীর ত্যাগ মিলিয়ে তাকে তার সময়ের সীতার মর্যাদাই দিয়ে ফেলেন; এমনকি ভ্রমর-প্রতিমা নির্মাণের ফলে বঙ্কিম যেন সনাতন ধর্মের আবহের কাছে নিজেকে একেবারে উজাড় করে দিলেন। ভ্রমরকে অতিমানবিক চরিত্রে নির্মাণের ফলে রোহিণীর কাজকে আরো অপকাজই মনে হয়। সে এভাবেই খণ্ডিত, স্তিমিত, অপচরিত্রের আবহে নিজেকে প্রকাশ করতে যেন বাধ্য হয়! এবং এভাবেই রোহিণীকে ভালোবাসার এক অদ্ভুত মানবিক জগৎ থেকে থাকতে পারে, খল-চরিত্রের আবহে দেখি_আমরা ব্যথিত, স্তম্ভিত, ম্রিয়মাণ হতে থাকি। এমনকি আমরা একপর্যায়ে তাকে খলনায়িকা রূপে চিহ্নিত করারও মানসিকতা পোষণ করি। কিন্তু এ কথাও সত্য যে রোহিণী চরিত্রের সব দিক বিবেচনায় নিয়ে উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে তাকে নায়িকা হিসেবেও প্রতিস্থাপন করা যায়।
আমরা উপন্যাসটিকে যে উইলজনিত লাভ-লোকসানের আখ্যান হিসেবে ধরতে পারি, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এবং আমাদের নিঃসন্দেহ করাতে মদদ জুগিয়েছেন উপন্যাসটির সৃজনকর্তা স্বয়ং। তিনি এর নামকরণ করলেন কৃষ্ণকান্তের উইল। তিনি কেন তা করলেন? কারণ উপন্যাসটির সর্বাঙ্গ কখনো আলোকিত, কখনো অন্ধকারময়, কখনো বা দ্বিধা থরোথরো কম্পনের মুখোমুখি হয়েছে একটা মাত্র উইলের জন্য। উইলটি তিনবার রূপ বদল করেছে_আর সেই কাজটি করেছেন হরিদ্রা গ্রামের জমিদার কৃষ্ণকান্ত। জমিসংক্রান্ত উইলের এ রূপবদলে অন্তত দুই বার সরাসরি এক্টিভিস্ট হিসেবে কাজ করেছে রোহিণী। দ্বিতীয়বার যখন কৃষ্ণকান্ত এর শর্ত চেঞ্জ করে ঘরে লুুকিয়ে রাখেন, তখন তাতে হাত পড়ে রোহিণীর। সে কৃষ্ণকান্তের জ্যেষ্ঠপুত্র হরলালের ফাঁদে পড়ে কৃষ্ণকান্তের ঘরে রক্ষিত হাতবাঙ্রে চেস্ট ড্রয়ার থেকে মূল উইলটি সরিয়ে একটি নকল উইল সেখানে প্রতিস্থাপন করে। সেটি শুধু হরলালের প্রতি তার ইজ্জত বাঁচানোর প্রতিদানের জন্যই করে বলে মনে হয় না; হরলালের সঙ্গে কথা বলার সময় আমরা এক শিহরণেরও মুখোমুখি হই। রোহিণী বিধবা; লোভকাতর হরলাল বিধবাকে বিয়ে করার কথাও জানায়। এমনকি আসল উইলটি এনেও নিতান্তই কৌশল হিসেবে রোহিণী তার কাছে রেখে দেয়।
একসময় রোহিণী আত্মহত্যা করতে চায় এবং তা উপন্যাসটির মূল-চরিত্র গোবিন্দলালের সঙ্গে প্রেমজনিত কারণেই। বারুণী নামের পুকুরে ডুবে সে আত্মহত্যা করতে উদ্যত হয়। কিন্তু তাকে বাঁচায় গোবিন্দলালই। এটা ভাবারও কারণ থাকতে পারে যে গোবিন্দলালকে দেখে বা সে এদিকে আসছে জেনেই আত্মহত্যার মতো একটা ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। এটা মনে করার কারণ হচ্ছে, রোহিণীর কর্মযজ্ঞে শঠতা আছে। সে নিজেই তার ভালোবাসার টানে, শরীরের টানে, কিংবা বিলাসিতার টানে নিজেকে অপকর্মে জড়িয়েছে। এই যেমন, গোবিন্দলালের সঙ্গে তার প্রেমজনিত ঘটনা যখন নানা ডালপালা মেলে চারদিকে ছড়াতে থাকে, তখন সেই ঘটনাকে নেভানোর বদলে সে আরো উসকে দিতে থাকে। একজন নারী তার কথিত পরপুরুষের সঙ্গে প্রেমের কথা সেই আঠারো শতকে নিজ মুখে যখন বলার মতো কূটকৌশল রাখে, তখন এ কাজটিকে শুধু মনোযাতনার প্রকাশ বলেই এস্টাবি্লস্ট করা যায় না। সে তখন জমিদার বাড়িতে গিয়ে গোবিন্দলালের স্ত্রী ভ্রমরকে রীতিমতো ডকুমেন্টারি এভিডেন্সযোগে প্রমাণ রাখতে চায় যে তাকে তো গোবিন্দলাল শুধু ভালোই বাসে না, সাত হাজার টাকার গয়নাগাঁটিও দিয়েছে। এতে স্বামী-স্ত্রীর ভেতর সেই যে বিরোধ পাকাপাকি আকারে শুরু হয় তা আর থামে না।
একসময় গোবিন্দলাল স্ত্রীকে ছেড়ে রোহিণীর সঙ্গে যশোরে প্রসাদপুরে বসবাস করতে থাকে। এমনকি গোবিন্দলাল মায়ের সঙ্গে তীর্থগমনের একপর্যায়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। স্ত্রী, জমিদারি, তামাম দুনিয়াদারি ছেড়ে রোহিণীর সঙ্গে নির্জন-নিরালায়, লোকচক্ষুর আড়ালে বসবাস করতে থাকে। মানবচরিত্রের ভেতর আছে নিত্য লীলাময় জীবনের আনাগোনা। রোহিণী-গোবিন্দলালের জীবন নিত্য সৃজনমুখরতার নবতর অধ্যায় রূপে মানা যেতেও পারে। কিন্তু গোবিন্দলালের এই যে স্যাক্রিফাইস, জীবনকে তার মতো করে রূপলীলায় দেখার সাধনা, তা কি রোহিণী তার ভালোবাসার পবিত্রতায় বহন করতে পারল? তা তো সে পারেনি। বরং তার লোভব্যাকুল রিপুর বিচিত্র প্রকাশ আমরা দেখি। প্রথমত মনে হচ্ছিল, সে শুধু ওই নির্জনবাসে তার দেশের বাড়ির এক লোকের কাছে তার বাবার খোঁজ করার জন্যই বাগানে গিয়ে একজনের সঙ্গে দেখা করছে! কিন্তু পরবর্তী সময়ে বোঝা গেল, রাসবিহারি নামের লোকটার সঙ্গে একসময় তার প্রণয় ছিল। এখনো সে তাতে একধরনের পিপাসা লালন করে। তা বুঝতে পেরেই গোবিন্দলাল রোহিণীর প্রতি দারুণ ক্ষুব্ধ হয়। একপর্যায়ে তাকে পিস্তলের গুলিতে হত্যা করে। মামলা, পুলিশ, খালাস ইত্যাদি আমরা দেখি। ভ্রমরও একসময় রোগে-শোকে মারা যায়। আমরা এভাবেই একটা চমৎকার প্রেমকথনের পরিসমাপ্তি দেখি। রোহিণীর জন্য আমরা যত না রোদনব্যাকুল হই, এর চেয়ে যেন পরিহাসমুখর, ক্ষুব্ধতার প্রতিচ্ছবি নির্ণয়ে মনস্থ হতে থাকি বেশি।
তবে আমরা সাধারণভাবে ধরে নিতে পারি, একজন বিধবার প্রেম (ভ্রমরের গুণের কাছে রোহিণীর রূপই বড় হয়ে দেখা দেয়) দেখানোতে সত্যশাসিত লেখক হিসেবে বঙ্কিমের সৃজনশীল মানসিকতার বিষয়টা বোঝাতে পারলেও, তিনি কিন্তু ভ্রমরের প্রেম, স্বামীর প্রতি অবিচল থাকার সাধনা, নারীর ত্যাগ মিলিয়ে তাকে তার সময়ের সীতার মর্যাদাই দিয়ে ফেলেন; এমনকি ভ্রমর-প্রতিমা নির্মাণের ফলে বঙ্কিম যেন সনাতন ধর্মের আবহের কাছে নিজেকে একেবারে উজাড় করে দিলেন। ভ্রমরকে অতিমানবিক চরিত্রে নির্মাণের ফলে রোহিণীর কাজকে আরো অপকাজই মনে হয়। সে এভাবেই খণ্ডিত, স্তিমিত, অপচরিত্রের আবহে নিজেকে প্রকাশ করতে যেন বাধ্য হয়! এবং এভাবেই রোহিণীকে ভালোবাসার এক অদ্ভুত মানবিক জগৎ থেকে থাকতে পারে, খল-চরিত্রের আবহে দেখি_আমরা ব্যথিত, স্তম্ভিত, ম্রিয়মাণ হতে থাকি। এমনকি আমরা একপর্যায়ে তাকে খলনায়িকা রূপে চিহ্নিত করারও মানসিকতা পোষণ করি। কিন্তু এ কথাও সত্য যে রোহিণী চরিত্রের সব দিক বিবেচনায় নিয়ে উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে তাকে নায়িকা হিসেবেও প্রতিস্থাপন করা যায়।
No comments