পথনাট্যোসব শেষ, সাঈদ আহমেদ স্মরণ- সংস্কৃতি সংবাদ
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আয়োজিত পথনাট্যোৎসব-২০১০ রবিবার শেষ হয়েছে। সমাপনী দিনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নাটক পরিবেশন করে মোট ৭টি দল। থিয়েটার আর্ট ইউনিট পরিবেশন করে নাট ‘ক্ষ্যাপা পাগলার প্যাঁচাল‘।
এসএম সোলায়মান রচিত নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন রোকেয়া রফিক বেবী। সুবচন নাট্য সংসদ মঞ্চে আনে 'পুষিক্যাট' নাটকটি। মান্নান হীরার লেখা নাটকটির নির্দেশনা দেন তানভীর আহমেদ। প্রাচ্যনাট পরিবেশন করে রাহুল আনন্দ রচিত ও নির্দেশিত নাটক 'দুই গুণন দুই= চার'। সুষম নাট্যসম্প্রদায় উৎসবে মঞ্চস্থ করে 'শেষ কথা'। খন্দকার কামরম্নল ইসলাম রচিত ও নির্দেশিত নাটকটি বেশ উপভোগ করেন দর্শক। গণনাট্য কেন্দ্র পরিবেশন করে নাটক 'জনৈক ইমাম আলী'। নাটকটির রচয়িতা ও নির্দেশক খায়রম্নল বাশার। বাংলাদেশ থিয়েটার দর্শকদের উপহার দেয় 'চৈতন্য' নাটকটি। এছাড়া এদিন নাটক পরিবেশন করে মিরপুরের সাতি্বক থিয়েটার।এর আগে একই সঙ্গে উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান ও সদ্য প্রয়াত নাট্যকার সাঈদ আহমেদ স্মরণে নাগরিক শোকসভার আয়োজন করা হয়। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আআমস আরেফিন সিদ্দিক। বাংলাদেশ গ্রম্নপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন নাট্যজন আতাউর রহমান, আসাদুজ্জামান নূর, গোলাম কুদ্দুছ, মফিদুল হক ও নিয়াজ মাহমুদ।
প্রয়াত নাট্যকারের স্মৃতিচারণ করে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সাঈদ আহমেদ জীবনের অধিকাংশ সময় নাটকের জন্য ব্যয় করে গেছেন। বাংলা নাটককে নতুন পথে বিকশিত করার চেষ্টায় সফল হয়েছিলেন তিনি। দুনিয়ার বিখ্যাত সব নাটক সম্পর্কে তিনি প্রচুর জানতেন। একইভাবে সে জানাকে সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করতেন। বাংলাদেশের নাট্য ভাবনাকে বহির্বিশ্বে তুলে ধরতেও তাঁর ছিল গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা। সাঈদ আহমেদের মৃতু্যতে নাট্যাঙ্গনের অপূরণীয় ৰতি হলো মনত্মব্য করে তাঁরা বলেন, এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। সে কথা মনে রেখে সকলকে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয় শোকসভা থেকে। সাঈদ আহমেদ পত্নী পারভীন আহমেদও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের একুশের অনুষ্ঠান আজ থেকে শুরম্ন
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের একুশের অনুষ্ঠানমালা আজ সোমবার থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শুরম্ন হচ্ছে। ১৪ দিনব্যাপী এ আয়োজনের উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী ও ভাষাসৈনিক আবুল মাল আবদুল মুহিত। এছাড়া অনুষ্ঠানে দেশের বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও শিল্পীরা উপস্থিত থাকবেন। প্রতিদিনের অনুষ্ঠানে একুশের গান, নাচ, আবৃত্তি, নাটক ইত্যাদি পরিবেশিত হবে।
No comments