এই তো শেবাগ! by সামীউর রহমান
এটাই আসল বীরেন্দর শেবাগ, এভাবেই ব্যাট করেন 'নজফগড়ের নবাব'। হিন্দি চলচ্চিত্রের মাস্টারপিস 'শোলে'র ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে মিলিয়ে যাকে বলা হয় 'বীরু'। তাঁর ব্যাটিংটাও পাঞ্জাবি এ নায়কের অ্যাকশনের মতো, মার একটাও মাটিতে পড়ে না, টেস্টে ২৯৫ রানে দাঁড়িয়ে যিনি অবলীলায় ছক্কা মেরে ট্রিপল সেঞ্চুরিতে পেঁৗছান। যাঁকে মনে করা হতো টেস্টের মতো ক্রিকেটের বিশুদ্ধতম সংস্করণে অচল, টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত তিনটি ইনিংসই
তাঁর।\অনেক আগেই শেবাগ বলেছিলেন, ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করতে চান তিনি। তখন তাঁর সেই কথা নিয়ে বিস্তর হাসাহাসি হয়েছে, এমন কথা বলার পর টানা কয়েক ইনিংসে ব্যর্থ হয়ে সেই হাসির খোরাকে আরো মসলা জুগিয়েছেন, সহ-অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন। নিজের কথাকে কাজে পরিণত করতে পারে খুব কম মানুষই, শেবাগ সেই বিরলতমদের একজন। শুধু তফাৎ, তাঁর আগেই আরেকজন সেই কীর্তিটা করে ফেলেছেন। অবশ্য এতে শেবাগের খুব একটা আপত্তি থাকার কথা নয়। কারণ দুই শ'র এভারেস্টে পা রাখা 'স্যার এডমন্ড হিলারি' হচ্ছেন শচীন টেন্ডুলকার, যাঁর সঙ্গে শেবাগের আকৃতি-ব্যাটিং ধরনে বিস্ময়কর মিল। এ দুজন মিলে শোলের 'জয়-বীরু'র মতো অনেক ম্যাচেই ভারতকে এনে দিয়েছেন রকেট গতির সূচনা এবং ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তিতে তাঁরা আবার 'হিলারি-তেনজিং' জুটি। তেনজিং আর হিলারির নাম যেমন এভারেস্ট বিজয়ে একসঙ্গে উচ্চারিত হয়, ওয়ানডে ডাবল সেঞ্চুরির পর টেন্ডুলকার-শেবাগও তো তেমনই!
শেবাগ খেললে সেদিন বোলারদের নাকের জল, চোখের জল এক হয়ে যায়। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে যে ঝাঁঝটা বাংলাদেশ টের পেয়েছিল। শেবাগের সেঞ্চুরিগুলো তিন অঙ্কে পেঁৗছে যাওয়ার একটু পরেই থেমে যায় না। তাঁর ১৫ সেঞ্চুরির ১২টিই ১০০-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে করা। এমন একজন ব্যাটসম্যানের ক্যাচ ছাড়ার মাসুলটা দিতে হয় চড়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ড্যারেন সামি যে ক্যাচটা ছেড়েছেন, এরপর কোনো মা তাঁর শিশু সন্তানকে সামির কোলে দিতে দ্বিতীয়বার ভাববেন। ১৭০ রানে জীবন পাওয়া শেবাগ আউট হয়েছেন আরো ৪৯ রান করে, ততক্ষণে টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ডটা নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ২৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৭টি, আউটও হয়েছেন অষ্টম ছক্কা মারতে গিয়ে। যখন প্যাভিলিয়নে ফিরছেন, তখন এগিয়ে এসে হাত মেলাচ্ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। বাউন্ডারি মেরে দুই শ পূর্ণ করার পর ড্রেসিংরুম থেকে মাঠে এসেছে ফুলের তোড়া। অথচ এই শেবাগকেই 'অপ্রথাগত', 'গায়ের জোরে খেলা ব্যাটসম্যান'সহ কত অপবাদই না শুনতে হয়েছে। এই সিরিজেও রান করতে পারছিলেন না, তাই ধীরে ধীরে জোরালো হচ্ছিল সমালোচকদের কণ্ঠও। সব উড়িয়ে দিয়েছেন শেবাগ, যেভাবে বলটা মাঠের বাইরে পাঠিয়েছিলেন মুলতানে।
ওয়ানডের ৪০০
শেবাগ খেললে সেদিন বোলারদের নাকের জল, চোখের জল এক হয়ে যায়। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে যে ঝাঁঝটা বাংলাদেশ টের পেয়েছিল। শেবাগের সেঞ্চুরিগুলো তিন অঙ্কে পেঁৗছে যাওয়ার একটু পরেই থেমে যায় না। তাঁর ১৫ সেঞ্চুরির ১২টিই ১০০-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে করা। এমন একজন ব্যাটসম্যানের ক্যাচ ছাড়ার মাসুলটা দিতে হয় চড়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ড্যারেন সামি যে ক্যাচটা ছেড়েছেন, এরপর কোনো মা তাঁর শিশু সন্তানকে সামির কোলে দিতে দ্বিতীয়বার ভাববেন। ১৭০ রানে জীবন পাওয়া শেবাগ আউট হয়েছেন আরো ৪৯ রান করে, ততক্ষণে টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ডটা নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ২৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৭টি, আউটও হয়েছেন অষ্টম ছক্কা মারতে গিয়ে। যখন প্যাভিলিয়নে ফিরছেন, তখন এগিয়ে এসে হাত মেলাচ্ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। বাউন্ডারি মেরে দুই শ পূর্ণ করার পর ড্রেসিংরুম থেকে মাঠে এসেছে ফুলের তোড়া। অথচ এই শেবাগকেই 'অপ্রথাগত', 'গায়ের জোরে খেলা ব্যাটসম্যান'সহ কত অপবাদই না শুনতে হয়েছে। এই সিরিজেও রান করতে পারছিলেন না, তাই ধীরে ধীরে জোরালো হচ্ছিল সমালোচকদের কণ্ঠও। সব উড়িয়ে দিয়েছেন শেবাগ, যেভাবে বলটা মাঠের বাইরে পাঠিয়েছিলেন মুলতানে।
ওয়ানডের ৪০০
No comments