কিভাবে এ্যাপ্লিকেশন করব? একটা মনের মতো চাকরির বিজ্ঞাপন পেলেন, কিন্তু জানেন না কিভাবে এ্যাপিস্নকেশন করবেন? এ বিষয়ে আপনাকে সহযোগিতা করছেন by রানা সাদিক হোসেন

প্রথমে আসা যাক সিভি'র ব্যাপারে। সিভি, বায়োডাটা, জবংঁসব (শুদ্ধ উচ্চারণ রেজুমে, রিজিউম না!) যেটাই বলুন না কেন, এটার ব্যাপারে আমরা অনেকেই সাধারণত একটা খুব বড় ভুল করে থাকি চাকরির দরখাসত্ম করার সময়।
সেটা হলো আমরা একটাই সিভি তৈরি করে রেখে সেটাই প্রত্যেকটা চাকরির এ্যাপিস্নকেশনের সঙ্গে পাঠাতে থাকি। আমি কিন্তু সিভি আপডেট করার কথা বলছি না। আমরা হয়ত সিভি আপডেট করি ঠিকই, যেমন নতুন কোন ট্রেনিংয়ে গেলে, কোন ডিগ্রী নিলে সেগুলো যোগ করি বা বাসার নতুন ঠিকানা এবং ফোন নম্বরও নিয়মিত ঠিক করি, আমি সেটার কথা বলছি না। যেটা করা উচিত, সেটা হচ্ছে প্রত্যেকবার এ্যাপিস্নকেশন করার সময় ওই নির্দিষ্ট পদের জন্য সিভি আবার ঘষামাজা করতে হবে! ওই পদের জন্য সিভিটাকে পঁংঃড়সরুব করতে হবে। একটাই সিভি দিয়ে সব সংস্থায়, সব পদে এ্যাপস্নাই করাটা একটা বিরাট ভুল।

সিভি কাস্টমাইজ করা
অনেকে এই ব্যাপারটা জানলেও বা অনুভব করতে পারলেও আলসেমি করে করেন না। কিন্তু এটার ওপরে যেহেতু আপনাকে ইন্টারভিউতে ডাকা না-ডাকা নির্ভর করছে, সর্বোপরি আপনার চাকরি হওয়া না হওয়া নির্ভর করছে, তাহলে কেন করবেন না?
কিভাবে সিভি পঁংঃড়সরুব করবেন?
একটা সাধারণ উদাহরণ হতে পারে এ রকম :
বিজ্ঞাপনে ওই পদের জন্য যে যে দৰতা চাওয়া হয়েছে, বা যে বিষয়ের ওপর অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে সেগুলো আগে তুলে ধরম্নন।
যেমন_ ট্রেনিং ম্যানেজার পদে চাওয়া হয়েছে মূলত ট্রেনিংয়ের ওপর অভিজ্ঞতা এবং তার সাথে আরও অন্যান্য কিছু। আপনি হিউম্যান রিসোর্সে কাজ করছেন অনেকদিন ধরে, ট্রেনিংয়ের অভিজ্ঞতাও আপনার আছে, কিন্তু সিভি-তে সেটার উলেস্নখ শেষের দিকে। সেটাকে এবার আগে নিয়ে আসুন। রিক্রুটমেন্টের দৰতা, হিউম্যান রিসোর্স পলিসি তৈরির দৰতা_ ইত্যাদিরও আগে নিয়ে আসুন ট্রেনিং পরিচালনা করার দৰতা এবং অভিজ্ঞতার কথা।
এই একই ঈঠ যখন আরেক জায়গায় দেবেন যেখানে রিক্রুটমেন্ট পরিচালনা করার জন্যই মূলত লোক নেয়া হচ্ছে, সেখানে রিক্রুটমেন্টের দৰতা আগে নিয়ে এসে হাইলাইট করম্নন, অর্থাৎ তুলে ধরম্নন।
সিভি-র সঙ্গে আর যা যা চাওয়া হয় সাধারণত সেগুলো হচ্ছে :
ক. এ্যাপিস্নকেশন বা কভার লেটার
খ. ছবি
গ. শিৰার সার্টিফিকেটগুলোর ফটোকপি।
ক. প্রথমে আসি এ্যাপিস্নকেশনের কথায়। মনে রাখবেন, অসংখ্য দরখাসত্মের মধ্য থেকে যখন ঈঠ ংযড়ৎঃ ষরংঃ করা হয়, তখন আপনার ঈঠ-র চেয়েও গুরম্নত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় এ্যাপিস্নকেশন বা কভার লেটার। প্রথমে যেহেতু সেটাই চোখে পড়ে এবং যিনি ংযড়ৎঃ ষরংঃ করছেন তিনি সেটাতেই চোখ বুলিয়ে থাকেন, তাই প্রথম যুদ্ধ আপনাকে জিততে হবে কভার লেটার দিয়েই!
প্রথমে বলি, একটা জিনিস পারতপৰে করবেন না। বাজারে এ্যাপিস্নকেশনের কিছু ছাপানো ফরম্যাট পাওয়া যায় (ডিসপেস্ন ১ দেখুন), যেগুলো কিনে অনেকেই শুধু ঠিকানা, পদের নাম, স্বাৰর ইত্যাদি হাতে লিখে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু এটা করা কতটুকু শোভন সেটা চিনত্মার করছেন? আপনি একটা চাকরি চাচ্ছেন, সেটার জন্য আপনি কতটা সিরিয়াস সেটা কিন্তু বোঝা যাচ্ছে না।
প্রথমত, এখন যে কোন জায়গায় কম্পিউটারে প্রিন্ট আউট নেয়া যায়। পাঁচ-দশ টাকার বিনিময়ে আপনি একটা পুরো এ্যাপিস্নকেশন লিখিয়ে প্রিন্ট করে নিতে পারেন।

ডিসপেস্ন ১
যদি সেটাও সম্ভব না হয়, তাহলে পুরো এ্যাপিস্নকেশনটাই হাতে লিখুন না। সেটাও তো এই হাস্যকর ব্যাপারটির চেয়ে অনেক ভাল। হাতের লেখা যে রকমই হোক না কেন, সেটাও আপনার নিজের।
নিজের হাতে লেখা এ্যাপিস্নকেশন দেখলেও বোঝা যাবে যে, আপনি আপনার এ্যাপিস্নকেশন তথা চাকরির প্রতি সিরিয়াস এবং যত্নশীল। আপনি ওই সংস্থার কাজে সিরিয়াস হবেন কি না, সেটা আপনার কভার লেটার দেখলেই কিছুটা আন্দাজ করা যাবে। তবে আজকাল সবাই কম্পিউটারের ছাপা পছন্দ করে, সুতরাং প্রথমত চেষ্টা করবেন পুরো এ্যাপিস্নকেশন কম্পিউটারে প্রিন্ট আউট নিতে। আর একেবারেই অসমর্থ হলে নিজের হাতে পরিষ্কার করে লিখবেন।
একটি ভাল এ্যাপিস্নকেশন এ রকম হতে পারে :
খুব বেশি কিছু লেখার দরকার নেই, বিশাল কাজের ফিরিসত্মি দিতে যাবেন না কভার লেটারে। মনে রাখবেন আজকাল সবারই সময় খুব কম। যত অল্প সময়ের মধ্যে এবং অল্প জায়গার মধ্যে যত সুন্দর করে মূল ইনফরমেশনটা দিতে পারবেন, তত আপনার জন্য ভাল। টিভির বিজ্ঞাপনগুলো লৰ্য করেছেন কি? একটি ভাল বিজ্ঞাপন নাটকের মতো বড় সাইজের হয় না। ছোট্ট, দ্রম্নত তারপরও দরকারী তথ্যাটা আছে_ এটাই আজকালকার ম্যাজিক।
আরেকটি বিষয়। লৰ্য করম্নন উবধৎ ঝরৎ/গধফধস লেখা হয়েছে। আপনি যদি ১০০% নিশ্চিত না হন যে, যার উদ্দেশ্যে এ্যাপিস্নকেশন পাঠাচ্ছেন, তিনি মহিলা বা পুরম্নষ, তাহলে এভাবে লেখা উচিত।
এবং অবশ্যই এ্যাপিস্নকেশনে সই করবেন। ঈঠ-তে যেমন আপনার সই থাকবে, তেমনি এ্যাপিস্নকেশনে সই থাকতেই হবে। প্রায়ই দেখা যায় সুন্দর ছাপানো এ্যাপিস্নকেশন, কিন্তু কোন স্বাৰর নেই। স্বাৰরবিহীন এ্যাপিস্নকেশন কেমন যেন প্রাথর্ীর অবহেলা অথবা ভুলে যাওয়ার চরিত্রকে তুলে ধরে!
যদি আপনি কারও কাছে শুনে থাকেন, অমুক সংস্থার অমুক পদে লোক চাচ্ছে এবং সেভাবে এ্যাপস্নাই করার জন্য প্রস্তুত হন, তাহলে এ্যাপিস্নকেশনের শুরম্ন হতে পারে এভাবে :
ও যধাব যবধৎফ ভৎড়স ধ ৎবষরধনষব ংড়ঁৎপব ঃযধঃ ুড়ঁ ধৎব ষড়ড়শরহম ভড়ৎ ধ জবপবঢ়ঃরড়হরংঃ. ও ড়িঁষফ ষরশব ঃড় ঢ়ৎবংবহঃ সুংবষভ ধং ধ পধহফরফধঃব.চ্
এখানে একটা বিষয় খেয়াল করম্নন এবং মনে রাখুন : অফিসিয়াল কাগজপত্রে কখনই ও্থাব জাতীয় সংৰেপ ব্যবহার করা উচিত নয়। আরও উদাহরণ হতে পারে পধহ্থঃ, ধিহহধ, ড়িহ্থঃ ইত্যাদি। এভাবে না লিখে পুরো শব্দ লিখবেন, যেমন পধহ হড়ঃ, ধিহঃ ঃড়, রিষষ হড়ঃ. হ

No comments

Powered by Blogger.